alt

opinion » post-editorial

নতুন কারিকুলামে ইংরেজি শিক্ষা

তরিকুল ইসলাম

: রোববার, ০৫ মে ২০২৪

ইংরেজি শিক্ষার গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। দেশের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের শিক্ষা ব্যয়ের একটা বড় অংশ ইংরেজি শিক্ষার পেছনে ব্যয় করেন কিন্তু খরচের অনুপাতিক হারের সঙ্গে তুলনা করলে শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ভাষা কতটুকু শিখছে? এই প্রশ্ন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, নিয়োগকর্তা, শিক্ষক এবং সরকারের সব মহলের। নিয়োগকর্তাদের প্রায়ই আক্ষেপ করতে দেখা যায় এই বলে যে, আজকাল লেখাপড়ার কোন মান নেই। উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন একজন যুবক নিজের পরিচয়টুকু বা কাজ চালিয়ে নেয়ার মত ইংরেজিটুকু জানে না (আসলে তাকে জানানো হয়নি)। অনেক সময় বলতে শোনা যায়Ñ কোন প্রতিষ্ঠান, কোন শিক্ষক পড়িয়েছে?

আগের কারিকুলাম ছিল ইংরেজি শিক্ষার জন্য এক অন্ধকার যুগের মতো। যেখানে শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে চাপের মধ্যে রেখে কিছু নির্দিষ্ট বিষয় মুখস্থ করানো হতো। যার সঙ্গে বাস্তবতার খুব সামান্যই মিল ছিল। শিক্ষার্থীরা শুধু অ+ বা পাস করার জন্যই কিছু নির্দিষ্ট টপিক মুখস্থ করত। আর তাদের ইংরেজি শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য ছিল যথা সম্ভব গ্রামারের নিয়ম-কানুন মুখস্থ করা এবং হাস্যকরভাবে এগুলো শনাক্ত করা এবং গঠনগত কিছু পার্থক্য করা। তারা কখনোই ভাষা শিক্ষার জন্য নিবেদিত ছিল না। এই শিক্ষার্থীরা ইংরেজি বলতে লজ্জাবোধ করত, পরিস্থিতি যতই ভয়ংকর হোক মুখ ফুটবে না কিন্তু কলম চলবে। শিক্ষা বোর্ডগুলো এমনভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করত যে, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা এই প্রক্রিয়ার বাহিরে গিয়ে ভাবার আদৌ কোন সুযোগ পেত না, এক্ষেত্রে তারা অনৈতিক পথ অবলম্বনে পিছ-পা হতো না, বইয়ের নাম ছিল কামিউনিকেশন ইংলিশ বাস্তবে কামিউনিকেশনের কোন অস্তিত্ব ছিল না। একজন শিক্ষক হিসেবে অবাক হই, এই ভ্রান্ত পদ্ধতি কীভাবে এত বছর ধরে চলল এবং এর সপক্ষে একটা প্রজন্মকে দাঁড় করানো হলো। বিস্ময়ের শেষ থাকে না যখন দেখি বিভিন্ন পর্যায়ের কিছু শিক্ষক এই ব্যর্থ কালিকুলামের পক্ষে কথা বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় সৃৃষ্টি করে কিছুটা ভাইরাল হওয়ার আশায়।

এবার নতুন কারিকুলামে ইংরেজি শিক্ষার পদ্ধতি ও উপযোগিতা নিয়ে কিছু আলোচনা করা যাক। ভাষা শিক্ষার মৌলিক চারটি দিকÑ শোনা-বলা-পড়া ও লেখা; নতুন কারিকুলামে এই চারটি মৌলিক দিকের প্রতি সমান গুরুত্ব দিয়ে পাশাপাশি ভাষার নান্দনিকতার ওপর আলাদা জোর দেয়া হয়েছে। বাস্তব জীবনে কোন পরিস্থিতিতে একজন শিক্ষার্থী কোন ধরনের সমস্যায় পড়তে পারে এবং বিভিন্ন পর্যায়ে ভাষার প্রয়োগ সম্পর্কে তাদের ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। শ্রেণীকক্ষ ও শ্রেণীকক্ষের বাইরে শিক্ষার্থীরা এখন ইংরেজি ভাষা ব্যবহারে উৎসাহিত হচ্ছে। দলগত প্রতিটি কাজের শেষে তাদের উপস্থাপনা করতে হয়। এতে তাদের যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বলার ক্ষেত্রে ভয় ও জড়তা দূর হচ্ছে।

৬ষ্ঠ থেকে ৭ম পর্যন্ত বইয়ে বিখ্যাত লেখকদের লেখাগুলো আকর্ষণীয় ও মজাদার ফলে শিক্ষার্থীরা আনন্দের মধ্য দিয়ে শিখছে। প্রতিটি অভিজ্ঞতার শেষে তাদের ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা হচ্ছে ফলে স্বল্প সময়ের মধ্যে শিখন ঘাটতি চিহ্নিত ও পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বাক্য তৈরির দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে তাদের মধ্যে লাইন বাই লাইন বাক্য মুখস্থ করার প্রবণতা কমছে। বাক্য তৈরি করাতে না পারা ইংরেজি ভাষা শেখার ক্ষেত্রে বড় অন্তরায়।

শিক্ষার উদ্দেশ্য কখনো প্রথম বা দ্বিতীয় হওয়া বা ৮০% এর উপায় নম্বর পাওয়া নয়। শিক্ষার উদ্দেশ্য অবশ্যই নৈতিক গুণ সম্পন্ন ব্যক্তি সৃষ্টি করা। সাহিত্য সব সময়ই একটা পজেটিভ বার্তা বহন করে যা শিক্ষার্থীদের মনোজগৎকে আলোড়িত করে এবং তাদের নৈতিক গুণাবলী অর্জনে অন্যতম সহায়ক ভূমিকা পালন করে। নতুন কারিকুলামের ইংরেজি বইগুলোতে উল্লেখযোগ্য হারে সাহিত্য (নাটক, কবিতা, গল্প, রচনা ও উপন্যাস) সংযোজিত হয়েছে ফলে তারা ভাষা শিক্ষার পাশাপাশি অধিক মানবিক গুণসম্পন্ন হচ্ছে।

নতুন কারিকুলাম নিঃসন্দেহে অন্ধকার গ্রামার শিক্ষার যুগকে বিদায় জনাবে কেননা গ্রামার শিক্ষা মানেই ভাষা শিক্ষা নয় এবং জীবনভিত্তিক ইংরেজি শেখার পথ সুগম করে দিবে। তবে আশাবাদী হওয়ার পাশাপাশি কিছু ঝুঁকিও আছে। অন্ধকার সব সময় আলোর চার পাশেই থাকে। ধারাবাহিক মূল্যায়ন সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা এগুলো দেখার জন্য আরো অধিক দক্ষ জনবল দরকার এবং ঢালাও মূল্যায়নের সুযোগ সৃষ্টি হতে না দেয়া, শিক্ষকদের পেশাদারত্ব বৃদ্ধিতে আরও প্রশিক্ষণ ও তার বাস্তবায়নের লক্ষে মনিটরিং হওয়া জরুরি। পাশাপাশি শিক্ষকদের সম্মান, আর্থিক সচ্ছলতা ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করা নতুন কারিকুলাম বিশেষ করে ইংরেজি শিক্ষার পরিবর্তনের ধারা অব্যহত রাখার জন্য অত্যন্ত আবশ্যক।

[লেখক : সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি), তাসলিমা মেমোরিয়াল একাডেমি, পাথরঘাটা, বরগুনা]

চা-জনগোষ্ঠীর দণ্ডপূজা ও উপেক্ষিত অধিকার

মেরিটোক্রেসি: সমাজ ও রাজনীতির প্রাসঙ্গিকতা

রম্যগদ্য: হাতের মুঠোয় বিশ্ব

শারদীয় পূজার দিনলিপি

ঋণের জন্য আত্মহত্যা, ঋণ নিয়েই চল্লিশা

জাকসু নির্বাচন ও হট্টগোল: আমাদের জন্য শিক্ষণীয় কী?

নরসুন্দর পেশার গুরুত্ব ও সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন

বিভাগভিত্তিক এমপিআর নির্বাচন পদ্ধতি

প্ল্যাটফর্ম সমাজে বাংলাদেশ: জ্ঞানের ভবিষ্যৎ কার হাতে?

আনন্দবেদনার হাসপাতাল: সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার বাস্তবতা

ছবি

ভিন্ন ধরনের নির্বাচন, ভিন্ন ধরনের ফল

বেসরকারি খাতে সিআইবি’র যাত্রা: ঋণ ব্যবস্থার নতুন দিগন্ত

স্বাস্থ্যসেবায় মানবিকতা প্রতিষ্ঠা হোক

ছবি

নেপালে সরকার পতন ও বামপন্থীদের ভবিষ্যৎ

ডাকসু নির্বাচন ও সংস্কারপ্রয়াস: রাজনৈতিক চিন্তার নতুন দিগন্ত

নির্বাচন কি সব সমস্যার সমাধান

জিতিয়া উৎসব

ছবি

অলির পর নেপাল কোন পথে?

রম্যগদ্য: “মরেও বাঁচবি নারে পাগলা...”

অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শ্রীপুর পৌরসভা

ভূরিভোজ, উচ্ছেদ এবং আদিবাসী পাহাড়িয়া

অনলাইন সংস্কৃতিতে হাস্যরসের সমাজবিজ্ঞান

মামলাজট নিরসনে দেওয়ানি কার্যবিধির সংস্কার

বাস্তব মস্কো বনাম বিভ্রান্ত ইউরোপ

ছাত্রসংসদ নির্বাচন ও ভবিষ্যৎ ছাত্ররাজনীতির গতিপ্রকৃতি

সড়ক দুর্ঘটনা: কারও মৃত্যু সাধারণ, কারও মৃত্যু বিশেষ

ঐকমত্য ছাড়াও কিছু সংস্কার সম্ভব

আবার বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম : সংকটে সাধারণ মানুষ

ডায়াবেটিস রোগীর সেবা ও জনসচেতনতা

ভিন্ন ধরনের ডাকসু নির্বাচন

ডাকসু নির্বাচন : পেছনে ফেলে আসি

প্রসঙ্গ : এলডিসি তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ

“কোপা চাটিগাঁ...”

ই-কমার্স হতে পারে প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিন

ভারত-চীনের নতুন সমীকরণ

সাইবার যুগে মানুষের মর্যাদা ও নিরাপত্তা

tab

opinion » post-editorial

নতুন কারিকুলামে ইংরেজি শিক্ষা

তরিকুল ইসলাম

রোববার, ০৫ মে ২০২৪

ইংরেজি শিক্ষার গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। দেশের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের শিক্ষা ব্যয়ের একটা বড় অংশ ইংরেজি শিক্ষার পেছনে ব্যয় করেন কিন্তু খরচের অনুপাতিক হারের সঙ্গে তুলনা করলে শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ভাষা কতটুকু শিখছে? এই প্রশ্ন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, নিয়োগকর্তা, শিক্ষক এবং সরকারের সব মহলের। নিয়োগকর্তাদের প্রায়ই আক্ষেপ করতে দেখা যায় এই বলে যে, আজকাল লেখাপড়ার কোন মান নেই। উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন একজন যুবক নিজের পরিচয়টুকু বা কাজ চালিয়ে নেয়ার মত ইংরেজিটুকু জানে না (আসলে তাকে জানানো হয়নি)। অনেক সময় বলতে শোনা যায়Ñ কোন প্রতিষ্ঠান, কোন শিক্ষক পড়িয়েছে?

আগের কারিকুলাম ছিল ইংরেজি শিক্ষার জন্য এক অন্ধকার যুগের মতো। যেখানে শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে চাপের মধ্যে রেখে কিছু নির্দিষ্ট বিষয় মুখস্থ করানো হতো। যার সঙ্গে বাস্তবতার খুব সামান্যই মিল ছিল। শিক্ষার্থীরা শুধু অ+ বা পাস করার জন্যই কিছু নির্দিষ্ট টপিক মুখস্থ করত। আর তাদের ইংরেজি শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য ছিল যথা সম্ভব গ্রামারের নিয়ম-কানুন মুখস্থ করা এবং হাস্যকরভাবে এগুলো শনাক্ত করা এবং গঠনগত কিছু পার্থক্য করা। তারা কখনোই ভাষা শিক্ষার জন্য নিবেদিত ছিল না। এই শিক্ষার্থীরা ইংরেজি বলতে লজ্জাবোধ করত, পরিস্থিতি যতই ভয়ংকর হোক মুখ ফুটবে না কিন্তু কলম চলবে। শিক্ষা বোর্ডগুলো এমনভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করত যে, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা এই প্রক্রিয়ার বাহিরে গিয়ে ভাবার আদৌ কোন সুযোগ পেত না, এক্ষেত্রে তারা অনৈতিক পথ অবলম্বনে পিছ-পা হতো না, বইয়ের নাম ছিল কামিউনিকেশন ইংলিশ বাস্তবে কামিউনিকেশনের কোন অস্তিত্ব ছিল না। একজন শিক্ষক হিসেবে অবাক হই, এই ভ্রান্ত পদ্ধতি কীভাবে এত বছর ধরে চলল এবং এর সপক্ষে একটা প্রজন্মকে দাঁড় করানো হলো। বিস্ময়ের শেষ থাকে না যখন দেখি বিভিন্ন পর্যায়ের কিছু শিক্ষক এই ব্যর্থ কালিকুলামের পক্ষে কথা বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় সৃৃষ্টি করে কিছুটা ভাইরাল হওয়ার আশায়।

এবার নতুন কারিকুলামে ইংরেজি শিক্ষার পদ্ধতি ও উপযোগিতা নিয়ে কিছু আলোচনা করা যাক। ভাষা শিক্ষার মৌলিক চারটি দিকÑ শোনা-বলা-পড়া ও লেখা; নতুন কারিকুলামে এই চারটি মৌলিক দিকের প্রতি সমান গুরুত্ব দিয়ে পাশাপাশি ভাষার নান্দনিকতার ওপর আলাদা জোর দেয়া হয়েছে। বাস্তব জীবনে কোন পরিস্থিতিতে একজন শিক্ষার্থী কোন ধরনের সমস্যায় পড়তে পারে এবং বিভিন্ন পর্যায়ে ভাষার প্রয়োগ সম্পর্কে তাদের ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। শ্রেণীকক্ষ ও শ্রেণীকক্ষের বাইরে শিক্ষার্থীরা এখন ইংরেজি ভাষা ব্যবহারে উৎসাহিত হচ্ছে। দলগত প্রতিটি কাজের শেষে তাদের উপস্থাপনা করতে হয়। এতে তাদের যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বলার ক্ষেত্রে ভয় ও জড়তা দূর হচ্ছে।

৬ষ্ঠ থেকে ৭ম পর্যন্ত বইয়ে বিখ্যাত লেখকদের লেখাগুলো আকর্ষণীয় ও মজাদার ফলে শিক্ষার্থীরা আনন্দের মধ্য দিয়ে শিখছে। প্রতিটি অভিজ্ঞতার শেষে তাদের ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা হচ্ছে ফলে স্বল্প সময়ের মধ্যে শিখন ঘাটতি চিহ্নিত ও পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বাক্য তৈরির দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে তাদের মধ্যে লাইন বাই লাইন বাক্য মুখস্থ করার প্রবণতা কমছে। বাক্য তৈরি করাতে না পারা ইংরেজি ভাষা শেখার ক্ষেত্রে বড় অন্তরায়।

শিক্ষার উদ্দেশ্য কখনো প্রথম বা দ্বিতীয় হওয়া বা ৮০% এর উপায় নম্বর পাওয়া নয়। শিক্ষার উদ্দেশ্য অবশ্যই নৈতিক গুণ সম্পন্ন ব্যক্তি সৃষ্টি করা। সাহিত্য সব সময়ই একটা পজেটিভ বার্তা বহন করে যা শিক্ষার্থীদের মনোজগৎকে আলোড়িত করে এবং তাদের নৈতিক গুণাবলী অর্জনে অন্যতম সহায়ক ভূমিকা পালন করে। নতুন কারিকুলামের ইংরেজি বইগুলোতে উল্লেখযোগ্য হারে সাহিত্য (নাটক, কবিতা, গল্প, রচনা ও উপন্যাস) সংযোজিত হয়েছে ফলে তারা ভাষা শিক্ষার পাশাপাশি অধিক মানবিক গুণসম্পন্ন হচ্ছে।

নতুন কারিকুলাম নিঃসন্দেহে অন্ধকার গ্রামার শিক্ষার যুগকে বিদায় জনাবে কেননা গ্রামার শিক্ষা মানেই ভাষা শিক্ষা নয় এবং জীবনভিত্তিক ইংরেজি শেখার পথ সুগম করে দিবে। তবে আশাবাদী হওয়ার পাশাপাশি কিছু ঝুঁকিও আছে। অন্ধকার সব সময় আলোর চার পাশেই থাকে। ধারাবাহিক মূল্যায়ন সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা এগুলো দেখার জন্য আরো অধিক দক্ষ জনবল দরকার এবং ঢালাও মূল্যায়নের সুযোগ সৃষ্টি হতে না দেয়া, শিক্ষকদের পেশাদারত্ব বৃদ্ধিতে আরও প্রশিক্ষণ ও তার বাস্তবায়নের লক্ষে মনিটরিং হওয়া জরুরি। পাশাপাশি শিক্ষকদের সম্মান, আর্থিক সচ্ছলতা ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করা নতুন কারিকুলাম বিশেষ করে ইংরেজি শিক্ষার পরিবর্তনের ধারা অব্যহত রাখার জন্য অত্যন্ত আবশ্যক।

[লেখক : সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি), তাসলিমা মেমোরিয়াল একাডেমি, পাথরঘাটা, বরগুনা]

back to top