alt

উপ-সম্পাদকীয়

যোগ্য নেতৃত্ব সমাজ-সংগঠনকে এগিয়ে নেয়

এনামুল হক খান

: শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

দেশে রাজনৈতিক, সামাজিক, সেবামূলক, পেশাজীবী ও অন্যান্যদের মিলিয়ে রয়েছে হাজারো সংগঠন। নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত সব সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া কঠিন। তবে যে সংগঠনগুলোর সাইনবোর্ড রাস্তাঘাটে দেখা যায় এগুলোর বেশিরভাগ সংগঠনে নেতাকর্মীর পদচারণা নজরে আসে। তবে কিছু আছে সাইনবোর্ড সর্বস্ব সংগঠন। সচল সংগঠনগুলো যদি সত্যিকার ভাবে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে তবে প্রিয় মাতৃভূমিকে এগিয়ে নেয়া অত্যন্ত সহজ হয়।

কারণ, কৃষক-শ্রমিক-তাঁতী-জেলে সবাই রয়েছেন এই সংগঠনগুলোতে। এই সংগঠনের নেতাদের অবশ্যই যোগ্য নেতা হওয়া চাই। গায়ের শক্তি বা লাঠির শক্তিতে বলীয়ান এমন নেতা নয়। যোগ্য নেতৃত্ব দেশ-সমাজ-সংগঠনকে এগিয়ে নেয়। নেতাকে হতে হবে এমন মানুষ যার নেতৃত্বে থাকে মমত্ববোধ, এই মমতা হবে মানুষের প্রতি, দেশের প্রতি। থাকবে নীতি-নৈতিকতা।

নেতৃত্বে পদ-পদবি জনগণের কল্যাণের জন্য নিজের কল্যাণের জন্য নয়। এক সময় গায়ের জোরে নেতৃত্ব দখল, দেশ দখল হতোÑমুলুক দখল হতো। সামনাসামনি তরবারির মাধ্যমে যুদ্ধ হতো, ব্যবহৃত গত তীর-ধনুক আরও অনেক কিছু। এখন আর তেমনটা হয় না।

এখন শক্তি প্রয়োগের সামান্য কিছু খ-চিত্র চোখে পড়লেও সামগ্রিকভাবে এখন চলে মেধার মাধ্যমে নেতৃত্ব গ্রহণের যুদ্ধ। এ যুদ্ধে জয়ী হয়ে নেতা হতে হয়, নেতৃত্ব গ্রহণ করতে হয়। এ যুদ্ধে প্রয়োজন হয় জনগণ ও সদস্যদের সমর্থন। নেতার কথায় আমি সবকিছু করেছি, আমি সব করব এমন উক্তি থাকা উচিত নয়, থাকবে আমার সংগঠন সবকিছু করেছে, আমার দল সব করবে ইত্যাদি। এতে অন্য নেতা-কর্মীরা উৎফুল্ল বোধ করবে। জনগণ ও সদস্যরা অনুপ্রাণিত হবে, নেতার প্রতি তাদের শ্রদ্ধা বাড়বে। একথা সত্য যে, কোন সংগঠন এক নেতায় চলে না, থাকে বড় নেতা, সমপর্যায়ের নেতা, ছোট নেতা। থাকে কর্মী- সমর্থক। সংগঠনে প্রত্যেক নেতাকে সৎ হতে হবে-তবেই নেতার প্রতি বাড়বে সবার আস্থা। আমরা সবাই অবগত যে, সংগঠন পরিচালনার দিক নির্দেশনা থাকে গঠনতন্ত্রে, সংবিধানে। যা মেনে সংগঠন, পরিচালনা করতে হয়। দেশ পরিচালনা করতে হয়। না মানলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। সংগঠনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

গঠনতন্ত্র সংগঠনের মূল ভিত্তি গঠনতন্ত্রে থাকে পেশার প্রতি মনোযোগী হওয়ার তাগিদ। থাকে দেশ-সংগঠন পরিচালনার গাইডলাইন। থাকে আইনকানুনের ধারা, উপধারা। নেতা সৎ হলে কর্মী ও সমর্থকরা দেশের প্রতি-পেশার প্রতি আন্তরিক হলে দেশ এগিয়ে যাবে। নেতার পক্ষে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া ও বাস্তবায়ন করা সহজ হবে। সমাজ-সংসার রাজনৈতিক অঙ্গন সর্বক্ষেত্রে যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন। এই যোগ্যতা শুধু পুঁথিগত বিদ্যার নয়- এই যোগ্যতা দৃঢ় মনোবল অর্জনকারীর যোগ্যতা। এই যোগ্যতা, বাস্তব অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ সুশিক্ষায় শিক্ষিত নেতৃত্বের যোগ্যতা। যিনি এই যোগ্যতা বলে সঠিকভাবে সমাজ- সংগঠন-দেশ পরিচালনা করবেন, সমাজ-সভ্যতাকে এগিয়ে নেবেন। অভ্যন্তরীণ এবং বহিঃশত্রুর চক্রান্ত থেকে দল-সংগঠনকে রক্ষা করবেন। নেতা সৎ হলে কর্মী বাহিনী সৎ হয়, ধোঁকাবাজ-মিথ্যাচারীর সংখ্যা কমে যায়। সর্বত্র সংগঠনের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে, সমাজ-সভ্যতা, উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে যায়।

দেশ- সংস্থা ও সংগঠনকে এগিয়ে নিতে হলে দরকার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। এক কথায় যাকে বলে যোগ্য নেতার নেতৃত্ব। প্রত্যেক সংগঠনে নেতাদের অব্যাহত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকা দরকার। এ প্রশিক্ষণ হবে যোগ্যতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ- ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব সৃষ্টির প্রশিক্ষণ। যাতে প্রথম অবস্থা থেকেই নেতৃত্ব প্রত্যাশী ব্যক্তি জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করার মতো ভালো কাজ করে এগিয়ে যেতে পারেন। নেতা নেতৃত্ব দিয়ে মানুষকে যোগ্য করে তুলবেন। দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করবেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন নেতৃত্বই দায়িত্ব পেলে জনগণের শিক্ষা-স্বাস্থ্য-বাসস্থান-খাদ্য নিশ্চয়তা দিতে সচেষ্ট হন। শতভাগ সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মানুষ যাতে মানুষের মতো গড়ে উঠতে পারে সে কর্মসূচি হাতে নেন।

স্মরণ রাখতে হবে নেতার মধ্যে যদি জ্ঞানের-অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকে তিনি কখনও সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারবেন না। কঠোর অনুশীলন এর মাধ্যমে নেতাকে এ ঘাটতি পূরণ করতে হবে। জ্ঞান অর্জন-দক্ষতা ও বাস্তব অভিজ্ঞতার মাপকাঠিতে তার স্থান ঊর্ধ্বে হওয়া বাঞ্ছনীয়। পারি না-বুঝি না-জানি না এসবের ঊর্ধ্বে উঠে নেতৃত্ব দিতে হবে। নেতার থাকবে সবদিকে নজর- এক দিকে নয়। প্রতিনিয়ত অধ্যয়ন করে তথ্যে সমৃদ্ধ থাকতে হবে নেতাকে, নেতার মধ্যে আলসেমি থাকবে না। পরামর্শ করতে হবে বিজ্ঞ-বিশ্বস্তজনের সঙ্গে। তাই থাকবে উপদেষ্টা পরিষদ। সংগঠনের অধিকাংশ সদস্যদের মতামতকে প্রাধান্য দেয়া বিচক্ষণতার কাজ। একজন বিচক্ষণ নেতাই পারেন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে। দেশ-সমাজ-সংগঠন-নগর-বন্দরকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলতে এগিয়ে নিতে।

কাজের মাধ্যমেই নেতার যোগ্যতার পরিচয় মেলে- কথায় নয়। নেতা নিঃস্বার্থ ভাবে উন্নয়ন-উৎপাদন ও কল্যাণ মূলক কাজ করে যাবেন। চলার পথে দুষ্ট প্রকৃতির লোকদের চেনার ক্ষমতা নেতার থাকতে হবে, বন্ধুকে বন্ধুর জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে-দুষ্টকে গুরুত্বহীন জায়গায় স্থান দিতে হবে। প্রয়োজনে নেতাকে

কঠোর হতে হবে। তার মধ্যে যোগ্য লোকদের প্রশংসা থাকবে, তেলা মাথায় তেল দেয়ার প্রবণতা থাকবে না।

নেতা দেশ-সমাজকে এগিয়ে নেয়ার জন্য গ্রহণ করবেন স্বল্পমেয়াদি-দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। তিনি সব সময় অসহায় দুর্গত মানুষের পাশে থাকবেন, তাদের দুঃখে দুঃখী হবেন, দুঃখ ঘোচাতে পরিকল্পনা নেবেন- বাস্তবায়ন করবেন। তিনি জনতার প্রতিনিধি, তাই পদকে তিনি সম্মান করেন।

নেতা ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখবেন না-জেগে স্বপ্ন দেখবেন। এ স্বপ্ন হবে দেশ- জনগণকে এগিয়ে নেয়ার স্বপ্ন, উন্নয়নের স্বপ্ন। অভাব অনটন ঘোচানোর স্বপ্ন। চলার পথে ভুল-ত্রুটি থাকলে-সমালোচনা থাকলে শুধরে নেবেন। তবে দল- সংগঠনকে এগিয়ে নেয়ার জন্য তিনি দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে গ্রহণ করবেন ঝোপ বুঝে কোপ মারার কৌশল। সংগঠনে নেতাকে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হতে হবে। জনগণের সেবা করার মন-মানসিকতা থাকতে হবে। সংগঠনের আদর্শ-উদ্দেশ্য নেতাকে হৃদয়ে লালন করতে হবে। কথায় ও কাজে মিল থাকতে হবে। ফাঁকি দেয়ার প্রবণতা নেতার থাকবে না। সংগঠনের প্রতিটি সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে নেতার অংশগ্রহণ থাকতে হবে। থাকবে অন্যান্য যোগ্য নেতার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ।

থাকতে হবে যুব সমাজ তথা ছোটদের এগিয়ে নেয়ার সদিচ্ছা। সদস্যদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে অগ্রণী ভূমিকা থাকতে হবে। নেতার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের মানসিকতা থাকতে হবে। দাবি বাস্তবায়নে কি করা উচিত, কিভাবে করা উচিত ইত্যাদি বিষয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

নিজের মেধা-মননের বিকাশে পড়াশোনা করতে হবে। বিভিন্ন সমস্যা, দাবি আদায়ের আন্দোলন-কর্মসূচি বিষয়ে অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে। মানুষের চেতনাকে জাগিয়ে তোলার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। কোন সমস্যায় নেতাকে বিচলিত হলে চলবে না। নেতা সমস্যা উত্তরণে একান্ত আপন ও যোগ্য লোকদের পরামর্শ নিয়ে সঠিক পথে এগোনোর চেষ্টা করবেন। সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে নেতা থাকবেন মুখ্য ভূমিকায়। নেতার কাছে তথ্য-উপাত্ত বেশি থাকবে, সুন্দরভাবে তা প্রকাশ করার ক্ষমতা নেতার থাকতে হবে। যাতে জনগণ মনোযোগের সঙ্গে তার কথা শুনে এবং সহজে বুঝে নেয়। ঘন ঘন দল পরিবর্তন করা নেতার ভালো গুণ নয়। নেতাকে ভালো মানুষ হতে হবে। সবার সঙ্গে ভদ্র আচরণ করতে হবে। ষড়যন্ত্রকারী, ধোঁকাবাজ ও সংগঠনের জন্য ক্ষতিকর লোকদের প্রতি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। নেতা সবসময় ধর্মভীরু, গুণী লোকদের সম্মান দেখাবেন। নেতার মধ্যে সংগঠনের অর্থ তছরুপ করার প্রবণতা থাকবে না। থাকতে হবে সম্ভব মতো অর্থ জোগান দেয়ার মানসিকতা। থাকতে হবে সদস্যদের অভিযোগ শুনে পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেয়ার ক্ষমতা। উপজেলা- জেলা পর্যায়ের নেতাদের ঊর্ধ্বতন বিচক্ষণ নেতাদের সঙ্গে এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাদের বেশি গুরুত্বপূর্ণ, বিচক্ষণ ও দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে সু-সম্পর্ক থাকতে হবে।

রড-পাথরের তৈরি খাম্বা ইমারতকে যেমন মজবুত করে-তেমনি সদস্যদের সমর্থন নেতাকে বলীয়ান করে। বলিষ্ঠ নেতাকে সর্বদা সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া উচিত, পেছনে থেকে নয়। নেতা পেছনে থাকলে সদস্যরা দিশেহারা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নেতা সর্বদা জনগণের সমস্যা-নিজের সমস্যা বলে ভাববেন, সমাধানে এগিয়ে যাবেন, দুঃখ কষ্টে শরিক হবেন। নেতা শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করবেন, ছেলেমেয়ের পড়াশোনায় উৎসাহ প্রদান করবেন। নেতা সমষ্টিগত স্বার্থকে প্রাধান্য দিবেন, নিজের স্বার্থকে গৌণ করে দেখবেন। সদস্যদের নিয়ন্ত্রণ, বিবাদ নিরসন করার ক্ষমতা নেতার থাকতে হবে। নেতা উগ্র আচরণ পরিত্যাগ করে সহজ সরলভাবে চলবেন, উন্নত চিন্তা করবেন। নেতাকে সর্বক্ষেত্রে যোগ্যতম সহকর্মীর সঙ্গে পরামর্শ করার প্রবণতা থাকতে হবে, ভালো ও সঠিক পরামর্শ আগে নিজে বুঝবেন তারপর গ্রহণ করবেন। নেতা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ত্বরিত ব্যবস্থা নেবেন। অন্যায় কাজের যুক্তিসংগত প্রতিবাদ করবেন।

অন্যায়কারীকে সংশোধন হওয়ার তাগিদ দেবেন। পরিবর্তন না হলে আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেবেন।

স্মরণ রাখতে হবে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের চাকরিরত অবস্থায় দলীয় কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে দল যখন ক্ষমতায় থাকে কর্মকর্তাদের তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকতে হয়- সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হয়। দেশের উন্নয়ন উৎপাদনে সক্রিয় থাকতে হয়। দেশ এবং সমাজে একই উদ্দেশ্যে অনেক সংগঠন থাকতে পারে, নেতাদের যোগ্যতার মাপকাঠিতে জনগণ কোন সংগঠনকে সমর্থন করবেন, কোন সংগঠনের সদস্য হবেন সেটা তারাই ঠিক করবেন। জোর করে জনগণের সমর্থন আদায় দীর্ঘস্থায়ী হয় না। দেশ-সংগঠন ও সমাজের যোগ্য নেতা দৈনিক সমাজকর্ম, দল-সংগঠনের কাজ, নিজের মেধা বিকাশে পড়াশোনা করবেন। পরিশ্রমী, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতার সফলতা বেশি, ব্যর্থতা কম হয়।

[ লেখক : প্রকৌশলী ]

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে করণীয়

শিক্ষা খাতে দলীয় রাজনীতির নেতিবাচক প্রভাব

কোন পথে জামায়াতের রাজনীতি?

শ্রমিকের উন্নয়ন ছাড়া গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনা সম্ভব নয়

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির ভূমিকা

ডিমের জারিজুরি

ব্যক্তি স্বাধীনতার সংকট

কিল মারার গোঁসাই

ছবি

শেকড়ের সন্ধানে সাঁইজির ধামে

বৈষম্যের অন্ধকারে নিমজ্জিত প্রকৌশল শিক্ষার আরেক জগৎ

প্রশাসনিক সংস্কারে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা কতটা প্রতিষ্ঠা পাবে?

বাংলার মৃৎশিল্প

প্রবারণা পূর্ণিমার আলোয় আলোকিত হোক মানবজাতি

খেলাপি ঋণের অপসংস্কৃতি

কথার কথা যত কথা

দলীয় রাজনীতির প্রভাবমুক্ত হোক শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

সুইডেনের গণতন্ত্র

বিচ্ছিন্নতা ও একাকীত্ব : শহুরে জীবনধারার মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব

নতুন প্রেক্ষাপটে ‘চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ : স্বাধীনতা না প্রতিরোধ?

