alt

মুক্ত আলোচনা

নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ই-কমার্স প্রতারণারোধ করতে চাইছে সরকার

জাহিদুর রহমান

: বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২

দেশে ভুঁইফোড়ের মতো নামে-বেনামে শতশত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও কার্যত এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর কোনো তদারকি নেই সরকারের। বিভিন্ন সংস্থা বিচ্ছিন্নভাবে কিছু তদারকি করলেও নেই সমন্বিত উদ্যোগ। একদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠনে কমিটি করে দিয়েছে, যে কমিটির কাজ শেষ হতে না হতেই আবার মন্ত্রিপরিষদ থেকে করে দেওয়া হয়েছে আরেক কমিটি। মন্ত্রীরা মিটিং করে বলছেন, টাকা ফেরত দেওয়া হবে; অপরদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মতামত দিচ্ছেন মামলার কারণে আটকে থাকা অর্থ ফেরত দেওয়া যাবে না। সব মিলিয়ে দেশের ই-কমার্স খাত কোন পথে যাচ্ছে কেউ বলতে পারছে না। প্রতারিত ভোক্তারা টাকা ফেরত পাবেন কি না সে নিশ্চয়তাও দিতে পারছেন না কেউ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা রক্ষায় করণীয় নির্ধারণে কাজ করছে একাধিক কমিটি। প্রতারণা ও গ্রাহক ঠকানোর ঘটনায় টালমাটাল ই-কমার্স খাতে সুশাসন আনার চেষ্টায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নবগঠিত ই-কমার্স সেল পুনর্গঠন করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দফায় দফায় মিটিং করছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীগণ। এমনকি ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তার টাকা ফেরত দিতে করণীয় নির্ধারণে সর্বশেষ মন্ত্রিপরিষদে থেকেও একটি শক্তিশালী কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। আদালত থেকেও সময় সময় নির্দেশনা ও সরকারের করণীয় জানতে চাওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি ই-কমার্স নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কারিগরি কমিটির কার্যক্রম জানতে চেয়ে আদেশ দেন আদালত।

ই-কমার্স খাতে তদারকির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের অর্থ ফেরতে করণীয় নির্ধারণে গত অক্টোবর মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানকে প্রধান করে কমিটি করে দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ওই কমিটিকে টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার পাশাপাশি দুই মাসের মধ্যে একটি আইনের খসড়া করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কমিটি তদারকির বিষয়ে বিভিন্ন সুপারিশ জমা দিলেও অর্থ ফেরতের বিষয়ে কোনো করণীয় জানাতে পারেনি। ফলে ই-কমার্সের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক টাকা ফেরত পাবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে।

সফিকুজ্জামান তখন বলেছিলেন, ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে মতামত পাওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। আর টাকা ফেরতের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আপত্তি আছে। যেহেতু কিছু গ্রাহক অর্থ উদ্ধারে আদালতে মামলা করেছেন, সেই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত টাকা ফেরত দেওয়া উচিত হবে না বলে মনে করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সূত্রগুলো জানায়, ই-ভ্যালি কান্ডের পর একের পর এক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণার তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকে। ই-অরেঞ্জ, কিউকম, আলেশাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা গ্রাহকদের লোভের ফাঁদে ফেলে শতশত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে গত ২৫ অক্টোবর তিন মন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, ই-কমার্সে ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তাদের ২১৪ কোটি টাকা আমানত এসক্রো সার্ভিসে আটকে আছে। এই টাকা তিন মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়া হবে। মন্ত্রিপরিষদ কমিটির প্রধান জানান, টাকা ফেরত ছাড়াও তাদের আরো কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেসব বিষয়ে তারা সুপারিশ জমা দিয়েছেন। যেমন, ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধন নিতে হবে; প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর নিতে হবে; ক্রেতা আকর্ষণে লটারি ও লোভনীয় অফার দেওয়ার সুযোগ দেওয়া যাবে না। ই-কমার্স পণ্যের মডেল হতে হলে তারকাদের সরকারি অনুমোদন নিতে হবে। এছাড়া ই-কমার্সগুলোর জন্য সেন্ট্রাল লগ ইন, চ্যাটিং প্ল্যাটফরম তৈরির পাশাপাশি অনলাইন সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরি করার সুপারিশও রয়েছে। ই-কমার্স নিয়ে তিন মন্ত্রীর বৈঠক শেষে এই খাতের শৃঙ্খলা আনতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও শাখার মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমানকে প্রধান করে আরেকটি কমিটি করা হয়েছিল। ওই কমিটির কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে হাফিজুর রহমান বলেন, তিন মন্ত্রীর সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের কমিটির কার্যক্রম প্রায় শেষের পথে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে তদারকির আওতায় আনতে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন নেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করেছি। এখন এই রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ কারা হবে সেটি নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। এক্ষেত্রে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস (আরজেএসসি) থেকে নিবন্ধন নেওয়ার সুপারিশ করা হতে পারে। এছাড়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো কমপ্লায়েন্স পালন করছে কি না সেটি মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেওয়ার সুপারিশ করা হবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে।

