বাশির শাহরিয়ার
নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ। তেরশত নদীর দেশ হিসেবে পরিচিত এই দেশটিতে নদীই জীবনের প্রাণ। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, কর্ণফুলী, তিস্তাসহ বহু নদনদী ঘিরে রেখেছে এই মাতৃভূমিকে। বাংলার মানুষের জীবন ও সভ্যতাও গড়ে উঠেছে নদীর উপত্যকায়। শুধু এ যুগে নয় প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ সুপেয় পানি, যোগাযোগের সহজ মাধ্যম হিসেবে জলপথ ব্যাবহার করে আসছে; কিন্তু আজকের দিনে এই নদীগুলোর অবস্থা নাজুক। দিনে দিনে নদীগুলো বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এমনকি কিছু কিছু ছোট নদী একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে।
নদীর সংকটের কারণ : বাংলাদেশের নদীগুলোর এই করুণ পরিস্থিতির পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। বিশেষ করে দূষণ, দখলবাজি, অবৈধ নির্মাণ পলি জমে নদীর গভীরতা কমে যাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অসচেতনতা এই নদীগুলোকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে।
দখল ও ভরাট : বাংলাদেশের প্রায় সব নদীই অবৈধ দখল ও ভরাটের শিকার। শহরাঞ্চলে শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও আবাসন প্রকল্পের নামে নদীর তীর ভরাট করে দখল চলছে। এর ফলে নদীগুলোর প্রস্থ কমে যাচ্ছে, যা নৌ-চলাচল এবং পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করছে।
বুরিগঙ্গাকে বলা হয় হয় মৃতপ্রায় নদী। এর দুই পাড় দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন মার্কেট কারখানা ইত্যাদি। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নদীগুলোর মধ্যে একটি হলো পদ্মা নদী; কিন্তু দিনে দিনে এই নদীরও পাড় দখল করা হয়েছে। সরকারি নিয়মনীতি না মেনে পদ্মা নদীর পাড় ঘেঁষা ঈশ্বরদীর ইটভাটা অঞ্চলখ্যাত লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে ৫২টি ইটভাটা। যমুনাতেও ঘটানো হচ্ছে একই ঘটনা।
নওগাঁর রানীনগর উপজেলায় ছোট যমুনা নদীর দুই পাড় অবৈধভাবে দখল করে গড়ে উঠছে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা, মার্কেট ও দোকানঘর। যমুনা নদীও দখলে নেয়া শুরু করেছিল বিভিন্ন ক্ষমতাশীল ব্যক্তিরা। তিস্তা নদীকে বলা হয় একটি নির্যাতিত নদী। ২০২৩ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী কুড়িগ্রামের উলিপুরে খনন করা বুড়ি তিস্তা নদী দখলের মহাৎসব চলেছে। তিস্তা ব্রিজ থেকে প্রায় এক হাজার মিটার এলাকাজুড়ে নদী দখল করে প্রকাশ্যে বিল্ডিং নির্মাণসহ দুই পাড়ের মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একটি চক্র যে যেভাবে পারছে বুড়ি তিস্তাকে আবারও দখল দূষণে মেতে উঠেছে। এছাড়াও অনেক ছোট ছোট নদী ও খাল পুরোপুরি দখলই করে ফেলেছে কিছু দুষ্টচক্র।
দূষণ : শিল্প-কারখানার বর্জ্য, ময়লা পানি, প¬াস্টিক, পলিথিন, বোতল ইত্যাদি নদীতে ফেলা হচ্ছে প্রতিদিন। বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, কর্ণফুলীর মতো প্রধান নদীগুলো এখন দূষণের কারণে প্রায় মৃতপ্রায়। দূষণের মাত্রা এত বেশি যে, অনেক নদীর পানি আর ব্যবহারের উপযোগী নয়।
রিভার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি) বাংলাদেশে ৫৬টি নদীর দূষণের মাত্রা পরীক্ষা করতে গিয়ে তারা দেখতে পায় সবটি অতিমাত্রায় দূষিত। এর মধ্যে গাজীপুরের লবণদহ, নরসিংদীর হাঁড়িধোয়া ও হবিগঞ্জের সুতাং এই তিনটি নদীর অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। এই নদীগুলোয় সহনীয় মাত্রার চেয়ে তুলনামূলক বেশি দূষণের অস্তিত্ব পেয়েছেন গবেষকরা।
সেখানে দূষণের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে যত্রতত্র প্লাস্টিকের ব্যবহারকে। অপর দুই বড় কারণ হলোÑ নদী তীরবর্তী শিল্প কারখানাগুলোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকা, সেই সঙ্গে পৌরসভাগুলোর ময়লা ফেলার জন্য নদীকে বেছে নেয়া।