ধর্মীয় স্বাধীনতা ও কঠিন চীবরদান

ছবি

দুর্গাপূজার মর্মবাণী

মানুষ মূল্যস্ফীতি থেকে রক্ষা পাবে কীভাবে

গুজব ও মিথ্যা তথ্য : সমাজের এক ভয়াবহ ব্যাধি

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে দৃঢ় পদক্ষেপ প্রয়োজন

পুরাতত্ত্বের ধারায় সনাতনী সমাজের দুর্গাপূজা

জীবন-মৃত্যু কী?

নাসা : বিজ্ঞানের পীঠস্থান

শিক্ষা সংস্কারে প্রথাগত চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে

সাংঘাতিক ভাই, সাংঘাতিক...

প্রযুক্তির মায়াজালে বন্দি মানুষ

ছবি

এসএম সুলতান : সংস্কৃতি সত্তার সত্যপাঠ

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস

তরুণ সমাজ ও প্রযুক্তি নির্ভরতা : সামাজিক সম্পর্কের পরিবর্তন ও মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব

বগুড়ার তাঁতপল্লী

অটিজম কোনো রোগ নয়

জনপ্রশাসন, জেলা প্রশাসক ও স্যার সম্বোধন কি আইনসম্মত

tab

উপ-সম্পাদকীয়

যোগ্য নেতৃত্ব সমাজ-সংগঠনকে এগিয়ে নেয়

এনামুল হক খান

শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

দেশে রাজনৈতিক, সামাজিক, সেবামূলক, পেশাজীবী ও অন্যান্যদের মিলিয়ে রয়েছে হাজারো সংগঠন। নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত সব সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া কঠিন। তবে যে সংগঠনগুলোর সাইনবোর্ড রাস্তাঘাটে দেখা যায় এগুলোর বেশিরভাগ সংগঠনে নেতাকর্মীর পদচারণা নজরে আসে। তবে কিছু আছে সাইনবোর্ড সর্বস্ব সংগঠন। সচল সংগঠনগুলো যদি সত্যিকার ভাবে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে তবে প্রিয় মাতৃভূমিকে এগিয়ে নেয়া অত্যন্ত সহজ হয়।

কারণ, কৃষক-শ্রমিক-তাঁতী-জেলে সবাই রয়েছেন এই সংগঠনগুলোতে। এই সংগঠনের নেতাদের অবশ্যই যোগ্য নেতা হওয়া চাই। গায়ের শক্তি বা লাঠির শক্তিতে বলীয়ান এমন নেতা নয়। যোগ্য নেতৃত্ব দেশ-সমাজ-সংগঠনকে এগিয়ে নেয়। নেতাকে হতে হবে এমন মানুষ যার নেতৃত্বে থাকে মমত্ববোধ, এই মমতা হবে মানুষের প্রতি, দেশের প্রতি। থাকবে নীতি-নৈতিকতা।

নেতৃত্বে পদ-পদবি জনগণের কল্যাণের জন্য নিজের কল্যাণের জন্য নয়। এক সময় গায়ের জোরে নেতৃত্ব দখল, দেশ দখল হতোÑমুলুক দখল হতো। সামনাসামনি তরবারির মাধ্যমে যুদ্ধ হতো, ব্যবহৃত গত তীর-ধনুক আরও অনেক কিছু। এখন আর তেমনটা হয় না।

এখন শক্তি প্রয়োগের সামান্য কিছু খ-চিত্র চোখে পড়লেও সামগ্রিকভাবে এখন চলে মেধার মাধ্যমে নেতৃত্ব গ্রহণের যুদ্ধ। এ যুদ্ধে জয়ী হয়ে নেতা হতে হয়, নেতৃত্ব গ্রহণ করতে হয়। এ যুদ্ধে প্রয়োজন হয় জনগণ ও সদস্যদের সমর্থন। নেতার কথায় আমি সবকিছু করেছি, আমি সব করব এমন উক্তি থাকা উচিত নয়, থাকবে আমার সংগঠন সবকিছু করেছে, আমার দল সব করবে ইত্যাদি। এতে অন্য নেতা-কর্মীরা উৎফুল্ল বোধ করবে। জনগণ ও সদস্যরা অনুপ্রাণিত হবে, নেতার প্রতি তাদের শ্রদ্ধা বাড়বে। একথা সত্য যে, কোন সংগঠন এক নেতায় চলে না, থাকে বড় নেতা, সমপর্যায়ের নেতা, ছোট নেতা। থাকে কর্মী- সমর্থক। সংগঠনে প্রত্যেক নেতাকে সৎ হতে হবে-তবেই নেতার প্রতি বাড়বে সবার আস্থা। আমরা সবাই অবগত যে, সংগঠন পরিচালনার দিক নির্দেশনা থাকে গঠনতন্ত্রে, সংবিধানে। যা মেনে সংগঠন, পরিচালনা করতে হয়। দেশ পরিচালনা করতে হয়। না মানলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। সংগঠনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

