alt

সম্পাদকীয়

চাল সংরক্ষণের সাইলো : অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

: বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

দেশের বিভিন্ন স্থানে চাল সংরক্ষণের জন্য আধুনিক সাইলো নির্মাণ করেছে খাদ্য অধিদপ্তর। উদ্দেশ্য, দীর্ঘমেয়াদি খাদ্য মজুত এবং খাদ্য সংকটের সময় তা ব্যবহার করা। কিন্তু সাইলো নির্মাণ প্রকল্পের শুরু থেকেই অনিয়ম ও দুর্নীতির নানা অভিযোগ রয়েছে।

সাতটি আধুনিক স্টিল রাইস সাইলো নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ২০১৪ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ময়মনসিংহের সাইলোটি ৪৮ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এবং এর ব্যয় ২০৭ কোটি টাকা। তবে উদ্বোধনের পর থেকেই দেখা যাচ্ছে, চালের পরিবর্তে এসব সাইলোতে গম রাখা হচ্ছে। অথচ চাল সংরক্ষণের জন্য নির্মিত এই সাইলোতে গম রাখার কোনো প্রযুক্তিগত সুবিধা নেই। এমনকি গম রাখার ফলে সাইলোর যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে।

সাইলোতে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনার কারণে চাল নিয়ে কারসাজি করার সুযোগ কমে যায়, যা দুর্নীতির বিরুদ্ধে বড় একটি প্রতিরোধ ব্যবস্থা হতে পারত। কিন্তু সেসব সুবিধা সঠিকভাবে ব্যবহার না করে বরং গম রাখার মাধ্যমে সাইলোকে অকার্যকর করে তোলা হচ্ছে। সাইলোগুলোতে অনিয়ম-দুর্নীতি দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য একটি বড় ঝুঁকি তৈরি করেছে।

অবশ্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের গম সংরক্ষণে সাইলোর সংখ্যা কম থাকায় চালের সাইলোতে গম রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কোনো কোনো কর্তাব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তারা মিলার ও পরিবহন ঠিকাদারদের সঙ্গে আঁতাত করে পুরোনো চাল নতুন বলে দেখানোর অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। এর ফলে বাজারে চালের দাম বেড়ে যায় এবং সাধারণ জনগণ ভোগান্তির শিকার হন।

খাদ্য সংরক্ষণের জন্য সাইলো নির্মাণ করা হয়েছে সেটা ভালো কথা। কিন্তু দুর্নীতির কারণে এই উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং কঠোর মনিটরিং ছাড়া এই ধরনের প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ সুফল পাওয়া কঠিন। সাইলোগুলোতে যদি এই ধরনের অনিয়ম চলতে থাকে, তাহলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নেয়া উদ্যোগ ব্যর্থ হতে পারে।

আমরা বলতে চাই, সাইলো নিয়ে ওঠা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। সাইলোর কার্যক্রম সুষ্ঠু করার জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। সঠিক নিয়ম ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার সঙ্গে সাইলো পরিচালিত হলে তা দেশের খাদ্য সংকট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। অন্যথায়, এই প্রকল্প দুর্নীতির ফাঁদে আটকে থেকে জনগণের অর্থের অপচয় করবে এবং খাদ্য নিরাপত্তায় ঝুঁকি তৈরি করবে।

প্লাস্টিক বোতলের ব্যবহার : স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য বাড়তে থাকা ঝুঁকি

উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে অগ্নিকা-

নির্বিচারে কাটা হচ্ছে সড়কের গাছ, প্রশাসন কী করছে

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণার কার্যকারিতা ও চ্যালেঞ্জ

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি

সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন : নাগরিকদের ভোগান্তি

অপরিকল্পিত খাল খনন : ঝুঁকিতে হরিণাকু-ুর কৃষি ও জনজীবন

সড়ক ব্যবস্থার দুর্বলতা দূর হবে কবে?

নিপাহ ভাইরাস মোকাবিলায় সতর্ক হতে হবে

চাল-তেলে অস্থিরতা, ক্রেতার স্বস্তি কোথায়?

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

মহান বিজয় দিবস

মহান বিজয় দিবস

শীতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট : কবে মিলবে স্বস্তি?

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

যুব ক্রিকেটের আরেকটি সাফল্য

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

ভৈরব নদী বিপর্যয়ের দায় কার

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

tab

সম্পাদকীয়

চাল সংরক্ষণের সাইলো : অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

দেশের বিভিন্ন স্থানে চাল সংরক্ষণের জন্য আধুনিক সাইলো নির্মাণ করেছে খাদ্য অধিদপ্তর। উদ্দেশ্য, দীর্ঘমেয়াদি খাদ্য মজুত এবং খাদ্য সংকটের সময় তা ব্যবহার করা। কিন্তু সাইলো নির্মাণ প্রকল্পের শুরু থেকেই অনিয়ম ও দুর্নীতির নানা অভিযোগ রয়েছে।

সাতটি আধুনিক স্টিল রাইস সাইলো নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ২০১৪ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ময়মনসিংহের সাইলোটি ৪৮ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এবং এর ব্যয় ২০৭ কোটি টাকা। তবে উদ্বোধনের পর থেকেই দেখা যাচ্ছে, চালের পরিবর্তে এসব সাইলোতে গম রাখা হচ্ছে। অথচ চাল সংরক্ষণের জন্য নির্মিত এই সাইলোতে গম রাখার কোনো প্রযুক্তিগত সুবিধা নেই। এমনকি গম রাখার ফলে সাইলোর যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে।

সাইলোতে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনার কারণে চাল নিয়ে কারসাজি করার সুযোগ কমে যায়, যা দুর্নীতির বিরুদ্ধে বড় একটি প্রতিরোধ ব্যবস্থা হতে পারত। কিন্তু সেসব সুবিধা সঠিকভাবে ব্যবহার না করে বরং গম রাখার মাধ্যমে সাইলোকে অকার্যকর করে তোলা হচ্ছে। সাইলোগুলোতে অনিয়ম-দুর্নীতি দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য একটি বড় ঝুঁকি তৈরি করেছে।

অবশ্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের গম সংরক্ষণে সাইলোর সংখ্যা কম থাকায় চালের সাইলোতে গম রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কোনো কোনো কর্তাব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তারা মিলার ও পরিবহন ঠিকাদারদের সঙ্গে আঁতাত করে পুরোনো চাল নতুন বলে দেখানোর অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। এর ফলে বাজারে চালের দাম বেড়ে যায় এবং সাধারণ জনগণ ভোগান্তির শিকার হন।

খাদ্য সংরক্ষণের জন্য সাইলো নির্মাণ করা হয়েছে সেটা ভালো কথা। কিন্তু দুর্নীতির কারণে এই উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং কঠোর মনিটরিং ছাড়া এই ধরনের প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ সুফল পাওয়া কঠিন। সাইলোগুলোতে যদি এই ধরনের অনিয়ম চলতে থাকে, তাহলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নেয়া উদ্যোগ ব্যর্থ হতে পারে।

আমরা বলতে চাই, সাইলো নিয়ে ওঠা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। সাইলোর কার্যক্রম সুষ্ঠু করার জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। সঠিক নিয়ম ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার সঙ্গে সাইলো পরিচালিত হলে তা দেশের খাদ্য সংকট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। অন্যথায়, এই প্রকল্প দুর্নীতির ফাঁদে আটকে থেকে জনগণের অর্থের অপচয় করবে এবং খাদ্য নিরাপত্তায় ঝুঁকি তৈরি করবে।

back to top