alt

উপ-সম্পাদকীয়

হরিনামের মায়াময় আবেদন

খন রঞ্জন রায়

: শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মহাজাগতিক সত্ত্বার প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ নাম ‘হরি’। তিনি জগতের সব অন্ধকার, ভক্তদের সমস্ত দুঃখ দূর করেন। চূড়ান্ত চিন্তায় তিনি ভক্তদের মায়ার ভিড়ে মিশে যান। মহাভারতের বিষ্ণুর সহস্রনামের ৬৫৬তম নাম হিসাব লৌকিক জীবনে চিত্তাকর্ষক স্মৃতি বিবরণ পাওয়া যায়। হিন্দু ধর্মের স্মৃতি মুদ্রিত অংশে সব দেবদেবীসহ ভূ-ভাগের সমস্ত প্রাণী হরি থেকে অবিচ্ছেদ্য। বেদের যে কোন স্তোত্র আবৃত্তি করার আগে হরিহ ওম(ওঁ) মন্ত্র উচ্চারণ করে আচার নিষ্ঠায় আলাদা গুরুত্ব উপলব্দি করা হয়।

ভগবতগীতা ও মহাভারতের মতো হিন্দু ধর্মের পবিত্র শাস্ত্রে ভগবান হরির একাধিক নাম উল্লেখ পাওয়া যায়। সমগ্রতার মানদন্ডে ভঙ্গি-বিষাদ বিভক্তি বিভোর অনুভবের সমাহারে বিষ্ণু, রমা, নারায়ণ, কৃষ্ণ, মাধব, দামোদর, গোপাল, গোবিন্দ নামে চিহ্নিত করায় যায়। চন্দ্র, সূর্য, বায়ু, পানি, জগৎ, যম, বানর, ময়ূর, সাপ, ব্যাঙ, বর্ণ, প্রার্থনা, ধ্বনি, কিরণের মতো বৈচিত্র্যযুক্ত নামও বিমোহিত বিস্ময়ে উপলব্ধি করা হয়। ব্রহ্মান্ড পুরাণ, পদ্মপুরাণ ও রাধাতন্ত্রে ‘হরে’ বিশেষ মর্যাদাপ্রাপ্ত। হরে, কৃষ্ণ, রাম এই তিন গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়। গৌড়ীয় বৈষ্ণব প্রথা অনুসারে কলিযুগের সব মানুষের যাবতীয় কুপ্রভাব থেকে হরেকৃষ্ণ মন্ত্র উচ্চারণকারী ও শ্রোতাকে মুক্তি দান করে।

খ্রিস্টিয় ১৬শ শতাব্দীর শুরুতে ভক্তি আন্দোলনের বিমূর্ত পথের যাত্রি ‘চৈতন্য মহাপ্রভু’। সারা ভারতের নগরে ও গ্রামে দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার কাছে এই মহামন্ত্র জনপ্রিয় করে তোলেন। হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্রকে পরম মমতায় জপ করে জড়জগৎ থেকে মুক্তি পেয়ে পারমার্থিক ধামে প্রত্যার্পণের একমাত্র পন্থা হিসেবে তিনিই লোক সমাজে তুলে আনেন।

ভগবত পুরাণের আর্দশকে মনের মণিকোঠায় স্থান দিয়ে মানুষের মঙ্গলার্থে হরেকৃষ্ণ নাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ পৃথিবীব্যাপী প্রচার করতে থাকেন। ১৯৭২ সালে আমেরিকার ডালাসে গুরুকুল বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে বৈদিক শিক্ষাব্যবস্থার প্রচলন করেন। মাত্র তিনজন ছাত্র নিয়ে জীবনদর্শনের পথরেখা সৃষ্টি এই বিদ্যালয় এখন সারা পৃথিবীতে ১৫টি। ছাত্র সংখ্যা সহস্রাধিক। নিউইয়র্কের টমকিনস স্কয়ার পার্ক থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট, নেশায় দিশাহীন যথেচ্ছচারে অভ্যস্ত যুবক যুবতীদের হরিনামের অমৃতময় শুধা বিতরণে সফল হয়েছিলেন। বাংলা সাহিত্যের অনন্য গ্রন্থ ‘শ্রীল কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী’ রচিত ‘শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত’ ইংরেজি ভাষায় রূপান্তর করে প্রাশ্চাত্যবাসীদের বাংলা ভাষা শিক্ষায় উদ্ধুদ্ধ করেন। শ্রীচৈতন্যদেবের অহিংস নীতি, আনন্দময় জীবনাচারণ শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ, ধনী-দরিদ্র, জাতি-ধর্ম-বর্ণ, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই যেন যুক্ত হতে পারে সেজন্য দিকদর্শন তৈরি করেন। খুব অল্প সময়ে দার্শনিক, বিজ্ঞানী, বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ বৈদিক দর্শন ও সংস্কৃতিকে মনেপ্রাণে গ্রহণ করে।

তৎকালীন জনপ্রিয় ব্যান্ড বিটলসের স্বনামখ্যাত তারকা জর্জ হ্যারিসন, ফোর্ড কোম্পানির উত্তরাধিকারী আলফ্রেড ফোর্ড, জাহৃবী হ্যারিসন, হেমা মালিনীসহ অনেকেই হরিনাম আদর্শের অনুসারী হয়। প্রভুপাদের প্রতি কৃতজ্ঞতাবশত জর্জ হ্যারিসনের লন্ডনের বিশালবাড়ি ভক্তিবেদান্ত মেনরে পরিণত করে আধ্যাত্মিক অনুশীলনের জন্য দান করে দেন। প্রভুপাদের বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতায় সভ্যতার ক্ষতিকর পরিবেশ সংরক্ষণে নিশ্চুপ ও নিঃশব্দ থাকেননি। যুক্তরাজ্যের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার সুবিস্তৃত ভূমিতে ‘নব বৃন্দাবন’ নামে ইকোভিলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৭ সালে জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউএনডব্লিউওটিএ ইসকনের এই ইকোভিলেজকে বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করে। বৈদিক সমাজের এই প্রতীককে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়।

ইসকন ভক্তরা বিশ্বাস করে মানুষ আকাশ কিংবা গুহাচারী নয়, কলিযুগের মানুষের যুগধর্ম হচ্ছে ‘হরিনাম সংকীর্তন’ বৃহনাœরদীয় পুরাণ, কালিসম্ভারণ উপনিষদসহ সব ধর্মীয় আদি গ্রন্থসমূহে মানুষের দানবীয় আচরণকলুষিত হৃদয়কে মার্জন করে চিন্ময় স্বরূপে রূপান্তর করতে হরিনাম কীর্তন ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই বলে বারবার বলা হয়েছে। সব বৈদিক শাস্ত্রেই স্বীকৃতি দিয়েছে হরিনাম শুধু হিন্দুদের জন্য নয়। বিশ্বের সব প্রাণীর জন্য। অস্থির মনকে শুদ্ধ ও প্রসন্ন করতে পৃথিবীর ১৫৬টি দেশে ১৭ সেপ্টেম্বর একযোগে রাস্তায় নেমে বিশ্ব হরিনাম দিবসের সংকীর্তনে বিশ্ব মাতাবে, মেতে উঠবে বিশ্ব।

সবাইকে হরিনাম দিবসের কৃষ্ণসুধাময় স্বাত্মিক শুভেচ্ছা।

[লেখক: সমাজকর্মী]

বিয়ের কিছু লোকাচার ও অপব্যয় প্রসঙ্গে

ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পকে রক্ষা করুন

তরুণদের দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্ভব

শিশুমৃত্যু রোধে করণীয় কী

সিগমুন্ড ফ্রয়েড ও মনঃসমীক্ষণ

ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ও বাস্তবতা

স্বামী কিংবা স্ত্রীর পরবর্তী বিয়ের আইনি প্রতিকার ও বাস্তবতা

তথ্য-উপাত্তের গরমিলে বাজারে অস্থিরতা, অর্থনীতিতে বিভ্রান্তি

দেশে অফশোর ব্যাংকিংয়ের গুরুত্ব

ইরানে কট্টরপন্থার সাময়িক পরাজয়

পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থার ভবিষ্যৎ কী

ক্ষমতার সাতকাহন

জলবায়ু সংকট : আমাদের উপলব্ধি

নারী-পুরুষ চুড়ি পরি, দেশের অন্যায় দূর করি!

ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার সবার

ছবি

সাধারণ মানুষেরা বড় অসাধারণ

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও কারিগরি শিক্ষা

মাদক রুখতে গড়ে তুলতে হবে সামাজিক প্রতিরোধ

পারিবারিক অপরাধপ্রবণতা ও কয়েকটি প্রশ্ন

ডারউইনকে খুঁজে পেয়েছি

চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ফসল উৎপাদন করা জরুরি

পিএসসি প্রশ্নফাঁসের দায় এড়াবে কীভাবে

এত উন্নয়নের পরও বাসযোগ্যতায় কেন পিছিয়েই থাকছে ঢাকা

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য কি কেউ নেই?

জলবায়ু রক্ষায় কাজের কাজ কি কিছু হচ্ছে

অধরার হাতে সমর্পিত ক্ষমতা

প্রসঙ্গ : কোটাবিরোধী আন্দোলন

রম্যগদ্য : যে করিবে চালাকি, বুঝিবে তার জ্বালা কী

একটি মিথ্যা ধর্ষণ মামলার পরিণতি

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা কেন শ্রেণীকক্ষের বাইরে

মেধা নিয়ে কম মেধাবীর ভাবনা

প্রজাতন্ত্রের সেবক কেন ফ্রাঙ্কেনস্টাইন বনে যান

ছবি

বাইডেন কি দলে বোঝা হয়ে যাচ্ছেন?

ছবি

দুই যুগের পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

সাপ উপকারী প্রাণীও বটে!

ছবি

বাস্তববাদী রাজনীতিক জ্যোতি বসু

tab

উপ-সম্পাদকীয়

হরিনামের মায়াময় আবেদন

খন রঞ্জন রায়

শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মহাজাগতিক সত্ত্বার প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ নাম ‘হরি’। তিনি জগতের সব অন্ধকার, ভক্তদের সমস্ত দুঃখ দূর করেন। চূড়ান্ত চিন্তায় তিনি ভক্তদের মায়ার ভিড়ে মিশে যান। মহাভারতের বিষ্ণুর সহস্রনামের ৬৫৬তম নাম হিসাব লৌকিক জীবনে চিত্তাকর্ষক স্মৃতি বিবরণ পাওয়া যায়। হিন্দু ধর্মের স্মৃতি মুদ্রিত অংশে সব দেবদেবীসহ ভূ-ভাগের সমস্ত প্রাণী হরি থেকে অবিচ্ছেদ্য। বেদের যে কোন স্তোত্র আবৃত্তি করার আগে হরিহ ওম(ওঁ) মন্ত্র উচ্চারণ করে আচার নিষ্ঠায় আলাদা গুরুত্ব উপলব্দি করা হয়।

ভগবতগীতা ও মহাভারতের মতো হিন্দু ধর্মের পবিত্র শাস্ত্রে ভগবান হরির একাধিক নাম উল্লেখ পাওয়া যায়। সমগ্রতার মানদন্ডে ভঙ্গি-বিষাদ বিভক্তি বিভোর অনুভবের সমাহারে বিষ্ণু, রমা, নারায়ণ, কৃষ্ণ, মাধব, দামোদর, গোপাল, গোবিন্দ নামে চিহ্নিত করায় যায়। চন্দ্র, সূর্য, বায়ু, পানি, জগৎ, যম, বানর, ময়ূর, সাপ, ব্যাঙ, বর্ণ, প্রার্থনা, ধ্বনি, কিরণের মতো বৈচিত্র্যযুক্ত নামও বিমোহিত বিস্ময়ে উপলব্ধি করা হয়। ব্রহ্মান্ড পুরাণ, পদ্মপুরাণ ও রাধাতন্ত্রে ‘হরে’ বিশেষ মর্যাদাপ্রাপ্ত। হরে, কৃষ্ণ, রাম এই তিন গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়। গৌড়ীয় বৈষ্ণব প্রথা অনুসারে কলিযুগের সব মানুষের যাবতীয় কুপ্রভাব থেকে হরেকৃষ্ণ মন্ত্র উচ্চারণকারী ও শ্রোতাকে মুক্তি দান করে।

খ্রিস্টিয় ১৬শ শতাব্দীর শুরুতে ভক্তি আন্দোলনের বিমূর্ত পথের যাত্রি ‘চৈতন্য মহাপ্রভু’। সারা ভারতের নগরে ও গ্রামে দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার কাছে এই মহামন্ত্র জনপ্রিয় করে তোলেন। হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্রকে পরম মমতায় জপ করে জড়জগৎ থেকে মুক্তি পেয়ে পারমার্থিক ধামে প্রত্যার্পণের একমাত্র পন্থা হিসেবে তিনিই লোক সমাজে তুলে আনেন।