গঠনতন্ত্র সংগঠনের মূল ভিত্তি গঠনতন্ত্রে থাকে পেশার প্রতি মনোযোগী হওয়ার তাগিদ। থাকে দেশ-সংগঠন পরিচালনার গাইডলাইন। থাকে আইনকানুনের ধারা, উপধারা। নেতা সৎ হলে কর্মী ও সমর্থকরা দেশের প্রতি-পেশার প্রতি আন্তরিক হলে দেশ এগিয়ে যাবে। নেতার পক্ষে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া ও বাস্তবায়ন করা সহজ হবে। সমাজ-সংসার রাজনৈতিক অঙ্গন সর্বক্ষেত্রে যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন। এই যোগ্যতা শুধু পুঁথিগত বিদ্যার নয়- এই যোগ্যতা দৃঢ় মনোবল অর্জনকারীর যোগ্যতা। এই যোগ্যতা, বাস্তব অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ সুশিক্ষায় শিক্ষিত নেতৃত্বের যোগ্যতা। যিনি এই যোগ্যতা বলে সঠিকভাবে সমাজ- সংগঠন-দেশ পরিচালনা করবেন, সমাজ-সভ্যতাকে এগিয়ে নেবেন। অভ্যন্তরীণ এবং বহিঃশত্রুর চক্রান্ত থেকে দল-সংগঠনকে রক্ষা করবেন। নেতা সৎ হলে কর্মী বাহিনী সৎ হয়, ধোঁকাবাজ-মিথ্যাচারীর সংখ্যা কমে যায়। সর্বত্র সংগঠনের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে, সমাজ-সভ্যতা, উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে যায়।

দেশ- সংস্থা ও সংগঠনকে এগিয়ে নিতে হলে দরকার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। এক কথায় যাকে বলে যোগ্য নেতার নেতৃত্ব। প্রত্যেক সংগঠনে নেতাদের অব্যাহত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকা দরকার। এ প্রশিক্ষণ হবে যোগ্যতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ- ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব সৃষ্টির প্রশিক্ষণ। যাতে প্রথম অবস্থা থেকেই নেতৃত্ব প্রত্যাশী ব্যক্তি জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করার মতো ভালো কাজ করে এগিয়ে যেতে পারেন। নেতা নেতৃত্ব দিয়ে মানুষকে যোগ্য করে তুলবেন। দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করবেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন নেতৃত্বই দায়িত্ব পেলে জনগণের শিক্ষা-স্বাস্থ্য-বাসস্থান-খাদ্য নিশ্চয়তা দিতে সচেষ্ট হন। শতভাগ সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মানুষ যাতে মানুষের মতো গড়ে উঠতে পারে সে কর্মসূচি হাতে নেন।

