টাঙ্গাইলের সখীপুরে কালিয়াপাড়া মাজেদা মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে ঠিকাদার সড়ক নির্মাণের ইটের খোয়ার স্তূপ বানিয়ে রেখেছেন। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিরাপদে খেলাধুলা করতে পারছে না। পাশাপাশি বায়ুদূষণও ঘটছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের ওপর। স্কুল কর্তৃপক্ষ বারবার ঠিকাদারকে ইটের খোয়া অপসারণের জন্য তাগাদা দিলেও তিনি বিষয়টি কানেই নিচ্ছেন না।
শুধু ইটের খোয়ার স্তূপই নয়, ইট-খোয়া আনা-নেয়ার জন্য ভারী যানবাহনও রাখা হচ্ছে বিদ্যালয়ের মাঠে। সামনে বর্ষা আসছে। এখনই খোয়া অপসারণের ব্যবস্থা না নিলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা। সড়ক নির্মাণের এসব ইটের খোয়া দ্রুত সরিয়ে মাঠটি সংস্কার করে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা।
স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সেখানে একটি সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। ঠিকাদার কয়েকদিনের জন্য স্কুল মাঠের একটুখানি জায়গা ইট-খোয়া রাখার জন্য কয়েকদিন ব্যবহার করবেন বলে জানান স্কুল কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু ঠিকাদার সে কথা রাখেননি। স্কুলের পুরো মাঠ দখল করে তাদের নির্মাণসামগ্রী রেখেছেন। এখন শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার মাঠ খালি করার জন্য বলা হলেও ঠিকাদার কোনো তোয়াক্কাই করছেন না।
ঠিকাদার এখন নানা অজুহাত দেখিয়ে পার পেয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। দু-এক দিনের মধ্যে ইটের খোয়াগুলো সরিয়ে নেবেন বলে আশ্বাসও দিয়েছেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা জানতে চাই, এক বছর ধরে একটি স্কুলের মাঠ দখল করে রাখলেও সেটি প্রশাসনের নজরে কেন এলো না।
শুধু সখীপুরে একটি বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে ইট-খোয়া রাখা হচ্ছে তা না। দেশের অনেক স্কুলের মাঠ মেলা, হাট এবং নানা ধরনের অনুষ্ঠানের জন্য ইজারা দেয়া হয়। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এসব বেআইনি কাজ-কারবার করে থাকেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের দক্ষতা, ভাষা এবং মানসিক স্থিতিশীলতার ৩৩ থেকে ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটাতে খেলাধুলা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে। খেলার মাধ্যমে তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে পারে। এতে চিন্তা-ভাবনার পরিধিও বেড়ে যায়। এখন খেলার মাঠের অভাবে শিশুরা বেশি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের দিকে ঝুঁকছে।
আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সখীপুরের কালিয়াপাড়া মাজেদা মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ থেকে ইট-খোয়ার স্তূপ অপসারণের দ্রত ব্যবস্থা নেবে। শুধু ইট-খোয়া অপসারণ করলেই হবে না, এতদিনে মাঠের যে ক্ষতি হয়েছে সেটাও দেখতে হবে। মাঠটি অবশ্যই সংস্কার করতে হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
টাঙ্গাইলের সখীপুরে কালিয়াপাড়া মাজেদা মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে ঠিকাদার সড়ক নির্মাণের ইটের খোয়ার স্তূপ বানিয়ে রেখেছেন। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিরাপদে খেলাধুলা করতে পারছে না। পাশাপাশি বায়ুদূষণও ঘটছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের ওপর। স্কুল কর্তৃপক্ষ বারবার ঠিকাদারকে ইটের খোয়া অপসারণের জন্য তাগাদা দিলেও তিনি বিষয়টি কানেই নিচ্ছেন না।
শুধু ইটের খোয়ার স্তূপই নয়, ইট-খোয়া আনা-নেয়ার জন্য ভারী যানবাহনও রাখা হচ্ছে বিদ্যালয়ের মাঠে। সামনে বর্ষা আসছে। এখনই খোয়া অপসারণের ব্যবস্থা না নিলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা। সড়ক নির্মাণের এসব ইটের খোয়া দ্রুত সরিয়ে মাঠটি সংস্কার করে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা।
স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সেখানে একটি সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। ঠিকাদার কয়েকদিনের জন্য স্কুল মাঠের একটুখানি জায়গা ইট-খোয়া রাখার জন্য কয়েকদিন ব্যবহার করবেন বলে জানান স্কুল কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু ঠিকাদার সে কথা রাখেননি। স্কুলের পুরো মাঠ দখল করে তাদের নির্মাণসামগ্রী রেখেছেন। এখন শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার মাঠ খালি করার জন্য বলা হলেও ঠিকাদার কোনো তোয়াক্কাই করছেন না।
ঠিকাদার এখন নানা অজুহাত দেখিয়ে পার পেয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। দু-এক দিনের মধ্যে ইটের খোয়াগুলো সরিয়ে নেবেন বলে আশ্বাসও দিয়েছেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা জানতে চাই, এক বছর ধরে একটি স্কুলের মাঠ দখল করে রাখলেও সেটি প্রশাসনের নজরে কেন এলো না।
শুধু সখীপুরে একটি বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে ইট-খোয়া রাখা হচ্ছে তা না। দেশের অনেক স্কুলের মাঠ মেলা, হাট এবং নানা ধরনের অনুষ্ঠানের জন্য ইজারা দেয়া হয়। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এসব বেআইনি কাজ-কারবার করে থাকেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের দক্ষতা, ভাষা এবং মানসিক স্থিতিশীলতার ৩৩ থেকে ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটাতে খেলাধুলা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে। খেলার মাধ্যমে তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে পারে। এতে চিন্তা-ভাবনার পরিধিও বেড়ে যায়। এখন খেলার মাঠের অভাবে শিশুরা বেশি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের দিকে ঝুঁকছে।
আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সখীপুরের কালিয়াপাড়া মাজেদা মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ থেকে ইট-খোয়ার স্তূপ অপসারণের দ্রত ব্যবস্থা নেবে। শুধু ইট-খোয়া অপসারণ করলেই হবে না, এতদিনে মাঠের যে ক্ষতি হয়েছে সেটাও দেখতে হবে। মাঠটি অবশ্যই সংস্কার করতে হবে।