alt

opinion » editorial

লুটপাট-অগ্নিকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

: বুধবার, ২৮ আগস্ট ২০২৪

গাজী টায়ারস কারখানায় আগুন লাগার প্রায় ৩২ ঘণ্টা পর তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানার ছয়তলা ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

টায়ার প্রস্তুতকারী কারখানাটি যে জমিতে স্থাপিত তা নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে গাজী গ্রুপের দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে জানা যায়। কারখানাটির মালিক সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী। গত রোববার তাকে গ্রেপ্তারের পর কারখানায় অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, তার গ্রেপ্তারের পর কারখানাটির অদূরে একটি মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে রোববার কয়েকশ মানুষ জড়ো করা হয়।

যদিও ঘোষণায় লুটপাট না করার জন্য সতর্ক করা হয়। কিন্তু কারখানাটিতে দিনভর লুটপাট হয়। একাধিক দল লুটপাটে অংশ নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। রাতে লুটপাটকারীদের একটি দল কারখানার ভেতরের একটি ছয়তলা ভবনে আগুন দেয়। লুটপাট বা অগ্নিকা-ের ঘটনার সময় সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

যে প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়া হয়েছে তার মালিকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ থাকতে পারে। কারখানা কর্তৃপক্ষ হয়তো নানা অনিয়মে জড়িতে থাকতে পারে। তবে যে অভিযোই থাক তার বিচার প্রচলিত আইনে করতে হবে। এবং এজন্য আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তার বিচার আদালত ভিন্ন আর কেউ করতে পারে না। অভিযোগ বা ক্ষোভ থাকলেই কোনো প্রতিষ্ঠান লুটপাট করা যায় কিনা, সেখানে আগুন দেয়া যায় কিনা সেটা আমরা জানতে চাইব।

গত ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই দেশের অনেক সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় লুটপাট করতে আর আগুন দিতে দেখা যাচ্ছে। অনেকে বলছেন, ক্ষোভের কারণে মানুষ এমনটা করছে। লুটপাট করা বা আগুন দেয়া শুধুই কি ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ নাকি এটা ফৌজদারি অপরাধ সেটা আমরা জানতে চাইব।

ক্ষোভ প্রকাশের নামে লুটপাট করা বা আগুন দেয়াকে কোনোভাবেই সমর্থন করা চলে না। অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে এটা বন্ধ করতে হবে। এখনি এর লাগাম টানা না গেলে এই অপচর্চা আরও ছড়িয়ে পড়বে। তখন বড় বিপদ হবে। সেটা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্যও ভালো হবে না।

কারা লুটপাট করছে, কারা আগুন দিচ্ছে সেটা চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পুলিশ এখনো নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে। কারখানাটি দিনভর লুটপাট করা হয়েছে কিন্তু সেখানে পুলিশ যায়নি। পুলিশ কেন এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছে না সেটা মানুষ বোঝে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। এভাবে চলতে পারে না, চলতে দেয়া যায় না। পুলিশকে তার দায়িত্ব পালন করতে বলতে হবে। পুলিশ বাহিনীকে যেভাবেই হোক দ্রুত সক্রিয় করতে হবে।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

লুটপাট-অগ্নিকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

বুধবার, ২৮ আগস্ট ২০২৪

গাজী টায়ারস কারখানায় আগুন লাগার প্রায় ৩২ ঘণ্টা পর তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানার ছয়তলা ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

টায়ার প্রস্তুতকারী কারখানাটি যে জমিতে স্থাপিত তা নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে গাজী গ্রুপের দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে জানা যায়। কারখানাটির মালিক সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী। গত রোববার তাকে গ্রেপ্তারের পর কারখানায় অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, তার গ্রেপ্তারের পর কারখানাটির অদূরে একটি মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে রোববার কয়েকশ মানুষ জড়ো করা হয়।

যদিও ঘোষণায় লুটপাট না করার জন্য সতর্ক করা হয়। কিন্তু কারখানাটিতে দিনভর লুটপাট হয়। একাধিক দল লুটপাটে অংশ নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। রাতে লুটপাটকারীদের একটি দল কারখানার ভেতরের একটি ছয়তলা ভবনে আগুন দেয়। লুটপাট বা অগ্নিকা-ের ঘটনার সময় সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

যে প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়া হয়েছে তার মালিকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ থাকতে পারে। কারখানা কর্তৃপক্ষ হয়তো নানা অনিয়মে জড়িতে থাকতে পারে। তবে যে অভিযোই থাক তার বিচার প্রচলিত আইনে করতে হবে। এবং এজন্য আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তার বিচার আদালত ভিন্ন আর কেউ করতে পারে না। অভিযোগ বা ক্ষোভ থাকলেই কোনো প্রতিষ্ঠান লুটপাট করা যায় কিনা, সেখানে আগুন দেয়া যায় কিনা সেটা আমরা জানতে চাইব।

গত ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই দেশের অনেক সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় লুটপাট করতে আর আগুন দিতে দেখা যাচ্ছে। অনেকে বলছেন, ক্ষোভের কারণে মানুষ এমনটা করছে। লুটপাট করা বা আগুন দেয়া শুধুই কি ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ নাকি এটা ফৌজদারি অপরাধ সেটা আমরা জানতে চাইব।

ক্ষোভ প্রকাশের নামে লুটপাট করা বা আগুন দেয়াকে কোনোভাবেই সমর্থন করা চলে না। অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে এটা বন্ধ করতে হবে। এখনি এর লাগাম টানা না গেলে এই অপচর্চা আরও ছড়িয়ে পড়বে। তখন বড় বিপদ হবে। সেটা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্যও ভালো হবে না।

কারা লুটপাট করছে, কারা আগুন দিচ্ছে সেটা চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পুলিশ এখনো নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে। কারখানাটি দিনভর লুটপাট করা হয়েছে কিন্তু সেখানে পুলিশ যায়নি। পুলিশ কেন এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছে না সেটা মানুষ বোঝে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। এভাবে চলতে পারে না, চলতে দেয়া যায় না। পুলিশকে তার দায়িত্ব পালন করতে বলতে হবে। পুলিশ বাহিনীকে যেভাবেই হোক দ্রুত সক্রিয় করতে হবে।

back to top