লাউয়াছড়া দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি জাতীয় উদ্যান। উল্লুকসহ বহু দুর্লভ প্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল এই বন এখন চরম হুমকির মুখে। একসময় যেখানে শত শত উল্লুক দেখা যেত, এখন সে সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ৪৯-এ। আর আশপাশের বন মিলে সংখ্যাটি ৬০-এ দাঁড়িয়েছে। এই সংকট শুধু উল্লুকের জন্য নয়, গোটা বন ও তার বাসিন্দাদের জন্যই এক মন্দ সংকেত।
চা-বাগান, জনসংখ্যার চাপ, নির্বিচারে গাছ কাটা, পর্যটকদের অনিয়ন্ত্রিত চলাচল ও বন রক্ষায় দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থার তৎপরতা ঘাটতিÑ সব মিলে বনটি হারিয়ে যাওয়ার পথে। এই বন যে শুধু প্রাণীর আশ্রয়স্থল তা নয়, এটি আমাদের জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ, ভূমিক্ষয় রোধ, এমনকি মৌসুমি ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ।
সরকারের তরফে লাউয়াছড়াকে ‘শকুনের জন্য নিরাপদ এলাকা’ হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে। আবার ব্যক্তি ও সংগঠনের উদ্যোগেও অনেক প্রাণী উদ্ধার করে বনাঞ্চলে অবমুক্ত করা হয়েছে। যেমন- শ্রীমঙ্গলের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন প্রায় ৭০০টির মতো প্রাণী উদ্ধার করে বনাঞ্চলে ফিরিয়ে দিয়েছে। এই উদ্যোগ প্রশংসনীয় হলেও তা স্থায়ী সমাধান নয়। কারণ, মূল বন যদি ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে মুক্ত প্রাণীরাও সেখানে বাঁচতে পারবে না।
এই সমস্যার সমাধানে জরুরি কিছু কাজ এখনই শুরু করতে হবে। বন রক্ষায় স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তারা যেন বনকে নিজেদের সম্পদ মনে করে এবং তার রক্ষা করে, সে পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
পর্যটকদের জন্য নির্দিষ্ট পথ, সময়সীমা ও আচরণবিধি নির্ধারণ করতে হবে। বন রক্ষায় প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি বাড়াতে হবেÑ যেমন ড্রোন ব্যবহার, সিসিটিভি ও বনরক্ষীদের প্রশিক্ষণ। পাশাপাশি স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের কাছে বন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরাও দরকার।
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫
লাউয়াছড়া দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি জাতীয় উদ্যান। উল্লুকসহ বহু দুর্লভ প্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল এই বন এখন চরম হুমকির মুখে। একসময় যেখানে শত শত উল্লুক দেখা যেত, এখন সে সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ৪৯-এ। আর আশপাশের বন মিলে সংখ্যাটি ৬০-এ দাঁড়িয়েছে। এই সংকট শুধু উল্লুকের জন্য নয়, গোটা বন ও তার বাসিন্দাদের জন্যই এক মন্দ সংকেত।
চা-বাগান, জনসংখ্যার চাপ, নির্বিচারে গাছ কাটা, পর্যটকদের অনিয়ন্ত্রিত চলাচল ও বন রক্ষায় দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থার তৎপরতা ঘাটতিÑ সব মিলে বনটি হারিয়ে যাওয়ার পথে। এই বন যে শুধু প্রাণীর আশ্রয়স্থল তা নয়, এটি আমাদের জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ, ভূমিক্ষয় রোধ, এমনকি মৌসুমি ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ।
সরকারের তরফে লাউয়াছড়াকে ‘শকুনের জন্য নিরাপদ এলাকা’ হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে। আবার ব্যক্তি ও সংগঠনের উদ্যোগেও অনেক প্রাণী উদ্ধার করে বনাঞ্চলে অবমুক্ত করা হয়েছে। যেমন- শ্রীমঙ্গলের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন প্রায় ৭০০টির মতো প্রাণী উদ্ধার করে বনাঞ্চলে ফিরিয়ে দিয়েছে। এই উদ্যোগ প্রশংসনীয় হলেও তা স্থায়ী সমাধান নয়। কারণ, মূল বন যদি ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে মুক্ত প্রাণীরাও সেখানে বাঁচতে পারবে না।
এই সমস্যার সমাধানে জরুরি কিছু কাজ এখনই শুরু করতে হবে। বন রক্ষায় স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তারা যেন বনকে নিজেদের সম্পদ মনে করে এবং তার রক্ষা করে, সে পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
পর্যটকদের জন্য নির্দিষ্ট পথ, সময়সীমা ও আচরণবিধি নির্ধারণ করতে হবে। বন রক্ষায় প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি বাড়াতে হবেÑ যেমন ড্রোন ব্যবহার, সিসিটিভি ও বনরক্ষীদের প্রশিক্ষণ। পাশাপাশি স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের কাছে বন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরাও দরকার।