alt

opinion » editorial

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

: মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫

লাউয়াছড়া দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি জাতীয় উদ্যান। উল্লুকসহ বহু দুর্লভ প্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল এই বন এখন চরম হুমকির মুখে। একসময় যেখানে শত শত উল্লুক দেখা যেত, এখন সে সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ৪৯-এ। আর আশপাশের বন মিলে সংখ্যাটি ৬০-এ দাঁড়িয়েছে। এই সংকট শুধু উল্লুকের জন্য নয়, গোটা বন ও তার বাসিন্দাদের জন্যই এক মন্দ সংকেত।

চা-বাগান, জনসংখ্যার চাপ, নির্বিচারে গাছ কাটা, পর্যটকদের অনিয়ন্ত্রিত চলাচল ও বন রক্ষায় দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থার তৎপরতা ঘাটতিÑ সব মিলে বনটি হারিয়ে যাওয়ার পথে। এই বন যে শুধু প্রাণীর আশ্রয়স্থল তা নয়, এটি আমাদের জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ, ভূমিক্ষয় রোধ, এমনকি মৌসুমি ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ।

সরকারের তরফে লাউয়াছড়াকে ‘শকুনের জন্য নিরাপদ এলাকা’ হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে। আবার ব্যক্তি ও সংগঠনের উদ্যোগেও অনেক প্রাণী উদ্ধার করে বনাঞ্চলে অবমুক্ত করা হয়েছে। যেমন- শ্রীমঙ্গলের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন প্রায় ৭০০টির মতো প্রাণী উদ্ধার করে বনাঞ্চলে ফিরিয়ে দিয়েছে। এই উদ্যোগ প্রশংসনীয় হলেও তা স্থায়ী সমাধান নয়। কারণ, মূল বন যদি ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে মুক্ত প্রাণীরাও সেখানে বাঁচতে পারবে না।

এই সমস্যার সমাধানে জরুরি কিছু কাজ এখনই শুরু করতে হবে। বন রক্ষায় স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তারা যেন বনকে নিজেদের সম্পদ মনে করে এবং তার রক্ষা করে, সে পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

পর্যটকদের জন্য নির্দিষ্ট পথ, সময়সীমা ও আচরণবিধি নির্ধারণ করতে হবে। বন রক্ষায় প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি বাড়াতে হবেÑ যেমন ড্রোন ব্যবহার, সিসিটিভি ও বনরক্ষীদের প্রশিক্ষণ। পাশাপাশি স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের কাছে বন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরাও দরকার।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫

লাউয়াছড়া দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি জাতীয় উদ্যান। উল্লুকসহ বহু দুর্লভ প্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল এই বন এখন চরম হুমকির মুখে। একসময় যেখানে শত শত উল্লুক দেখা যেত, এখন সে সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ৪৯-এ। আর আশপাশের বন মিলে সংখ্যাটি ৬০-এ দাঁড়িয়েছে। এই সংকট শুধু উল্লুকের জন্য নয়, গোটা বন ও তার বাসিন্দাদের জন্যই এক মন্দ সংকেত।

চা-বাগান, জনসংখ্যার চাপ, নির্বিচারে গাছ কাটা, পর্যটকদের অনিয়ন্ত্রিত চলাচল ও বন রক্ষায় দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থার তৎপরতা ঘাটতিÑ সব মিলে বনটি হারিয়ে যাওয়ার পথে। এই বন যে শুধু প্রাণীর আশ্রয়স্থল তা নয়, এটি আমাদের জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ, ভূমিক্ষয় রোধ, এমনকি মৌসুমি ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ।

সরকারের তরফে লাউয়াছড়াকে ‘শকুনের জন্য নিরাপদ এলাকা’ হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে। আবার ব্যক্তি ও সংগঠনের উদ্যোগেও অনেক প্রাণী উদ্ধার করে বনাঞ্চলে অবমুক্ত করা হয়েছে। যেমন- শ্রীমঙ্গলের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন প্রায় ৭০০টির মতো প্রাণী উদ্ধার করে বনাঞ্চলে ফিরিয়ে দিয়েছে। এই উদ্যোগ প্রশংসনীয় হলেও তা স্থায়ী সমাধান নয়। কারণ, মূল বন যদি ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে মুক্ত প্রাণীরাও সেখানে বাঁচতে পারবে না।

এই সমস্যার সমাধানে জরুরি কিছু কাজ এখনই শুরু করতে হবে। বন রক্ষায় স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তারা যেন বনকে নিজেদের সম্পদ মনে করে এবং তার রক্ষা করে, সে পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

পর্যটকদের জন্য নির্দিষ্ট পথ, সময়সীমা ও আচরণবিধি নির্ধারণ করতে হবে। বন রক্ষায় প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি বাড়াতে হবেÑ যেমন ড্রোন ব্যবহার, সিসিটিভি ও বনরক্ষীদের প্রশিক্ষণ। পাশাপাশি স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের কাছে বন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরাও দরকার।

back to top