alt

উপ-সম্পাদকীয়

কমিশন কিংবা ভিজিটে জমি রেজিস্ট্রির আইনি বিধান ও প্রাসঙ্গিকতা

সিরাজ প্রামাণিক

: শনিবার, ০৬ এপ্রিল ২০২৪

আপনি ঘরে বসে কিংবা জেলখানায় আটক থেকেও জমি বিক্রি এবং রেজিস্ট্রি করে দিতে পারবেন। আপনি যদি রেজিস্ট্রি অফিসে যেতে অক্ষম বা অপারগ হন কিংবা নিরাপত্তার অভাব অনুভব করেন, আপনি যদি পর্দানশীল মহিলা হন, কিংবা দেয়ানী বা ফৌজদারি কার্যবিধির অধীন কারাগারে আটক থাকেন তাহলে কমিশনের মাধ্যমে আপনি বাসায় বসে জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে পারেন।

আপনি স্বশরীরে সাবরেজিস্ট্রি অফিসে আসতে অপারগতার কারণে ১৯০৮ সালের রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট-এর ৩৮ (১) ধারা মতে, দলিল সম্পাদন স্বীকারোক্তি গ্রহণের জন্য কমিশনের প্রার্থনা করে সাবরেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন করে আপনার আবাসস্থলে নিয়ে গিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করিয়ে দিতে পারবেন।

এরূপ আবেদনের ভিত্তিতে সাবরেজিস্ট্রার নিজে বা তার পাঠানো প্রতিনিধি দলিল দাতার বাসস্থানে গিয়ে সম্পাদন স্বীকারোক্তি গ্রহণের মাধ্যমে দলিল রেজিস্ট্রি করার ব্যবস্থা করে থাকেন। এজন্য আলাদা কমিশন ফিস জমা দিতে হয়। এ বিষয়ে রেজিস্ট্রেশন বিধিমালা ৩৫ বিধিতে কমিশনে জমি রেজিস্ট্রিতে কে যাবেন, কী কাজ করবেনÑ সে বিষয়ে বিস্তারিত বলা আছে। কমিশন ফিস বিষয়ে পর্দানশীল মহিলার ক্ষেত্রে ২০০ টাকা এবং অন্যদের ক্ষেত্রে মাত্র ১০০ টাকা গ্রহণের কথা বলা আছে। এর সঙ্গে যানবাহন খরচ ও অন্যান্য খরচের কথা আলাদা করে বলা আছে; কিন্তু বাস্তবে রেজিস্ট্রেশন বিধিমালা ও ফিস উপেক্ষা করে অনেক বেশি টাকা নিয়ে কমিশনে জমি রেজিস্ট্রি করে থাকেন।

মনে রাখবেন, শুধু কমিশনে নয়, ভিজিটেও দলিল রেজিস্ট্রি করা যায়। দলিলদাতা এবং দলিল গ্রহীতা উভয়ের কেউই যদি রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে দলিল দাখিল করতে না পারেন, সেক্ষেত্রে ১৯০৮ সালের রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট-এর ৩১ ধারা মতে, দলিলদাতার বাড়িতে গিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করে দেয়ার জন্য রেজিস্ট্রি অফিসে আবেদন করা যাবে।

কমিশন বা ভিজিটের জন্য আবেদন করা হলে রেজিস্ট্রারিং অফিসার দাতার সম্পাদন স্বীকারোক্তি দলিলে লিখে দলিলটি রেজিস্ট্রির ব্যবস্থা করবেন। রেজিস্ট্রারিং অফিসার নিজে যেতে না পারলে তার অফিসের যে কোন অফিসার বা বেতনভোগী কর্মচারীকে দিয়ে তার কমিশন জারি করতে পারবেন। ভিজিটের জন্য আবেদন করলে ভিজিট ফি সঙ্গে জমা দিতে হবে। কত টাকা ভিজিট ফিস এ বিষয়ে রেজিস্ট্রেশন বিধিমালা ৩২-এ বলা আছে। ১৯০৮ সালের রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট-এর ৩১ ধারার বিধান অনুযায়ী যদি কোন কর্মকর্তাকে কোন ব্যক্তির আবাসস্থলে গমন করতে হয়, তাহলে তার প্রদেয় ভিজিট ফিস মাত্র ৩০০ টাকা; কিন্তু বাস্তবে অনেক বেশি টাকা দিয়ে কাজটি সম্পন্ন করতে হয়।

