শিশুটির বয়স ছয় বছর ছুঁই ছুঁই। স্কুলে ভর্তি হতে চায়, পড়তে চায় সে। মেয়েটির মা তাকে কয়েকটি স্কুলে নিয়েও গেছেন। কিন্তু ভর্তি করাতে পারেননি কোনোটিতেই। কারণ শিশুটির জন্মনিবন্ধন করা হয়নি। স্কুলে ভর্তি হতে হলে জন্ম সনদের প্রয়োজন হয়।
শিশুটির জন্মনিবন্ধন করা যায়নি কারণ তার পিতৃপরিচয় নেই। পিতৃপরিচয়ের জন্য তার মা আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এই লড়াই কবে শেষ হবে সেটা অনিশ্চিত। বাবার পরিচয় নেই বলে শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবেÑ এই জিজ্ঞাসা শিশুটির মায়ের। ঘটনাটি নীলফামারীর। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে কিছু আনুষ্ঠানিকতা থাকে। বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে জন্মসনদ থাকা তার একটি। কোনো একটি শিশুর বয়স কত, সে কোনো শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার উপযুক্ত সেটা বোঝার ক্ষেত্রে এ ধরনের সনদ হয়তো কাজে আসে। তাছাড়া শ্রেণীকক্ষে হাজিরা খাতায় তার নাম যথাযথভাবে লিপিবব্ধ করার জন্যও এখন এ ধরনের সনদের প্রয়োজন পড়ে। তবে কোনো একটি শিশুর জনক কে সেটা তার বিদ্যা অর্জনের পথে বাধা হতে পারে না। কোনো বিদ্যালয় শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে এমন কোনো শর্ত আরোপ করতে পারে না।
হাইকোর্টের একটি রায় অনুযায়ী, শুধু মায়ের পরিচয়েও যে কোনো শিশু শিক্ষার অধিকার পাবে। বোধগম্য অনেক কারণেই অনেক সময় শিশুর জনকের পরিচয় না-ও জানা থাকতে পারে। আদলতের মাধ্যমে এ ধরনের সমস্যার সমাধানও হয়েছে। পিতৃপরিচয় দিতে না পারার কারণে কোনো শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা থাকার কথা নয়।
শিশুটির জন্মনিবন্ধন কেন করা হয়নি সেটা একটি প্রশ্ন। তার মা বলছে, জন্মনিবন্ধন করতে গেলে বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র লাগে। তবে আমরা যতদূর জানি তাতে কোনো ক্ষেত্রে তথ্যের ঘাটতির কারণ দেখিয়ে নিবন্ধক জন্ম বা মৃত্যুনিবন্ধন প্রত্যাখ্যান করতে পারেন না। জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন বিধিমালা ২০১৮-এর ৩ (গ) ধারা অনুসারে, কোনো ব্যক্তি এতিম, প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গ, পিতৃ-মাতৃ পরিচয়হীন, পরিচয়হীন, বেদে, ভবঘুরে, পথবাসী বা ঠিকানাহীন বা যৌনকর্মী হলে যেসব তথ্য অসম্পূর্ণ থাকবে, সেসব স্থানে ‘অপ্রাপ্য’ লিখে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন করতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, ওই শিশুর ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হয়েছে কিনা। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। শিশুটির বিদ্যালয়ে পড়বার স্বপ্ন পূরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবেÑ এটা আমাদের আশা।
মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪
শিশুটির বয়স ছয় বছর ছুঁই ছুঁই। স্কুলে ভর্তি হতে চায়, পড়তে চায় সে। মেয়েটির মা তাকে কয়েকটি স্কুলে নিয়েও গেছেন। কিন্তু ভর্তি করাতে পারেননি কোনোটিতেই। কারণ শিশুটির জন্মনিবন্ধন করা হয়নি। স্কুলে ভর্তি হতে হলে জন্ম সনদের প্রয়োজন হয়।
শিশুটির জন্মনিবন্ধন করা যায়নি কারণ তার পিতৃপরিচয় নেই। পিতৃপরিচয়ের জন্য তার মা আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এই লড়াই কবে শেষ হবে সেটা অনিশ্চিত। বাবার পরিচয় নেই বলে শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবেÑ এই জিজ্ঞাসা শিশুটির মায়ের। ঘটনাটি নীলফামারীর। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে কিছু আনুষ্ঠানিকতা থাকে। বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে জন্মসনদ থাকা তার একটি। কোনো একটি শিশুর বয়স কত, সে কোনো শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার উপযুক্ত সেটা বোঝার ক্ষেত্রে এ ধরনের সনদ হয়তো কাজে আসে। তাছাড়া শ্রেণীকক্ষে হাজিরা খাতায় তার নাম যথাযথভাবে লিপিবব্ধ করার জন্যও এখন এ ধরনের সনদের প্রয়োজন পড়ে। তবে কোনো একটি শিশুর জনক কে সেটা তার বিদ্যা অর্জনের পথে বাধা হতে পারে না। কোনো বিদ্যালয় শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে এমন কোনো শর্ত আরোপ করতে পারে না।
হাইকোর্টের একটি রায় অনুযায়ী, শুধু মায়ের পরিচয়েও যে কোনো শিশু শিক্ষার অধিকার পাবে। বোধগম্য অনেক কারণেই অনেক সময় শিশুর জনকের পরিচয় না-ও জানা থাকতে পারে। আদলতের মাধ্যমে এ ধরনের সমস্যার সমাধানও হয়েছে। পিতৃপরিচয় দিতে না পারার কারণে কোনো শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা থাকার কথা নয়।
শিশুটির জন্মনিবন্ধন কেন করা হয়নি সেটা একটি প্রশ্ন। তার মা বলছে, জন্মনিবন্ধন করতে গেলে বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র লাগে। তবে আমরা যতদূর জানি তাতে কোনো ক্ষেত্রে তথ্যের ঘাটতির কারণ দেখিয়ে নিবন্ধক জন্ম বা মৃত্যুনিবন্ধন প্রত্যাখ্যান করতে পারেন না। জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন বিধিমালা ২০১৮-এর ৩ (গ) ধারা অনুসারে, কোনো ব্যক্তি এতিম, প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গ, পিতৃ-মাতৃ পরিচয়হীন, পরিচয়হীন, বেদে, ভবঘুরে, পথবাসী বা ঠিকানাহীন বা যৌনকর্মী হলে যেসব তথ্য অসম্পূর্ণ থাকবে, সেসব স্থানে ‘অপ্রাপ্য’ লিখে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন করতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, ওই শিশুর ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হয়েছে কিনা। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। শিশুটির বিদ্যালয়ে পড়বার স্বপ্ন পূরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবেÑ এটা আমাদের আশা।