২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১ হাজার ১৩৬ জন পোশাকশ্রমিক। আহত ও পঙ্গু হয়েছিলেন কয়েক হাজার। শ্রমজীবী মানুষের ওপর দেশের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে ভয়াবহ এই শিল্প দুর্ঘটনার ১২ বছর পার হয়ে গেলেও আজও শেষ হয়নি বিচার। মেলেনি সঠিক ক্ষতিপূরণ বা পূর্ণ পুনর্বাসন। আজও রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপে কান্না শোনা যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের।
এক যুগেও মামলার বিচার শেষ না হওয়া দেশের বিচারব্যবস্থার শ্লথগতি ও প্রশাসনিক অবহেলার একটি উদাহরণ। হত্যা মামলায় ৫৯৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৯৪ জনের সাক্ষ্য নেয়া শেষ হয়েছে। ইমারত বিধি লঙ্ঘনের মামলার চিত্র আরও করুণ। এক দশকেও সাক্ষ্যগ্রহণই শুরু হয়নি। এই বিলম্ব ন্যায়বিচারের ধারণার পরিপন্থি।
ধীরগতির বিচার প্রক্রিয়া শুধু ভুক্তভোগীদের মনে ক্ষোভই সৃষ্টি করেনি, বরং শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির প্রতি প্রশ্ন তুলেছে। পাবলিক প্রসিকিউটররা বিগত সরকারের অবহেলাকে দায়ী করলেও, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত এই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া।
অনেক আসামি জামিনে বা পলাতক, ফলে অপরাধীরা আজও আইনের ঊর্ধ্বে থেকে গেছে। আহত ও নিহত শ্রমিকদের পরিবার, যাদের জীবন থমকে গেছে সেদিনের ধ্বংসস্তূপে, তাদের অনেকেই এখনও সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ কিংবা পুনর্বাসনের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।
এই দুর্ঘটনার পর দেশ-বিদেশে তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিক নিরাপত্তা নিয়ে নানা আলোচনা ও উদ্যোগ দেখা গেলেও বাস্তবে এর প্রভাব খুবই সীমিত। কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা চাপ প্রয়োগ করলেও শ্রমিকদের জীবনমান ও নিরাপত্তায় কাক্সিক্ষত পরিবর্তন আজও দৃশ্যমান নয়। তৈরি পোশাক শিল্পে আজও আছে অস্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ, নিরাপত্তাহীনতা ও নিয়োগকর্তার একচ্ছত্র দাপট।
আমরা বলতে চাই, এই ঘটনার বিচার দ্রুত শেষ হওয়া উচিত। একইসঙ্গে যেসব পরিবার ক্ষতিপূরণ পাননি বা পুনর্বাসনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের বিষয়েও অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১ হাজার ১৩৬ জন পোশাকশ্রমিক। আহত ও পঙ্গু হয়েছিলেন কয়েক হাজার। শ্রমজীবী মানুষের ওপর দেশের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে ভয়াবহ এই শিল্প দুর্ঘটনার ১২ বছর পার হয়ে গেলেও আজও শেষ হয়নি বিচার। মেলেনি সঠিক ক্ষতিপূরণ বা পূর্ণ পুনর্বাসন। আজও রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপে কান্না শোনা যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের।
এক যুগেও মামলার বিচার শেষ না হওয়া দেশের বিচারব্যবস্থার শ্লথগতি ও প্রশাসনিক অবহেলার একটি উদাহরণ। হত্যা মামলায় ৫৯৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৯৪ জনের সাক্ষ্য নেয়া শেষ হয়েছে। ইমারত বিধি লঙ্ঘনের মামলার চিত্র আরও করুণ। এক দশকেও সাক্ষ্যগ্রহণই শুরু হয়নি। এই বিলম্ব ন্যায়বিচারের ধারণার পরিপন্থি।
ধীরগতির বিচার প্রক্রিয়া শুধু ভুক্তভোগীদের মনে ক্ষোভই সৃষ্টি করেনি, বরং শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির প্রতি প্রশ্ন তুলেছে। পাবলিক প্রসিকিউটররা বিগত সরকারের অবহেলাকে দায়ী করলেও, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত এই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া।
অনেক আসামি জামিনে বা পলাতক, ফলে অপরাধীরা আজও আইনের ঊর্ধ্বে থেকে গেছে। আহত ও নিহত শ্রমিকদের পরিবার, যাদের জীবন থমকে গেছে সেদিনের ধ্বংসস্তূপে, তাদের অনেকেই এখনও সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ কিংবা পুনর্বাসনের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।
এই দুর্ঘটনার পর দেশ-বিদেশে তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিক নিরাপত্তা নিয়ে নানা আলোচনা ও উদ্যোগ দেখা গেলেও বাস্তবে এর প্রভাব খুবই সীমিত। কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা চাপ প্রয়োগ করলেও শ্রমিকদের জীবনমান ও নিরাপত্তায় কাক্সিক্ষত পরিবর্তন আজও দৃশ্যমান নয়। তৈরি পোশাক শিল্পে আজও আছে অস্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ, নিরাপত্তাহীনতা ও নিয়োগকর্তার একচ্ছত্র দাপট।
আমরা বলতে চাই, এই ঘটনার বিচার দ্রুত শেষ হওয়া উচিত। একইসঙ্গে যেসব পরিবার ক্ষতিপূরণ পাননি বা পুনর্বাসনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের বিষয়েও অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।