alt

সম্পাদকীয়

অপরিকল্পিত খাল খনন : ঝুঁকিতে হরিণাকু-ুর কৃষি ও জনজীবন

: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ঝিনাইদহের হরিণাকু-ু উপজেলায় অপরিকল্পিত খাল খননের কারণে ফসলি জমি, বসতভিটা এবং সড়ক ধ্বংসের মুখে পড়েছে। মকিমপুরের বাগমারা খালের দুপাশের এলাকা এখন ভাঙনের হুমকিতে; যেখানে শতাধিক পরিবার তাদের জীবিকা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দুর্বল পরিকল্পনার কারণে এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

মকিমপুর গ্রামে কারও কারও বসতভিটা খালের ভাঙনে হারিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার খোলা আকাশের নিচে বাস করছে। এই দুরবস্থায় এলাকাবাসীর অভিযোগ, খাল খননের সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খালের পাড়ের মাটি বিক্রি করায় স্থায়িত্ব নষ্ট হয়েছে। খালের আশপাশের গাছপালা, শৌচাগার এবং বসতঘরও ধ্বংস হয়ে গেছে। এলজিইডির সড়কের অর্ধেক অংশ খালে বিলীন হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও হুমকির মুখে।

পাউবো-এর দাবি, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণেই খালের পাড় ভেঙেছে। তবে এলাকাবাসী মনে করেন, অপরিকল্পিত খনন এবং মাটি বিক্রি করার কারণেই এই বিপর্যয়।

আমরা বলতে চাই, সংশ্লিষ্ট এলাকার সড়ক ও বসতভিটা রক্ষার জন্য জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। উক্ত খালের পাড় স্থায়ীকরণ করা জরুরি। ভাঙন প্রতিরোধে খালের পাড় দ্রুত বাঁধাই করা উচিত। খাল খননের সময় মাটি ব্যবস্থাপনার টেকসই পদ্ধতি নিশ্চিত করা জরুরি। স্থানীয় কৃষক এবং বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করে খনন প্রকল্প পরিচালনা করা উচিত। পাশাপাশি খননের সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা পর্যালোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

হরিণাকু-ুর মকিমপুর এলাকায় খাল খনন প্রকল্প একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে যে কীভাবে অপরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্প স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন ও সম্পদ হুমকির মুখে ফেলে দিতে পারে। পাউবো এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর উচিত ভবিষ্যতে এই ধরনের প্রকল্পে আরও সচেতন হওয়া এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়া। জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান প্রয়োজন।

সড়ক ব্যবস্থার দুর্বলতা দূর হবে কবে?

নিপাহ ভাইরাস মোকাবিলায় সতর্ক হতে হবে

চাল-তেলে অস্থিরতা, ক্রেতার স্বস্তি কোথায়?

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

মহান বিজয় দিবস

মহান বিজয় দিবস

শীতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট : কবে মিলবে স্বস্তি?

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

যুব ক্রিকেটের আরেকটি সাফল্য

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

ভৈরব নদী বিপর্যয়ের দায় কার

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

মোরেলগঞ্জে ওয়াশব্লক নির্মাণে বিলম্ব কেন

খাল রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পাথর উত্তোলন : পরিবেশের সর্বনাশ

ট্রান্সফরমার চুরি রোধে ব্যবস্থা নিন

এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ে নৈরাজ্য : সমাধান কোথায়?

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

tab

সম্পাদকীয়

অপরিকল্পিত খাল খনন : ঝুঁকিতে হরিণাকু-ুর কৃষি ও জনজীবন

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ঝিনাইদহের হরিণাকু-ু উপজেলায় অপরিকল্পিত খাল খননের কারণে ফসলি জমি, বসতভিটা এবং সড়ক ধ্বংসের মুখে পড়েছে। মকিমপুরের বাগমারা খালের দুপাশের এলাকা এখন ভাঙনের হুমকিতে; যেখানে শতাধিক পরিবার তাদের জীবিকা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দুর্বল পরিকল্পনার কারণে এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

মকিমপুর গ্রামে কারও কারও বসতভিটা খালের ভাঙনে হারিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার খোলা আকাশের নিচে বাস করছে। এই দুরবস্থায় এলাকাবাসীর অভিযোগ, খাল খননের সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খালের পাড়ের মাটি বিক্রি করায় স্থায়িত্ব নষ্ট হয়েছে। খালের আশপাশের গাছপালা, শৌচাগার এবং বসতঘরও ধ্বংস হয়ে গেছে। এলজিইডির সড়কের অর্ধেক অংশ খালে বিলীন হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও হুমকির মুখে।

পাউবো-এর দাবি, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণেই খালের পাড় ভেঙেছে। তবে এলাকাবাসী মনে করেন, অপরিকল্পিত খনন এবং মাটি বিক্রি করার কারণেই এই বিপর্যয়।

আমরা বলতে চাই, সংশ্লিষ্ট এলাকার সড়ক ও বসতভিটা রক্ষার জন্য জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। উক্ত খালের পাড় স্থায়ীকরণ করা জরুরি। ভাঙন প্রতিরোধে খালের পাড় দ্রুত বাঁধাই করা উচিত। খাল খননের সময় মাটি ব্যবস্থাপনার টেকসই পদ্ধতি নিশ্চিত করা জরুরি। স্থানীয় কৃষক এবং বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করে খনন প্রকল্প পরিচালনা করা উচিত। পাশাপাশি খননের সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা পর্যালোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

হরিণাকু-ুর মকিমপুর এলাকায় খাল খনন প্রকল্প একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে যে কীভাবে অপরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্প স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন ও সম্পদ হুমকির মুখে ফেলে দিতে পারে। পাউবো এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর উচিত ভবিষ্যতে এই ধরনের প্রকল্পে আরও সচেতন হওয়া এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়া। জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান প্রয়োজন।

back to top