alt

চিঠিপত্র

প্রাণী নির্যাতন বন্ধ করুন

: শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

‘জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর’ আজকাল মানুষ এই উক্তি মানে না। স্বার্থ ও অর্থের কাছে মানুষের মানবিকতা বিক্রিত। প্রযুক্তির এই যুগে ইঞ্জিনচালিত বাহনের পরিবর্তে মালামাল পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা হয় ঘোড়া। চর অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ঘোড়ার গাড়ি। কৃষকের ফসলের মাঠ থেকে ফসল কেটে আনা, সারের বস্তা পরিবহন, ইট বালু পরিবহন, বড় বড় গাছের ডুম ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হয় ঘোড়ার গাড়ি। যেখানে সামর্থের বাইরে মালামাল তুলে দেয়া হয়। গাড়ি টানা ঘোরার উপর চলে অমানবিক অত্যাচার সাথে চাবুকের আঘাতও বাদ যায় না। মাত্রাতিরিক্ত ভারী জিনিস নিয়ে ঘোড়ারা যখন চলাচল করে তখন তাদের চলাচলে কষ্ট হয়। এই অবলা প্রাণী চলতে চলতে যখন পায়ের ব্যথায় থেমে যায়, তখন চালক ঘোড়ার পিঠে চাবুক মেরে আবারো চলতে বাধ্য করেন। এই নিষ্ঠুরতার চিত্র যেন আমরা দেখেও দেখি না, বুঝেও বুঝি না।

আধুনিকায়নের এই যুগে ইঞ্জিনচালিত যানবাহন থাকা সত্ত্বেও ঘোড়ার গাড়িতে করে অতিরিক্ত মালামাল বহন করে ঘোড়াগুলোকে কষ্ট দেওয়ার কোন মানেই হয় না। উপার্জনের জন্য অসহায় প্রাণীগুলোর প্রতি যে অমানবিক আচরণ করা হয় তা থেকে এটা প্রমাণ হয় যে যুগে যুগে দুর্বলদের প্রতি চলে সবলের অত্যাচার। জীবিকার তাগিদে মানুষ এটিকে পেশা হিসেবে বেছে নিলেও, ঘোড়াদের পর্যাপ্ত খাবারের যোগান দেয়া হয় না। প্রতিদিন একটি ঘোড়াকে তার ওজনের ৬ থেকে ৮% প্রোটিন খাওয়ানো উচিত। সারাদিন ভারি মালামাল বহন এর কারণে প্রাণীগুলো ক্লান্ত হয়ে যায় এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে।

সুন্দরগঞ্জের তারাপুরের চরে একজন ঘোড়া চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যেহেতু জিনিসের দাম বেড়েছে, ঘোড়ার খাবার খড়, ভুট্টা, গম, যব, ভূসিসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীরও দাম বেড়েছে। তাই আগের মতো ঘোড়ার পরিচর্যা করা, নিয়মিত খাবার দেওয়া সম্ভব হয় না। ঘোড়াদের খাবারের দৈনন্দিন চাহিদা ব্যাতিরেকেই অর্থ উপার্জনের তাগিদে অত্যাচার করা হয় অবলা এই প্রাণীদের ওপর। ঘোড়াদের ওপর এই নির্যাতন বন্ধে গ্রামে-গঞ্জে, চর অঞ্চলে গাড়ি চালকদের নিয়ে ঘোড়া লালন পালন এবং ঘোড়ার ওপর নিষ্ঠুরতা পরিহার বিষয়ক সচেতনতা সভা সেমিনার করা যেতে পারে।

মাত্রাতিরিক্তভাবে ঘোড়াকে যেন কোন কাজে ব্যবহার করা না হয় এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ঘোড়াগুলো যাদের অধীনে থাকবে তারা যেন নিয়মিত খাবার দেন এবং ঘোড়াগুলোকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আস্তাবলে রাখেন। ঘোড়াগুলোর চিকিৎসাসেবা এবং পরিচর্যা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আ স ম রোকনুজ্জামান নাহিদ

