জাঁ-নেসার ওসমান
কি ভাই, জামান ব্রাদার্স নাই বইলাই কী নিজেই গ্রাম বাংলার প্রবাদ লয়া গবেষণা করতাছেন? জামান ব্রাদার্স! কাগো কথা কস। এখন তো সবাই আলম ব্রাদার্স লয়া ব্যস্ত! বুঝি বুঝি ভাই ফাঁকা মাঠে গোল দিয়া নিজেরে আঁতেলেকচুয়াল বানাইতে চান। ইন্টেলেকচুয়াল ধুর ব্যাটা আমি কেনো বুদ্ধিজীবীর ভেক ধরব। আঁরে কি পাগলা কুত্তা কামড়াইছেনি! নানা ভাই অত সরলতা দেখালে তো হবে না। সবাই জানে যে, শামসুজ্জামান, আনিসুজ্জামান, সব মরে ভূত। এখন বাংলার গ্রাম্য প্রবাদ নিয়ে কাজ করার লোক নেই বললেই চলে। এখন সব ডিজিটাল যুগ, পাবলিক আর গ্রাম্য কথায় মজে না! কি বলছিস এই সব গ্রামীণ বাংলার প্রবাদ?
ক্যান ভাই, এই যে আপনে বললেন, “ভাত দেয়ার মুরোদ নেই, কিল মারার গোঁসাই...” হ্যাঁ, ঠিক আছে এটা গ্রাম বাংলার প্রবাদ, কারণ তখন বৌ পিটানো বিবাহিত জীবনের একটা অঙ্গ হিসেবে, সমাজে চালু ছিল, এখন তা চলে না, এখন বৌ হিডাইলে, জামিন অযোগ্য ক্রিমিনাল কেস! কিন্তু প্রবাদটা হচ্ছে, যে স্বামীর সংসারে সচ্ছলতা নেই সেখানে বৌ পিটালে, বৌ টিটকারি মারত যে, হালায় দুই বেলা ঠিকমতো খাইতে দিতে পারো না, আবার পিটাইতে আসো!
সে না হয় বুঝলাম, অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, ঠিকমতো দিতে না পারলে বৌ এর ওপর খবরদারি ফলায়েন না! তো সাত সকাল বেলা আপনে কারে কন ‘ভাত দেয়ার মুরোদ নেই, কিল মারার গোঁসাই...’ ক্যা তুমি বোজ না আমি কার কথা কোই?
খোলসা কইরা না কইলে বুঝমু ক্যামনে! আরে কোই আমাগো দ্বিতীয় স্বাধীনতার কথা।
স্বাধীন হওয়ার পর, কাঁচা বাজারের দাম দেখে লড়াকু জনগণের স্বাধীনতা সংগ্রামের ঠেলা সামলাতে যেয়ে ক্ষণে ক্ষণে গেয়ে উঠছে, “বাবারে বাবা, কারে করলাম বিয়া...” বাজার থেকে গরিবের প্রোটিন, ডিম উধাও! বাজার ভেদে কাঁচা মরিচ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। ভেবেছিলাম দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর, দেশে শান্তি হবে, বাজারের দ্রব্যমূল্য সহনীয় হবে, কিন্তু ওই যে সিন্ডিকেট বাজালো বাঁশি, বল কি করি, মরি লো, মরিইইই আমার সংগ্রামের নেশা কেটেছে রে!
ভাই এতগুলা তাজা প্রাণের বিনিময়ে, এই হত্যাযজ্ঞের বিনিময়ে এই মাল আপনে বাজারে ছাড়লেন! কাকে কবো দুঃক্ষের কথা। তোর মনে নেই গতবার মইনুদ্দিন-ফকরুদ্দিন মাইনাস টু করতে এসে দুদিনের মাথায় নিজেরাই মাইনাস হয়ে গেলো! এবার দেখি আবার তাই শুরু হয়েছে। মানে, আবার কি শুরু হয়েছে?
গতবার মইনুদ্দিন-ফকরুদ্দিন ১০০% পাবলিক সাপোর্ট, সাথে সেণাবাহিনী, মানে আর্মস, যেটা সকল ক্ষমতার উৎস। ভাবতে পারিস আর্মস ও শতভাগ পাবলিক সাপোর্ট নিয়েও ফেল, কারণ নেই কোনো পরিকল্পনা, নেই কোনো রোডম্যাপ, খামখেয়ালি করলে চলে? আর সর্বোপরি টাকার লোভ! আশ্চর্য, চোখের সামনে দেখছে, সব কাঁড়ি কাঁড়ি, বস্তা বস্তা টাকা ফেলে বাপ বাপ বলে পালাচ্ছে! তবুও সবের টাকা চাই টাকা। কি এক জামানা এলো, নৈতিকতা, মানবিকতা, আদর্শ, মূল্যবোধ, আত্মসম্মান, ন্যায়-অন্যায়বোধ সব ভুলে শুধু টাকা আর টাকা। ক্যেনো? ক্যেনো? একটা মানুষের সারা জীবনে কত টাকা দরকার! সব শেষে তো বিখ্যাত লেখক লিও টলস্টয়ের ওই সাড়ে তিন হাত জমি লাগবে! তাহলে টাকা টাকা করে কি হচ্ছে!
শুনলাম ওরা নাকি হকার তুলে দিবে? কি বলব তোকে, পাগল নাকি? চাকরি দেবার মুরোদ নেই ওই সব ছেলেরা যারা ঝড় বৃষ্টি রোদের মাঝে জীবন ত্যানা ত্যানা করে ফুটপাতে সামান্য পুঁজি খাটিয়ে ব্যবসা করে তাদের তুলে দিবে! সামান্য পুঁজির চটপটিওয়ালা, সবজি বিক্রেতা, হস্তশিল্প বিক্রেতা-হকার সবাইকে তুলে দিলে ওদের সংসারের খরচ দেবে কে? কিন্তু ভাই রাস্তায় হকার বইসা চলাচলের বিঘœ ঘটায়।
ফাইন, হকার বসলে তোমাদের চলাচলের সমস্যা, তো তোমরা সিসটেম করো। আরে, ব্যাটা তোর দেশতো ফ্রন্সের চেয়ে উন্নত না? কি যে কন আমরা হালায় অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত অসভ্য জাত, আমরা ক্যেমনে ফ্রান্সের চেয়ে উন্নত হমু!
তাহলে শোন ব্যাটা, তোর ওই ফ্রান্সের খোদ প্যারিস শহরে রাস্তায় হকার পসরা সাজিয়ে বিকিকিনি করে। আসলে কি কন, রাস্তায় বইসা মাল বেচে! ধুর বিশ্বাস হয় না! তোর বিশ্বাস না হলে প্যারিসবাসীর কি। ওদের ওখানে এলাকা ভিত্তিতে, ভোর পাঁচটা থেকে সকাল দশটা পর্যন্ত রাস্তায় হকাররা তরিতরকারি, খেলনা, জামাকাপড়, থালাবাটি মানে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রির জন্য অনুমতি দেয়। তারপর তুই দশটা দশে ওই এলাকায় গেলে তোর বোঝার সাধ্য নাই যে দশ মিনিট আগেও এখানে প্রায় ২০০ হকার কেনাবেচা করেছে। তুই কল্পনাও করতে পারবি না যে এখানে কোনো বাজার ছিল। সব পরিষ্কার। ওরা সিসটেমে হকার চালায়। আবার মেট্রো স্টেশনে হকাররা যতক্ষণ মেট্রো চলে ততক্ষণ তৈজসপত্র বিক্রি করে। তাই বলছিলাম মইনুদ্দিন-ফকরুদ্দিনের মতো হকারদের পেছনে না লেগে দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট, নোংরা চোরা অফিসারদের ধর, না হলে তো লেজে গোবরে হয়ে যাবি! কথাটা তো ঠিকই বলেছেন, হকারদের একটা সিসটেমের মাঝে আনলে হাজার হাজার হকার বেকার হবে না। ওদের সংসার ওরা নিজেরাই চালাবে, সরকারের মাথাব্যথা নাই। আচ্ছা এইগুলা কি কেউ দ্যেখে না, এই ইন্টেরিম সরকারকে এইসব বলার মতো কি কোনো লোক নাই? আশ্চর্য!
কি বলব বল। আমি তো আর খামাখা বলি নাই যে, “ভাত দেয়ার মুরোদ নেই, কিল মারার গোঁসাই...” চাকরি দিতে পারে না আবার হকার উচ্ছেদ করে!
