alt

সম্পাদকীয়

ওরস বন্ধ রাখাই কি একমাত্র সমাধান?

: মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের একটি মাজারের বার্ষিক ওরস বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ওরস বন্ধ করার কারণ হিসেবে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আলেম-ওলামারা চাচ্ছেন না মাজারে ওরস হোক। এর আগে ময়মনসিংহ শহরে একটি মাজারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।’

পাঁচ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে দেখা যাচ্ছে, মাজারকেন্দ্রীক সংস্কৃতির ওপর হামলা হচ্ছে। এই হামলার কারণ কী, কারা হামলা চালাচ্ছে? এ ধরনের হামলা বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কী করছে, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সেটা একটা প্রশ্ন।

ধর্মীয় আচার বা উৎসব কেউ পালন করতে পারবে, কেউ পারবে না সেটা একধরনের বৈষম্য। কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব কারও মনপুত না হলে তা আইনত বন্ধ করা যায় কিনা সেটা জানা জরুরি। এখন যদি কোনো কারণে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, ওরস করতে দেয়া হবে না তাহলে সেই ঘোষণা সরকারকে দিতে হবে। কেন ওরস করতে দেয়া হবে না সেটাও সরকারকে পরিষ্কার করতে হবে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা থাকলে ওরস বন্ধ করাই কি একমাত্র পথ? উক্ত মাজারে ৭৫৫তম বার্ষিক ওরস হওয়ার কথা ছিল। এর আগে কি কখনো ওরসকে কেন্দ্র করে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে? এখন কেন বা কাদের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে? যাদের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে?

কোনো গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের উৎসব পালনে বাধা দেয়া হলে সেটা তাদের ধর্ম পালনের স্বাধীনতার ধারণার বিপরীত কাজ হবে।

জনগণের নিরাপত্তা এবং সামাজিক শান্তির স্বার্থে কর্তৃপক্ষ চাইলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে। তবে কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব বন্ধ করা টেকসই সমাধান দেবে বলে মনে হয় না। আমরা আশা করব, ভবিষ্যতে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সব পক্ষের মতামত শোনা হবে এবং একটি সমঝোতার পথ খোঁজা হবে, যাতে ধর্মীয় উৎসব পালনের স্বাধীনতা রক্ষা পায় এবং আইনশৃঙ্খলাও বজায় থাকে।

কৃষিজমিতে কারখানা: ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা করুন

নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে গাফিলতি

ফসল রক্ষা বাঁধে অনিয়ম কাম্য নয়

রিওভাইরাস: আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

শুল্ক-কর এখন বাড়ানো কি জরুরি ছিল

নওগাঁর বর্জ্য পরিশোধনাগার প্রসঙ্গে

সড়ক দুর্ঘটনা : বেপরোয়া গতি আর অব্যবস্থাপনার মাশুল

সংরক্ষিত বনের গাছ রক্ষায় উদাসীনতার অভিযোগ আমলে নিন

চালের দাম বাড়ছে: সংকট আরও বাড়ার আগেই ব্যবস্থা নিন

বারইখালী ও বহরবুনিয়ার মানুষের দুর্ভোগ কবে দূর হবে

রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি : সমাধান কোথায়?

সময়ের সমীকরণে বেকারত্বের নতুন চিত্র

বরুড়ায় খালের দুর্দশা

টেকনাফে অপহরণ: স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ ও সমাধানের প্রয়োজনীয়তা

স্কুল মাঠে মাটি কাটার অভিযোগ

কিশোর গ্যাং : আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতা ও সামাজিক সংকট

বই বিতরণে স্বচ্ছতা প্রয়োজন

পরিবেশ রক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করুন

হাসপাতালের লোকবল সংকট দূর করুন

প্রাথমিক শিক্ষা : উন্নত জাতি গঠনে অপরিহার্য ভিত্তি

খেলার মাঠে কারখানা : পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যের বিপদ

শীতের তীব্রতা : বিপন্ন মানুষ এবং সরকারের কর্তব্য

বনে কেন করাতকল

গণপিটুনির দুঃসহ চিত্র

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিরাপত্তা

নববর্ষে মানবিক ও সমতার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার

পরিযায়ী পাখি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

প্রবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য সমস্যা : সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে

অবৈধ ইটভাটার কারণে পরিবেশ ও কৃষির বিপর্যয়

পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জরুরি

নরসিংদী-মদনগঞ্জ সড়কে ময়লার ভাগাড়

ভরা মৌসুমে বেড়েছে চালের দাম : বাজারে অস্থিরতা, গ্রাহকরা বিপাকে

ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বসতিতে আগুন : দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা?

সচিবালয়ে আগুন : সুষ্ঠু তদন্ত হোক

অভয়াশ্রম রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন

tab

সম্পাদকীয়

ওরস বন্ধ রাখাই কি একমাত্র সমাধান?

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের একটি মাজারের বার্ষিক ওরস বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ওরস বন্ধ করার কারণ হিসেবে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আলেম-ওলামারা চাচ্ছেন না মাজারে ওরস হোক। এর আগে ময়মনসিংহ শহরে একটি মাজারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।’

পাঁচ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে দেখা যাচ্ছে, মাজারকেন্দ্রীক সংস্কৃতির ওপর হামলা হচ্ছে। এই হামলার কারণ কী, কারা হামলা চালাচ্ছে? এ ধরনের হামলা বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কী করছে, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সেটা একটা প্রশ্ন।

ধর্মীয় আচার বা উৎসব কেউ পালন করতে পারবে, কেউ পারবে না সেটা একধরনের বৈষম্য। কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব কারও মনপুত না হলে তা আইনত বন্ধ করা যায় কিনা সেটা জানা জরুরি। এখন যদি কোনো কারণে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, ওরস করতে দেয়া হবে না তাহলে সেই ঘোষণা সরকারকে দিতে হবে। কেন ওরস করতে দেয়া হবে না সেটাও সরকারকে পরিষ্কার করতে হবে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা থাকলে ওরস বন্ধ করাই কি একমাত্র পথ? উক্ত মাজারে ৭৫৫তম বার্ষিক ওরস হওয়ার কথা ছিল। এর আগে কি কখনো ওরসকে কেন্দ্র করে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে? এখন কেন বা কাদের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে? যাদের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে?

কোনো গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের উৎসব পালনে বাধা দেয়া হলে সেটা তাদের ধর্ম পালনের স্বাধীনতার ধারণার বিপরীত কাজ হবে।

জনগণের নিরাপত্তা এবং সামাজিক শান্তির স্বার্থে কর্তৃপক্ষ চাইলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে। তবে কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব বন্ধ করা টেকসই সমাধান দেবে বলে মনে হয় না। আমরা আশা করব, ভবিষ্যতে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সব পক্ষের মতামত শোনা হবে এবং একটি সমঝোতার পথ খোঁজা হবে, যাতে ধর্মীয় উৎসব পালনের স্বাধীনতা রক্ষা পায় এবং আইনশৃঙ্খলাও বজায় থাকে।

back to top