ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের একটি মাজারের বার্ষিক ওরস বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ওরস বন্ধ করার কারণ হিসেবে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আলেম-ওলামারা চাচ্ছেন না মাজারে ওরস হোক। এর আগে ময়মনসিংহ শহরে একটি মাজারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।’
পাঁচ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে দেখা যাচ্ছে, মাজারকেন্দ্রীক সংস্কৃতির ওপর হামলা হচ্ছে। এই হামলার কারণ কী, কারা হামলা চালাচ্ছে? এ ধরনের হামলা বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কী করছে, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সেটা একটা প্রশ্ন।
ধর্মীয় আচার বা উৎসব কেউ পালন করতে পারবে, কেউ পারবে না সেটা একধরনের বৈষম্য। কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব কারও মনপুত না হলে তা আইনত বন্ধ করা যায় কিনা সেটা জানা জরুরি। এখন যদি কোনো কারণে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, ওরস করতে দেয়া হবে না তাহলে সেই ঘোষণা সরকারকে দিতে হবে। কেন ওরস করতে দেয়া হবে না সেটাও সরকারকে পরিষ্কার করতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা থাকলে ওরস বন্ধ করাই কি একমাত্র পথ? উক্ত মাজারে ৭৫৫তম বার্ষিক ওরস হওয়ার কথা ছিল। এর আগে কি কখনো ওরসকে কেন্দ্র করে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে? এখন কেন বা কাদের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে? যাদের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে?
কোনো গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের উৎসব পালনে বাধা দেয়া হলে সেটা তাদের ধর্ম পালনের স্বাধীনতার ধারণার বিপরীত কাজ হবে।
জনগণের নিরাপত্তা এবং সামাজিক শান্তির স্বার্থে কর্তৃপক্ষ চাইলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে। তবে কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব বন্ধ করা টেকসই সমাধান দেবে বলে মনে হয় না। আমরা আশা করব, ভবিষ্যতে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সব পক্ষের মতামত শোনা হবে এবং একটি সমঝোতার পথ খোঁজা হবে, যাতে ধর্মীয় উৎসব পালনের স্বাধীনতা রক্ষা পায় এবং আইনশৃঙ্খলাও বজায় থাকে।
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের একটি মাজারের বার্ষিক ওরস বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ওরস বন্ধ করার কারণ হিসেবে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আলেম-ওলামারা চাচ্ছেন না মাজারে ওরস হোক। এর আগে ময়মনসিংহ শহরে একটি মাজারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।’
পাঁচ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে দেখা যাচ্ছে, মাজারকেন্দ্রীক সংস্কৃতির ওপর হামলা হচ্ছে। এই হামলার কারণ কী, কারা হামলা চালাচ্ছে? এ ধরনের হামলা বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কী করছে, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সেটা একটা প্রশ্ন।
ধর্মীয় আচার বা উৎসব কেউ পালন করতে পারবে, কেউ পারবে না সেটা একধরনের বৈষম্য। কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব কারও মনপুত না হলে তা আইনত বন্ধ করা যায় কিনা সেটা জানা জরুরি। এখন যদি কোনো কারণে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, ওরস করতে দেয়া হবে না তাহলে সেই ঘোষণা সরকারকে দিতে হবে। কেন ওরস করতে দেয়া হবে না সেটাও সরকারকে পরিষ্কার করতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা থাকলে ওরস বন্ধ করাই কি একমাত্র পথ? উক্ত মাজারে ৭৫৫তম বার্ষিক ওরস হওয়ার কথা ছিল। এর আগে কি কখনো ওরসকে কেন্দ্র করে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে? এখন কেন বা কাদের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে? যাদের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে?
কোনো গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের উৎসব পালনে বাধা দেয়া হলে সেটা তাদের ধর্ম পালনের স্বাধীনতার ধারণার বিপরীত কাজ হবে।
জনগণের নিরাপত্তা এবং সামাজিক শান্তির স্বার্থে কর্তৃপক্ষ চাইলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে। তবে কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব বন্ধ করা টেকসই সমাধান দেবে বলে মনে হয় না। আমরা আশা করব, ভবিষ্যতে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সব পক্ষের মতামত শোনা হবে এবং একটি সমঝোতার পথ খোঁজা হবে, যাতে ধর্মীয় উৎসব পালনের স্বাধীনতা রক্ষা পায় এবং আইনশৃঙ্খলাও বজায় থাকে।