alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ইরামতি খাল ও রক্তদহ বিলের জলাবদ্ধতা : কৃষকদের দুর্দশার শেষ কোথায়?

: মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

বগুড়ার আদমদীঘি ও নওগাঁ জেলার ইরামতি খাল ও রক্তদহ বিল ঘিরে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের বাঁধ নির্মাণে কৃষকদের ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল ডুবে যায়। এবারও টানা বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পানি বাঁধের কারণে সঠিকভাবে নিষ্কাশিত হতে পারছে না, ফলে ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে, ইরামতি খাল ও রক্তদহ বিলের জলাবদ্ধতার মূল কারণ দুটি বাঁধ। খালের পানি নিষ্কাশনের পথ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় বর্ষাকালে মাঠের পানি বের হতে পারে না। বাঁধের উচ্চতা ও খালের অব্যবস্থাপনা কৃষকদের বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এছাড়া রাণীনগর উপজেলার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করে মাছের খামার গড়ে তোলায় খালের প্রাকৃতিক গতি ব্যাহত হচ্ছে। এতে পানি নিষ্কাশনের সুযোগ কমে গিয়ে ফসলি জমি তলিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই জমি তলিয়ে যাচ্ছে এবং ফসল রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে আমন ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ফলে কৃষকদের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। কৃষক ইয়াছিন আলী ও আব্দুল হান্নানসহ অন্যরা এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েও কোনো সমাধান পাচ্ছেন না। তারা বাধ্য হয়ে বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে দিলেও সমস্যার সমাধান হয়নি।

কৃষকদের এই দুরবস্থা থেকে মুক্তি দিতে হলে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। ইরামতি খাল ও রক্তদহ বিলের বাঁধগুলো ভেঙে ফেলা আবশ্যক। খালটি পুনঃখনন করে পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে রক্তদহ বিলকে মুক্ত করতে হবে। এসব পদক্ষেপ ছাড়া এ অঞ্চলের কৃষকদের বাঁচার কোনো উপায় নেই।

সরকারের উচিত হবে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিপর্যয় আর না ঘটে। স্থানীয় প্রশাসন ও বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে কৃষকদের প্রতি দায়বদ্ধ হতে হবে। শুধু আশ্বাস প্রদান নয়, বাস্তবমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করাই একমাত্র সমাধান। কৃষকদের জীবন-জীবিকা রক্ষার্থে ইরামতি খাল ও রক্তদহ বিলের সঠিক ব্যবস্থাপনা জরুরি।

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ইরামতি খাল ও রক্তদহ বিলের জলাবদ্ধতা : কৃষকদের দুর্দশার শেষ কোথায়?

মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

বগুড়ার আদমদীঘি ও নওগাঁ জেলার ইরামতি খাল ও রক্তদহ বিল ঘিরে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের বাঁধ নির্মাণে কৃষকদের ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল ডুবে যায়। এবারও টানা বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পানি বাঁধের কারণে সঠিকভাবে নিষ্কাশিত হতে পারছে না, ফলে ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে, ইরামতি খাল ও রক্তদহ বিলের জলাবদ্ধতার মূল কারণ দুটি বাঁধ। খালের পানি নিষ্কাশনের পথ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় বর্ষাকালে মাঠের পানি বের হতে পারে না। বাঁধের উচ্চতা ও খালের অব্যবস্থাপনা কৃষকদের বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এছাড়া রাণীনগর উপজেলার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করে মাছের খামার গড়ে তোলায় খালের প্রাকৃতিক গতি ব্যাহত হচ্ছে। এতে পানি নিষ্কাশনের সুযোগ কমে গিয়ে ফসলি জমি তলিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই জমি তলিয়ে যাচ্ছে এবং ফসল রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে আমন ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ফলে কৃষকদের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। কৃষক ইয়াছিন আলী ও আব্দুল হান্নানসহ অন্যরা এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েও কোনো সমাধান পাচ্ছেন না। তারা বাধ্য হয়ে বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে দিলেও সমস্যার সমাধান হয়নি।

কৃষকদের এই দুরবস্থা থেকে মুক্তি দিতে হলে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। ইরামতি খাল ও রক্তদহ বিলের বাঁধগুলো ভেঙে ফেলা আবশ্যক। খালটি পুনঃখনন করে পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে রক্তদহ বিলকে মুক্ত করতে হবে। এসব পদক্ষেপ ছাড়া এ অঞ্চলের কৃষকদের বাঁচার কোনো উপায় নেই।

সরকারের উচিত হবে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিপর্যয় আর না ঘটে। স্থানীয় প্রশাসন ও বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে কৃষকদের প্রতি দায়বদ্ধ হতে হবে। শুধু আশ্বাস প্রদান নয়, বাস্তবমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করাই একমাত্র সমাধান। কৃষকদের জীবন-জীবিকা রক্ষার্থে ইরামতি খাল ও রক্তদহ বিলের সঠিক ব্যবস্থাপনা জরুরি।

back to top