ওকে// নোমান
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার কৃষিনির্ভর এলাকা চরসিন্দুর বর্তমানে পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ বিঘা ফসলি জমিতে অনুমোদনবিহীন একটি টেক্সটাইল মিলের ভবন ভাড়া নিয়ে অবৈধভাবে ব্যাটারি তৈরির কারখানা পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে কারখানাটি কোনো ধরনের পরিবেশ সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, কারখানাটিতে কোনো বর্জ্য শোধনাগার প্রকল্প (ইটিপি) স্থাপন করা হয়নি। এর ফলে, কারখানার নির্গত গ্যাস ও রাসায়নিক মিশ্রিত বর্জ্য আশপাশের ফসলি জমিতে ছড়িয়ে পড়ছে। জমিতে বিষাক্ত পদার্থের প্রভাব এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সেখানে কোনো ফসল উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না।
এছাড়া, কারখানায় ইটিপি বা এটিপি প্ল্যান্ট না থাকায় উন্মুক্ত স্থানে ব্যাটারি গলানোর কাজ চলছে। এতে সিসাসহ বিভিন্ন দূষিত উপাদান বাতাস, মাটি এবং পানিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এটা শুধু কৃষি ও প্রাণিসম্পদের জন্য নয়, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও হুমকি তৈরি করছে। এমন কর্মকা- এলাকার কৃষি, পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। জানা গেছে, উক্ত কারখানার আশপাশের ঘাস ও পানিতে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সেই বিষাক্ত ঘাস খেয়ে অন্তত ৩২টি গরু মারা গেছে এবং শতাধিক গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর একটি কারখানার স্থাপন এবং সিসাসহ দূষিত বর্জ্যরে বিষক্রিয়ার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। আমরা বলতে চাই, পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে থাকা কোনো কারখানা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি।
জনস্বার্থ এবং পরিবেশ সুরক্ষার অগ্রাধিকার বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বিতভাবে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। এটি কেবল একটি এলাকার নয়, বরং বৃহত্তর পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য একটি দায়িত্ব। সক্রিয় ও কার্যকর পদক্ষেপই পারে আমাদের পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করতে।
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
ওকে// নোমান
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার কৃষিনির্ভর এলাকা চরসিন্দুর বর্তমানে পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ বিঘা ফসলি জমিতে অনুমোদনবিহীন একটি টেক্সটাইল মিলের ভবন ভাড়া নিয়ে অবৈধভাবে ব্যাটারি তৈরির কারখানা পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে কারখানাটি কোনো ধরনের পরিবেশ সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, কারখানাটিতে কোনো বর্জ্য শোধনাগার প্রকল্প (ইটিপি) স্থাপন করা হয়নি। এর ফলে, কারখানার নির্গত গ্যাস ও রাসায়নিক মিশ্রিত বর্জ্য আশপাশের ফসলি জমিতে ছড়িয়ে পড়ছে। জমিতে বিষাক্ত পদার্থের প্রভাব এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সেখানে কোনো ফসল উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না।
এছাড়া, কারখানায় ইটিপি বা এটিপি প্ল্যান্ট না থাকায় উন্মুক্ত স্থানে ব্যাটারি গলানোর কাজ চলছে। এতে সিসাসহ বিভিন্ন দূষিত উপাদান বাতাস, মাটি এবং পানিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এটা শুধু কৃষি ও প্রাণিসম্পদের জন্য নয়, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও হুমকি তৈরি করছে। এমন কর্মকা- এলাকার কৃষি, পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। জানা গেছে, উক্ত কারখানার আশপাশের ঘাস ও পানিতে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সেই বিষাক্ত ঘাস খেয়ে অন্তত ৩২টি গরু মারা গেছে এবং শতাধিক গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর একটি কারখানার স্থাপন এবং সিসাসহ দূষিত বর্জ্যরে বিষক্রিয়ার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। আমরা বলতে চাই, পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে থাকা কোনো কারখানা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি।
জনস্বার্থ এবং পরিবেশ সুরক্ষার অগ্রাধিকার বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বিতভাবে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। এটি কেবল একটি এলাকার নয়, বরং বৃহত্তর পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য একটি দায়িত্ব। সক্রিয় ও কার্যকর পদক্ষেপই পারে আমাদের পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করতে।