alt

সম্পাদকীয়

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

: মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫

প্রতি বছর বর্ষা এলেই আমরা ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কে ভুগি। কয়েক মাস সচেতনতা বাড়ে, মশা নিধনের কর্মসূচি চালানো হয়, কিছুদিন ওষুধ ছিটানো হয়Ñ তারপর আবার তা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ডেঙ্গু মোকাবিলা এভাবে সম্ভব নয়। এটি এখন মৌসুমি রোগ নয়, বরং সারা বছর ধরেই ছড়িয়ে পড়ছে।

এ বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি শুরু থেকেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭০৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৩ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে শিশুও রয়েছে, আবার বয়স্ক ব্যক্তিও আছেন।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি সামনে আরও খারাপ হতে পারে। কারণ, ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আর বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার প্রজনন সবচেয়ে বেশি হয়। কীটতত্ত্ববিদদের মতে, এবার এডিস মশার ঘনত্ব অন্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকিও বেশি।

সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, রাজধানী ঢাকা ছাড়াও বরিশাল, চট্টগ্রাম, খুলনা, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন বিভাগে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। মৃত্যুর ঘটনাও ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে ঘটছে। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, এডিস মশার বিস্তার ঠেকাতে না পারলে পরিস্থিতি মহামারির দিকে যেতে পারে।

এডিস মশা সাধারণত জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে জন্মায়। তাই বাড়ির আশপাশে ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, এসির পানি বা খোলা পাত্রে জমে থাকা পানিই হয়ে ওঠে মশার প্রজননক্ষেত্র। অথচ এই বিষয়গুলোতে মানুষ এখনও উদাসীন। সচেতনতার অভাব, দায়িত্বহীনতা ও নজরদারির ঘাটতির কারণেই প্রতি বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।

সেই সঙ্গে, সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় প্রশাসনকে আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে। শুধু ‘মশকনিধন সপ্তাহ’ বা কিছুদিন পরপর অভিযান চালিয়ে দায়িত্ব শেষ করা যাবে না। প্রতিটি এলাকায় নিয়মিতভাবে মশার ঘনত্ব পরীক্ষা, লার্ভা ধ্বংস, বাসাবাড়ির মালিকদের সতর্ক করা, জরিমানা কার্যকর করা দরকার। পাশাপাশি দরকার স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং হাসপাতালগুলোর প্রস্তুতি বাড়ানো।

অন্যদিকে নাগরিকদের দায়িত্বও কম নয়। নিজ নিজ বাড়ি ও এলাকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত না করলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। আমরা যদি নিজেদের আশপাশে জমে থাকা পানি পরিষ্কার না করি, তাহলে সরকারের সব উদ্যোগ ব্যর্থ হবে।

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

tab

সম্পাদকীয়

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫

প্রতি বছর বর্ষা এলেই আমরা ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কে ভুগি। কয়েক মাস সচেতনতা বাড়ে, মশা নিধনের কর্মসূচি চালানো হয়, কিছুদিন ওষুধ ছিটানো হয়Ñ তারপর আবার তা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ডেঙ্গু মোকাবিলা এভাবে সম্ভব নয়। এটি এখন মৌসুমি রোগ নয়, বরং সারা বছর ধরেই ছড়িয়ে পড়ছে।

এ বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি শুরু থেকেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭০৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৩ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে শিশুও রয়েছে, আবার বয়স্ক ব্যক্তিও আছেন।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি সামনে আরও খারাপ হতে পারে। কারণ, ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আর বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার প্রজনন সবচেয়ে বেশি হয়। কীটতত্ত্ববিদদের মতে, এবার এডিস মশার ঘনত্ব অন্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকিও বেশি।

সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, রাজধানী ঢাকা ছাড়াও বরিশাল, চট্টগ্রাম, খুলনা, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন বিভাগে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। মৃত্যুর ঘটনাও ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে ঘটছে। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, এডিস মশার বিস্তার ঠেকাতে না পারলে পরিস্থিতি মহামারির দিকে যেতে পারে।

এডিস মশা সাধারণত জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে জন্মায়। তাই বাড়ির আশপাশে ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, এসির পানি বা খোলা পাত্রে জমে থাকা পানিই হয়ে ওঠে মশার প্রজননক্ষেত্র। অথচ এই বিষয়গুলোতে মানুষ এখনও উদাসীন। সচেতনতার অভাব, দায়িত্বহীনতা ও নজরদারির ঘাটতির কারণেই প্রতি বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।

সেই সঙ্গে, সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় প্রশাসনকে আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে। শুধু ‘মশকনিধন সপ্তাহ’ বা কিছুদিন পরপর অভিযান চালিয়ে দায়িত্ব শেষ করা যাবে না। প্রতিটি এলাকায় নিয়মিতভাবে মশার ঘনত্ব পরীক্ষা, লার্ভা ধ্বংস, বাসাবাড়ির মালিকদের সতর্ক করা, জরিমানা কার্যকর করা দরকার। পাশাপাশি দরকার স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং হাসপাতালগুলোর প্রস্তুতি বাড়ানো।

অন্যদিকে নাগরিকদের দায়িত্বও কম নয়। নিজ নিজ বাড়ি ও এলাকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত না করলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। আমরা যদি নিজেদের আশপাশে জমে থাকা পানি পরিষ্কার না করি, তাহলে সরকারের সব উদ্যোগ ব্যর্থ হবে।

back to top