alt

সম্পাদকীয়

সড়ক ব্যবস্থার দুর্বলতা দূর হবে কবে?

: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঘটে যাওয়া একাধিক দুর্ঘটনা দেশের সড়ক নিরাপত্তাকে আবারও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এক ঘণ্টার ব্যবধানে চারটি পৃথক দুর্ঘটনায় ১০টি গাড়ির সংঘর্ষে একজন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ঘন কুয়াশা ছিল এই দুর্ঘটনাগুলোর প্রধান কারণ। কিন্তু এই কারণের পেছনের দায় কার? এ প্রশ্নটি আবারও নতুন করে সামনে এনেছে সড়ক ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এবং জনসচেতনতার অভাব।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন কুয়াশা, সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে দেখানো হলেও এটি এড়ানোর প্রস্তুতি নিতে ব্যর্থ হলে সেই ব্যর্থতা প্রশাসনের। আমাদের সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বা সড়ক নির্মাণ সংস্থাগুলো কি কুয়াশার মতো প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছে? শ্রীনগরের ষোলঘর থেকে হাসাড়া পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার এলাকায় কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর ছিল না। পর্যাপ্ত গতিরোধক চিহ্ন, কুয়াশায় দৃশ্যমান লাইট বা ইলেকট্রনিক সিগন্যাল থাকলে হয়তো এই প্রাণহানি এড়ানো যেত।

মুন্সীগঞ্জের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন উদাহরণ নয়। সারাদেশে প্রতিদিন গড়ে ২০-২৫টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। রাজশাহীর পুঠিয়ায় একই মোটরসাইকেলে থাকা তিনজন আরোহী নিহত হয়েছেন, ফেনীর ফুলগাজীতে বাস খাদে পড়ে আহত হয়েছেন ২০ জন। সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় একের পর এক দুর্ঘটনার খবর আমাদের হৃদয়ে বেদনার জন্ম দিলেও সমস্যার সমাধানে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না। তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বক্তব্যে উঠে এসেছে উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের জড়িত থাকার কারণে বিচারহীনতার সংস্কৃতি।

বাংলাদেশের সড়ক ব্যবস্থায় সমস্যা বহুমুখী। পরিবহন খাতের দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার ব্যর্থতা এবং অদক্ষ চালকদের সড়কে উপস্থিতি এই খাতের শৃঙ্খলাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। দেশে কাঠামোগত উন্নয়নের নাম করে রাস্তাঘাটের সম্প্রসারণ হলেও এর সঙ্গে সড়ক নিরাপত্তার সম্পর্ক স্থাপন করা হয়নি। উন্নয়নের উদ্দেশ্য যদি জনকল্যাণ না হয়, তবে সেই উন্নয়ন কীসের জন্য?

দেশে সড়ক দুর্ঘটনা একটি জাতীয় সংকট। এটি মোকাবিলায় প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছা। আমাদের সড়ক যেন মৃত্যুফাঁদ না হয়ে ওঠে, সেই দায়িত্ব রাষ্ট্রের। প্রশাসন, আইনপ্রণেতা, পরিবহন মালিক এবং সাধারণ নাগরিক সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমরা আর কত প্রাণহানি দেখব? এখনই সময় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার।

অপরিকল্পিত খাল খনন : ঝুঁকিতে হরিণাকু-ুর কৃষি ও জনজীবন

নিপাহ ভাইরাস মোকাবিলায় সতর্ক হতে হবে

চাল-তেলে অস্থিরতা, ক্রেতার স্বস্তি কোথায়?

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

মহান বিজয় দিবস

মহান বিজয় দিবস

শীতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট : কবে মিলবে স্বস্তি?

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

যুব ক্রিকেটের আরেকটি সাফল্য

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

ভৈরব নদী বিপর্যয়ের দায় কার

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

মোরেলগঞ্জে ওয়াশব্লক নির্মাণে বিলম্ব কেন

খাল রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পাথর উত্তোলন : পরিবেশের সর্বনাশ

ট্রান্সফরমার চুরি রোধে ব্যবস্থা নিন

এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ে নৈরাজ্য : সমাধান কোথায়?

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

tab

সম্পাদকীয়

সড়ক ব্যবস্থার দুর্বলতা দূর হবে কবে?

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঘটে যাওয়া একাধিক দুর্ঘটনা দেশের সড়ক নিরাপত্তাকে আবারও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এক ঘণ্টার ব্যবধানে চারটি পৃথক দুর্ঘটনায় ১০টি গাড়ির সংঘর্ষে একজন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ঘন কুয়াশা ছিল এই দুর্ঘটনাগুলোর প্রধান কারণ। কিন্তু এই কারণের পেছনের দায় কার? এ প্রশ্নটি আবারও নতুন করে সামনে এনেছে সড়ক ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এবং জনসচেতনতার অভাব।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন কুয়াশা, সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে দেখানো হলেও এটি এড়ানোর প্রস্তুতি নিতে ব্যর্থ হলে সেই ব্যর্থতা প্রশাসনের। আমাদের সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বা সড়ক নির্মাণ সংস্থাগুলো কি কুয়াশার মতো প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছে? শ্রীনগরের ষোলঘর থেকে হাসাড়া পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার এলাকায় কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর ছিল না। পর্যাপ্ত গতিরোধক চিহ্ন, কুয়াশায় দৃশ্যমান লাইট বা ইলেকট্রনিক সিগন্যাল থাকলে হয়তো এই প্রাণহানি এড়ানো যেত।

মুন্সীগঞ্জের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন উদাহরণ নয়। সারাদেশে প্রতিদিন গড়ে ২০-২৫টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। রাজশাহীর পুঠিয়ায় একই মোটরসাইকেলে থাকা তিনজন আরোহী নিহত হয়েছেন, ফেনীর ফুলগাজীতে বাস খাদে পড়ে আহত হয়েছেন ২০ জন। সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় একের পর এক দুর্ঘটনার খবর আমাদের হৃদয়ে বেদনার জন্ম দিলেও সমস্যার সমাধানে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না। তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বক্তব্যে উঠে এসেছে উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের জড়িত থাকার কারণে বিচারহীনতার সংস্কৃতি।

বাংলাদেশের সড়ক ব্যবস্থায় সমস্যা বহুমুখী। পরিবহন খাতের দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার ব্যর্থতা এবং অদক্ষ চালকদের সড়কে উপস্থিতি এই খাতের শৃঙ্খলাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। দেশে কাঠামোগত উন্নয়নের নাম করে রাস্তাঘাটের সম্প্রসারণ হলেও এর সঙ্গে সড়ক নিরাপত্তার সম্পর্ক স্থাপন করা হয়নি। উন্নয়নের উদ্দেশ্য যদি জনকল্যাণ না হয়, তবে সেই উন্নয়ন কীসের জন্য?

দেশে সড়ক দুর্ঘটনা একটি জাতীয় সংকট। এটি মোকাবিলায় প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছা। আমাদের সড়ক যেন মৃত্যুফাঁদ না হয়ে ওঠে, সেই দায়িত্ব রাষ্ট্রের। প্রশাসন, আইনপ্রণেতা, পরিবহন মালিক এবং সাধারণ নাগরিক সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমরা আর কত প্রাণহানি দেখব? এখনই সময় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার।

back to top