শতাধিক পণ্য ও সেবার ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এই সময়ে কেন এত পণ্য ও সেবার ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হলো, এর ফল কী হবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
অনেকদিন ধরেই দেশে মূল্যস্ফীতি একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দৈনন্দিন জীবনের প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম আগের তুলনায় বেশ বেড়েছে। খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে জ্বালানি পর্যন্ত নাগরিকদেরকে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। মানুষ যখন উচ্চমূল্যস্ফীতির চাপে দিশাহারা, তাদের টিকে থাকা যখন দায় হয়ে পড়েছে তখন তাদের ওপর অপ্রত্যক্ষ কর চাপানো সঙ্গত কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। প্রত্যক্ষ কর বাড়ানো হলে সম্পদশালী ব্যক্তিদের উপর চাপ পড়ত, কিন্তু ভ্যাট ও অন্যান্য অপ্রত্যক্ষ করের ভার শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের ওপরই পড়ে।
শুল্ক-কর বাড়ানোর পক্ষে একাধিক যুক্তি দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে অনেক বিশেষজ্ঞই সেসব যুক্তি মানতে নারাজ। তারা বলছেন, সরকারের টাকা-পয়সার সমস্যার সমাধান কেন শুধু অপ্রত্যক্ষ করের মাধ্যমে করতে হবে? যদি জাতীয় রাজস্ব আয় বাড়াতে হয়, তবে কেন প্রত্যক্ষ করের মাধ্যমে তা করা হচ্ছে না?
আয়করের মতো প্রত্যক্ষ কর বাড়ানো হলে শুধু একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর ওপর চাপ পড়ত, কিন্তু ভ্যাটের মতো অপ্রত্যক্ষ করের মাধ্যমে পুরো জনগণকে একইভাবে করের আওতায় আনা হয়। এর ফলে সাধারণ মানুষের ওপর আরও বেশি চাপ তৈরি হয়। অন্তর্বর্তী সরকার একদিকে মূল্যস্ফীতি কমানোর আশ্বাস দিচ্ছে, আরেকদিকে শুল্ক-কর বাড়াচ্ছে।
বাংলাদেশের রাজস্ব বাড়ানোর জন্য আইএমএফ ভ্যাট বাড়ানোর কথাও বলেছিল। প্রশ্ন হচ্ছে, আইএমএফ প্রস্তাব দিয়েছে বলেই যে সেটা আমাদের দেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে, তা কিন্তু নয়। দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি ও জনস্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সিদ্ধান্ত নেয়া বাঞ্ছনীয়। আইএমএফের নির্দেশ মানতে অন্তর্বর্তী সরকার কেন এত তাড়াহুড়া করছে সেই প্রশ্নও উঠেছে।
দেশের অর্থনীতি ও জনগণের জীবনযাত্রা কেবল কর বাড়ানোর মাধ্যমে উন্নত করা সম্ভব কিনা সেটা ভাববার অবকাশ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রাজস্ব আয় বাড়াতে হলে প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে কড়া নজর দিতে হবে। শুধু অপ্রত্যক্ষ করের ওপর নির্ভর না করে সরকারকে আরও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা করতে হবে। এই মুহূর্তে শুল্ক-কর বাড়ানোর ফলে যে সমালোচনা হচ্ছে সেটা সংশ্লিষ্টরা গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করবেন বলে আমরা আশা করতে চাই। জনগণের জন্য সহনীয় কর নীতির দিকে মনোনিবেশ করা জরুরি।
রোববার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
শতাধিক পণ্য ও সেবার ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এই সময়ে কেন এত পণ্য ও সেবার ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হলো, এর ফল কী হবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
অনেকদিন ধরেই দেশে মূল্যস্ফীতি একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দৈনন্দিন জীবনের প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম আগের তুলনায় বেশ বেড়েছে। খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে জ্বালানি পর্যন্ত নাগরিকদেরকে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। মানুষ যখন উচ্চমূল্যস্ফীতির চাপে দিশাহারা, তাদের টিকে থাকা যখন দায় হয়ে পড়েছে তখন তাদের ওপর অপ্রত্যক্ষ কর চাপানো সঙ্গত কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। প্রত্যক্ষ কর বাড়ানো হলে সম্পদশালী ব্যক্তিদের উপর চাপ পড়ত, কিন্তু ভ্যাট ও অন্যান্য অপ্রত্যক্ষ করের ভার শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের ওপরই পড়ে।
শুল্ক-কর বাড়ানোর পক্ষে একাধিক যুক্তি দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে অনেক বিশেষজ্ঞই সেসব যুক্তি মানতে নারাজ। তারা বলছেন, সরকারের টাকা-পয়সার সমস্যার সমাধান কেন শুধু অপ্রত্যক্ষ করের মাধ্যমে করতে হবে? যদি জাতীয় রাজস্ব আয় বাড়াতে হয়, তবে কেন প্রত্যক্ষ করের মাধ্যমে তা করা হচ্ছে না?
আয়করের মতো প্রত্যক্ষ কর বাড়ানো হলে শুধু একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর ওপর চাপ পড়ত, কিন্তু ভ্যাটের মতো অপ্রত্যক্ষ করের মাধ্যমে পুরো জনগণকে একইভাবে করের আওতায় আনা হয়। এর ফলে সাধারণ মানুষের ওপর আরও বেশি চাপ তৈরি হয়। অন্তর্বর্তী সরকার একদিকে মূল্যস্ফীতি কমানোর আশ্বাস দিচ্ছে, আরেকদিকে শুল্ক-কর বাড়াচ্ছে।
বাংলাদেশের রাজস্ব বাড়ানোর জন্য আইএমএফ ভ্যাট বাড়ানোর কথাও বলেছিল। প্রশ্ন হচ্ছে, আইএমএফ প্রস্তাব দিয়েছে বলেই যে সেটা আমাদের দেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে, তা কিন্তু নয়। দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি ও জনস্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সিদ্ধান্ত নেয়া বাঞ্ছনীয়। আইএমএফের নির্দেশ মানতে অন্তর্বর্তী সরকার কেন এত তাড়াহুড়া করছে সেই প্রশ্নও উঠেছে।
দেশের অর্থনীতি ও জনগণের জীবনযাত্রা কেবল কর বাড়ানোর মাধ্যমে উন্নত করা সম্ভব কিনা সেটা ভাববার অবকাশ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রাজস্ব আয় বাড়াতে হলে প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে কড়া নজর দিতে হবে। শুধু অপ্রত্যক্ষ করের ওপর নির্ভর না করে সরকারকে আরও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা করতে হবে। এই মুহূর্তে শুল্ক-কর বাড়ানোর ফলে যে সমালোচনা হচ্ছে সেটা সংশ্লিষ্টরা গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করবেন বলে আমরা আশা করতে চাই। জনগণের জন্য সহনীয় কর নীতির দিকে মনোনিবেশ করা জরুরি।