মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার প্রায় চার লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসাস্থল ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে গত এক মাস ধরে এই হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রসূতিরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদের বাধ্য হয়ে ব্যয়বহুল বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতি শুধু স্বাস্থ্যসেবার সংকটই নয়, বরং নিম্নআয়ের মানুষ, বিশেষ করে চা-শ্রমিক সম্প্রদায়ের জন্য অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হাসপাতালের একমাত্র জুনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি ও অবস) মেডিকেল ছুটিতে রয়েছেন, এবং অপর গাইনি চিকিৎসকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। ফলে সিজারিয়ান অপারেশনের মতো জরুরি সেবা পুরোপুরি বন্ধ। এছাড়া, হাসপাতালে ছয়টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। এর ফলে সাধারণ রোগীরাও চিকিৎসা নিতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে সেবা না পেয়ে তারা বেসরকারি ক্লিনিকে যেতে বাধ্য হচ্ছেন, যেখানে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য বেশি খরচ হচ্ছে। অথচ সরকারি হাসপাতালে এই সেবা প্রায় বিনামূল্যে বা নামমাত্র খরচে পাওয়া যেত। অসচ্ছল পরিবারের জন্য এই অতিরিক্ত খরচ জীবনযাত্রার ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে। অনেকে দূরবর্তী মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল বা সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটতে বাধ্য হচ্ছেন, যা সময় ও অর্থের অপচয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং দ্রুত সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু এই সংকটের দীর্ঘস্থায়ী প্রকৃতি এবং শূন্য পদগুলোর বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপের অভাব প্রশ্ন তুলছে। একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র একজন গাইনি চিকিৎসকের ওপর নির্ভর করা এবং তিনি ছুটিতে থাকলে সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকল্পনার ঘাটতির প্রমাণ।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শূন্য পদগুলো পূরণ করা, বিশেষ করে গাইনি বিশেষজ্ঞ নিয়োগের মাধ্যমে সিজারিয়ান অপারেশন পুনরায় চালু করা।
শ্রীমঙ্গলের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, এটি মানবাধিকারের প্রশ্ন। বিশেষ করে প্রসূতি মায়েদের জন্য জরুরি সেবা নিশ্চিত করা একটি জাতীয় অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার প্রায় চার লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসাস্থল ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে গত এক মাস ধরে এই হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রসূতিরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদের বাধ্য হয়ে ব্যয়বহুল বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতি শুধু স্বাস্থ্যসেবার সংকটই নয়, বরং নিম্নআয়ের মানুষ, বিশেষ করে চা-শ্রমিক সম্প্রদায়ের জন্য অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হাসপাতালের একমাত্র জুনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি ও অবস) মেডিকেল ছুটিতে রয়েছেন, এবং অপর গাইনি চিকিৎসকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। ফলে সিজারিয়ান অপারেশনের মতো জরুরি সেবা পুরোপুরি বন্ধ। এছাড়া, হাসপাতালে ছয়টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। এর ফলে সাধারণ রোগীরাও চিকিৎসা নিতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে সেবা না পেয়ে তারা বেসরকারি ক্লিনিকে যেতে বাধ্য হচ্ছেন, যেখানে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য বেশি খরচ হচ্ছে। অথচ সরকারি হাসপাতালে এই সেবা প্রায় বিনামূল্যে বা নামমাত্র খরচে পাওয়া যেত। অসচ্ছল পরিবারের জন্য এই অতিরিক্ত খরচ জীবনযাত্রার ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে। অনেকে দূরবর্তী মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল বা সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটতে বাধ্য হচ্ছেন, যা সময় ও অর্থের অপচয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং দ্রুত সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু এই সংকটের দীর্ঘস্থায়ী প্রকৃতি এবং শূন্য পদগুলোর বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপের অভাব প্রশ্ন তুলছে। একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র একজন গাইনি চিকিৎসকের ওপর নির্ভর করা এবং তিনি ছুটিতে থাকলে সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকল্পনার ঘাটতির প্রমাণ।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শূন্য পদগুলো পূরণ করা, বিশেষ করে গাইনি বিশেষজ্ঞ নিয়োগের মাধ্যমে সিজারিয়ান অপারেশন পুনরায় চালু করা।
শ্রীমঙ্গলের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, এটি মানবাধিকারের প্রশ্ন। বিশেষ করে প্রসূতি মায়েদের জন্য জরুরি সেবা নিশ্চিত করা একটি জাতীয় অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।