alt

মতামত » সম্পাদকীয়

অবৈধ ইটভাটা : আইনের অমান্যতা ও প্রশাসনের নীরবতা

: বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

দেশে ইটভাটার নির্মাণ নিয়ে যে আইনের অস্তিত্ব রয়েছে, সেটা যেন কাগজে লেখা বর্ণনামাত্র। এর বাস্তবায়ন তেমন একটা দেখা যায় না। আবাসিক এলাকা ও কৃষিজমিতে অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপনের ঘটনা সাধারণ ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় বসে এসব অবৈধ কার্যক্রম চললেও কার্যকর পদক্ষেপ নেই। এর ফলে পরিবেশ ও কৃষির মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে, কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রশাসন রয়েছে নীরব।

২০১৩ সালে প্রণীত ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন’ অনুযায়ী কৃষিজমি, আবাসিক এলাকা কিংবা পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন এলাকায় ইটভাটা স্থাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আইনে ইটভাটার জন্য পরিবেশের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করেছে। অথচ ইটভাটার একটি বড় অংশই আইন ভঙ্গ করে চালানো হচ্ছে। এর ফলে কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে, ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এবং এলাকার পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ভোলার লালমোহন উপজেলার চরতা ইউনিয়নে ইটভাটা গড়ে তোলা হয়েছে স্থানীয় জমি দখল করে। আশপাশের কৃষিজমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে ইট প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। এছাড়া বিষাক্ত ধোঁয়া ও গ্যাস নির্গত হওয়ার কারণে এলাকার পরিবেশ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে, গাছপালা মরে যাচ্ছে এবং জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের জমি হারিয়ে, ফসল উৎপাদনে ব্যর্থ হয়ে এবং বিষাক্ত পরিবেশের মধ্যে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন। অথচ, এ নিয়ে প্রশাসনের তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া নেই।

এই পরিস্থিতি প্রশাসনের দায়বদ্ধতার অভাবকেই স্পষ্ট করে। প্রভাবশালীদের ক্ষমতার জোরে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যে অবৈধ ইটভাটাগুলো গড়ে উঠছে, তার প্রভাব দেশের কৃষি ও পরিবেশের ওপর মারাত্মকভাবে পড়ছে। এই অচলায়তন ভাঙার জন্য প্রশাসনিক কঠোরতা প্রয়োজন। আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের নমনীয়তা কিংবা ছাড় দেয়া যাবে না।

প্রশাসনকে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। যেসব ইটভাটা আইন ভঙ্গ করে চলছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। পরিবেশের অবক্ষয় রোধে এবং কৃষির সুরক্ষায় অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা জরুরি। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন এবং অবৈধ স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেন, তবেই এই সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব।

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

অবৈধ ইটভাটা : আইনের অমান্যতা ও প্রশাসনের নীরবতা

বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

দেশে ইটভাটার নির্মাণ নিয়ে যে আইনের অস্তিত্ব রয়েছে, সেটা যেন কাগজে লেখা বর্ণনামাত্র। এর বাস্তবায়ন তেমন একটা দেখা যায় না। আবাসিক এলাকা ও কৃষিজমিতে অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপনের ঘটনা সাধারণ ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় বসে এসব অবৈধ কার্যক্রম চললেও কার্যকর পদক্ষেপ নেই। এর ফলে পরিবেশ ও কৃষির মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে, কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রশাসন রয়েছে নীরব।

২০১৩ সালে প্রণীত ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন’ অনুযায়ী কৃষিজমি, আবাসিক এলাকা কিংবা পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন এলাকায় ইটভাটা স্থাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আইনে ইটভাটার জন্য পরিবেশের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করেছে। অথচ ইটভাটার একটি বড় অংশই আইন ভঙ্গ করে চালানো হচ্ছে। এর ফলে কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে, ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এবং এলাকার পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ভোলার লালমোহন উপজেলার চরতা ইউনিয়নে ইটভাটা গড়ে তোলা হয়েছে স্থানীয় জমি দখল করে। আশপাশের কৃষিজমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে ইট প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। এছাড়া বিষাক্ত ধোঁয়া ও গ্যাস নির্গত হওয়ার কারণে এলাকার পরিবেশ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে, গাছপালা মরে যাচ্ছে এবং জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের জমি হারিয়ে, ফসল উৎপাদনে ব্যর্থ হয়ে এবং বিষাক্ত পরিবেশের মধ্যে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন। অথচ, এ নিয়ে প্রশাসনের তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া নেই।

এই পরিস্থিতি প্রশাসনের দায়বদ্ধতার অভাবকেই স্পষ্ট করে। প্রভাবশালীদের ক্ষমতার জোরে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যে অবৈধ ইটভাটাগুলো গড়ে উঠছে, তার প্রভাব দেশের কৃষি ও পরিবেশের ওপর মারাত্মকভাবে পড়ছে। এই অচলায়তন ভাঙার জন্য প্রশাসনিক কঠোরতা প্রয়োজন। আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের নমনীয়তা কিংবা ছাড় দেয়া যাবে না।

প্রশাসনকে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। যেসব ইটভাটা আইন ভঙ্গ করে চলছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। পরিবেশের অবক্ষয় রোধে এবং কৃষির সুরক্ষায় অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা জরুরি। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন এবং অবৈধ স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেন, তবেই এই সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব।

back to top