নিপাহ ভাইরাস দেশে নতুন কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি নয়, কিন্তু এটি এখনো আমাদের জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। এবার এই ভাইরাসে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, এ বছর আক্রান্ত সবাইই মারা গেছেন। এটি নিপাহ ভাইরাসের প্রাণঘাতী প্রকৃতিরই প্রমাণ।
নিপাহ ভাইরাস প্রথমবার বাংলাদেশে শনাক্ত হয়েছিল ২০০১ সালে। এরপর থেকে প্রায় প্রতিবছরই এটি কিছু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত ২৩ বছরে ৩৪৩ জন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং এদের মধ্যে অধিকাংশই প্রাণ হারিয়েছেন। এই ভাইরাসে আক্রান্তদের প্রায় ৭১ শতাংশ মৃত্যুবরণ করেন, যা এটিকে বাংলাদেশের অন্যতম ভয়ংকর রোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের মূল উৎস হিসেবে খেজুরের কাঁচা রস চিহ্নিত হয়েছে। শীতকালে এই রস পান করার প্রবণতা বাড়ে এবং সেখান থেকেই মানুষের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সংক্রমিত হওয়ার পর সুস্থ হলেও রোগীরা গুরুতর স্নায়বিক জটিলতায় ভুগতে পারেন।
এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন জাগে, আমরা কেন এখনো এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারিনি? যদিও কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তবে তা স্পষ্টতই অপর্যাপ্ত।
নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে খেজুরের রস সংগ্রহ এবং পান করার বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠী, যেখানে এই রসের ব্যবহার বেশি, সেখানে সচেতনতা বাড়াতে স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য কর্মী এবং কমিউনিটি নেতাদের সম্পৃক্ত করা জরুরি।
আক্রান্ত এলাকাগুলোতে দ্রুত রোগ শনাক্তকরণ এবং আলাদা রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করতে পারলে মৃত্যু ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। সংক্রমণপ্রবণ এলাকাগুলোতে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন। শীত মৌসুমে খেজুরের রস সংগ্রহের সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। একই সঙ্গে আক্রান্তদের সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের দ্রুত পরীক্ষা এবং তাদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থাও থাকতে হবে।
সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগকে একযোগে একটি সমন্বিত নীতি গ্রহণ করতে হবে। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে শুধু প্রতিক্রিয়ামূলক পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়; প্রয়োজন পরিকল্পিত এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ।
রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
নিপাহ ভাইরাস দেশে নতুন কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি নয়, কিন্তু এটি এখনো আমাদের জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। এবার এই ভাইরাসে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, এ বছর আক্রান্ত সবাইই মারা গেছেন। এটি নিপাহ ভাইরাসের প্রাণঘাতী প্রকৃতিরই প্রমাণ।
নিপাহ ভাইরাস প্রথমবার বাংলাদেশে শনাক্ত হয়েছিল ২০০১ সালে। এরপর থেকে প্রায় প্রতিবছরই এটি কিছু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত ২৩ বছরে ৩৪৩ জন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং এদের মধ্যে অধিকাংশই প্রাণ হারিয়েছেন। এই ভাইরাসে আক্রান্তদের প্রায় ৭১ শতাংশ মৃত্যুবরণ করেন, যা এটিকে বাংলাদেশের অন্যতম ভয়ংকর রোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের মূল উৎস হিসেবে খেজুরের কাঁচা রস চিহ্নিত হয়েছে। শীতকালে এই রস পান করার প্রবণতা বাড়ে এবং সেখান থেকেই মানুষের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সংক্রমিত হওয়ার পর সুস্থ হলেও রোগীরা গুরুতর স্নায়বিক জটিলতায় ভুগতে পারেন।
এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন জাগে, আমরা কেন এখনো এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারিনি? যদিও কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তবে তা স্পষ্টতই অপর্যাপ্ত।
নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে খেজুরের রস সংগ্রহ এবং পান করার বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠী, যেখানে এই রসের ব্যবহার বেশি, সেখানে সচেতনতা বাড়াতে স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য কর্মী এবং কমিউনিটি নেতাদের সম্পৃক্ত করা জরুরি।
আক্রান্ত এলাকাগুলোতে দ্রুত রোগ শনাক্তকরণ এবং আলাদা রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করতে পারলে মৃত্যু ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। সংক্রমণপ্রবণ এলাকাগুলোতে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন। শীত মৌসুমে খেজুরের রস সংগ্রহের সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। একই সঙ্গে আক্রান্তদের সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের দ্রুত পরীক্ষা এবং তাদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থাও থাকতে হবে।
সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগকে একযোগে একটি সমন্বিত নীতি গ্রহণ করতে হবে। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে শুধু প্রতিক্রিয়ামূলক পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়; প্রয়োজন পরিকল্পিত এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ।