রাজধানী ঢাকার বাতাসের দূষণ নিয়ে উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ আছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, গত নয় বছরে রাজধানীবাসী মাত্র ৩১ দিন নির্মল বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পেরেছে। অপরদিকে, ২০২৪ সালে আইকিউএয়ারের বৈশ্বিক বায়ুমান প্রতিবেদনে ঢাকা শহরকে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত নগরী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
রাজধানীর বায়ুদূষণ কমানোর জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) অন্তত ৫০টি স্থানে এয়ার পিউরিফায়ার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশনকে টাকা খরচ করতে হবে না। তবে স্বল্পমেয়াদি এই প্রচেষ্টা ঢাকার বায়ুদূষণ আদৌ কমাতে পারবে কিনা সেটা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সংশয় প্রকাশ করেছেন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, এয়ার পিউরিফায়ার প্রতি মিনিটে ৩০ হাজার ঘনফুট বাতাস পরিশোধন করতে পারে। তবে এর প্রভাব পড়বে রাজধানীর অল্প কিছু স্থানে। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ বলছেন, সমস্যার মূলে হাত না দিয়ে সাময়িক সমাধান খোঁজা হলে কাজের কাজ কিছু হবে না।
তবে ডিএনসিসির কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, এটি পাইলট প্রকল্প। এর ফল বিশ্লেষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, পাইলট প্রকল্পের কারণে সময়ক্ষেপণ ঘটবে কিনা। এই এক প্রকল্পের ওপর নির্ভর করে থাকলে পুরনো যানবাহন, নির্মাণস্থলের ধুলা, ইটভাটার মতো দূষণের উৎসগুলো এই ফাঁকে আরও বেশি দবিষ ছড়ানোর সুযোগ পাবে।
আমরা বলতে চাই, বায়ুদূষণের প্রকৃত উৎসগুলো চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। এটা পারে বায়ুদূষণের টেকসই সমাধান। পুরনো যানবাহন সরিয়ে ফেলা, নির্মাণকাজে ধুলা নিয়ন্ত্রণের কঠোর নিয়ম চালু করা, অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা, শহরে ব্যাপক সবুজায়ন ও বায়ুমান নিরীক্ষণের জন্য মনিটরিং স্টেশন স্থাপন ছাড়া কোনো স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হবে না। প্রয়োজন দূষণের উৎসে গিয়ে কাজ করা। তাহলেই দূষণমুক্ত ঢাকা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেবে।
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
রাজধানী ঢাকার বাতাসের দূষণ নিয়ে উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ আছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, গত নয় বছরে রাজধানীবাসী মাত্র ৩১ দিন নির্মল বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পেরেছে। অপরদিকে, ২০২৪ সালে আইকিউএয়ারের বৈশ্বিক বায়ুমান প্রতিবেদনে ঢাকা শহরকে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত নগরী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
রাজধানীর বায়ুদূষণ কমানোর জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) অন্তত ৫০টি স্থানে এয়ার পিউরিফায়ার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশনকে টাকা খরচ করতে হবে না। তবে স্বল্পমেয়াদি এই প্রচেষ্টা ঢাকার বায়ুদূষণ আদৌ কমাতে পারবে কিনা সেটা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সংশয় প্রকাশ করেছেন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, এয়ার পিউরিফায়ার প্রতি মিনিটে ৩০ হাজার ঘনফুট বাতাস পরিশোধন করতে পারে। তবে এর প্রভাব পড়বে রাজধানীর অল্প কিছু স্থানে। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ বলছেন, সমস্যার মূলে হাত না দিয়ে সাময়িক সমাধান খোঁজা হলে কাজের কাজ কিছু হবে না।
তবে ডিএনসিসির কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, এটি পাইলট প্রকল্প। এর ফল বিশ্লেষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, পাইলট প্রকল্পের কারণে সময়ক্ষেপণ ঘটবে কিনা। এই এক প্রকল্পের ওপর নির্ভর করে থাকলে পুরনো যানবাহন, নির্মাণস্থলের ধুলা, ইটভাটার মতো দূষণের উৎসগুলো এই ফাঁকে আরও বেশি দবিষ ছড়ানোর সুযোগ পাবে।
আমরা বলতে চাই, বায়ুদূষণের প্রকৃত উৎসগুলো চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। এটা পারে বায়ুদূষণের টেকসই সমাধান। পুরনো যানবাহন সরিয়ে ফেলা, নির্মাণকাজে ধুলা নিয়ন্ত্রণের কঠোর নিয়ম চালু করা, অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা, শহরে ব্যাপক সবুজায়ন ও বায়ুমান নিরীক্ষণের জন্য মনিটরিং স্টেশন স্থাপন ছাড়া কোনো স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হবে না। প্রয়োজন দূষণের উৎসে গিয়ে কাজ করা। তাহলেই দূষণমুক্ত ঢাকা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেবে।