alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

: সোমবার, ০৫ মে ২০২৫

শুধু পরিবেশ সংরক্ষণ বা জীববৈচিত্র্য রক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, বরং দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশেও ইকোপার্কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কথা। অথচ মৌলভীবাজারের বর্ষিজোড়া ও বরগুনার টেংরাগিরি ইকোপার্ক দুটির এই সম্ভাবনাকে যেন ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।

গতকাল প্রকাশিত সংবাদ-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, মৌলভীবাজারের বর্ষিজোড়া ইকোপার্ক ২০০৬ সালে সরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত হলেও তার রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন কার্যত থমকে আছে সেই সময় থেকেই। নিরাপত্তা ও তদারকির ঘাটতিতে কোটি কোটি টাকার গাছ দিনের আলোয় কাটা পড়ছে, মামলা হলেও তা বছরের পর বছর নিষ্পত্তিহীন পড়ে আছে। এমন করুণ অবস্থায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ হারানো আশ্চর্য কিছু নয়।

বরগুনার তালতলীতে অবস্থিত টেংরাগিরি ইকোপার্কেরও একই চিত্র। প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ পার্কটিতে ইটের রাস্তা, সেতু, বিশ্রামাগার, শৌচাগার, হরিণ ও কুমিরের খাঁচাÑসবই এখন জরাজীর্ণ। সংযোগ সেতুর কাজ বছরের পর বছর বন্ধ, দর্শনার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পার হয়ে প্রবেশ করতে হয়। ইটের রাস্তা ভেঙে গিয়েছে, বন্যপ্রাণীর বেষ্টনী ভেঙে প্রাণীগুলোর নিরাপত্তা হুমকির মুখে। নলকূপ ও শৌচাগার অকেজো, বিশ্রামাগার পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। দর্শনার্থীদের জন্য এই অবস্থা শুধু হতাশাজনক নয়, ঝুঁকিপূর্ণও।

দুই পার্কের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি স্পষ্ট তা হলো, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার ঘাটতি, সমন্বয়হীনতা এবং দায়িত্বপ্রাপ্তদের অদূরদর্শিতা। ইকোপার্ক মানেই শুধু গাছগাছালির সমাবেশ নয়। একে হতে হবে একটি নিয়ন্ত্রিত, সুরক্ষিত এবং সেবামূলক বিনোদন এলাকা। যেখানে একদিকে পরিবেশ ও প্রাণীকুল রক্ষা পাবে, অন্যদিকে মানুষ প্রকৃতির সঙ্গে নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ হবে।

সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ছিল এসব পার্কের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করা, জনবল ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং পর্যটকদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো। অথচ প্রকল্প গ্রহণের পর আর সেগুলোর ফলপ্রসূ বাস্তবায়ন বা তদারকি হয়নি বলেই এখন এই অবস্থা। শুধু প্রকল্প অনুমোদন বা বরাদ্দ দিলেই দায়িত্ব শেষ হয় নাÑচলমান রক্ষণাবেক্ষণ, স্থানীয়দের সম্পৃক্ততা এবং জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব।

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

সোমবার, ০৫ মে ২০২৫

শুধু পরিবেশ সংরক্ষণ বা জীববৈচিত্র্য রক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, বরং দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশেও ইকোপার্কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কথা। অথচ মৌলভীবাজারের বর্ষিজোড়া ও বরগুনার টেংরাগিরি ইকোপার্ক দুটির এই সম্ভাবনাকে যেন ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।

গতকাল প্রকাশিত সংবাদ-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, মৌলভীবাজারের বর্ষিজোড়া ইকোপার্ক ২০০৬ সালে সরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত হলেও তার রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন কার্যত থমকে আছে সেই সময় থেকেই। নিরাপত্তা ও তদারকির ঘাটতিতে কোটি কোটি টাকার গাছ দিনের আলোয় কাটা পড়ছে, মামলা হলেও তা বছরের পর বছর নিষ্পত্তিহীন পড়ে আছে। এমন করুণ অবস্থায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ হারানো আশ্চর্য কিছু নয়।

বরগুনার তালতলীতে অবস্থিত টেংরাগিরি ইকোপার্কেরও একই চিত্র। প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ পার্কটিতে ইটের রাস্তা, সেতু, বিশ্রামাগার, শৌচাগার, হরিণ ও কুমিরের খাঁচাÑসবই এখন জরাজীর্ণ। সংযোগ সেতুর কাজ বছরের পর বছর বন্ধ, দর্শনার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পার হয়ে প্রবেশ করতে হয়। ইটের রাস্তা ভেঙে গিয়েছে, বন্যপ্রাণীর বেষ্টনী ভেঙে প্রাণীগুলোর নিরাপত্তা হুমকির মুখে। নলকূপ ও শৌচাগার অকেজো, বিশ্রামাগার পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। দর্শনার্থীদের জন্য এই অবস্থা শুধু হতাশাজনক নয়, ঝুঁকিপূর্ণও।

দুই পার্কের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি স্পষ্ট তা হলো, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার ঘাটতি, সমন্বয়হীনতা এবং দায়িত্বপ্রাপ্তদের অদূরদর্শিতা। ইকোপার্ক মানেই শুধু গাছগাছালির সমাবেশ নয়। একে হতে হবে একটি নিয়ন্ত্রিত, সুরক্ষিত এবং সেবামূলক বিনোদন এলাকা। যেখানে একদিকে পরিবেশ ও প্রাণীকুল রক্ষা পাবে, অন্যদিকে মানুষ প্রকৃতির সঙ্গে নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ হবে।

সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ছিল এসব পার্কের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করা, জনবল ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং পর্যটকদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো। অথচ প্রকল্প গ্রহণের পর আর সেগুলোর ফলপ্রসূ বাস্তবায়ন বা তদারকি হয়নি বলেই এখন এই অবস্থা। শুধু প্রকল্প অনুমোদন বা বরাদ্দ দিলেই দায়িত্ব শেষ হয় নাÑচলমান রক্ষণাবেক্ষণ, স্থানীয়দের সম্পৃক্ততা এবং জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব।

back to top