ভগবত পুরাণের আর্দশকে মনের মণিকোঠায় স্থান দিয়ে মানুষের মঙ্গলার্থে হরেকৃষ্ণ নাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ পৃথিবীব্যাপী প্রচার করতে থাকেন। ১৯৭২ সালে আমেরিকার ডালাসে গুরুকুল বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে বৈদিক শিক্ষাব্যবস্থার প্রচলন করেন। মাত্র তিনজন ছাত্র নিয়ে জীবনদর্শনের পথরেখা সৃষ্টি এই বিদ্যালয় এখন সারা পৃথিবীতে ১৫টি। ছাত্র সংখ্যা সহস্রাধিক। নিউইয়র্কের টমকিনস স্কয়ার পার্ক থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট, নেশায় দিশাহীন যথেচ্ছচারে অভ্যস্ত যুবক যুবতীদের হরিনামের অমৃতময় শুধা বিতরণে সফল হয়েছিলেন। বাংলা সাহিত্যের অনন্য গ্রন্থ ‘শ্রীল কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী’ রচিত ‘শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত’ ইংরেজি ভাষায় রূপান্তর করে প্রাশ্চাত্যবাসীদের বাংলা ভাষা শিক্ষায় উদ্ধুদ্ধ করেন। শ্রীচৈতন্যদেবের অহিংস নীতি, আনন্দময় জীবনাচারণ শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ, ধনী-দরিদ্র, জাতি-ধর্ম-বর্ণ, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই যেন যুক্ত হতে পারে সেজন্য দিকদর্শন তৈরি করেন। খুব অল্প সময়ে দার্শনিক, বিজ্ঞানী, বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ বৈদিক দর্শন ও সংস্কৃতিকে মনেপ্রাণে গ্রহণ করে।

তৎকালীন জনপ্রিয় ব্যান্ড বিটলসের স্বনামখ্যাত তারকা জর্জ হ্যারিসন, ফোর্ড কোম্পানির উত্তরাধিকারী আলফ্রেড ফোর্ড, জাহৃবী হ্যারিসন, হেমা মালিনীসহ অনেকেই হরিনাম আদর্শের অনুসারী হয়। প্রভুপাদের প্রতি কৃতজ্ঞতাবশত জর্জ হ্যারিসনের লন্ডনের বিশালবাড়ি ভক্তিবেদান্ত মেনরে পরিণত করে আধ্যাত্মিক অনুশীলনের জন্য দান করে দেন। প্রভুপাদের বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতায় সভ্যতার ক্ষতিকর পরিবেশ সংরক্ষণে নিশ্চুপ ও নিঃশব্দ থাকেননি। যুক্তরাজ্যের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার সুবিস্তৃত ভূমিতে ‘নব বৃন্দাবন’ নামে ইকোভিলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৭ সালে জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউএনডব্লিউওটিএ ইসকনের এই ইকোভিলেজকে বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করে। বৈদিক সমাজের এই প্রতীককে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়।

ইসকন ভক্তরা বিশ্বাস করে মানুষ আকাশ কিংবা গুহাচারী নয়, কলিযুগের মানুষের যুগধর্ম হচ্ছে ‘হরিনাম সংকীর্তন’ বৃহনাœরদীয় পুরাণ, কালিসম্ভারণ উপনিষদসহ সব ধর্মীয় আদি গ্রন্থসমূহে মানুষের দানবীয় আচরণকলুষিত হৃদয়কে মার্জন করে চিন্ময় স্বরূপে রূপান্তর করতে হরিনাম কীর্তন ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই বলে বারবার বলা হয়েছে। সব বৈদিক শাস্ত্রেই স্বীকৃতি দিয়েছে হরিনাম শুধু হিন্দুদের জন্য নয়। বিশ্বের সব প্রাণীর জন্য। অস্থির মনকে শুদ্ধ ও প্রসন্ন করতে পৃথিবীর ১৫৬টি দেশে ১৭ সেপ্টেম্বর একযোগে রাস্তায় নেমে বিশ্ব হরিনাম দিবসের সংকীর্তনে বিশ্ব মাতাবে, মেতে উঠবে বিশ্ব।

সবাইকে হরিনাম দিবসের কৃষ্ণসুধাময় স্বাত্মিক শুভেচ্ছা।

[লেখক: সমাজকর্মী]

back to top