ঝিনাইদহের হরিণাকু-ু উপজেলায় অপরিকল্পিত খাল খননের কারণে ফসলি জমি, বসতভিটা এবং সড়ক ধ্বংসের মুখে পড়েছে। মকিমপুরের বাগমারা খালের দুপাশের এলাকা এখন ভাঙনের হুমকিতে; যেখানে শতাধিক পরিবার তাদের জীবিকা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দুর্বল পরিকল্পনার কারণে এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
মকিমপুর গ্রামে কারও কারও বসতভিটা খালের ভাঙনে হারিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার খোলা আকাশের নিচে বাস করছে। এই দুরবস্থায় এলাকাবাসীর অভিযোগ, খাল খননের সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খালের পাড়ের মাটি বিক্রি করায় স্থায়িত্ব নষ্ট হয়েছে। খালের আশপাশের গাছপালা, শৌচাগার এবং বসতঘরও ধ্বংস হয়ে গেছে। এলজিইডির সড়কের অর্ধেক অংশ খালে বিলীন হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও হুমকির মুখে।
পাউবো-এর দাবি, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণেই খালের পাড় ভেঙেছে। তবে এলাকাবাসী মনে করেন, অপরিকল্পিত খনন এবং মাটি বিক্রি করার কারণেই এই বিপর্যয়।
আমরা বলতে চাই, সংশ্লিষ্ট এলাকার সড়ক ও বসতভিটা রক্ষার জন্য জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। উক্ত খালের পাড় স্থায়ীকরণ করা জরুরি। ভাঙন প্রতিরোধে খালের পাড় দ্রুত বাঁধাই করা উচিত। খাল খননের সময় মাটি ব্যবস্থাপনার টেকসই পদ্ধতি নিশ্চিত করা জরুরি। স্থানীয় কৃষক এবং বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করে খনন প্রকল্প পরিচালনা করা উচিত। পাশাপাশি খননের সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা পর্যালোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
হরিণাকু-ুর মকিমপুর এলাকায় খাল খনন প্রকল্প একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে যে কীভাবে অপরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্প স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন ও সম্পদ হুমকির মুখে ফেলে দিতে পারে। পাউবো এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর উচিত ভবিষ্যতে এই ধরনের প্রকল্পে আরও সচেতন হওয়া এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়া। জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান প্রয়োজন।
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
ঝিনাইদহের হরিণাকু-ু উপজেলায় অপরিকল্পিত খাল খননের কারণে ফসলি জমি, বসতভিটা এবং সড়ক ধ্বংসের মুখে পড়েছে। মকিমপুরের বাগমারা খালের দুপাশের এলাকা এখন ভাঙনের হুমকিতে; যেখানে শতাধিক পরিবার তাদের জীবিকা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দুর্বল পরিকল্পনার কারণে এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
মকিমপুর গ্রামে কারও কারও বসতভিটা খালের ভাঙনে হারিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার খোলা আকাশের নিচে বাস করছে। এই দুরবস্থায় এলাকাবাসীর অভিযোগ, খাল খননের সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খালের পাড়ের মাটি বিক্রি করায় স্থায়িত্ব নষ্ট হয়েছে। খালের আশপাশের গাছপালা, শৌচাগার এবং বসতঘরও ধ্বংস হয়ে গেছে। এলজিইডির সড়কের অর্ধেক অংশ খালে বিলীন হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও হুমকির মুখে।
পাউবো-এর দাবি, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণেই খালের পাড় ভেঙেছে। তবে এলাকাবাসী মনে করেন, অপরিকল্পিত খনন এবং মাটি বিক্রি করার কারণেই এই বিপর্যয়।
আমরা বলতে চাই, সংশ্লিষ্ট এলাকার সড়ক ও বসতভিটা রক্ষার জন্য জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। উক্ত খালের পাড় স্থায়ীকরণ করা জরুরি। ভাঙন প্রতিরোধে খালের পাড় দ্রুত বাঁধাই করা উচিত। খাল খননের সময় মাটি ব্যবস্থাপনার টেকসই পদ্ধতি নিশ্চিত করা জরুরি। স্থানীয় কৃষক এবং বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করে খনন প্রকল্প পরিচালনা করা উচিত। পাশাপাশি খননের সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা পর্যালোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
হরিণাকু-ুর মকিমপুর এলাকায় খাল খনন প্রকল্প একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে যে কীভাবে অপরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্প স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন ও সম্পদ হুমকির মুখে ফেলে দিতে পারে। পাউবো এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর উচিত ভবিষ্যতে এই ধরনের প্রকল্পে আরও সচেতন হওয়া এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়া। জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান প্রয়োজন।