শিক্ষার্থী, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

প্রাণী নির্যাতন বন্ধ করুন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

‘জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর’ আজকাল মানুষ এই উক্তি মানে না। স্বার্থ ও অর্থের কাছে মানুষের মানবিকতা বিক্রিত। প্রযুক্তির এই যুগে ইঞ্জিনচালিত বাহনের পরিবর্তে মালামাল পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা হয় ঘোড়া। চর অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ঘোড়ার গাড়ি। কৃষকের ফসলের মাঠ থেকে ফসল কেটে আনা, সারের বস্তা পরিবহন, ইট বালু পরিবহন, বড় বড় গাছের ডুম ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হয় ঘোড়ার গাড়ি। যেখানে সামর্থের বাইরে মালামাল তুলে দেয়া হয়। গাড়ি টানা ঘোরার উপর চলে অমানবিক অত্যাচার সাথে চাবুকের আঘাতও বাদ যায় না। মাত্রাতিরিক্ত ভারী জিনিস নিয়ে ঘোড়ারা যখন চলাচল করে তখন তাদের চলাচলে কষ্ট হয়। এই অবলা প্রাণী চলতে চলতে যখন পায়ের ব্যথায় থেমে যায়, তখন চালক ঘোড়ার পিঠে চাবুক মেরে আবারো চলতে বাধ্য করেন। এই নিষ্ঠুরতার চিত্র যেন আমরা দেখেও দেখি না, বুঝেও বুঝি না।

আধুনিকায়নের এই যুগে ইঞ্জিনচালিত যানবাহন থাকা সত্ত্বেও ঘোড়ার গাড়িতে করে অতিরিক্ত মালামাল বহন করে ঘোড়াগুলোকে কষ্ট দেওয়ার কোন মানেই হয় না। উপার্জনের জন্য অসহায় প্রাণীগুলোর প্রতি যে অমানবিক আচরণ করা হয় তা থেকে এটা প্রমাণ হয় যে যুগে যুগে দুর্বলদের প্রতি চলে সবলের অত্যাচার। জীবিকার তাগিদে মানুষ এটিকে পেশা হিসেবে বেছে নিলেও, ঘোড়াদের পর্যাপ্ত খাবারের যোগান দেয়া হয় না। প্রতিদিন একটি ঘোড়াকে তার ওজনের ৬ থেকে ৮% প্রোটিন খাওয়ানো উচিত। সারাদিন ভারি মালামাল বহন এর কারণে প্রাণীগুলো ক্লান্ত হয়ে যায় এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে।

সুন্দরগঞ্জের তারাপুরের চরে একজন ঘোড়া চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যেহেতু জিনিসের দাম বেড়েছে, ঘোড়ার খাবার খড়, ভুট্টা, গম, যব, ভূসিসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীরও দাম বেড়েছে। তাই আগের মতো ঘোড়ার পরিচর্যা করা, নিয়মিত খাবার দেওয়া সম্ভব হয় না। ঘোড়াদের খাবারের দৈনন্দিন চাহিদা ব্যাতিরেকেই অর্থ উপার্জনের তাগিদে অত্যাচার করা হয় অবলা এই প্রাণীদের ওপর। ঘোড়াদের ওপর এই নির্যাতন বন্ধে গ্রামে-গঞ্জে, চর অঞ্চলে গাড়ি চালকদের নিয়ে ঘোড়া লালন পালন এবং ঘোড়ার ওপর নিষ্ঠুরতা পরিহার বিষয়ক সচেতনতা সভা সেমিনার করা যেতে পারে।

মাত্রাতিরিক্তভাবে ঘোড়াকে যেন কোন কাজে ব্যবহার করা না হয় এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ঘোড়াগুলো যাদের অধীনে থাকবে তারা যেন নিয়মিত খাবার দেন এবং ঘোড়াগুলোকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আস্তাবলে রাখেন। ঘোড়াগুলোর চিকিৎসাসেবা এবং পরিচর্যা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আ স ম রোকনুজ্জামান নাহিদ

শিক্ষার্থী, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর

back to top