alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ধোপাজান নদী থেকে অবৈধ বালু তোলা বন্ধ করুন

: শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

দেশের নদী ও জলাভূমিগুলো পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে ধোপাজান নদীতে দীর্ঘদিন ধরে ইজারাবিহীনভাবে অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলন যে মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে, তা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার এই নদী থেকে শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট প্রশাসনের নজরের বাইরে পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলশ্রুতিতে স্থানীয় জনজীবন, প্রাকৃতিক ভারসাম্য এবং অর্থনৈতিক কর্মকা- ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

২০১৮ সালের পর থেকে ধোপাজান নদী ইজারাবিহীন অবস্থায় আছে, তবে প্রশাসনের নির্লিপ্ততা এবং কয়েকটি গোষ্ঠীর কারণে এখানে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন চলছে। গভীর রাতে ড্রেজার, সেইভ মেশিন এবং বাল্কহেডের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় এই অবৈধ কার্যক্রম চললেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। কেবলমাত্র লোকদেখানো পরিদর্শন এবং মামলার মাধ্যমে দায়িত্ব শেষ করা হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ উপেক্ষিত।

এই পরিস্থিতি শুধু প্রশাসনিক দুর্নীতি এবং সমন্বয়হীনতার উদাহরণ নয়, বরং এটি আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংসের একটি গভীর সংকট। আইন থাকা সত্ত্বেও এর যথাযথ প্রয়োগ না হওয়া একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যখন অপরাধীরা বুঝতে পারে যে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেবে না, তখন তারা নির্ভয়ে অবৈধ কাজ চালিয়ে যেতে সাহস পায়। এ অবস্থায় শুধু পরিবেশেরই বিপর্যয় ঘটছে না, সাধারণ মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, কারণ তাদের জীবিকা এবং অর্থনৈতিক কর্মকা- সরাসরি প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর নির্ভরশীল।

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর তলদেশ ক্রমাগত নষ্ট হচ্ছে, যার ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর হ্রাস পাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে নদীর প্রবাহ পরিবর্তন হতে পারে এবং জলাবদ্ধতা ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়তে পারে। পাশাপাশি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার কারণে নদীর পাড় ধসে পড়ার আশঙ্কা থাকে, যা কৃষি জমি এবং বসতি এলাকাকে বিপন্ন করে তোলে।

অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে শুধু প্রাকৃতিক পরিবেশই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, বরং এলাকার কৃষি উৎপাদনও হুমকির মুখে পড়েছে। নদীর পাড়ের ফসলি জমিগুলো দিন দিন অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে হলে এই অবৈধ কর্মকা- বন্ধ করা জরুরি।

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ধোপাজান নদী থেকে অবৈধ বালু তোলা বন্ধ করুন

শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

দেশের নদী ও জলাভূমিগুলো পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে ধোপাজান নদীতে দীর্ঘদিন ধরে ইজারাবিহীনভাবে অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলন যে মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে, তা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার এই নদী থেকে শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট প্রশাসনের নজরের বাইরে পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলশ্রুতিতে স্থানীয় জনজীবন, প্রাকৃতিক ভারসাম্য এবং অর্থনৈতিক কর্মকা- ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

২০১৮ সালের পর থেকে ধোপাজান নদী ইজারাবিহীন অবস্থায় আছে, তবে প্রশাসনের নির্লিপ্ততা এবং কয়েকটি গোষ্ঠীর কারণে এখানে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন চলছে। গভীর রাতে ড্রেজার, সেইভ মেশিন এবং বাল্কহেডের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় এই অবৈধ কার্যক্রম চললেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। কেবলমাত্র লোকদেখানো পরিদর্শন এবং মামলার মাধ্যমে দায়িত্ব শেষ করা হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ উপেক্ষিত।

এই পরিস্থিতি শুধু প্রশাসনিক দুর্নীতি এবং সমন্বয়হীনতার উদাহরণ নয়, বরং এটি আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংসের একটি গভীর সংকট। আইন থাকা সত্ত্বেও এর যথাযথ প্রয়োগ না হওয়া একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যখন অপরাধীরা বুঝতে পারে যে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেবে না, তখন তারা নির্ভয়ে অবৈধ কাজ চালিয়ে যেতে সাহস পায়। এ অবস্থায় শুধু পরিবেশেরই বিপর্যয় ঘটছে না, সাধারণ মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, কারণ তাদের জীবিকা এবং অর্থনৈতিক কর্মকা- সরাসরি প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর নির্ভরশীল।

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর তলদেশ ক্রমাগত নষ্ট হচ্ছে, যার ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর হ্রাস পাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে নদীর প্রবাহ পরিবর্তন হতে পারে এবং জলাবদ্ধতা ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়তে পারে। পাশাপাশি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার কারণে নদীর পাড় ধসে পড়ার আশঙ্কা থাকে, যা কৃষি জমি এবং বসতি এলাকাকে বিপন্ন করে তোলে।

অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে শুধু প্রাকৃতিক পরিবেশই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, বরং এলাকার কৃষি উৎপাদনও হুমকির মুখে পড়েছে। নদীর পাড়ের ফসলি জমিগুলো দিন দিন অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে হলে এই অবৈধ কর্মকা- বন্ধ করা জরুরি।

back to top