জানেন আপনের এই উপলব্ধির পরিপ্রেক্ষিতে কবি জীবনান্দ দাসের একটা কবিতার দুটি চরণ মনে পড়ল। আরে ব্যাটা লাইন দুটা বল না শুনি।
কবি জীবনান্দ দাস লিখেছেন, ‘অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ,/ যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখ দেখে তারা,/ যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই, প্রীতি নেই, করুণার আলোড়ন নেই,/ পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া।’
[লেখক: চলচ্চিত্রকার ]
জাঁ-নেসার ওসমান
শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
কি ভাই, জামান ব্রাদার্স নাই বইলাই কী নিজেই গ্রাম বাংলার প্রবাদ লয়া গবেষণা করতাছেন? জামান ব্রাদার্স! কাগো কথা কস। এখন তো সবাই আলম ব্রাদার্স লয়া ব্যস্ত! বুঝি বুঝি ভাই ফাঁকা মাঠে গোল দিয়া নিজেরে আঁতেলেকচুয়াল বানাইতে চান। ইন্টেলেকচুয়াল ধুর ব্যাটা আমি কেনো বুদ্ধিজীবীর ভেক ধরব। আঁরে কি পাগলা কুত্তা কামড়াইছেনি! নানা ভাই অত সরলতা দেখালে তো হবে না। সবাই জানে যে, শামসুজ্জামান, আনিসুজ্জামান, সব মরে ভূত। এখন বাংলার গ্রাম্য প্রবাদ নিয়ে কাজ করার লোক নেই বললেই চলে। এখন সব ডিজিটাল যুগ, পাবলিক আর গ্রাম্য কথায় মজে না! কি বলছিস এই সব গ্রামীণ বাংলার প্রবাদ?
ক্যান ভাই, এই যে আপনে বললেন, “ভাত দেয়ার মুরোদ নেই, কিল মারার গোঁসাই...” হ্যাঁ, ঠিক আছে এটা গ্রাম বাংলার প্রবাদ, কারণ তখন বৌ পিটানো বিবাহিত জীবনের একটা অঙ্গ হিসেবে, সমাজে চালু ছিল, এখন তা চলে না, এখন বৌ হিডাইলে, জামিন অযোগ্য ক্রিমিনাল কেস! কিন্তু প্রবাদটা হচ্ছে, যে স্বামীর সংসারে সচ্ছলতা নেই সেখানে বৌ পিটালে, বৌ টিটকারি মারত যে, হালায় দুই বেলা ঠিকমতো খাইতে দিতে পারো না, আবার পিটাইতে আসো!
সে না হয় বুঝলাম, অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, ঠিকমতো দিতে না পারলে বৌ এর ওপর খবরদারি ফলায়েন না! তো সাত সকাল বেলা আপনে কারে কন ‘ভাত দেয়ার মুরোদ নেই, কিল মারার গোঁসাই...’ ক্যা তুমি বোজ না আমি কার কথা কোই?
খোলসা কইরা না কইলে বুঝমু ক্যামনে! আরে কোই আমাগো দ্বিতীয় স্বাধীনতার কথা।
স্বাধীন হওয়ার পর, কাঁচা বাজারের দাম দেখে লড়াকু জনগণের স্বাধীনতা সংগ্রামের ঠেলা সামলাতে যেয়ে ক্ষণে ক্ষণে গেয়ে উঠছে, “বাবারে বাবা, কারে করলাম বিয়া...” বাজার থেকে গরিবের প্রোটিন, ডিম উধাও! বাজার ভেদে কাঁচা মরিচ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। ভেবেছিলাম দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর, দেশে শান্তি হবে, বাজারের দ্রব্যমূল্য সহনীয় হবে, কিন্তু ওই যে সিন্ডিকেট বাজালো বাঁশি, বল কি করি, মরি লো, মরিইইই আমার সংগ্রামের নেশা কেটেছে রে!
ভাই এতগুলা তাজা প্রাণের বিনিময়ে, এই হত্যাযজ্ঞের বিনিময়ে এই মাল আপনে বাজারে ছাড়লেন! কাকে কবো দুঃক্ষের কথা। তোর মনে নেই গতবার মইনুদ্দিন-ফকরুদ্দিন মাইনাস টু করতে এসে দুদিনের মাথায় নিজেরাই মাইনাস হয়ে গেলো! এবার দেখি আবার তাই শুরু হয়েছে। মানে, আবার কি শুরু হয়েছে?
গতবার মইনুদ্দিন-ফকরুদ্দিন ১০০% পাবলিক সাপোর্ট, সাথে সেণাবাহিনী, মানে আর্মস, যেটা সকল ক্ষমতার উৎস। ভাবতে পারিস আর্মস ও শতভাগ পাবলিক সাপোর্ট নিয়েও ফেল, কারণ নেই কোনো পরিকল্পনা, নেই কোনো রোডম্যাপ, খামখেয়ালি করলে চলে? আর সর্বোপরি টাকার লোভ! আশ্চর্য, চোখের সামনে দেখছে, সব কাঁড়ি কাঁড়ি, বস্তা বস্তা টাকা ফেলে বাপ বাপ বলে পালাচ্ছে! তবুও সবের টাকা চাই টাকা। কি এক জামানা এলো, নৈতিকতা, মানবিকতা, আদর্শ, মূল্যবোধ, আত্মসম্মান, ন্যায়-অন্যায়বোধ সব ভুলে শুধু টাকা আর টাকা। ক্যেনো? ক্যেনো? একটা মানুষের সারা জীবনে কত টাকা দরকার! সব শেষে তো বিখ্যাত লেখক লিও টলস্টয়ের ওই সাড়ে তিন হাত জমি লাগবে! তাহলে টাকা টাকা করে কি হচ্ছে!
শুনলাম ওরা নাকি হকার তুলে দিবে? কি বলব তোকে, পাগল নাকি? চাকরি দেবার মুরোদ নেই ওই সব ছেলেরা যারা ঝড় বৃষ্টি রোদের মাঝে জীবন ত্যানা ত্যানা করে ফুটপাতে সামান্য পুঁজি খাটিয়ে ব্যবসা করে তাদের তুলে দিবে! সামান্য পুঁজির চটপটিওয়ালা, সবজি বিক্রেতা, হস্তশিল্প বিক্রেতা-হকার সবাইকে তুলে দিলে ওদের সংসারের খরচ দেবে কে? কিন্তু ভাই রাস্তায় হকার বইসা চলাচলের বিঘœ ঘটায়।
ফাইন, হকার বসলে তোমাদের চলাচলের সমস্যা, তো তোমরা সিসটেম করো। আরে, ব্যাটা তোর দেশতো ফ্রন্সের চেয়ে উন্নত না? কি যে কন আমরা হালায় অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত অসভ্য জাত, আমরা ক্যেমনে ফ্রান্সের চেয়ে উন্নত হমু!
তাহলে শোন ব্যাটা, তোর ওই ফ্রান্সের খোদ প্যারিস শহরে রাস্তায় হকার পসরা সাজিয়ে বিকিকিনি করে। আসলে কি কন, রাস্তায় বইসা মাল বেচে! ধুর বিশ্বাস হয় না! তোর বিশ্বাস না হলে প্যারিসবাসীর কি। ওদের ওখানে এলাকা ভিত্তিতে, ভোর পাঁচটা থেকে সকাল দশটা পর্যন্ত রাস্তায় হকাররা তরিতরকারি, খেলনা, জামাকাপড়, থালাবাটি মানে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রির জন্য অনুমতি দেয়। তারপর তুই দশটা দশে ওই এলাকায় গেলে তোর বোঝার সাধ্য নাই যে দশ মিনিট আগেও এখানে প্রায় ২০০ হকার কেনাবেচা করেছে। তুই কল্পনাও করতে পারবি না যে এখানে কোনো বাজার ছিল। সব পরিষ্কার। ওরা সিসটেমে হকার চালায়। আবার মেট্রো স্টেশনে হকাররা যতক্ষণ মেট্রো চলে ততক্ষণ তৈজসপত্র বিক্রি করে। তাই বলছিলাম মইনুদ্দিন-ফকরুদ্দিনের মতো হকারদের পেছনে না লেগে দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট, নোংরা চোরা অফিসারদের ধর, না হলে তো লেজে গোবরে হয়ে যাবি! কথাটা তো ঠিকই বলেছেন, হকারদের একটা সিসটেমের মাঝে আনলে হাজার হাজার হকার বেকার হবে না। ওদের সংসার ওরা নিজেরাই চালাবে, সরকারের মাথাব্যথা নাই। আচ্ছা এইগুলা কি কেউ দ্যেখে না, এই ইন্টেরিম সরকারকে এইসব বলার মতো কি কোনো লোক নাই? আশ্চর্য!
কি বলব বল। আমি তো আর খামাখা বলি নাই যে, “ভাত দেয়ার মুরোদ নেই, কিল মারার গোঁসাই...” চাকরি দিতে পারে না আবার হকার উচ্ছেদ করে!
জানেন আপনের এই উপলব্ধির পরিপ্রেক্ষিতে কবি জীবনান্দ দাসের একটা কবিতার দুটি চরণ মনে পড়ল। আরে ব্যাটা লাইন দুটা বল না শুনি।
কবি জীবনান্দ দাস লিখেছেন, ‘অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ,/ যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখ দেখে তারা,/ যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই, প্রীতি নেই, করুণার আলোড়ন নেই,/ পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া।’
[লেখক: চলচ্চিত্রকার ]