স্মরণ রাখতে হবে নেতার মধ্যে যদি জ্ঞানের-অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকে তিনি কখনও সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারবেন না। কঠোর অনুশীলন এর মাধ্যমে নেতাকে এ ঘাটতি পূরণ করতে হবে। জ্ঞান অর্জন-দক্ষতা ও বাস্তব অভিজ্ঞতার মাপকাঠিতে তার স্থান ঊর্ধ্বে হওয়া বাঞ্ছনীয়। পারি না-বুঝি না-জানি না এসবের ঊর্ধ্বে উঠে নেতৃত্ব দিতে হবে। নেতার থাকবে সবদিকে নজর- এক দিকে নয়। প্রতিনিয়ত অধ্যয়ন করে তথ্যে সমৃদ্ধ থাকতে হবে নেতাকে, নেতার মধ্যে আলসেমি থাকবে না। পরামর্শ করতে হবে বিজ্ঞ-বিশ্বস্তজনের সঙ্গে। তাই থাকবে উপদেষ্টা পরিষদ। সংগঠনের অধিকাংশ সদস্যদের মতামতকে প্রাধান্য দেয়া বিচক্ষণতার কাজ। একজন বিচক্ষণ নেতাই পারেন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে। দেশ-সমাজ-সংগঠন-নগর-বন্দরকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলতে এগিয়ে নিতে।

কাজের মাধ্যমেই নেতার যোগ্যতার পরিচয় মেলে- কথায় নয়। নেতা নিঃস্বার্থ ভাবে উন্নয়ন-উৎপাদন ও কল্যাণ মূলক কাজ করে যাবেন। চলার পথে দুষ্ট প্রকৃতির লোকদের চেনার ক্ষমতা নেতার থাকতে হবে, বন্ধুকে বন্ধুর জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে-দুষ্টকে গুরুত্বহীন জায়গায় স্থান দিতে হবে। প্রয়োজনে নেতাকে

কঠোর হতে হবে। তার মধ্যে যোগ্য লোকদের প্রশংসা থাকবে, তেলা মাথায় তেল দেয়ার প্রবণতা থাকবে না।

নেতা দেশ-সমাজকে এগিয়ে নেয়ার জন্য গ্রহণ করবেন স্বল্পমেয়াদি-দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। তিনি সব সময় অসহায় দুর্গত মানুষের পাশে থাকবেন, তাদের দুঃখে দুঃখী হবেন, দুঃখ ঘোচাতে পরিকল্পনা নেবেন- বাস্তবায়ন করবেন। তিনি জনতার প্রতিনিধি, তাই পদকে তিনি সম্মান করেন।

নেতা ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখবেন না-জেগে স্বপ্ন দেখবেন। এ স্বপ্ন হবে দেশ- জনগণকে এগিয়ে নেয়ার স্বপ্ন, উন্নয়নের স্বপ্ন। অভাব অনটন ঘোচানোর স্বপ্ন। চলার পথে ভুল-ত্রুটি থাকলে-সমালোচনা থাকলে শুধরে নেবেন। তবে দল- সংগঠনকে এগিয়ে নেয়ার জন্য তিনি দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে গ্রহণ করবেন ঝোপ বুঝে কোপ মারার কৌশল। সংগঠনে নেতাকে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হতে হবে। জনগণের সেবা করার মন-মানসিকতা থাকতে হবে। সংগঠনের আদর্শ-উদ্দেশ্য নেতাকে হৃদয়ে লালন করতে হবে। কথায় ও কাজে মিল থাকতে হবে। ফাঁকি দেয়ার প্রবণতা নেতার থাকবে না। সংগঠনের প্রতিটি সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে নেতার অংশগ্রহণ থাকতে হবে। থাকবে অন্যান্য যোগ্য নেতার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ।

থাকতে হবে যুব সমাজ তথা ছোটদের এগিয়ে নেয়ার সদিচ্ছা। সদস্যদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে অগ্রণী ভূমিকা থাকতে হবে। নেতার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের মানসিকতা থাকতে হবে। দাবি বাস্তবায়নে কি করা উচিত, কিভাবে করা উচিত ইত্যাদি বিষয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