ই-কমার্স নিয়ে সরকারের এসব কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে দেশের আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি যেগুলো রয়েছে, সমন্বিতভাবে তাদের মনিটরিং চালাতে পারলে ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুব কঠিন কিছু নয়। তিনি বলেন, এই যে গ্রাহকের শত শত কোটি টাকা নাই হয়ে গেছে, ই-কমার্স নিয়ে একের পর এক যে প্রতারণার ঘটনা ঘটছে, মূলত সঠিক মনিটরিংয়ের অভাবে এটি ঘটেছে। প্রাতিষ্ঠানিক তদরকির ক্ষেত্রে দুর্বল তা যেমন রয়েছে, তেমনি ক্রেতার লোভও একটি বড়ো কারণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আরো বলেন, যে-কোনো খাতকে সামাল দেওয়ার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট বা স্বতন্ত্র কর্তৃপক্ষ দরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ ধরনের একটি কর্তৃপক্ষ করার কথা থাকলেও সেটি হয়নি। এছাড়া ভোক্তার ক্ষয়ক্ষতি দেখার জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আছে, তারা কতটা মনিটরিং করেছে সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। কোনো পণ্যের দাম যেমন অযৌক্তিক বাড়ানোর সুযোগ নেই, তেমনি খুব বেশি কমানোর সুযোগও নেই। ই-কমার্সে যখন ৬০ হাজার টাকার ফ্রিজ ৩০ হাজারে দিচ্ছিল তখন প্রতিযোগিতা কমিশনের উচিত ছিল এ বিষয়গুলোতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার। এছাড়া ই-কমার্স ওয়ালেট চালু করতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হয়। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ও মনিটরিংয়ের সুযোগ আছে। ভারতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর ভ্যাট ট্যাক্সের নিবন্ধন নিতে হয়; বাংলাদেশে সে সুযোগ থাকলে সরকারের রাজস্ব আদায়কারী সংস্থাগুলোও মনিটরিং করতে পারত।

এদিকে, আগামী ১৫ দিন থেকে এক মাসের মধ্যে সময়সীমা ধরে দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করা হতে পারে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

সচিবালয়ে ই-কমার্স-সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এইচ এম সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ইউনিক বিজনেস আইডি, এরই মধ্যে আমাদের একটি কমিটি ফাইনাল করেছে। আজকে এটা প্রেজেন্ট করা হয়েছে, সেটার প্রাইমারি অ্যাপ্রুভাল আমরা দিয়েছি। এটুআই এটি ডিজিটাল করে দেবে। যারা ই-কমার্স ব্যবসা করবে তাদের আবশ্যিকভাবে নিবন্ধন করা হবে। খুব শিগ্গিরই এটা আমরা খুলে দেব এবং এটা অনলাইনেই করা যাবে। আমরা আশা করছি, ১৫ দিন বা এক মাসের মধ্যে নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করতে পারব। প্রধানমন্ত্রী যে অনুশাসন দিয়েছেন, আমরা মনে করি, দুই মাসের মধ্যেই ইউনিক আইডির বিষয়ে আমরা সাড়া পাব।

