alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সংরক্ষিত বনের গাছ রক্ষায় উদাসীনতার অভিযোগ আমলে নিন

: শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় সংরক্ষিত বনে অনুমতিবিহীন গাছ কেটে উপজেলার অর্ধশতাধিক ইটভাটায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন পাচার করছে। দীর্ঘদিন ধরে খাগড়াছড়ি সংযোগ সড়কের বিবিরহাট নাজিরহাট দিয়ে গাছ পাচার করা হচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বনের গাছ কাটা ও পাচারের খবর প্রায়ই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, গাছ কাটা ও পাচার বন্ধে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো কী করছে। দিনের পর দিন গাছ কেটে ট্রাকে করে নিরাপদে পাচার করছে কিছু দুর্বৃত্ত। এটা দেখার কি কেউ নেই? বন বিভাগ কী করে?

যারা বন রক্ষার দায়িত্বে আছেন তাদের উদাসীনতা ও খামখেয়ালিপনার কারণে দেশের বনগুলো রক্ষা করা যাচ্ছে না। বর্তমানে বনভূমির পরিমাণ ঠেকেছে মাত্র ১০ দশমিক ৭৪ শতাংশে। অথচ মোট ভূখ-ের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকার কথা ছিল।

একদিকে কেটে সাবাড় করা হচ্ছে বনের গাছ। অন্যদিকে সেই কাঠ দিয়েই ইটভাটায় পুড়িয়ে করছে পরিবেশ ধ্বংস। এর কোনোটার প্রতিকারই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে করতে দেখা যায় না। অভিযোগ আছে চোরাকারবারিরা স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র। এই চক্র বন বিভাগের একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে ও প্রশাসনের নীরব সম্মতিতে অনুমোদন ছাড়াই প্রতিনিয়ত গাছ কেটে পাচার করে যাচ্ছে।

সংরক্ষিত বন ধ্বংসের মাধ্যমে পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। গাছ কাটার ফলে মাটির ক্ষয়, বন্যার প্রবণতা বৃদ্ধি এবং বায়ুম-লীয় কার্বনের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।

আমরা বলতে চাই, বন ধ্বংসের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। কারা বনের গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত তা চিহ্নিত করতে হবে। গাছ কাটা চক্রের বিরুদ্ধে এতদিন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হলো না কেন সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। বন ধ্বংসের সঙ্গে বন বিভাগের কেউ জড়িত কিনা সেটা জানা জরুরি। তদন্তসাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। বনের গাছ রক্ষায় নজরদারি বাড়াতে হবে।

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সংরক্ষিত বনের গাছ রক্ষায় উদাসীনতার অভিযোগ আমলে নিন

শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় সংরক্ষিত বনে অনুমতিবিহীন গাছ কেটে উপজেলার অর্ধশতাধিক ইটভাটায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন পাচার করছে। দীর্ঘদিন ধরে খাগড়াছড়ি সংযোগ সড়কের বিবিরহাট নাজিরহাট দিয়ে গাছ পাচার করা হচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বনের গাছ কাটা ও পাচারের খবর প্রায়ই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, গাছ কাটা ও পাচার বন্ধে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো কী করছে। দিনের পর দিন গাছ কেটে ট্রাকে করে নিরাপদে পাচার করছে কিছু দুর্বৃত্ত। এটা দেখার কি কেউ নেই? বন বিভাগ কী করে?

যারা বন রক্ষার দায়িত্বে আছেন তাদের উদাসীনতা ও খামখেয়ালিপনার কারণে দেশের বনগুলো রক্ষা করা যাচ্ছে না। বর্তমানে বনভূমির পরিমাণ ঠেকেছে মাত্র ১০ দশমিক ৭৪ শতাংশে। অথচ মোট ভূখ-ের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকার কথা ছিল।

একদিকে কেটে সাবাড় করা হচ্ছে বনের গাছ। অন্যদিকে সেই কাঠ দিয়েই ইটভাটায় পুড়িয়ে করছে পরিবেশ ধ্বংস। এর কোনোটার প্রতিকারই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে করতে দেখা যায় না। অভিযোগ আছে চোরাকারবারিরা স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র। এই চক্র বন বিভাগের একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে ও প্রশাসনের নীরব সম্মতিতে অনুমোদন ছাড়াই প্রতিনিয়ত গাছ কেটে পাচার করে যাচ্ছে।

সংরক্ষিত বন ধ্বংসের মাধ্যমে পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। গাছ কাটার ফলে মাটির ক্ষয়, বন্যার প্রবণতা বৃদ্ধি এবং বায়ুম-লীয় কার্বনের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।

আমরা বলতে চাই, বন ধ্বংসের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। কারা বনের গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত তা চিহ্নিত করতে হবে। গাছ কাটা চক্রের বিরুদ্ধে এতদিন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হলো না কেন সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। বন ধ্বংসের সঙ্গে বন বিভাগের কেউ জড়িত কিনা সেটা জানা জরুরি। তদন্তসাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। বনের গাছ রক্ষায় নজরদারি বাড়াতে হবে।

back to top