alt

মতামত » সম্পাদকীয়

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

: শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার আলীপুরে খাসিয়ামারা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ থমকে আছে প্রায় তিন বছর ধরে। সেতুটি দুই ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষের স্বাভাবিক চলাচলের একমাত্র ভরসা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনা এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালির কারণে সেতুটি এখন ‘অপূর্ণ প্রতিশ্রুতি’র প্রতীক।

এই সেতু ৩০টি গ্রামের মানুষকে উপজেলা সদরের সঙ্গে যুক্ত করার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর আশার আলো দেখা দিয়েছিল। কিন্তু শুরু থেকেই কাজের গতি ছিল অত্যন্ত মন্থর, যা শেষ পর্যন্ত স্থবিরতায় গিয়ে ঠেকেছে। সেতু না হওয়ায় স্থানীয়রা প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিয়মিত কিছু দিন কাজ করে, আবার বেশ কয়েক মাস বিরতি দেয়। ঠিকাদারের অবহেলার কারণে সেতুটির এই দুর্দশা। এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বলছেন বটে, “দ্রুত কাজ শুরু হবে”, কিন্তু অতীতের অভিজ্ঞতা তেমন ভরসা জোগায় না।

দেশের নানা প্রান্তে চলমান অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে এমন স্থবিরতা নতুন নয়। কিন্তু একটি সেতুর কাজ বন্ধ থাকার মূল্য দিতে হয় হাজারো মানুষকে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতার সংস্কৃতি যদি চলতেই থাকে, তবে উন্নয়ন প্রকল্প মানুষের জীবনে ইতিবাচক বদল আনতে পারবে না। রাষ্ট্রের উন্নয়ন তখনই অর্থবহ হয়, যখন তা মানুষের বাস্তব জীবনকে স্বস্তি দেয়। আলীপুর সেতুর ধীরগতি সেই উন্নয়নের বিপরীত উদাহরণ।

এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহি নিশ্চিত করা। সেতু নির্মাণের কাজের অগ্রগতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। প্রকল্পের সময়সীমা নির্ধারণ করে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার আলীপুরে খাসিয়ামারা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ থমকে আছে প্রায় তিন বছর ধরে। সেতুটি দুই ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষের স্বাভাবিক চলাচলের একমাত্র ভরসা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনা এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালির কারণে সেতুটি এখন ‘অপূর্ণ প্রতিশ্রুতি’র প্রতীক।

এই সেতু ৩০টি গ্রামের মানুষকে উপজেলা সদরের সঙ্গে যুক্ত করার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর আশার আলো দেখা দিয়েছিল। কিন্তু শুরু থেকেই কাজের গতি ছিল অত্যন্ত মন্থর, যা শেষ পর্যন্ত স্থবিরতায় গিয়ে ঠেকেছে। সেতু না হওয়ায় স্থানীয়রা প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিয়মিত কিছু দিন কাজ করে, আবার বেশ কয়েক মাস বিরতি দেয়। ঠিকাদারের অবহেলার কারণে সেতুটির এই দুর্দশা। এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বলছেন বটে, “দ্রুত কাজ শুরু হবে”, কিন্তু অতীতের অভিজ্ঞতা তেমন ভরসা জোগায় না।

দেশের নানা প্রান্তে চলমান অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে এমন স্থবিরতা নতুন নয়। কিন্তু একটি সেতুর কাজ বন্ধ থাকার মূল্য দিতে হয় হাজারো মানুষকে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতার সংস্কৃতি যদি চলতেই থাকে, তবে উন্নয়ন প্রকল্প মানুষের জীবনে ইতিবাচক বদল আনতে পারবে না। রাষ্ট্রের উন্নয়ন তখনই অর্থবহ হয়, যখন তা মানুষের বাস্তব জীবনকে স্বস্তি দেয়। আলীপুর সেতুর ধীরগতি সেই উন্নয়নের বিপরীত উদাহরণ।

এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহি নিশ্চিত করা। সেতু নির্মাণের কাজের অগ্রগতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। প্রকল্পের সময়সীমা নির্ধারণ করে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

back to top