এ সময় তিনটি গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে ই-কমার্স খাতের অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের একটি তালিকা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকাটা বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে পেয়েছি। তিন সংস্থা থেকে তিনটি সংখ্যার তালিকা পেয়েছি। একটি থেকে ১৯টি, আরেকটি থেকে ১৭টি আর অন্য একটি থেকে ১৩টির তালিকা পেয়েছি। তালিকাগুলো কম্পাইল করে যে ইন্টেলিজেন্স ইউনিট আছে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান সফিকুজ্জামান।

তবে কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম আপাতত বলেননি সফিকুজ্জামান। এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম আমরা আপাতত গোপন রাখতে চাইছি। কারণ প্রতিষ্ঠানগুলো অভিযুক্ত না হলে তাদের ব্যবসায়ের ওপর প্রভাব পড়বে। ই-ভ্যালি বা যেগুলো প্রচার হয়েছে সেগুলোর নাম এখানে আছে।

দেশে ই-কমার্স খাত কীভাবে পরিচালনা করা যায়, নিবন্ধন গ্রহণের প্রক্রিয়া কেমন হবে এবং তাদের লাইসেন্সপ্রাপ্তির পদ্ধতি বা যোগ্যতা কী হবে তা নির্ধারণে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

গত ১৮ অক্টোবর এই কমিটি প্রথম বৈঠক বসে। এতে এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক, আইসিটি ডিভিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, ই-ক্যাব সদস্যসহ ১৫টি মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিভাগ, সংস্থার ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের প্রক্রিয়া কেমন হবে তা নির্ধারণসহ অন্যান্য কর্মকৌশল আগামী এক মাসের মধ্যে জানানো হবে।

প্রধানমন্ত্রী যে অনুশাসন দিয়েছেন, আমরা মনে করি দুই মাসের মধ্যেই ইউনিক আইডির বিষয়ে আমরা সাড়া পাব।

এদিকে, এসবের মধ্যেই আলিবাবার সহযোগী প্রতিষ্ঠান দারাজ তাদের অ্যাপসে বাংলাদেশে নভেম্বরে ১১/১১ ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে এক টাকার গেমের নামে গাড়ি, মোটরসাইকেল, স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ফাইভ স্টার হোটেল বুকিং ইত্যাদি কুইজ ও লটারির সুযোগ দিয়েছে গ্রাহকদের। এখানেও তারকা ক্রিকেটার সাকিব, মুশফিক, সৌম্য সরকার- তাদের দিয়ে প্রচারণা চালিয়েছে দারাজ। এই বিষয়ে দারাজকে তলব করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের প্রক্রিয়া কেমন হবে, সেটার থেকে বড়ো বিষয় তারা যদি অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের এর পরেও সংশোধন না করে, তাহলে নিবন্ধনের প্রক্রিয়ার মতো ভালো উদ্যোগ সফল হবে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, অতীতের এমএলএম কোম্পানি যুবক, ডেসটিনির মতো ই-কমার্স খাতেরও যেন একই পরিণতি না হয়।

[লেখক: মানবাধিকারকর্মী]

সৌজন্যে: আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)

মুজিবনগরে স্বাধীনতার সূর্যোদয়

বঙ্গাব্দ প্রচলনের ইতিকথা

পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব

কেউতো অপেক্ষায় নেই

ফরগেট মি নট

ছবি

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বীমা শিল্পের গুরুত্ব

একুশে ফেব্রুয়ারি আত্মপরিচয়ের দিন

দিদি, আপা, “বু” খালা

হিজল-করচ-আড়াংবন

ছবি

শেখ হাসিনা, এক উৎসারিত আলোকধারা

মনমাঝি

সেই ইটনা

ছবি

আংকর ওয়াট : উন্নত সভ্যতার স্মৃতিচিহ্ন যেখানে

নিয়ত ও নিয়তি

হারিয়ে যাওয়া ট্রেন

টম সয়ার না রবিনহুড

ছবি

‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে, আমরা আছি তোমার সাথে’

বাংলাদেশ-জাপান সহযোগিতা স্মারক: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনন্য মাইলফলক

রাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশনের পরিবর্তন আশু প্রয়োজন