[লেখক : আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট]

জমি আপনার, দখল অন্যের?

সিধু-কানু : ধ্বংসস্তূপের নিচেও জেগে আছে সাহস

ছবি

বাংলার অনন্য লোকসংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক চেতনা

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সাম্পান

তিন দিক থেকে স্বাস্থ্যঝুঁকি : করোনা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া

দেশের অর্থ পাচারের বাস্তবতা

খাদ্য নিরাপত্তার নতুন দিগন্ত

আবারও কি রোহিঙ্গাদের ত্যাগ করবে বিশ্ব?

প্লান্ট ক্লিনিক বদলে দিচ্ছে কৃষির ভবিষ্যৎ

ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী করতে করণীয়

রম্যগদ্য : ‘ডন ডনা ডন ডন...’

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব : কে সন্ত্রাসী, কে শিকার?

সুস্থ ও শক্তিশালী জাতি গঠনে শারীরিক শিক্ষার গুরুত্ব

প্রতিরোধই উত্তম : মাদকমুক্ত প্রজন্ম গড়ার ডাক

ছবি

বিকাশের পথকে পরিত্যাগ করা যাবে না

বর্ষা ও বৃক্ষরোপণ : সবুজ বিপ্লবের আহ্বান

প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়া রোধে শিক্ষকের করণীয়

পারমাণবিক ন্যায়বিচার ও বৈশ্বিক ভণ্ডামির প্রতিচ্ছবি

পরিবেশের নীরব রক্ষক : শকুন সংরক্ষণে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

ভুল স্বীকারে গ্লানি নেই

ভাঙনের বুকে টিকে থাকা স্বপ্ন

একটি সফর, একাধিক সংকেত : কে পেল কোন বার্তা?

দেশের কারা ব্যবস্থার বাস্তবতা

ইসলামী ব্যাংক একীভূতকরণ : আস্থা ফেরাতে সংস্কার, না দায়মুক্তির প্রহসন?

রম্যগদ্য : চাঁদাবাজি চলছে, চলবে

বায়ুদূষণ : নীরব ঘাতক

ইসরায়েলের কৌশলগত ঔদ্ধত্য

পরিবার : সুনাগরিক ও সুশাসক তৈরির ভিত্তিমূল

শিল্পে গ্যাস সংকট : দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিন

আমাদের লড়াইটা আমাদের লড়তে দিন

ব্যাকবেঞ্চারদের পৃথিবী : ব্যর্থতার গায়ে সাফল্যের ছাপ

আমের অ্যানথ্রাকনোজ ও বোঁটা পঁচা রোগ

শিশুদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি : স্কুল ব্যাংকিংয়ের সম্ভাবনা ও সংকট

প্রশিক্ষণ থেকে কেন বাদ নারী কৃষকরা?

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত ও বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া

tab

উপ-সম্পাদকীয়

কমিশন কিংবা ভিজিটে জমি রেজিস্ট্রির আইনি বিধান ও প্রাসঙ্গিকতা

সিরাজ প্রামাণিক

শনিবার, ০৬ এপ্রিল ২০২৪

আপনি ঘরে বসে কিংবা জেলখানায় আটক থেকেও জমি বিক্রি এবং রেজিস্ট্রি করে দিতে পারবেন। আপনি যদি রেজিস্ট্রি অফিসে যেতে অক্ষম বা অপারগ হন কিংবা নিরাপত্তার অভাব অনুভব করেন, আপনি যদি পর্দানশীল মহিলা হন, কিংবা দেয়ানী বা ফৌজদারি কার্যবিধির অধীন কারাগারে আটক থাকেন তাহলে কমিশনের মাধ্যমে আপনি বাসায় বসে জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে পারেন।

