alt

সম্পাদকীয়

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

: রোববার, ০৪ মে ২০২৫

কক্সবাজারের ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে পাঁচ মাস বয়সি মাতৃহীন একটি হাতি শাবক মারা গেছে। এই ঘটনা দেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ব্যবস্থার অস্বচ্ছতা, গাফিলতি ও দায়বদ্ধতার সংকটকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।

অভিযোগ অনুযায়ী, সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি হাসপাতালে যথাযথ দায়িত্ব পালন না করায় এবং দ্রুত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণে ত্রুটি থাকায় হাতি শাবকটি মারা গেছে। যদিও হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

শাবকটির মা মারা যাওয়ার পর বনবিভাগ যে উদ্যোগ নিয়েছিল তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিন্তু সেটি কি পর্যাপ্ত ছিল?

ভেটেরিনারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শাবকটিকে ল্যাকটোজেন-১ খাওয়ানো হতো। প্রশ্ন হলো, একটি হাতির জন্য মানব শিশুর জন্য তৈরি পাউডার দুধ কতটা উপযুক্ত? এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে কোনো গবেষণা বা আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করা হয়েছিল কিনাÑতা জানা দরকার।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের দায়িত্ব শুধু উদ্ধার বা আশ্রয় দেয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। রোগ নিরূপণ, পুষ্টি নিশ্চিতকরণ, মানসিক ও সামাজিক আচরণগত চাহিদাÑসবই বিবেচনায় নিতে হয়। বিশেষত হাতির মতো সামাজিক প্রাণীদের ক্ষেত্রে এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ।

এই শাবকের মৃত্যু কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর আগেও ডুলাহাজারাসহ দেশের বিভিন্ন সাফারি পার্ক বা চিড়িয়াখানায় প্রাণী মৃত্যুর ঘটনায় অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠে এসেছে। প্রায়ই দেখা যায়, মৃত্যুর পর দায়সারা ময়নাতদন্ত হয়, তারপর কোনো সুনির্দিষ্ট তদন্ত প্রতিবেদন আর সামনে আসে না, দায়ী কেউ চিহ্নিত হয় না। ফলে একই ভুল বারবার ঘটে।

শাবকটির মরদেহের যে নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে, তার রিপোর্ট জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে এই ঘটনায় যদি কারও গাফিলতি থাকে, তা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

বালু সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা জরুরি

হিমাগার সংকট : কৃষকের দুর্ভোগ আর কতদিন?

স্বাধীনতা দিবস : একাত্তরের স্বপ্ন পুনর্জাগরণের প্রত্যয়

আজ সেই কালরাত্রি

হাওরের বুকে সড়ক : উন্নয়ন না ধ্বংস?

সুন্দরবনে আবার অগ্নিকাণ্ড

tab

সম্পাদকীয়

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

রোববার, ০৪ মে ২০২৫

কক্সবাজারের ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে পাঁচ মাস বয়সি মাতৃহীন একটি হাতি শাবক মারা গেছে। এই ঘটনা দেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ব্যবস্থার অস্বচ্ছতা, গাফিলতি ও দায়বদ্ধতার সংকটকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।

অভিযোগ অনুযায়ী, সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি হাসপাতালে যথাযথ দায়িত্ব পালন না করায় এবং দ্রুত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণে ত্রুটি থাকায় হাতি শাবকটি মারা গেছে। যদিও হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

শাবকটির মা মারা যাওয়ার পর বনবিভাগ যে উদ্যোগ নিয়েছিল তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিন্তু সেটি কি পর্যাপ্ত ছিল?

ভেটেরিনারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শাবকটিকে ল্যাকটোজেন-১ খাওয়ানো হতো। প্রশ্ন হলো, একটি হাতির জন্য মানব শিশুর জন্য তৈরি পাউডার দুধ কতটা উপযুক্ত? এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে কোনো গবেষণা বা আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করা হয়েছিল কিনাÑতা জানা দরকার।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের দায়িত্ব শুধু উদ্ধার বা আশ্রয় দেয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। রোগ নিরূপণ, পুষ্টি নিশ্চিতকরণ, মানসিক ও সামাজিক আচরণগত চাহিদাÑসবই বিবেচনায় নিতে হয়। বিশেষত হাতির মতো সামাজিক প্রাণীদের ক্ষেত্রে এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ।

এই শাবকের মৃত্যু কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর আগেও ডুলাহাজারাসহ দেশের বিভিন্ন সাফারি পার্ক বা চিড়িয়াখানায় প্রাণী মৃত্যুর ঘটনায় অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠে এসেছে। প্রায়ই দেখা যায়, মৃত্যুর পর দায়সারা ময়নাতদন্ত হয়, তারপর কোনো সুনির্দিষ্ট তদন্ত প্রতিবেদন আর সামনে আসে না, দায়ী কেউ চিহ্নিত হয় না। ফলে একই ভুল বারবার ঘটে।

শাবকটির মরদেহের যে নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে, তার রিপোর্ট জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে এই ঘটনায় যদি কারও গাফিলতি থাকে, তা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top