কুয়েতের জীবনযাত্রার সাতকাহন: পর্ব-১-বিয়ে

বিবেকের লড়াই

ছবি

ছবি যেন শুধু ছবি নয়

বাত ব্যথার কারণ ও আধুনিক চিকিৎসা

ছবি

স্বাধীন স্বদেশে মুক্ত বঙ্গবন্ধু

ছবি

মহান নেতার স্বভূমিতে ফিরে আসা

ছবি

মেট্রোরেল : প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তার ফসল

ছবি

আমার মা

ডিজিটাল বাংলাদেশ: প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি

ছবি

৩ নভেম্বর: ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের ধারাবাহিকতা

দেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক দ্বিতীয় অধ্যায়

এইচ এস সি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের অনুশীলন

ছবি

ত্রিশ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

শিল্প কারখানার পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় এনভায়রনমেন্টাল ইন্জিনিয়ারিং

অসুর: এক পরাজিত বিপ্লবী

অসুর জাতির ইতিহাস

tab

মুক্ত আলোচনা

নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ই-কমার্স প্রতারণারোধ করতে চাইছে সরকার

জাহিদুর রহমান

বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২

দেশে ভুঁইফোড়ের মতো নামে-বেনামে শতশত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও কার্যত এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর কোনো তদারকি নেই সরকারের। বিভিন্ন সংস্থা বিচ্ছিন্নভাবে কিছু তদারকি করলেও নেই সমন্বিত উদ্যোগ। একদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠনে কমিটি করে দিয়েছে, যে কমিটির কাজ শেষ হতে না হতেই আবার মন্ত্রিপরিষদ থেকে করে দেওয়া হয়েছে আরেক কমিটি। মন্ত্রীরা মিটিং করে বলছেন, টাকা ফেরত দেওয়া হবে; অপরদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মতামত দিচ্ছেন মামলার কারণে আটকে থাকা অর্থ ফেরত দেওয়া যাবে না। সব মিলিয়ে দেশের ই-কমার্স খাত কোন পথে যাচ্ছে কেউ বলতে পারছে না। প্রতারিত ভোক্তারা টাকা ফেরত পাবেন কি না সে নিশ্চয়তাও দিতে পারছেন না কেউ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা রক্ষায় করণীয় নির্ধারণে কাজ করছে একাধিক কমিটি। প্রতারণা ও গ্রাহক ঠকানোর ঘটনায় টালমাটাল ই-কমার্স খাতে সুশাসন আনার চেষ্টায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নবগঠিত ই-কমার্স সেল পুনর্গঠন করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দফায় দফায় মিটিং করছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীগণ। এমনকি ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তার টাকা ফেরত দিতে করণীয় নির্ধারণে সর্বশেষ মন্ত্রিপরিষদে থেকেও একটি শক্তিশালী কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। আদালত থেকেও সময় সময় নির্দেশনা ও সরকারের করণীয় জানতে চাওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি ই-কমার্স নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কারিগরি কমিটির কার্যক্রম জানতে চেয়ে আদেশ দেন আদালত।

ই-কমার্স খাতে তদারকির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের অর্থ ফেরতে করণীয় নির্ধারণে গত অক্টোবর মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানকে প্রধান করে কমিটি করে দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ওই কমিটিকে টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার পাশাপাশি দুই মাসের মধ্যে একটি আইনের খসড়া করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কমিটি তদারকির বিষয়ে বিভিন্ন সুপারিশ জমা দিলেও অর্থ ফেরতের বিষয়ে কোনো করণীয় জানাতে পারেনি। ফলে ই-কমার্সের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক টাকা ফেরত পাবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে।

