দেশে নদী, খাল, বিল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কোনো নতুন ঘটনা নয়। সাম্প্রতিক সময়ে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া ও ধামরাই উপজেলায় আলেক নদীর পাড় দখল করে অবৈধ মার্কেট নির্মাণের ঘটনা একটি উদ্বেগজনক উদাহরণ। আলেক নদীর পাড়ে মার্কেট নির্মাণ করে স্থানীয় বাসিন্দারা শুধু নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বিঘœ ঘটাচ্ছেন না, একই সঙ্গে পরিবেশ ও মানুষের জীবিকা নির্বাহেও সরাসরি হুমকি তৈরি করছেন।
এই ধরনের অবৈধ দখল শুধু এক অঞ্চলের সমস্যা নয়, এটি দেশের প্রায় সব এলাকাতেই সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের উদাসীনতা, কখনো কখনো রাজনৈতিক নেতা বা প্রভাবশালীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এই অবৈধ কর্মকা-গুলো চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে।
নদীর পাড় দখল এবং অবৈধ নির্মাণের ফলে পরিবেশে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, তা আর্থসামাজিক দিক থেকেও ব্যাপক ক্ষতিকর। নদী ভরাট এবং এর প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হলে আশপাশের এলাকার কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বন্যা বা ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ে এবং পানি নিষ্কাশনের স্বাভাবিক ব্যবস্থাও বিঘিœত হয়। ফলে মানুষের জীবন ও জীবিকা সংকটে পড়ে। তাছাড়া, নদী দখলের ফলে পরিবেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের জীববৈচিত্র্য এবং কৃষি উৎপাদনে প্রভাব ফেলতে পারে।
এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সরকারি সম্পত্তির ওপর অবৈধ দখলের ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রায়ই নেয়া হয় না। প্রশাসনের মধ্যেও দুর্বলতা এবং কখনো কখনো প্রভাবশালীদের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়, যা অবৈধ দখলকারীদের অন্যায় সাহস জোগায়।
আমরা বলতে চাই, নদীর পাড়ে বা যে কোনো প্রাকৃতিক সম্পত্তির ওপর নির্মিত সব অবৈধ স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদ করতে হবে। এছাড়া, দখলের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করতে হবে। রাজনৈতিক প্রভাব, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বা প্রশাসনের কেউ যদি এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাদেরও আইনের আওতায় আনা উচিত।
নদী বা প্রাকৃতিক সম্পদ একবার হারিয়ে গেলে তা পুনরুদ্ধার করা কঠিন। তাই সময় থাকতে সচেতন হতে হবে এবং অবৈধ দখল প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রশাসনকে সজাগ ও দায়িত্বশীল হতে হবে, যেন আগামীতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।
শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
দেশে নদী, খাল, বিল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কোনো নতুন ঘটনা নয়। সাম্প্রতিক সময়ে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া ও ধামরাই উপজেলায় আলেক নদীর পাড় দখল করে অবৈধ মার্কেট নির্মাণের ঘটনা একটি উদ্বেগজনক উদাহরণ। আলেক নদীর পাড়ে মার্কেট নির্মাণ করে স্থানীয় বাসিন্দারা শুধু নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বিঘœ ঘটাচ্ছেন না, একই সঙ্গে পরিবেশ ও মানুষের জীবিকা নির্বাহেও সরাসরি হুমকি তৈরি করছেন।
এই ধরনের অবৈধ দখল শুধু এক অঞ্চলের সমস্যা নয়, এটি দেশের প্রায় সব এলাকাতেই সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের উদাসীনতা, কখনো কখনো রাজনৈতিক নেতা বা প্রভাবশালীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এই অবৈধ কর্মকা-গুলো চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে।
নদীর পাড় দখল এবং অবৈধ নির্মাণের ফলে পরিবেশে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, তা আর্থসামাজিক দিক থেকেও ব্যাপক ক্ষতিকর। নদী ভরাট এবং এর প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হলে আশপাশের এলাকার কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বন্যা বা ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ে এবং পানি নিষ্কাশনের স্বাভাবিক ব্যবস্থাও বিঘিœত হয়। ফলে মানুষের জীবন ও জীবিকা সংকটে পড়ে। তাছাড়া, নদী দখলের ফলে পরিবেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের জীববৈচিত্র্য এবং কৃষি উৎপাদনে প্রভাব ফেলতে পারে।
এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সরকারি সম্পত্তির ওপর অবৈধ দখলের ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রায়ই নেয়া হয় না। প্রশাসনের মধ্যেও দুর্বলতা এবং কখনো কখনো প্রভাবশালীদের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়, যা অবৈধ দখলকারীদের অন্যায় সাহস জোগায়।
আমরা বলতে চাই, নদীর পাড়ে বা যে কোনো প্রাকৃতিক সম্পত্তির ওপর নির্মিত সব অবৈধ স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদ করতে হবে। এছাড়া, দখলের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করতে হবে। রাজনৈতিক প্রভাব, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বা প্রশাসনের কেউ যদি এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাদেরও আইনের আওতায় আনা উচিত।
নদী বা প্রাকৃতিক সম্পদ একবার হারিয়ে গেলে তা পুনরুদ্ধার করা কঠিন। তাই সময় থাকতে সচেতন হতে হবে এবং অবৈধ দখল প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রশাসনকে সজাগ ও দায়িত্বশীল হতে হবে, যেন আগামীতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।