সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার আলীপুরে খাসিয়ামারা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ থমকে আছে প্রায় তিন বছর ধরে। সেতুটি দুই ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষের স্বাভাবিক চলাচলের একমাত্র ভরসা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনা এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালির কারণে সেতুটি এখন ‘অপূর্ণ প্রতিশ্রুতি’র প্রতীক।
এই সেতু ৩০টি গ্রামের মানুষকে উপজেলা সদরের সঙ্গে যুক্ত করার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর আশার আলো দেখা দিয়েছিল। কিন্তু শুরু থেকেই কাজের গতি ছিল অত্যন্ত মন্থর, যা শেষ পর্যন্ত স্থবিরতায় গিয়ে ঠেকেছে। সেতু না হওয়ায় স্থানীয়রা প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিয়মিত কিছু দিন কাজ করে, আবার বেশ কয়েক মাস বিরতি দেয়। ঠিকাদারের অবহেলার কারণে সেতুটির এই দুর্দশা। এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বলছেন বটে, “দ্রুত কাজ শুরু হবে”, কিন্তু অতীতের অভিজ্ঞতা তেমন ভরসা জোগায় না।
দেশের নানা প্রান্তে চলমান অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে এমন স্থবিরতা নতুন নয়। কিন্তু একটি সেতুর কাজ বন্ধ থাকার মূল্য দিতে হয় হাজারো মানুষকে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতার সংস্কৃতি যদি চলতেই থাকে, তবে উন্নয়ন প্রকল্প মানুষের জীবনে ইতিবাচক বদল আনতে পারবে না। রাষ্ট্রের উন্নয়ন তখনই অর্থবহ হয়, যখন তা মানুষের বাস্তব জীবনকে স্বস্তি দেয়। আলীপুর সেতুর ধীরগতি সেই উন্নয়নের বিপরীত উদাহরণ।
এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহি নিশ্চিত করা। সেতু নির্মাণের কাজের অগ্রগতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। প্রকল্পের সময়সীমা নির্ধারণ করে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার আলীপুরে খাসিয়ামারা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ থমকে আছে প্রায় তিন বছর ধরে। সেতুটি দুই ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষের স্বাভাবিক চলাচলের একমাত্র ভরসা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনা এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালির কারণে সেতুটি এখন ‘অপূর্ণ প্রতিশ্রুতি’র প্রতীক।
এই সেতু ৩০টি গ্রামের মানুষকে উপজেলা সদরের সঙ্গে যুক্ত করার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর আশার আলো দেখা দিয়েছিল। কিন্তু শুরু থেকেই কাজের গতি ছিল অত্যন্ত মন্থর, যা শেষ পর্যন্ত স্থবিরতায় গিয়ে ঠেকেছে। সেতু না হওয়ায় স্থানীয়রা প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিয়মিত কিছু দিন কাজ করে, আবার বেশ কয়েক মাস বিরতি দেয়। ঠিকাদারের অবহেলার কারণে সেতুটির এই দুর্দশা। এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বলছেন বটে, “দ্রুত কাজ শুরু হবে”, কিন্তু অতীতের অভিজ্ঞতা তেমন ভরসা জোগায় না।
দেশের নানা প্রান্তে চলমান অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে এমন স্থবিরতা নতুন নয়। কিন্তু একটি সেতুর কাজ বন্ধ থাকার মূল্য দিতে হয় হাজারো মানুষকে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতার সংস্কৃতি যদি চলতেই থাকে, তবে উন্নয়ন প্রকল্প মানুষের জীবনে ইতিবাচক বদল আনতে পারবে না। রাষ্ট্রের উন্নয়ন তখনই অর্থবহ হয়, যখন তা মানুষের বাস্তব জীবনকে স্বস্তি দেয়। আলীপুর সেতুর ধীরগতি সেই উন্নয়নের বিপরীত উদাহরণ।
এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহি নিশ্চিত করা। সেতু নির্মাণের কাজের অগ্রগতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। প্রকল্পের সময়সীমা নির্ধারণ করে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে হবে।