কক্সবাজারের ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে পাঁচ মাস বয়সি মাতৃহীন একটি হাতি শাবক মারা গেছে। এই ঘটনা দেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ব্যবস্থার অস্বচ্ছতা, গাফিলতি ও দায়বদ্ধতার সংকটকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি হাসপাতালে যথাযথ দায়িত্ব পালন না করায় এবং দ্রুত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণে ত্রুটি থাকায় হাতি শাবকটি মারা গেছে। যদিও হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শাবকটির মা মারা যাওয়ার পর বনবিভাগ যে উদ্যোগ নিয়েছিল তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিন্তু সেটি কি পর্যাপ্ত ছিল?
ভেটেরিনারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শাবকটিকে ল্যাকটোজেন-১ খাওয়ানো হতো। প্রশ্ন হলো, একটি হাতির জন্য মানব শিশুর জন্য তৈরি পাউডার দুধ কতটা উপযুক্ত? এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে কোনো গবেষণা বা আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করা হয়েছিল কিনাÑতা জানা দরকার।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের দায়িত্ব শুধু উদ্ধার বা আশ্রয় দেয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। রোগ নিরূপণ, পুষ্টি নিশ্চিতকরণ, মানসিক ও সামাজিক আচরণগত চাহিদাÑসবই বিবেচনায় নিতে হয়। বিশেষত হাতির মতো সামাজিক প্রাণীদের ক্ষেত্রে এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ।
এই শাবকের মৃত্যু কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর আগেও ডুলাহাজারাসহ দেশের বিভিন্ন সাফারি পার্ক বা চিড়িয়াখানায় প্রাণী মৃত্যুর ঘটনায় অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠে এসেছে। প্রায়ই দেখা যায়, মৃত্যুর পর দায়সারা ময়নাতদন্ত হয়, তারপর কোনো সুনির্দিষ্ট তদন্ত প্রতিবেদন আর সামনে আসে না, দায়ী কেউ চিহ্নিত হয় না। ফলে একই ভুল বারবার ঘটে।
শাবকটির মরদেহের যে নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে, তার রিপোর্ট জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে এই ঘটনায় যদি কারও গাফিলতি থাকে, তা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
রোববার, ০৪ মে ২০২৫
কক্সবাজারের ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে পাঁচ মাস বয়সি মাতৃহীন একটি হাতি শাবক মারা গেছে। এই ঘটনা দেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ব্যবস্থার অস্বচ্ছতা, গাফিলতি ও দায়বদ্ধতার সংকটকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি হাসপাতালে যথাযথ দায়িত্ব পালন না করায় এবং দ্রুত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণে ত্রুটি থাকায় হাতি শাবকটি মারা গেছে। যদিও হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শাবকটির মা মারা যাওয়ার পর বনবিভাগ যে উদ্যোগ নিয়েছিল তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিন্তু সেটি কি পর্যাপ্ত ছিল?
ভেটেরিনারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শাবকটিকে ল্যাকটোজেন-১ খাওয়ানো হতো। প্রশ্ন হলো, একটি হাতির জন্য মানব শিশুর জন্য তৈরি পাউডার দুধ কতটা উপযুক্ত? এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে কোনো গবেষণা বা আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করা হয়েছিল কিনাÑতা জানা দরকার।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের দায়িত্ব শুধু উদ্ধার বা আশ্রয় দেয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। রোগ নিরূপণ, পুষ্টি নিশ্চিতকরণ, মানসিক ও সামাজিক আচরণগত চাহিদাÑসবই বিবেচনায় নিতে হয়। বিশেষত হাতির মতো সামাজিক প্রাণীদের ক্ষেত্রে এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ।
এই শাবকের মৃত্যু কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর আগেও ডুলাহাজারাসহ দেশের বিভিন্ন সাফারি পার্ক বা চিড়িয়াখানায় প্রাণী মৃত্যুর ঘটনায় অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠে এসেছে। প্রায়ই দেখা যায়, মৃত্যুর পর দায়সারা ময়নাতদন্ত হয়, তারপর কোনো সুনির্দিষ্ট তদন্ত প্রতিবেদন আর সামনে আসে না, দায়ী কেউ চিহ্নিত হয় না। ফলে একই ভুল বারবার ঘটে।
শাবকটির মরদেহের যে নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে, তার রিপোর্ট জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে এই ঘটনায় যদি কারও গাফিলতি থাকে, তা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।