সফিকুজ্জামান তখন বলেছিলেন, ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে মতামত পাওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। আর টাকা ফেরতের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আপত্তি আছে। যেহেতু কিছু গ্রাহক অর্থ উদ্ধারে আদালতে মামলা করেছেন, সেই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত টাকা ফেরত দেওয়া উচিত হবে না বলে মনে করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সূত্রগুলো জানায়, ই-ভ্যালি কান্ডের পর একের পর এক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণার তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকে। ই-অরেঞ্জ, কিউকম, আলেশাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা গ্রাহকদের লোভের ফাঁদে ফেলে শতশত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে গত ২৫ অক্টোবর তিন মন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, ই-কমার্সে ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তাদের ২১৪ কোটি টাকা আমানত এসক্রো সার্ভিসে আটকে আছে। এই টাকা তিন মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়া হবে। মন্ত্রিপরিষদ কমিটির প্রধান জানান, টাকা ফেরত ছাড়াও তাদের আরো কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেসব বিষয়ে তারা সুপারিশ জমা দিয়েছেন। যেমন, ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধন নিতে হবে; প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর নিতে হবে; ক্রেতা আকর্ষণে লটারি ও লোভনীয় অফার দেওয়ার সুযোগ দেওয়া যাবে না। ই-কমার্স পণ্যের মডেল হতে হলে তারকাদের সরকারি অনুমোদন নিতে হবে। এছাড়া ই-কমার্সগুলোর জন্য সেন্ট্রাল লগ ইন, চ্যাটিং প্ল্যাটফরম তৈরির পাশাপাশি অনলাইন সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরি করার সুপারিশও রয়েছে। ই-কমার্স নিয়ে তিন মন্ত্রীর বৈঠক শেষে এই খাতের শৃঙ্খলা আনতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও শাখার মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমানকে প্রধান করে আরেকটি কমিটি করা হয়েছিল। ওই কমিটির কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে হাফিজুর রহমান বলেন, তিন মন্ত্রীর সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের কমিটির কার্যক্রম প্রায় শেষের পথে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে তদারকির আওতায় আনতে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন নেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করেছি। এখন এই রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ কারা হবে সেটি নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। এক্ষেত্রে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস (আরজেএসসি) থেকে নিবন্ধন নেওয়ার সুপারিশ করা হতে পারে। এছাড়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো কমপ্লায়েন্স পালন করছে কি না সেটি মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেওয়ার সুপারিশ করা হবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে।

ই-কমার্স নিয়ে সরকারের এসব কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে দেশের আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি যেগুলো রয়েছে, সমন্বিতভাবে তাদের মনিটরিং চালাতে পারলে ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুব কঠিন কিছু নয়। তিনি বলেন, এই যে গ্রাহকের শত শত কোটি টাকা নাই হয়ে গেছে, ই-কমার্স নিয়ে একের পর এক যে প্রতারণার ঘটনা ঘটছে, মূলত সঠিক মনিটরিংয়ের অভাবে এটি ঘটেছে। প্রাতিষ্ঠানিক তদরকির ক্ষেত্রে দুর্বল তা যেমন রয়েছে, তেমনি ক্রেতার লোভও একটি বড়ো কারণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আরো বলেন, যে-কোনো খাতকে সামাল দেওয়ার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট বা স্বতন্ত্র কর্তৃপক্ষ দরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ ধরনের একটি কর্তৃপক্ষ করার কথা থাকলেও সেটি হয়নি। এছাড়া ভোক্তার ক্ষয়ক্ষতি দেখার জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আছে, তারা কতটা মনিটরিং করেছে সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। কোনো পণ্যের দাম যেমন অযৌক্তিক বাড়ানোর সুযোগ নেই, তেমনি খুব বেশি কমানোর সুযোগও নেই। ই-কমার্সে যখন ৬০ হাজার টাকার ফ্রিজ ৩০ হাজারে দিচ্ছিল তখন প্রতিযোগিতা কমিশনের উচিত ছিল এ বিষয়গুলোতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার। এছাড়া ই-কমার্স ওয়ালেট চালু করতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হয়। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ও মনিটরিংয়ের সুযোগ আছে। ভারতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর ভ্যাট ট্যাক্সের নিবন্ধন নিতে হয়; বাংলাদেশে সে সুযোগ থাকলে সরকারের রাজস্ব আদায়কারী সংস্থাগুলোও মনিটরিং করতে পারত।

এদিকে, আগামী ১৫ দিন থেকে এক মাসের মধ্যে সময়সীমা ধরে দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করা হতে পারে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

