alt

opinion » editorial

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা : টেকসই মৎস্যসম্পদ রক্ষার চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতা

: মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

মা ইলিশ রক্ষায় এবং ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করার লক্ষ্যে ২২ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। ১২ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এই পদক্ষেপ দেশের অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তবে এর বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা যে রয়েই গেছে, তা স্পষ্ট।

নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য হলো ইলিশের প্রজননকালে মা ইলিশকে রক্ষা করা, যাতে ভবিষ্যতে ইলিশের উৎপাদন বাড়ানো যায়। প্রতি বছর প্রজনন মৌসুমে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করার ফলে ইলিশের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে। তবে এর সফলতা নির্ভর করছে প্রশাসন, স্থানীয় জেলে ও সংশ্লিষ্টদের সম্মিলিত প্রয়াসের ওপর।

যদিও নিষেধাজ্ঞার ফলে ইলিশের প্রজনন সুরক্ষিত করা হচ্ছে, তবে জেলেদের জীবনে তা প্রভাব ফেলছে মারাত্মকভাবে। ভোলা ও অন্যান্য উপকূলীয় এলাকায় হাজার হাজার জেলে শুধু ইলিশের ওপর নির্ভরশীল। এ নিষেধাজ্ঞা তাদের জীবিকার সংকট তৈরি করছে।

সরকার থেকে জেলেদের জন্য চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে অনেক জেলে অভিযোগ করেছেন, তারা এই সহায়তা ঠিকমতো পাচ্ছেন না। এমনকি যারা পাচ্ছেন, তারাও জানাচ্ছেন, এই বরাদ্দ তাদের জন্য যথেষ্ট নয়। মাত্র এক সপ্তাহের জন্য এটি কাজে লাগে, তারপরই পরিবার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।

নিষেধাজ্ঞার সময় আইন অমান্য করে ইলিশ ধরার প্রবণতা সব সময়ই একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্ন এলাকায় কিছু জেলে জীবিকার চাপে বাধ্য হয়ে নদীতে নামতে পারে। যদিও মৎস্য বিভাগ, প্রশাসন, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তবুও এ চ্যালেঞ্জের কার্যকর সমাধান প্রয়োজন। চাঁদপুর, ভোলা ও বাগেরহাটের মতো এলাকায় বহু জেলে আছেন, যারা এই সময়ে কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েন। এনজিও ও দাদনের ঋণ শোধের চাপ তাদের জীবনে চরম দুর্ভোগ বয়ে আনে।

নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেদের পুনর্বাসন ও বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জেলেদের জন্য খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল দেয়া হচ্ছে, যা নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। তবে তাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। যেসব জেলে এই নিষেধাজ্ঞার সময় আয় হারাচ্ছেন, তাদের বিকল্প কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা : টেকসই মৎস্যসম্পদ রক্ষার চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতা

মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

মা ইলিশ রক্ষায় এবং ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করার লক্ষ্যে ২২ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। ১২ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এই পদক্ষেপ দেশের অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তবে এর বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা যে রয়েই গেছে, তা স্পষ্ট।

নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য হলো ইলিশের প্রজননকালে মা ইলিশকে রক্ষা করা, যাতে ভবিষ্যতে ইলিশের উৎপাদন বাড়ানো যায়। প্রতি বছর প্রজনন মৌসুমে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করার ফলে ইলিশের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে। তবে এর সফলতা নির্ভর করছে প্রশাসন, স্থানীয় জেলে ও সংশ্লিষ্টদের সম্মিলিত প্রয়াসের ওপর।

যদিও নিষেধাজ্ঞার ফলে ইলিশের প্রজনন সুরক্ষিত করা হচ্ছে, তবে জেলেদের জীবনে তা প্রভাব ফেলছে মারাত্মকভাবে। ভোলা ও অন্যান্য উপকূলীয় এলাকায় হাজার হাজার জেলে শুধু ইলিশের ওপর নির্ভরশীল। এ নিষেধাজ্ঞা তাদের জীবিকার সংকট তৈরি করছে।

সরকার থেকে জেলেদের জন্য চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে অনেক জেলে অভিযোগ করেছেন, তারা এই সহায়তা ঠিকমতো পাচ্ছেন না। এমনকি যারা পাচ্ছেন, তারাও জানাচ্ছেন, এই বরাদ্দ তাদের জন্য যথেষ্ট নয়। মাত্র এক সপ্তাহের জন্য এটি কাজে লাগে, তারপরই পরিবার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।

নিষেধাজ্ঞার সময় আইন অমান্য করে ইলিশ ধরার প্রবণতা সব সময়ই একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্ন এলাকায় কিছু জেলে জীবিকার চাপে বাধ্য হয়ে নদীতে নামতে পারে। যদিও মৎস্য বিভাগ, প্রশাসন, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তবুও এ চ্যালেঞ্জের কার্যকর সমাধান প্রয়োজন। চাঁদপুর, ভোলা ও বাগেরহাটের মতো এলাকায় বহু জেলে আছেন, যারা এই সময়ে কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েন। এনজিও ও দাদনের ঋণ শোধের চাপ তাদের জীবনে চরম দুর্ভোগ বয়ে আনে।

নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেদের পুনর্বাসন ও বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জেলেদের জন্য খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল দেয়া হচ্ছে, যা নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। তবে তাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। যেসব জেলে এই নিষেধাজ্ঞার সময় আয় হারাচ্ছেন, তাদের বিকল্প কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

back to top