alt

মতামত » সম্পাদকীয়

কৃষিজমিতে কারখানা: ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

: মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

ওকে// নোমান

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার কৃষিনির্ভর এলাকা চরসিন্দুর বর্তমানে পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ বিঘা ফসলি জমিতে অনুমোদনবিহীন একটি টেক্সটাইল মিলের ভবন ভাড়া নিয়ে অবৈধভাবে ব্যাটারি তৈরির কারখানা পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে কারখানাটি কোনো ধরনের পরিবেশ সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, কারখানাটিতে কোনো বর্জ্য শোধনাগার প্রকল্প (ইটিপি) স্থাপন করা হয়নি। এর ফলে, কারখানার নির্গত গ্যাস ও রাসায়নিক মিশ্রিত বর্জ্য আশপাশের ফসলি জমিতে ছড়িয়ে পড়ছে। জমিতে বিষাক্ত পদার্থের প্রভাব এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সেখানে কোনো ফসল উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না।

এছাড়া, কারখানায় ইটিপি বা এটিপি প্ল্যান্ট না থাকায় উন্মুক্ত স্থানে ব্যাটারি গলানোর কাজ চলছে। এতে সিসাসহ বিভিন্ন দূষিত উপাদান বাতাস, মাটি এবং পানিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এটা শুধু কৃষি ও প্রাণিসম্পদের জন্য নয়, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও হুমকি তৈরি করছে। এমন কর্মকা- এলাকার কৃষি, পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। জানা গেছে, উক্ত কারখানার আশপাশের ঘাস ও পানিতে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সেই বিষাক্ত ঘাস খেয়ে অন্তত ৩২টি গরু মারা গেছে এবং শতাধিক গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর একটি কারখানার স্থাপন এবং সিসাসহ দূষিত বর্জ্যরে বিষক্রিয়ার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। আমরা বলতে চাই, পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে থাকা কোনো কারখানা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি।

জনস্বার্থ এবং পরিবেশ সুরক্ষার অগ্রাধিকার বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বিতভাবে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। এটি কেবল একটি এলাকার নয়, বরং বৃহত্তর পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য একটি দায়িত্ব। সক্রিয় ও কার্যকর পদক্ষেপই পারে আমাদের পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করতে।

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

কৃষিজমিতে কারখানা: ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

ওকে// নোমান

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার কৃষিনির্ভর এলাকা চরসিন্দুর বর্তমানে পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ বিঘা ফসলি জমিতে অনুমোদনবিহীন একটি টেক্সটাইল মিলের ভবন ভাড়া নিয়ে অবৈধভাবে ব্যাটারি তৈরির কারখানা পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে কারখানাটি কোনো ধরনের পরিবেশ সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, কারখানাটিতে কোনো বর্জ্য শোধনাগার প্রকল্প (ইটিপি) স্থাপন করা হয়নি। এর ফলে, কারখানার নির্গত গ্যাস ও রাসায়নিক মিশ্রিত বর্জ্য আশপাশের ফসলি জমিতে ছড়িয়ে পড়ছে। জমিতে বিষাক্ত পদার্থের প্রভাব এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সেখানে কোনো ফসল উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না।

এছাড়া, কারখানায় ইটিপি বা এটিপি প্ল্যান্ট না থাকায় উন্মুক্ত স্থানে ব্যাটারি গলানোর কাজ চলছে। এতে সিসাসহ বিভিন্ন দূষিত উপাদান বাতাস, মাটি এবং পানিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এটা শুধু কৃষি ও প্রাণিসম্পদের জন্য নয়, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও হুমকি তৈরি করছে। এমন কর্মকা- এলাকার কৃষি, পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। জানা গেছে, উক্ত কারখানার আশপাশের ঘাস ও পানিতে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সেই বিষাক্ত ঘাস খেয়ে অন্তত ৩২টি গরু মারা গেছে এবং শতাধিক গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর একটি কারখানার স্থাপন এবং সিসাসহ দূষিত বর্জ্যরে বিষক্রিয়ার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। আমরা বলতে চাই, পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে থাকা কোনো কারখানা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি।

জনস্বার্থ এবং পরিবেশ সুরক্ষার অগ্রাধিকার বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বিতভাবে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। এটি কেবল একটি এলাকার নয়, বরং বৃহত্তর পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য একটি দায়িত্ব। সক্রিয় ও কার্যকর পদক্ষেপই পারে আমাদের পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করতে।

back to top