সচিবালয়ে ই-কমার্স-সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এইচ এম সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ইউনিক বিজনেস আইডি, এরই মধ্যে আমাদের একটি কমিটি ফাইনাল করেছে। আজকে এটা প্রেজেন্ট করা হয়েছে, সেটার প্রাইমারি অ্যাপ্রুভাল আমরা দিয়েছি। এটুআই এটি ডিজিটাল করে দেবে। যারা ই-কমার্স ব্যবসা করবে তাদের আবশ্যিকভাবে নিবন্ধন করা হবে। খুব শিগ্গিরই এটা আমরা খুলে দেব এবং এটা অনলাইনেই করা যাবে। আমরা আশা করছি, ১৫ দিন বা এক মাসের মধ্যে নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করতে পারব। প্রধানমন্ত্রী যে অনুশাসন দিয়েছেন, আমরা মনে করি, দুই মাসের মধ্যেই ইউনিক আইডির বিষয়ে আমরা সাড়া পাব।

এ সময় তিনটি গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে ই-কমার্স খাতের অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের একটি তালিকা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকাটা বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে পেয়েছি। তিন সংস্থা থেকে তিনটি সংখ্যার তালিকা পেয়েছি। একটি থেকে ১৯টি, আরেকটি থেকে ১৭টি আর অন্য একটি থেকে ১৩টির তালিকা পেয়েছি। তালিকাগুলো কম্পাইল করে যে ইন্টেলিজেন্স ইউনিট আছে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান সফিকুজ্জামান।

তবে কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম আপাতত বলেননি সফিকুজ্জামান। এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম আমরা আপাতত গোপন রাখতে চাইছি। কারণ প্রতিষ্ঠানগুলো অভিযুক্ত না হলে তাদের ব্যবসায়ের ওপর প্রভাব পড়বে। ই-ভ্যালি বা যেগুলো প্রচার হয়েছে সেগুলোর নাম এখানে আছে।

দেশে ই-কমার্স খাত কীভাবে পরিচালনা করা যায়, নিবন্ধন গ্রহণের প্রক্রিয়া কেমন হবে এবং তাদের লাইসেন্সপ্রাপ্তির পদ্ধতি বা যোগ্যতা কী হবে তা নির্ধারণে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

গত ১৮ অক্টোবর এই কমিটি প্রথম বৈঠক বসে। এতে এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক, আইসিটি ডিভিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, ই-ক্যাব সদস্যসহ ১৫টি মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিভাগ, সংস্থার ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের প্রক্রিয়া কেমন হবে তা নির্ধারণসহ অন্যান্য কর্মকৌশল আগামী এক মাসের মধ্যে জানানো হবে।

প্রধানমন্ত্রী যে অনুশাসন দিয়েছেন, আমরা মনে করি দুই মাসের মধ্যেই ইউনিক আইডির বিষয়ে আমরা সাড়া পাব।

এদিকে, এসবের মধ্যেই আলিবাবার সহযোগী প্রতিষ্ঠান দারাজ তাদের অ্যাপসে বাংলাদেশে নভেম্বরে ১১/১১ ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে এক টাকার গেমের নামে গাড়ি, মোটরসাইকেল, স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ফাইভ স্টার হোটেল বুকিং ইত্যাদি কুইজ ও লটারির সুযোগ দিয়েছে গ্রাহকদের। এখানেও তারকা ক্রিকেটার সাকিব, মুশফিক, সৌম্য সরকার- তাদের দিয়ে প্রচারণা চালিয়েছে দারাজ। এই বিষয়ে দারাজকে তলব করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের প্রক্রিয়া কেমন হবে, সেটার থেকে বড়ো বিষয় তারা যদি অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের এর পরেও সংশোধন না করে, তাহলে নিবন্ধনের প্রক্রিয়ার মতো ভালো উদ্যোগ সফল হবে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, অতীতের এমএলএম কোম্পানি যুবক, ডেসটিনির মতো ই-কমার্স খাতেরও যেন একই পরিণতি না হয়।

[লেখক: মানবাধিকারকর্মী]

সৌজন্যে: আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)

back to top