আপনি স্বশরীরে সাবরেজিস্ট্রি অফিসে আসতে অপারগতার কারণে ১৯০৮ সালের রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট-এর ৩৮ (১) ধারা মতে, দলিল সম্পাদন স্বীকারোক্তি গ্রহণের জন্য কমিশনের প্রার্থনা করে সাবরেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন করে আপনার আবাসস্থলে নিয়ে গিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করিয়ে দিতে পারবেন।

এরূপ আবেদনের ভিত্তিতে সাবরেজিস্ট্রার নিজে বা তার পাঠানো প্রতিনিধি দলিল দাতার বাসস্থানে গিয়ে সম্পাদন স্বীকারোক্তি গ্রহণের মাধ্যমে দলিল রেজিস্ট্রি করার ব্যবস্থা করে থাকেন। এজন্য আলাদা কমিশন ফিস জমা দিতে হয়। এ বিষয়ে রেজিস্ট্রেশন বিধিমালা ৩৫ বিধিতে কমিশনে জমি রেজিস্ট্রিতে কে যাবেন, কী কাজ করবেনÑ সে বিষয়ে বিস্তারিত বলা আছে। কমিশন ফিস বিষয়ে পর্দানশীল মহিলার ক্ষেত্রে ২০০ টাকা এবং অন্যদের ক্ষেত্রে মাত্র ১০০ টাকা গ্রহণের কথা বলা আছে। এর সঙ্গে যানবাহন খরচ ও অন্যান্য খরচের কথা আলাদা করে বলা আছে; কিন্তু বাস্তবে রেজিস্ট্রেশন বিধিমালা ও ফিস উপেক্ষা করে অনেক বেশি টাকা নিয়ে কমিশনে জমি রেজিস্ট্রি করে থাকেন।

মনে রাখবেন, শুধু কমিশনে নয়, ভিজিটেও দলিল রেজিস্ট্রি করা যায়। দলিলদাতা এবং দলিল গ্রহীতা উভয়ের কেউই যদি রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে দলিল দাখিল করতে না পারেন, সেক্ষেত্রে ১৯০৮ সালের রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট-এর ৩১ ধারা মতে, দলিলদাতার বাড়িতে গিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করে দেয়ার জন্য রেজিস্ট্রি অফিসে আবেদন করা যাবে।

কমিশন বা ভিজিটের জন্য আবেদন করা হলে রেজিস্ট্রারিং অফিসার দাতার সম্পাদন স্বীকারোক্তি দলিলে লিখে দলিলটি রেজিস্ট্রির ব্যবস্থা করবেন। রেজিস্ট্রারিং অফিসার নিজে যেতে না পারলে তার অফিসের যে কোন অফিসার বা বেতনভোগী কর্মচারীকে দিয়ে তার কমিশন জারি করতে পারবেন। ভিজিটের জন্য আবেদন করলে ভিজিট ফি সঙ্গে জমা দিতে হবে। কত টাকা ভিজিট ফিস এ বিষয়ে রেজিস্ট্রেশন বিধিমালা ৩২-এ বলা আছে। ১৯০৮ সালের রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট-এর ৩১ ধারার বিধান অনুযায়ী যদি কোন কর্মকর্তাকে কোন ব্যক্তির আবাসস্থলে গমন করতে হয়, তাহলে তার প্রদেয় ভিজিট ফিস মাত্র ৩০০ টাকা; কিন্তু বাস্তবে অনেক বেশি টাকা দিয়ে কাজটি সম্পন্ন করতে হয়।

[লেখক : আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট]

back to top