কক্সবাজারের উখিয়া আশ্রয়শিবিরে অগ্নিকা-ে দুজন মারা গেছেন, প্রায় ৫০০ রোহিঙ্গার বসতি ভস্মীভূত হয়েছে। গত বছরের ২৪ মে এমনই একটি বড় অগ্নিকা- হয়েছিল। তখন তিন শতাধিক রোহিঙ্গা বসতি পুড়ে গিয়েছিল। প্রশ্ন হচ্ছে, আশ্রয়শিবিরে বারবার কেন একই ধরনের বিপর্যয় ঘটছে।
এখানে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলোÑ এই অগ্নিকা-ের জন্য কি শুধু মানবসৃষ্ট কারণ দায়ী, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণও থাকতে পারে? কেউ কেউ বলছেন, আশ্রয়শিবিরে আধিপত্য বিস্তার ও মাদক চোরাচালান নিয়ে মায়ানমারের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত চলছে। এ কারণে আশ্রয়শিবিরে কেউ কোনো নাশকতা ঘটিয়েছে কিনা সেই প্রশ্নও রয়েছে।
প্রায় সাড়ে ১২ লাখ রোহিঙ্গার বসবাসের ব্যবস্থা রয়েছে উখিয়া ও টেকনাফের আশ্রয়শিবিরগুলোতে। অভিযোগ রয়েছে, সেখানে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা অত্যন্ত অস্থির এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করছে। সেখানে অগ্নিকা- প্রতিরোধে পর্যাপ্ত প্রস্তুতির অভাব রয়েছে। যে কারণে কোনো একটি অগ্নিকা- পুরো একটি শিবিরের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
অগ্নিকা-ের কারণে যে ক্ষতি হয়েছে, তা শুধু অর্থনৈতিক নয়, মানবিক দিক থেকেও বিপর্যয়কর। যে ৫০০ পরিবারের সদস্যরা খোলা আকাশের নিচে শীতে কষ্ট পাচ্ছে, তাদের পুনর্বাসন এবং পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়ায় সরকারের ও মানবিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি। উখিয়া আশ্রয়শিবিরে ঘটিত অগ্নিকা- আমাদের সামনে বড় কিছু প্রশ্ন তুলে ধরে : এই পরিস্থিতি থেকে রোহিঙ্গাদের বাঁচানোর জন্য আরও কতটা মানবিক সহায়তা প্রয়োজন? এবং আমাদের রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব কী হতে পারে?
উখিয়া এবং আশপাশের শিবিরগুলোতে রোহিঙ্গাদের জন্য মানসম্মত নিরাপত্তা ও মানবিক পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি। সরকারি, বেসরকারি সহায়তা সংস্থা, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একযোগে কাজ করা উচিত যাতেকরে এমন দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য একটি টেকসই ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়। আশ্রয়শিবিরগুলোর অবকাঠামো সংস্কারের পাশাপাশি সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করা দরকার। সমন্বিতভাবে পদক্ষেপ নিলে ভবিষ্যতে আশ্রয়শিবিরে অগ্নিকা-ের মতো ঘটনা রোধ করা সম্ভব হতে পারে।
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
কক্সবাজারের উখিয়া আশ্রয়শিবিরে অগ্নিকা-ে দুজন মারা গেছেন, প্রায় ৫০০ রোহিঙ্গার বসতি ভস্মীভূত হয়েছে। গত বছরের ২৪ মে এমনই একটি বড় অগ্নিকা- হয়েছিল। তখন তিন শতাধিক রোহিঙ্গা বসতি পুড়ে গিয়েছিল। প্রশ্ন হচ্ছে, আশ্রয়শিবিরে বারবার কেন একই ধরনের বিপর্যয় ঘটছে।
এখানে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলোÑ এই অগ্নিকা-ের জন্য কি শুধু মানবসৃষ্ট কারণ দায়ী, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণও থাকতে পারে? কেউ কেউ বলছেন, আশ্রয়শিবিরে আধিপত্য বিস্তার ও মাদক চোরাচালান নিয়ে মায়ানমারের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত চলছে। এ কারণে আশ্রয়শিবিরে কেউ কোনো নাশকতা ঘটিয়েছে কিনা সেই প্রশ্নও রয়েছে।
প্রায় সাড়ে ১২ লাখ রোহিঙ্গার বসবাসের ব্যবস্থা রয়েছে উখিয়া ও টেকনাফের আশ্রয়শিবিরগুলোতে। অভিযোগ রয়েছে, সেখানে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা অত্যন্ত অস্থির এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করছে। সেখানে অগ্নিকা- প্রতিরোধে পর্যাপ্ত প্রস্তুতির অভাব রয়েছে। যে কারণে কোনো একটি অগ্নিকা- পুরো একটি শিবিরের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
অগ্নিকা-ের কারণে যে ক্ষতি হয়েছে, তা শুধু অর্থনৈতিক নয়, মানবিক দিক থেকেও বিপর্যয়কর। যে ৫০০ পরিবারের সদস্যরা খোলা আকাশের নিচে শীতে কষ্ট পাচ্ছে, তাদের পুনর্বাসন এবং পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়ায় সরকারের ও মানবিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি। উখিয়া আশ্রয়শিবিরে ঘটিত অগ্নিকা- আমাদের সামনে বড় কিছু প্রশ্ন তুলে ধরে : এই পরিস্থিতি থেকে রোহিঙ্গাদের বাঁচানোর জন্য আরও কতটা মানবিক সহায়তা প্রয়োজন? এবং আমাদের রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব কী হতে পারে?
উখিয়া এবং আশপাশের শিবিরগুলোতে রোহিঙ্গাদের জন্য মানসম্মত নিরাপত্তা ও মানবিক পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি। সরকারি, বেসরকারি সহায়তা সংস্থা, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একযোগে কাজ করা উচিত যাতেকরে এমন দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য একটি টেকসই ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়। আশ্রয়শিবিরগুলোর অবকাঠামো সংস্কারের পাশাপাশি সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করা দরকার। সমন্বিতভাবে পদক্ষেপ নিলে ভবিষ্যতে আশ্রয়শিবিরে অগ্নিকা-ের মতো ঘটনা রোধ করা সম্ভব হতে পারে।