alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সরকারি সম্পদের অপব্যবহার নয়

: বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার শোলাকুঁড়ি ইউনিয়নের দিগলবাইদ পুটিয়ামারা গ্রামের সরকারি পুকুরের চারপাশের আকাশমনি গাছ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি গাছ কাটা ও বিক্রির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা বলছেন, গাছগুলো রোপিত হয়েছিল একটি পরিবেশগত দিক থেকে। এ ধরণের উদ্যোগ পরিবেশ রক্ষা, সৌন্দর্যবর্ধন এবং সরকারি সম্পদ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সরকারি গাছ বিক্রির মাধ্যমে একটি প্রভাবশালী চক্র নিজেদের স্বার্থ পূরণ করছে, যা সত্যিই দুঃখজনক। গাছ বিক্রির পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলা হচ্ছে গাছ বিক্রির টাকা সমাজের মসজিদের উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে, একটি মহৎ উদ্দেশ্য গাছ কাটা হচ্ছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে যে, সরকারি সম্পদ ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে বিক্রি করা যায় কিনা। সরকারি গাছ বিনা অনুমতিতে কাটা কতটা নৈতিক ও আইনসঙ্গত সেটা আমরা জানতে চাইব। আমরা মনে করি, সরকারি সম্পদ সমাজের প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ থাকলেও সেটি বিক্রির সিদ্ধান্ত কখনোই ব্যক্তিগতভাবে নেয়া যায় না।

মধুপুর উপজেলা প্রশাসনের কার্যক্রম এই ইস্যুতে প্রশংসনীয় হলেও তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন ছিল আরও আগেই। ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে গাছের টুকরাগুলো জব্দ এবং ইউনিয়ন পরিষদের হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্তটি ঠিক আছে, তবে এই ঘটনার মাধ্যমে স্পষ্ট যে প্রশাসনিক নজরদারির ঘাটতি ছিল। স্থানীয় পর্যায়ের অনিয়ম দূর করতে হলে নিয়মিত তদারকি এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি।

সরকারি সম্পদ রক্ষায় দায়িত্বশীল প্রশাসন এবং সচেতন নাগরিকদের একত্রিত প্রচেষ্টা একান্ত প্রয়োজন। এ ধরণের কর্মকান্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে আইনি ব্যবস্থাপনা আরও সুসংহত করা দরকার। স্থানীয় জনগণের এই প্রতিবাদ প্রশাসনকে এমন একটি বার্তা দিচ্ছে যে, সাধারণ মানুষও তাঁদের সম্পদের প্রতি দায়িত্বশীল এবং এই ধরনের অনিয়ম মেনে নেবে না।

এখন সময় এসেছে প্রশাসন এবং স্থানীয় নেতৃত্বের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ জাতীয় অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার। তবেই কেবল আমরা আমাদের প্রাকৃতিক এবং সরকারি সম্পদ রক্ষা করতে পারব, এবং একটি সুশাসিত সমাজ গড়ার পথে এগিয়ে যেতে পারব।

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সরকারি সম্পদের অপব্যবহার নয়

বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার শোলাকুঁড়ি ইউনিয়নের দিগলবাইদ পুটিয়ামারা গ্রামের সরকারি পুকুরের চারপাশের আকাশমনি গাছ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি গাছ কাটা ও বিক্রির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা বলছেন, গাছগুলো রোপিত হয়েছিল একটি পরিবেশগত দিক থেকে। এ ধরণের উদ্যোগ পরিবেশ রক্ষা, সৌন্দর্যবর্ধন এবং সরকারি সম্পদ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সরকারি গাছ বিক্রির মাধ্যমে একটি প্রভাবশালী চক্র নিজেদের স্বার্থ পূরণ করছে, যা সত্যিই দুঃখজনক। গাছ বিক্রির পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলা হচ্ছে গাছ বিক্রির টাকা সমাজের মসজিদের উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে, একটি মহৎ উদ্দেশ্য গাছ কাটা হচ্ছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে যে, সরকারি সম্পদ ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে বিক্রি করা যায় কিনা। সরকারি গাছ বিনা অনুমতিতে কাটা কতটা নৈতিক ও আইনসঙ্গত সেটা আমরা জানতে চাইব। আমরা মনে করি, সরকারি সম্পদ সমাজের প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ থাকলেও সেটি বিক্রির সিদ্ধান্ত কখনোই ব্যক্তিগতভাবে নেয়া যায় না।

মধুপুর উপজেলা প্রশাসনের কার্যক্রম এই ইস্যুতে প্রশংসনীয় হলেও তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন ছিল আরও আগেই। ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে গাছের টুকরাগুলো জব্দ এবং ইউনিয়ন পরিষদের হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্তটি ঠিক আছে, তবে এই ঘটনার মাধ্যমে স্পষ্ট যে প্রশাসনিক নজরদারির ঘাটতি ছিল। স্থানীয় পর্যায়ের অনিয়ম দূর করতে হলে নিয়মিত তদারকি এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি।

সরকারি সম্পদ রক্ষায় দায়িত্বশীল প্রশাসন এবং সচেতন নাগরিকদের একত্রিত প্রচেষ্টা একান্ত প্রয়োজন। এ ধরণের কর্মকান্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে আইনি ব্যবস্থাপনা আরও সুসংহত করা দরকার। স্থানীয় জনগণের এই প্রতিবাদ প্রশাসনকে এমন একটি বার্তা দিচ্ছে যে, সাধারণ মানুষও তাঁদের সম্পদের প্রতি দায়িত্বশীল এবং এই ধরনের অনিয়ম মেনে নেবে না।

এখন সময় এসেছে প্রশাসন এবং স্থানীয় নেতৃত্বের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ জাতীয় অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার। তবেই কেবল আমরা আমাদের প্রাকৃতিক এবং সরকারি সম্পদ রক্ষা করতে পারব, এবং একটি সুশাসিত সমাজ গড়ার পথে এগিয়ে যেতে পারব।

back to top