মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঘটে যাওয়া একাধিক দুর্ঘটনা দেশের সড়ক নিরাপত্তাকে আবারও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এক ঘণ্টার ব্যবধানে চারটি পৃথক দুর্ঘটনায় ১০টি গাড়ির সংঘর্ষে একজন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ঘন কুয়াশা ছিল এই দুর্ঘটনাগুলোর প্রধান কারণ। কিন্তু এই কারণের পেছনের দায় কার? এ প্রশ্নটি আবারও নতুন করে সামনে এনেছে সড়ক ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এবং জনসচেতনতার অভাব।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন কুয়াশা, সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে দেখানো হলেও এটি এড়ানোর প্রস্তুতি নিতে ব্যর্থ হলে সেই ব্যর্থতা প্রশাসনের। আমাদের সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বা সড়ক নির্মাণ সংস্থাগুলো কি কুয়াশার মতো প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছে? শ্রীনগরের ষোলঘর থেকে হাসাড়া পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার এলাকায় কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর ছিল না। পর্যাপ্ত গতিরোধক চিহ্ন, কুয়াশায় দৃশ্যমান লাইট বা ইলেকট্রনিক সিগন্যাল থাকলে হয়তো এই প্রাণহানি এড়ানো যেত।
মুন্সীগঞ্জের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন উদাহরণ নয়। সারাদেশে প্রতিদিন গড়ে ২০-২৫টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। রাজশাহীর পুঠিয়ায় একই মোটরসাইকেলে থাকা তিনজন আরোহী নিহত হয়েছেন, ফেনীর ফুলগাজীতে বাস খাদে পড়ে আহত হয়েছেন ২০ জন। সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় একের পর এক দুর্ঘটনার খবর আমাদের হৃদয়ে বেদনার জন্ম দিলেও সমস্যার সমাধানে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না। তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বক্তব্যে উঠে এসেছে উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের জড়িত থাকার কারণে বিচারহীনতার সংস্কৃতি।
বাংলাদেশের সড়ক ব্যবস্থায় সমস্যা বহুমুখী। পরিবহন খাতের দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার ব্যর্থতা এবং অদক্ষ চালকদের সড়কে উপস্থিতি এই খাতের শৃঙ্খলাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। দেশে কাঠামোগত উন্নয়নের নাম করে রাস্তাঘাটের সম্প্রসারণ হলেও এর সঙ্গে সড়ক নিরাপত্তার সম্পর্ক স্থাপন করা হয়নি। উন্নয়নের উদ্দেশ্য যদি জনকল্যাণ না হয়, তবে সেই উন্নয়ন কীসের জন্য?
দেশে সড়ক দুর্ঘটনা একটি জাতীয় সংকট। এটি মোকাবিলায় প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছা। আমাদের সড়ক যেন মৃত্যুফাঁদ না হয়ে ওঠে, সেই দায়িত্ব রাষ্ট্রের। প্রশাসন, আইনপ্রণেতা, পরিবহন মালিক এবং সাধারণ নাগরিক সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমরা আর কত প্রাণহানি দেখব? এখনই সময় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার।
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঘটে যাওয়া একাধিক দুর্ঘটনা দেশের সড়ক নিরাপত্তাকে আবারও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এক ঘণ্টার ব্যবধানে চারটি পৃথক দুর্ঘটনায় ১০টি গাড়ির সংঘর্ষে একজন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ঘন কুয়াশা ছিল এই দুর্ঘটনাগুলোর প্রধান কারণ। কিন্তু এই কারণের পেছনের দায় কার? এ প্রশ্নটি আবারও নতুন করে সামনে এনেছে সড়ক ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এবং জনসচেতনতার অভাব।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন কুয়াশা, সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে দেখানো হলেও এটি এড়ানোর প্রস্তুতি নিতে ব্যর্থ হলে সেই ব্যর্থতা প্রশাসনের। আমাদের সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বা সড়ক নির্মাণ সংস্থাগুলো কি কুয়াশার মতো প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছে? শ্রীনগরের ষোলঘর থেকে হাসাড়া পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার এলাকায় কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর ছিল না। পর্যাপ্ত গতিরোধক চিহ্ন, কুয়াশায় দৃশ্যমান লাইট বা ইলেকট্রনিক সিগন্যাল থাকলে হয়তো এই প্রাণহানি এড়ানো যেত।
মুন্সীগঞ্জের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন উদাহরণ নয়। সারাদেশে প্রতিদিন গড়ে ২০-২৫টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। রাজশাহীর পুঠিয়ায় একই মোটরসাইকেলে থাকা তিনজন আরোহী নিহত হয়েছেন, ফেনীর ফুলগাজীতে বাস খাদে পড়ে আহত হয়েছেন ২০ জন। সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় একের পর এক দুর্ঘটনার খবর আমাদের হৃদয়ে বেদনার জন্ম দিলেও সমস্যার সমাধানে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না। তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বক্তব্যে উঠে এসেছে উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের জড়িত থাকার কারণে বিচারহীনতার সংস্কৃতি।
বাংলাদেশের সড়ক ব্যবস্থায় সমস্যা বহুমুখী। পরিবহন খাতের দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার ব্যর্থতা এবং অদক্ষ চালকদের সড়কে উপস্থিতি এই খাতের শৃঙ্খলাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। দেশে কাঠামোগত উন্নয়নের নাম করে রাস্তাঘাটের সম্প্রসারণ হলেও এর সঙ্গে সড়ক নিরাপত্তার সম্পর্ক স্থাপন করা হয়নি। উন্নয়নের উদ্দেশ্য যদি জনকল্যাণ না হয়, তবে সেই উন্নয়ন কীসের জন্য?
দেশে সড়ক দুর্ঘটনা একটি জাতীয় সংকট। এটি মোকাবিলায় প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছা। আমাদের সড়ক যেন মৃত্যুফাঁদ না হয়ে ওঠে, সেই দায়িত্ব রাষ্ট্রের। প্রশাসন, আইনপ্রণেতা, পরিবহন মালিক এবং সাধারণ নাগরিক সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমরা আর কত প্রাণহানি দেখব? এখনই সময় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার।