alt

উপ-সম্পাদকীয়

রম্যগদ্য : দারিদ্র্য যাবে জাদুঘরে

জাঁ-নেসার ওসমান

: শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

আউউউ...ইয়েয়য়য়...। ঢিংকা চিকা... ঢিংকা চিকা... ইয়াক ইয়াক ইয়াক...। ওই গাঞ্জা খাইছে গাঞ্জা খাইছে ওয়াক ওয়াক... ওই ব্যাটা কোন হালায় গাঞ্জা খাইছে? ক্যা, আপনে, মিয়া গাঞ্জা না খাইলে বেইন্না ফজরত কেউ ওই কুত্তার মতুন আউউউ কইরা ডাক পাড়তাছেন আর বান্দরের মতুন নাচতাছেন! আরে ব্যাটা ডারউইন রে জিগা তুই কোইত্থে আইছস। তর পূর্বপুরুষের মতুন নাচমু না তো কি মাইকেল জ্যাকসনের মতুন নাচুম! মাইকেল না সাইকেল কার মতুন আপনে নাচবেন হেইডা আপনের ব্যাপার, কিন্তু আমার প্রশ্ন হইলো আপনে হালা বেইন্না ফজরত সৃষ্টিকর্তার নাম না নিয়া নর্তন-কুর্দন করতাছেন, আপনের শরম করে না? আমি কেনো নাচি শুনলে-বুঝলে তুইও আমার লগে ডিসকো নাচবি। আউউউ... ইয়েয়য়য়... ঢিংকা চিকা... ঢিংকা চিকা ...ইয়াক ইয়াক ইয়াক... ওই মিয়া থামান আপনের নাচ। এই হতদরিদ্র কুলাঙ্গার পূর্ণ বাংলাদেশে কি এমন ঘটলো যে, হেই কথা শুনলে আমি না সারা দেশের লোক নাচবো? আরে ব্যাটা জবাই দেন, জবাই দেন... মানে কি আমাদের নোংরা মানসিকতা, পরশ্রীকাতরতা, মিথ্যা বলা, লোকঠকানো, বাঙালি হয়ে বাঙালিকে খুন করা, শিক্ষক হয়ে ছাত্রী নিপীড়ন করা, পুলিশ হয়ে চুরি করা এই সব ত্যাগ করলে মানে জবাই দিলেই সবাই ঢিংকা চিকা... ঢিংকা চিকা ...ইয়াক ইয়াক ইয়াক.. করে নাচবে?

আরে হালায় আমি কোই কি, আর আমার সারিন্দায় কয় কী!

মানে কি? আরে ভাই আপনিই তো বললেন সব অন্যায় মানসিকতা জবাই দেন! ধুর হালায় উড়ঝুড়ে বাঙাল, আমি কোই কি, আর তুই শালা বাঙাল বুঝস কি? আপনে না কোইলেন, জবাই দেন, মানে সব অন্যায় কোরবানি দেন! হাঃ হাঃ হাঃ আমি হালায় কোইলাম আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কথা মিঃ জবাই দেন, আর হালায় কয় মানুষের সব রিপুর জবাই দেন! হাঃ হাঃ হাঃ, ওরে হুমুন্দির পুত আমেরিকার প্রেসিডেন্টন হইলো হনারেবল হিজ এক্সেলেন্সি মি. জো বাইডেন। আর আপনে হালায় কন জবাই দেন! ওই হইলো, জবাই দেন আর জো বাইডেন একই কথা! ধুর হালায় চৌকিরতলা আর আগরতলা একই কথা! হালায় আসলেই আপনে গাঞ্জা খাইছেন।

নারে ভাই তুই ভুল বুজছিস, আমরা হালায় অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত বাঙাল আমাগো হালায় উচ্চারণে গ-গোল থাকতেই পারে কারণ যে দেশে পরীক্ষার হলে গার্জিয়ানরা নকল সাপ্লাই করে সেই দেশের পোলাপান কি শিখবো! ভুল তো হইতেই পারে।

থাক আর শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়া প্যাঁচালের দরকার নাই অহন কন আপনে হালাই বেইন্না ফজরত আউউউ... ইয়েয়য়য়... ঢিংকা চিকা... ঢিংকা চিকা ...ইয়াক ইয়াক ইয়াক... বইলা বান্দরের মতুন নাচতাছেন ক্যান?

আরে ব্যাটা আমি কি আর সাধে নাচি, তুই শুনছোস না, আঁরার ইয়ুনুইচ্চা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছ থেইক্যা সাড়ে তিনশ কোটি ডলার আনছে।

হ্যাঁ শুনেছি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক থ্রি পয়েন্ট ফাইভ বিলিয়ন ইউএস ডলার দিয়েছে। জি, হ্যাঁ, সেটাই বলছিলাম, আজ থেকে পনেরো বছর আগে ড. ইউনূসের স্বপ্ন ছিল, বর্তমান পৃথিবীটা হবে দারিদ্র্যমুক্ত, কোথাও কোনো বেকার থাকবে না, অশিক্ষিত বলে কোনো শব্দ থাকবে না, পৃথিবীতে অন্যায় রূপে কোনো হত্যা হবে না, পৃথিবী হবে নবজাতকের কাছে সুন্দর সুষ্ঠু রূপে বেঁচে থাকার দারিদ্র্যমুক্ত নাচে গানে ভরপুর এক সুস্থ আবাসস্থল।

হয়, এই স্বপ্ন তো ড. ইউনূস আজও লালন করেন। উনি সারা পৃথিবীর দারিদ্র্য জাদুঘরে পাঠিয়ে দিতে চান। আরে ভাই থ্রি পয়েন্ট ফাইভ বিলিয়ন ইউএস ডলার দিয়ে সারা পৃথিবীর দারিদ্র্য উনি দূর করতে পারবেন না।

কথা সত্য, থ্রি পয়েন্ট ফাইভ বিলিয়ন ইউএস ডলার দিয়ে সারা পৃথিবীর সমাজ ব্যবস্থা সুন্দর করতে পারবেন না। কিন্তু শুধু বাংলাদেশের দারিদ্র্য তো তিনি জাদুঘরে... পাঠিয়ে দিতে পারেন।

হিঃ হিঃ হিঃ কি যে বলিস, যে দেশের মন্ত্রী-মিনিস্টার চোর, নিজেদের ঘরে কোটি কোটি অবৈধ টাকা বস্তাবন্দী করে খাটের নিচে ফেলে রাখে। বাড়ির কাজের বুয়াও ভাগ পায় না। সে দেশের দারিদ্র্য জাদুঘরে যাবে! হাসায়েন না মিয়া।

না তুই কথাটা একটু ভেবে দ্যাখ থ্রি পয়েন্ট ফাইভ বিলিয়ন ইউএস ডলার মানে সাড়ে তিনশ কোটি টাকা। ঠিক আছে, থ্রি পয়েন্ট ফাইভ বিলিয়ন ইউএস ডলার মানে সাড়ে তিনশ কোটি টাকা। তোর দেশের জনসংখ্যা কত? ক্যানো আঠারো কোটি। মনে কর আঠারো না তোর দেশে আছে বিশ কোটি লোক। ঠিক আছে ধরলাম দাদা দিদি জ্যাঠা জেঠি সব মিলায়া বিশ কোটি।

এখন এই সাড়ে তিনশ কোটি টাকা যদি ড. ইউনূস বাংলাদেশের সবাইকে ভাগ করে দিয়ে দেন তাহলে সাথে সাথে বাংলাদেশের দারিদ্র্য জাদুঘরে! ঠিক কথাটা ঠিক। বাংলাদেশের দারিদ্র্য জাদুঘরে। কিন্তু ঝামেলা আছে। ঝামেলা কি! ঝামেলা হইলো তায়লে কাজের লোক পাবি কোই? ক্যান এখন যেমন বাংলাদেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধারা অবৈধ পথে জঙ্গল দিয়া বর্ডার পার হইতে যায়া মরে তখন বাংলাদেশে কাজ করার জন্য ভারতীয়, পাকিস্তানি, বার্মিজ, ভিয়েতনামি, রাশিয়ান সব কামের বুয়া, দারোয়ান, ড্রাইভার পামু।

কথাটা ভালোই বলেছিস টাকা সব দেশবাসীকে দিয়া দিলে বাংলাদেশের দারিদ্র্য জাদুঘরে আর ড. ইউনূসের স্বপ্ন বাংলার ঘরে ঘরে। ঠিকই কইছেন আউউউ... ইয়েয়য়য়... ঢিংকা চিকা... ঢিংকা চিকা ... ইয়াক ইয়াক ইয়াক...।

[লেখক : চলচ্চিত্রকার ]

জমি আপনার, দখল অন্যের?

সিধু-কানু : ধ্বংসস্তূপের নিচেও জেগে আছে সাহস

ছবি

বাংলার অনন্য লোকসংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক চেতনা

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সাম্পান

তিন দিক থেকে স্বাস্থ্যঝুঁকি : করোনা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া

দেশের অর্থ পাচারের বাস্তবতা

খাদ্য নিরাপত্তার নতুন দিগন্ত

আবারও কি রোহিঙ্গাদের ত্যাগ করবে বিশ্ব?

প্লান্ট ক্লিনিক বদলে দিচ্ছে কৃষির ভবিষ্যৎ

ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী করতে করণীয়

রম্যগদ্য : ‘ডন ডনা ডন ডন...’

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব : কে সন্ত্রাসী, কে শিকার?

সুস্থ ও শক্তিশালী জাতি গঠনে শারীরিক শিক্ষার গুরুত্ব

প্রতিরোধই উত্তম : মাদকমুক্ত প্রজন্ম গড়ার ডাক

ছবি

বিকাশের পথকে পরিত্যাগ করা যাবে না

বর্ষা ও বৃক্ষরোপণ : সবুজ বিপ্লবের আহ্বান

প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়া রোধে শিক্ষকের করণীয়

পারমাণবিক ন্যায়বিচার ও বৈশ্বিক ভণ্ডামির প্রতিচ্ছবি

পরিবেশের নীরব রক্ষক : শকুন সংরক্ষণে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

ভুল স্বীকারে গ্লানি নেই

ভাঙনের বুকে টিকে থাকা স্বপ্ন

একটি সফর, একাধিক সংকেত : কে পেল কোন বার্তা?

দেশের কারা ব্যবস্থার বাস্তবতা

ইসলামী ব্যাংক একীভূতকরণ : আস্থা ফেরাতে সংস্কার, না দায়মুক্তির প্রহসন?

রম্যগদ্য : চাঁদাবাজি চলছে, চলবে

বায়ুদূষণ : নীরব ঘাতক

ইসরায়েলের কৌশলগত ঔদ্ধত্য

পরিবার : সুনাগরিক ও সুশাসক তৈরির ভিত্তিমূল

শিল্পে গ্যাস সংকট : দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিন

আমাদের লড়াইটা আমাদের লড়তে দিন

ব্যাকবেঞ্চারদের পৃথিবী : ব্যর্থতার গায়ে সাফল্যের ছাপ

আমের অ্যানথ্রাকনোজ ও বোঁটা পঁচা রোগ

শিশুদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি : স্কুল ব্যাংকিংয়ের সম্ভাবনা ও সংকট

প্রশিক্ষণ থেকে কেন বাদ নারী কৃষকরা?

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত ও বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া

tab

উপ-সম্পাদকীয়

রম্যগদ্য : দারিদ্র্য যাবে জাদুঘরে

জাঁ-নেসার ওসমান

শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

আউউউ...ইয়েয়য়য়...। ঢিংকা চিকা... ঢিংকা চিকা... ইয়াক ইয়াক ইয়াক...। ওই গাঞ্জা খাইছে গাঞ্জা খাইছে ওয়াক ওয়াক... ওই ব্যাটা কোন হালায় গাঞ্জা খাইছে? ক্যা, আপনে, মিয়া গাঞ্জা না খাইলে বেইন্না ফজরত কেউ ওই কুত্তার মতুন আউউউ কইরা ডাক পাড়তাছেন আর বান্দরের মতুন নাচতাছেন! আরে ব্যাটা ডারউইন রে জিগা তুই কোইত্থে আইছস। তর পূর্বপুরুষের মতুন নাচমু না তো কি মাইকেল জ্যাকসনের মতুন নাচুম! মাইকেল না সাইকেল কার মতুন আপনে নাচবেন হেইডা আপনের ব্যাপার, কিন্তু আমার প্রশ্ন হইলো আপনে হালা বেইন্না ফজরত সৃষ্টিকর্তার নাম না নিয়া নর্তন-কুর্দন করতাছেন, আপনের শরম করে না? আমি কেনো নাচি শুনলে-বুঝলে তুইও আমার লগে ডিসকো নাচবি। আউউউ... ইয়েয়য়য়... ঢিংকা চিকা... ঢিংকা চিকা ...ইয়াক ইয়াক ইয়াক... ওই মিয়া থামান আপনের নাচ। এই হতদরিদ্র কুলাঙ্গার পূর্ণ বাংলাদেশে কি এমন ঘটলো যে, হেই কথা শুনলে আমি না সারা দেশের লোক নাচবো? আরে ব্যাটা জবাই দেন, জবাই দেন... মানে কি আমাদের নোংরা মানসিকতা, পরশ্রীকাতরতা, মিথ্যা বলা, লোকঠকানো, বাঙালি হয়ে বাঙালিকে খুন করা, শিক্ষক হয়ে ছাত্রী নিপীড়ন করা, পুলিশ হয়ে চুরি করা এই সব ত্যাগ করলে মানে জবাই দিলেই সবাই ঢিংকা চিকা... ঢিংকা চিকা ...ইয়াক ইয়াক ইয়াক.. করে নাচবে?

আরে হালায় আমি কোই কি, আর আমার সারিন্দায় কয় কী!

মানে কি? আরে ভাই আপনিই তো বললেন সব অন্যায় মানসিকতা জবাই দেন! ধুর হালায় উড়ঝুড়ে বাঙাল, আমি কোই কি, আর তুই শালা বাঙাল বুঝস কি? আপনে না কোইলেন, জবাই দেন, মানে সব অন্যায় কোরবানি দেন! হাঃ হাঃ হাঃ আমি হালায় কোইলাম আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কথা মিঃ জবাই দেন, আর হালায় কয় মানুষের সব রিপুর জবাই দেন! হাঃ হাঃ হাঃ, ওরে হুমুন্দির পুত আমেরিকার প্রেসিডেন্টন হইলো হনারেবল হিজ এক্সেলেন্সি মি. জো বাইডেন। আর আপনে হালায় কন জবাই দেন! ওই হইলো, জবাই দেন আর জো বাইডেন একই কথা! ধুর হালায় চৌকিরতলা আর আগরতলা একই কথা! হালায় আসলেই আপনে গাঞ্জা খাইছেন।

নারে ভাই তুই ভুল বুজছিস, আমরা হালায় অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত বাঙাল আমাগো হালায় উচ্চারণে গ-গোল থাকতেই পারে কারণ যে দেশে পরীক্ষার হলে গার্জিয়ানরা নকল সাপ্লাই করে সেই দেশের পোলাপান কি শিখবো! ভুল তো হইতেই পারে।

থাক আর শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়া প্যাঁচালের দরকার নাই অহন কন আপনে হালাই বেইন্না ফজরত আউউউ... ইয়েয়য়য়... ঢিংকা চিকা... ঢিংকা চিকা ...ইয়াক ইয়াক ইয়াক... বইলা বান্দরের মতুন নাচতাছেন ক্যান?

আরে ব্যাটা আমি কি আর সাধে নাচি, তুই শুনছোস না, আঁরার ইয়ুনুইচ্চা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছ থেইক্যা সাড়ে তিনশ কোটি ডলার আনছে।

হ্যাঁ শুনেছি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক থ্রি পয়েন্ট ফাইভ বিলিয়ন ইউএস ডলার দিয়েছে। জি, হ্যাঁ, সেটাই বলছিলাম, আজ থেকে পনেরো বছর আগে ড. ইউনূসের স্বপ্ন ছিল, বর্তমান পৃথিবীটা হবে দারিদ্র্যমুক্ত, কোথাও কোনো বেকার থাকবে না, অশিক্ষিত বলে কোনো শব্দ থাকবে না, পৃথিবীতে অন্যায় রূপে কোনো হত্যা হবে না, পৃথিবী হবে নবজাতকের কাছে সুন্দর সুষ্ঠু রূপে বেঁচে থাকার দারিদ্র্যমুক্ত নাচে গানে ভরপুর এক সুস্থ আবাসস্থল।

হয়, এই স্বপ্ন তো ড. ইউনূস আজও লালন করেন। উনি সারা পৃথিবীর দারিদ্র্য জাদুঘরে পাঠিয়ে দিতে চান। আরে ভাই থ্রি পয়েন্ট ফাইভ বিলিয়ন ইউএস ডলার দিয়ে সারা পৃথিবীর দারিদ্র্য উনি দূর করতে পারবেন না।

কথা সত্য, থ্রি পয়েন্ট ফাইভ বিলিয়ন ইউএস ডলার দিয়ে সারা পৃথিবীর সমাজ ব্যবস্থা সুন্দর করতে পারবেন না। কিন্তু শুধু বাংলাদেশের দারিদ্র্য তো তিনি জাদুঘরে... পাঠিয়ে দিতে পারেন।

হিঃ হিঃ হিঃ কি যে বলিস, যে দেশের মন্ত্রী-মিনিস্টার চোর, নিজেদের ঘরে কোটি কোটি অবৈধ টাকা বস্তাবন্দী করে খাটের নিচে ফেলে রাখে। বাড়ির কাজের বুয়াও ভাগ পায় না। সে দেশের দারিদ্র্য জাদুঘরে যাবে! হাসায়েন না মিয়া।

না তুই কথাটা একটু ভেবে দ্যাখ থ্রি পয়েন্ট ফাইভ বিলিয়ন ইউএস ডলার মানে সাড়ে তিনশ কোটি টাকা। ঠিক আছে, থ্রি পয়েন্ট ফাইভ বিলিয়ন ইউএস ডলার মানে সাড়ে তিনশ কোটি টাকা। তোর দেশের জনসংখ্যা কত? ক্যানো আঠারো কোটি। মনে কর আঠারো না তোর দেশে আছে বিশ কোটি লোক। ঠিক আছে ধরলাম দাদা দিদি জ্যাঠা জেঠি সব মিলায়া বিশ কোটি।

এখন এই সাড়ে তিনশ কোটি টাকা যদি ড. ইউনূস বাংলাদেশের সবাইকে ভাগ করে দিয়ে দেন তাহলে সাথে সাথে বাংলাদেশের দারিদ্র্য জাদুঘরে! ঠিক কথাটা ঠিক। বাংলাদেশের দারিদ্র্য জাদুঘরে। কিন্তু ঝামেলা আছে। ঝামেলা কি! ঝামেলা হইলো তায়লে কাজের লোক পাবি কোই? ক্যান এখন যেমন বাংলাদেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধারা অবৈধ পথে জঙ্গল দিয়া বর্ডার পার হইতে যায়া মরে তখন বাংলাদেশে কাজ করার জন্য ভারতীয়, পাকিস্তানি, বার্মিজ, ভিয়েতনামি, রাশিয়ান সব কামের বুয়া, দারোয়ান, ড্রাইভার পামু।

কথাটা ভালোই বলেছিস টাকা সব দেশবাসীকে দিয়া দিলে বাংলাদেশের দারিদ্র্য জাদুঘরে আর ড. ইউনূসের স্বপ্ন বাংলার ঘরে ঘরে। ঠিকই কইছেন আউউউ... ইয়েয়য়য়... ঢিংকা চিকা... ঢিংকা চিকা ... ইয়াক ইয়াক ইয়াক...।

[লেখক : চলচ্চিত্রকার ]

back to top