alt

সম্পাদকীয়

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

: শনিবার, ১১ মে ২০২৪

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের সময় বেঁধে দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দিয়েছেন এক আইনজীবী। উক্ত নোটিশে সাত দিনের মধ্যে সড়ক-মহাসড়কে উল্লিখিত যানবাহন বন্ধে আদালতের রায় বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। সেটা করা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নোটিশে জানানো হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সড়ক ও মহাসড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ-এইচআরপিবি ২০১৪ সালে একটি রিট আবেদন করে। তার পরিপ্রেক্ষিতে রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত যশোর, খুলনা, ঝিনাইদাহ, কুষ্টিয়া, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, নড়াইল ও বাগেরহাট জেলার সড়ক-মহাসড়কে নছিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয় হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি ও সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসিদের।

কিন্তু রায় বাস্তবায়ন হতে দেখা যায়নি। দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। এসব বাহন শুধু যাত্রী ও পণ্যই পরিবহন করছে না, মহাসড়কে এসব যানের অবৈধ স্ট্যান্ডও গড়ে উঠেছে।

এসব যানবাহনের কারণে মহাসড়কে প্রায়ই যানজট তৈরি হয়, সড়ক দুর্ঘটনাও ঘটে। প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে এসব যানবাহন মহসড়কে চলছে কী করে সেটা একটা প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, মাসোহারার বিনিময়ে নিষিদ্ধ যানবাহন চলতে দেয়া হয়। যদিও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে। মহাসড়কে নিষিদ্ধ যান চলাচলের পেছনে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।

সড়ক-মহাসড়ক নিরাপদ করতে সরকার অনেক সিদ্ধান্তই এ পর্যন্ত নিয়েছে। তবে এসব সিদ্ধান্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাস্তবায়ন করা হয় না। কখনো কখনো মহাসড়কে থ্রি-হুইলার অটোরিকশা, নসিমন-করিমন, লেগুনা প্রভৃতি চলাচলের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নভাবে অভিযান চালানো হয়। অভিযান শেষ হতে না হতেই মহাসড়ক পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়। আবার দুর্ঘটনা ঘটে, যানজট হয়।

আমরা সড়ক-মহাসড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল করতে না দেয়া সংক্রান্ত আদালতের রায় বাস্তবায়ন দেখতে চাই। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তৎপর হতে হবে। কার্যকর তদারকি চালাতে হবে। নিষিদ্ধ যান চলাচলের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে।

কৃষিজমিতে কারখানা: ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

ওরস বন্ধ রাখাই কি একমাত্র সমাধান?

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা করুন

নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে গাফিলতি

ফসল রক্ষা বাঁধে অনিয়ম কাম্য নয়

রিওভাইরাস: আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

শুল্ক-কর এখন বাড়ানো কি জরুরি ছিল

নওগাঁর বর্জ্য পরিশোধনাগার প্রসঙ্গে

সড়ক দুর্ঘটনা : বেপরোয়া গতি আর অব্যবস্থাপনার মাশুল

সংরক্ষিত বনের গাছ রক্ষায় উদাসীনতার অভিযোগ আমলে নিন

চালের দাম বাড়ছে: সংকট আরও বাড়ার আগেই ব্যবস্থা নিন

বারইখালী ও বহরবুনিয়ার মানুষের দুর্ভোগ কবে দূর হবে

রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি : সমাধান কোথায়?

সময়ের সমীকরণে বেকারত্বের নতুন চিত্র

বরুড়ায় খালের দুর্দশা

টেকনাফে অপহরণ: স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ ও সমাধানের প্রয়োজনীয়তা

স্কুল মাঠে মাটি কাটার অভিযোগ

কিশোর গ্যাং : আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতা ও সামাজিক সংকট

বই বিতরণে স্বচ্ছতা প্রয়োজন

পরিবেশ রক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করুন

হাসপাতালের লোকবল সংকট দূর করুন

প্রাথমিক শিক্ষা : উন্নত জাতি গঠনে অপরিহার্য ভিত্তি

খেলার মাঠে কারখানা : পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যের বিপদ

শীতের তীব্রতা : বিপন্ন মানুষ এবং সরকারের কর্তব্য

বনে কেন করাতকল

গণপিটুনির দুঃসহ চিত্র

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিরাপত্তা

নববর্ষে মানবিক ও সমতার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার

পরিযায়ী পাখি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

প্রবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য সমস্যা : সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে

অবৈধ ইটভাটার কারণে পরিবেশ ও কৃষির বিপর্যয়

পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জরুরি

নরসিংদী-মদনগঞ্জ সড়কে ময়লার ভাগাড়

ভরা মৌসুমে বেড়েছে চালের দাম : বাজারে অস্থিরতা, গ্রাহকরা বিপাকে

ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বসতিতে আগুন : দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা?

সচিবালয়ে আগুন : সুষ্ঠু তদন্ত হোক

tab

সম্পাদকীয়

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

শনিবার, ১১ মে ২০২৪

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের সময় বেঁধে দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দিয়েছেন এক আইনজীবী। উক্ত নোটিশে সাত দিনের মধ্যে সড়ক-মহাসড়কে উল্লিখিত যানবাহন বন্ধে আদালতের রায় বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। সেটা করা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নোটিশে জানানো হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সড়ক ও মহাসড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ-এইচআরপিবি ২০১৪ সালে একটি রিট আবেদন করে। তার পরিপ্রেক্ষিতে রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত যশোর, খুলনা, ঝিনাইদাহ, কুষ্টিয়া, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, নড়াইল ও বাগেরহাট জেলার সড়ক-মহাসড়কে নছিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয় হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি ও সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসিদের।

কিন্তু রায় বাস্তবায়ন হতে দেখা যায়নি। দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। এসব বাহন শুধু যাত্রী ও পণ্যই পরিবহন করছে না, মহাসড়কে এসব যানের অবৈধ স্ট্যান্ডও গড়ে উঠেছে।

এসব যানবাহনের কারণে মহাসড়কে প্রায়ই যানজট তৈরি হয়, সড়ক দুর্ঘটনাও ঘটে। প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে এসব যানবাহন মহসড়কে চলছে কী করে সেটা একটা প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, মাসোহারার বিনিময়ে নিষিদ্ধ যানবাহন চলতে দেয়া হয়। যদিও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে। মহাসড়কে নিষিদ্ধ যান চলাচলের পেছনে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।

সড়ক-মহাসড়ক নিরাপদ করতে সরকার অনেক সিদ্ধান্তই এ পর্যন্ত নিয়েছে। তবে এসব সিদ্ধান্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাস্তবায়ন করা হয় না। কখনো কখনো মহাসড়কে থ্রি-হুইলার অটোরিকশা, নসিমন-করিমন, লেগুনা প্রভৃতি চলাচলের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নভাবে অভিযান চালানো হয়। অভিযান শেষ হতে না হতেই মহাসড়ক পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়। আবার দুর্ঘটনা ঘটে, যানজট হয়।

আমরা সড়ক-মহাসড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল করতে না দেয়া সংক্রান্ত আদালতের রায় বাস্তবায়ন দেখতে চাই। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তৎপর হতে হবে। কার্যকর তদারকি চালাতে হবে। নিষিদ্ধ যান চলাচলের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে।

back to top