alt

মতামত » সম্পাদকীয়

শুল্ক-কর এখন বাড়ানো কি জরুরি ছিল

: রোববার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

শতাধিক পণ্য ও সেবার ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এই সময়ে কেন এত পণ্য ও সেবার ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হলো, এর ফল কী হবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

অনেকদিন ধরেই দেশে মূল্যস্ফীতি একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দৈনন্দিন জীবনের প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম আগের তুলনায় বেশ বেড়েছে। খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে জ্বালানি পর্যন্ত নাগরিকদেরকে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। মানুষ যখন উচ্চমূল্যস্ফীতির চাপে দিশাহারা, তাদের টিকে থাকা যখন দায় হয়ে পড়েছে তখন তাদের ওপর অপ্রত্যক্ষ কর চাপানো সঙ্গত কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। প্রত্যক্ষ কর বাড়ানো হলে সম্পদশালী ব্যক্তিদের উপর চাপ পড়ত, কিন্তু ভ্যাট ও অন্যান্য অপ্রত্যক্ষ করের ভার শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের ওপরই পড়ে।

শুল্ক-কর বাড়ানোর পক্ষে একাধিক যুক্তি দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে অনেক বিশেষজ্ঞই সেসব যুক্তি মানতে নারাজ। তারা বলছেন, সরকারের টাকা-পয়সার সমস্যার সমাধান কেন শুধু অপ্রত্যক্ষ করের মাধ্যমে করতে হবে? যদি জাতীয় রাজস্ব আয় বাড়াতে হয়, তবে কেন প্রত্যক্ষ করের মাধ্যমে তা করা হচ্ছে না?

আয়করের মতো প্রত্যক্ষ কর বাড়ানো হলে শুধু একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর ওপর চাপ পড়ত, কিন্তু ভ্যাটের মতো অপ্রত্যক্ষ করের মাধ্যমে পুরো জনগণকে একইভাবে করের আওতায় আনা হয়। এর ফলে সাধারণ মানুষের ওপর আরও বেশি চাপ তৈরি হয়। অন্তর্বর্তী সরকার একদিকে মূল্যস্ফীতি কমানোর আশ্বাস দিচ্ছে, আরেকদিকে শুল্ক-কর বাড়াচ্ছে।

বাংলাদেশের রাজস্ব বাড়ানোর জন্য আইএমএফ ভ্যাট বাড়ানোর কথাও বলেছিল। প্রশ্ন হচ্ছে, আইএমএফ প্রস্তাব দিয়েছে বলেই যে সেটা আমাদের দেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে, তা কিন্তু নয়। দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি ও জনস্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সিদ্ধান্ত নেয়া বাঞ্ছনীয়। আইএমএফের নির্দেশ মানতে অন্তর্বর্তী সরকার কেন এত তাড়াহুড়া করছে সেই প্রশ্নও উঠেছে।

দেশের অর্থনীতি ও জনগণের জীবনযাত্রা কেবল কর বাড়ানোর মাধ্যমে উন্নত করা সম্ভব কিনা সেটা ভাববার অবকাশ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রাজস্ব আয় বাড়াতে হলে প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে কড়া নজর দিতে হবে। শুধু অপ্রত্যক্ষ করের ওপর নির্ভর না করে সরকারকে আরও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা করতে হবে। এই মুহূর্তে শুল্ক-কর বাড়ানোর ফলে যে সমালোচনা হচ্ছে সেটা সংশ্লিষ্টরা গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করবেন বলে আমরা আশা করতে চাই। জনগণের জন্য সহনীয় কর নীতির দিকে মনোনিবেশ করা জরুরি।

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

শুল্ক-কর এখন বাড়ানো কি জরুরি ছিল

রোববার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

শতাধিক পণ্য ও সেবার ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এই সময়ে কেন এত পণ্য ও সেবার ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হলো, এর ফল কী হবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

অনেকদিন ধরেই দেশে মূল্যস্ফীতি একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দৈনন্দিন জীবনের প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম আগের তুলনায় বেশ বেড়েছে। খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে জ্বালানি পর্যন্ত নাগরিকদেরকে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। মানুষ যখন উচ্চমূল্যস্ফীতির চাপে দিশাহারা, তাদের টিকে থাকা যখন দায় হয়ে পড়েছে তখন তাদের ওপর অপ্রত্যক্ষ কর চাপানো সঙ্গত কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। প্রত্যক্ষ কর বাড়ানো হলে সম্পদশালী ব্যক্তিদের উপর চাপ পড়ত, কিন্তু ভ্যাট ও অন্যান্য অপ্রত্যক্ষ করের ভার শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের ওপরই পড়ে।

শুল্ক-কর বাড়ানোর পক্ষে একাধিক যুক্তি দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে অনেক বিশেষজ্ঞই সেসব যুক্তি মানতে নারাজ। তারা বলছেন, সরকারের টাকা-পয়সার সমস্যার সমাধান কেন শুধু অপ্রত্যক্ষ করের মাধ্যমে করতে হবে? যদি জাতীয় রাজস্ব আয় বাড়াতে হয়, তবে কেন প্রত্যক্ষ করের মাধ্যমে তা করা হচ্ছে না?

আয়করের মতো প্রত্যক্ষ কর বাড়ানো হলে শুধু একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর ওপর চাপ পড়ত, কিন্তু ভ্যাটের মতো অপ্রত্যক্ষ করের মাধ্যমে পুরো জনগণকে একইভাবে করের আওতায় আনা হয়। এর ফলে সাধারণ মানুষের ওপর আরও বেশি চাপ তৈরি হয়। অন্তর্বর্তী সরকার একদিকে মূল্যস্ফীতি কমানোর আশ্বাস দিচ্ছে, আরেকদিকে শুল্ক-কর বাড়াচ্ছে।

বাংলাদেশের রাজস্ব বাড়ানোর জন্য আইএমএফ ভ্যাট বাড়ানোর কথাও বলেছিল। প্রশ্ন হচ্ছে, আইএমএফ প্রস্তাব দিয়েছে বলেই যে সেটা আমাদের দেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে, তা কিন্তু নয়। দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি ও জনস্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সিদ্ধান্ত নেয়া বাঞ্ছনীয়। আইএমএফের নির্দেশ মানতে অন্তর্বর্তী সরকার কেন এত তাড়াহুড়া করছে সেই প্রশ্নও উঠেছে।

দেশের অর্থনীতি ও জনগণের জীবনযাত্রা কেবল কর বাড়ানোর মাধ্যমে উন্নত করা সম্ভব কিনা সেটা ভাববার অবকাশ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রাজস্ব আয় বাড়াতে হলে প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে কড়া নজর দিতে হবে। শুধু অপ্রত্যক্ষ করের ওপর নির্ভর না করে সরকারকে আরও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা করতে হবে। এই মুহূর্তে শুল্ক-কর বাড়ানোর ফলে যে সমালোচনা হচ্ছে সেটা সংশ্লিষ্টরা গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করবেন বলে আমরা আশা করতে চাই। জনগণের জন্য সহনীয় কর নীতির দিকে মনোনিবেশ করা জরুরি।

back to top