alt

সম্পাদকীয়

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ০৩ মে ২০২৫

রাজধানী ঢাকার বাতাসের দূষণ নিয়ে উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ আছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, গত নয় বছরে রাজধানীবাসী মাত্র ৩১ দিন নির্মল বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পেরেছে। অপরদিকে, ২০২৪ সালে আইকিউএয়ারের বৈশ্বিক বায়ুমান প্রতিবেদনে ঢাকা শহরকে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত নগরী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

রাজধানীর বায়ুদূষণ কমানোর জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) অন্তত ৫০টি স্থানে এয়ার পিউরিফায়ার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশনকে টাকা খরচ করতে হবে না। তবে স্বল্পমেয়াদি এই প্রচেষ্টা ঢাকার বায়ুদূষণ আদৌ কমাতে পারবে কিনা সেটা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সংশয় প্রকাশ করেছেন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, এয়ার পিউরিফায়ার প্রতি মিনিটে ৩০ হাজার ঘনফুট বাতাস পরিশোধন করতে পারে। তবে এর প্রভাব পড়বে রাজধানীর অল্প কিছু স্থানে। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ বলছেন, সমস্যার মূলে হাত না দিয়ে সাময়িক সমাধান খোঁজা হলে কাজের কাজ কিছু হবে না।

তবে ডিএনসিসির কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, এটি পাইলট প্রকল্প। এর ফল বিশ্লেষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, পাইলট প্রকল্পের কারণে সময়ক্ষেপণ ঘটবে কিনা। এই এক প্রকল্পের ওপর নির্ভর করে থাকলে পুরনো যানবাহন, নির্মাণস্থলের ধুলা, ইটভাটার মতো দূষণের উৎসগুলো এই ফাঁকে আরও বেশি দবিষ ছড়ানোর সুযোগ পাবে।

আমরা বলতে চাই, বায়ুদূষণের প্রকৃত উৎসগুলো চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। এটা পারে বায়ুদূষণের টেকসই সমাধান। পুরনো যানবাহন সরিয়ে ফেলা, নির্মাণকাজে ধুলা নিয়ন্ত্রণের কঠোর নিয়ম চালু করা, অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা, শহরে ব্যাপক সবুজায়ন ও বায়ুমান নিরীক্ষণের জন্য মনিটরিং স্টেশন স্থাপন ছাড়া কোনো স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হবে না। প্রয়োজন দূষণের উৎসে গিয়ে কাজ করা। তাহলেই দূষণমুক্ত ঢাকা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেবে।

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

tab

সম্পাদকীয়

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ০৩ মে ২০২৫

রাজধানী ঢাকার বাতাসের দূষণ নিয়ে উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ আছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, গত নয় বছরে রাজধানীবাসী মাত্র ৩১ দিন নির্মল বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পেরেছে। অপরদিকে, ২০২৪ সালে আইকিউএয়ারের বৈশ্বিক বায়ুমান প্রতিবেদনে ঢাকা শহরকে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত নগরী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

রাজধানীর বায়ুদূষণ কমানোর জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) অন্তত ৫০টি স্থানে এয়ার পিউরিফায়ার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশনকে টাকা খরচ করতে হবে না। তবে স্বল্পমেয়াদি এই প্রচেষ্টা ঢাকার বায়ুদূষণ আদৌ কমাতে পারবে কিনা সেটা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সংশয় প্রকাশ করেছেন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, এয়ার পিউরিফায়ার প্রতি মিনিটে ৩০ হাজার ঘনফুট বাতাস পরিশোধন করতে পারে। তবে এর প্রভাব পড়বে রাজধানীর অল্প কিছু স্থানে। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ বলছেন, সমস্যার মূলে হাত না দিয়ে সাময়িক সমাধান খোঁজা হলে কাজের কাজ কিছু হবে না।

তবে ডিএনসিসির কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, এটি পাইলট প্রকল্প। এর ফল বিশ্লেষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, পাইলট প্রকল্পের কারণে সময়ক্ষেপণ ঘটবে কিনা। এই এক প্রকল্পের ওপর নির্ভর করে থাকলে পুরনো যানবাহন, নির্মাণস্থলের ধুলা, ইটভাটার মতো দূষণের উৎসগুলো এই ফাঁকে আরও বেশি দবিষ ছড়ানোর সুযোগ পাবে।

আমরা বলতে চাই, বায়ুদূষণের প্রকৃত উৎসগুলো চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। এটা পারে বায়ুদূষণের টেকসই সমাধান। পুরনো যানবাহন সরিয়ে ফেলা, নির্মাণকাজে ধুলা নিয়ন্ত্রণের কঠোর নিয়ম চালু করা, অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা, শহরে ব্যাপক সবুজায়ন ও বায়ুমান নিরীক্ষণের জন্য মনিটরিং স্টেশন স্থাপন ছাড়া কোনো স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হবে না। প্রয়োজন দূষণের উৎসে গিয়ে কাজ করা। তাহলেই দূষণমুক্ত ঢাকা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেবে।

back to top