নিজের মেধা-মননের বিকাশে পড়াশোনা করতে হবে। বিভিন্ন সমস্যা, দাবি আদায়ের আন্দোলন-কর্মসূচি বিষয়ে অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে। মানুষের চেতনাকে জাগিয়ে তোলার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। কোন সমস্যায় নেতাকে বিচলিত হলে চলবে না। নেতা সমস্যা উত্তরণে একান্ত আপন ও যোগ্য লোকদের পরামর্শ নিয়ে সঠিক পথে এগোনোর চেষ্টা করবেন। সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে নেতা থাকবেন মুখ্য ভূমিকায়। নেতার কাছে তথ্য-উপাত্ত বেশি থাকবে, সুন্দরভাবে তা প্রকাশ করার ক্ষমতা নেতার থাকতে হবে। যাতে জনগণ মনোযোগের সঙ্গে তার কথা শুনে এবং সহজে বুঝে নেয়। ঘন ঘন দল পরিবর্তন করা নেতার ভালো গুণ নয়। নেতাকে ভালো মানুষ হতে হবে। সবার সঙ্গে ভদ্র আচরণ করতে হবে। ষড়যন্ত্রকারী, ধোঁকাবাজ ও সংগঠনের জন্য ক্ষতিকর লোকদের প্রতি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। নেতা সবসময় ধর্মভীরু, গুণী লোকদের সম্মান দেখাবেন। নেতার মধ্যে সংগঠনের অর্থ তছরুপ করার প্রবণতা থাকবে না। থাকতে হবে সম্ভব মতো অর্থ জোগান দেয়ার মানসিকতা। থাকতে হবে সদস্যদের অভিযোগ শুনে পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেয়ার ক্ষমতা। উপজেলা- জেলা পর্যায়ের নেতাদের ঊর্ধ্বতন বিচক্ষণ নেতাদের সঙ্গে এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাদের বেশি গুরুত্বপূর্ণ, বিচক্ষণ ও দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে সু-সম্পর্ক থাকতে হবে।

রড-পাথরের তৈরি খাম্বা ইমারতকে যেমন মজবুত করে-তেমনি সদস্যদের সমর্থন নেতাকে বলীয়ান করে। বলিষ্ঠ নেতাকে সর্বদা সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া উচিত, পেছনে থেকে নয়। নেতা পেছনে থাকলে সদস্যরা দিশেহারা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নেতা সর্বদা জনগণের সমস্যা-নিজের সমস্যা বলে ভাববেন, সমাধানে এগিয়ে যাবেন, দুঃখ কষ্টে শরিক হবেন। নেতা শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করবেন, ছেলেমেয়ের পড়াশোনায় উৎসাহ প্রদান করবেন। নেতা সমষ্টিগত স্বার্থকে প্রাধান্য দিবেন, নিজের স্বার্থকে গৌণ করে দেখবেন। সদস্যদের নিয়ন্ত্রণ, বিবাদ নিরসন করার ক্ষমতা নেতার থাকতে হবে। নেতা উগ্র আচরণ পরিত্যাগ করে সহজ সরলভাবে চলবেন, উন্নত চিন্তা করবেন। নেতাকে সর্বক্ষেত্রে যোগ্যতম সহকর্মীর সঙ্গে পরামর্শ করার প্রবণতা থাকতে হবে, ভালো ও সঠিক পরামর্শ আগে নিজে বুঝবেন তারপর গ্রহণ করবেন। নেতা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ত্বরিত ব্যবস্থা নেবেন। অন্যায় কাজের যুক্তিসংগত প্রতিবাদ করবেন।

অন্যায়কারীকে সংশোধন হওয়ার তাগিদ দেবেন। পরিবর্তন না হলে আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেবেন।

স্মরণ রাখতে হবে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের চাকরিরত অবস্থায় দলীয় কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে দল যখন ক্ষমতায় থাকে কর্মকর্তাদের তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকতে হয়- সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হয়। দেশের উন্নয়ন উৎপাদনে সক্রিয় থাকতে হয়। দেশ এবং সমাজে একই উদ্দেশ্যে অনেক সংগঠন থাকতে পারে, নেতাদের যোগ্যতার মাপকাঠিতে জনগণ কোন সংগঠনকে সমর্থন করবেন, কোন সংগঠনের সদস্য হবেন সেটা তারাই ঠিক করবেন। জোর করে জনগণের সমর্থন আদায় দীর্ঘস্থায়ী হয় না। দেশ-সংগঠন ও সমাজের যোগ্য নেতা দৈনিক সমাজকর্ম, দল-সংগঠনের কাজ, নিজের মেধা বিকাশে পড়াশোনা করবেন। পরিশ্রমী, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতার সফলতা বেশি, ব্যর্থতা কম হয়।

[ লেখক : প্রকৌশলী ]

back to top