পলি জমে নদীর গভীরতা কমে যাওয়া : প্রতিবছর বর্ষায় পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে দেশের নদীগুলোতে বিপুল পরিমাণ পলি জমা হয়। এ পলি অপসারণের ব্যবস্থা না থাকায় নদীর গভীরতা ক্রমেই কমে আসছে। দীর্ঘদিন নদী খনন না করার ফলে পলি জমতে জমতে এক সময় সেটি নালায় রূপান্তর হয় এবং ধীরে ধীরে সেটিও বিলুপ্ত হয়ে যায়।
জলবায়ু পরিবর্তন : জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নদীর পানির প্রবাহে ঋতুভিত্তিক অস্বাভাবিকতা দেখা দিচ্ছে। বর্ষায় অতিরিক্ত প্রবাহ এবং শুষ্ক মৌসুমে পানিশূন্যতা দেশের নদীগুলোকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। অতিরিক্ত উষ্ণতার ফলে হিমালয়ের বরফ গলে নদীর মাধ্যমে সেই পানি সমুদ্রে পতিত হয়ে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি করলেও ক্ষতি করছে বাংলার নদ-নদীর।
প্রাণবৈচিত্র্যের ওপর প্রভাব : নদীর পানির গুণগতমান কমে যাওয়ার কারণে মাছসহ জলজ প্রাণীরা বিলুপ্ত হচ্ছে। আমাদের পূর্বপুরুষরা আমাদের বিভিন্ন প্রকার দেশীয় মাছের বাহারি রূপ আলোচনা। তারা যত বড় বড় দেশীয় মাছ দেখতে পেয়েছেন এখন নদনদীর দূষিত পানির কারণে আর দেখতে পাওয়া স্বপ্নের মতো। শুধু মাছই নয় জলজ অন্যান্য জলজ সম্পদ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
কৃষি ও পানি সরবরাহে প্রভাব : নদীর পানির সংকট কৃষিকাজ ও মানুষের দৈনন্দিন পানির চাহিদা পূরণে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে ফসল চাষের জন্য পানি পাওয়া যায় না। এমনকি গভীর নলকূপের ব্যবস্থা করেও পানি পাওয়া যায় না। খরা মৌসুমে মরুর মতো হয়ে যায় কৃষিজমি। হাজার হাজার টন ফসল প্রাপ্ত থেকে বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। যদি এই ফসলটি সঠিক পানির সরবরাহ করে আনা যেত তবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার রাস্তায় বহু ধাপ এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো।
সংকট মোকাবেলা : নদীর সংকট মোকাবেলায় সবাইকে সচেতন হতে হবে। কোনো কুচক্রী মহল যাতে নদী কোনো ভাবেই দখল করতে না পারে সেদিকে স্থানীয় সরকারসহ সব সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে।
অন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্র যাতে নদীর যত্রতত্র বাঁধ নির্মাণ করতে না পারে এজন্য সরকারকে সচেতন হতে হবে। যেসব বাঁধ রয়েছে এসব বাঁধের সঠিক সমতার ভিত্তিতে ব্যবহার যাতে তারা করে সেজন্য চাপ সৃষ্টি করতে হবে সরকারকে।
বাংলাদেশের যেসব নদীতে পলি জমে, প্রতি বছর সেসব নদী খননের ব্যবস্থা করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক বিষয়; কিন্তু এর গতি যখন খুব বেশি হয়ে যায় তখন এটি অস্বাভাবিক। জলবায়ু পরিবর্তনের গতি কমানোর জন্য মানুষকে অত্যন্ত সচেতন হতে হবে। পরিবেশ দূষণ একেবারে কমিয়ে আনতে হবে।
[লেখক : শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়]
বাশির শাহরিয়ার
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ। তেরশত নদীর দেশ হিসেবে পরিচিত এই দেশটিতে নদীই জীবনের প্রাণ। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, কর্ণফুলী, তিস্তাসহ বহু নদনদী ঘিরে রেখেছে এই মাতৃভূমিকে। বাংলার মানুষের জীবন ও সভ্যতাও গড়ে উঠেছে নদীর উপত্যকায়। শুধু এ যুগে নয় প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ সুপেয় পানি, যোগাযোগের সহজ মাধ্যম হিসেবে জলপথ ব্যাবহার করে আসছে; কিন্তু আজকের দিনে এই নদীগুলোর অবস্থা নাজুক। দিনে দিনে নদীগুলো বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এমনকি কিছু কিছু ছোট নদী একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে।
নদীর সংকটের কারণ : বাংলাদেশের নদীগুলোর এই করুণ পরিস্থিতির পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। বিশেষ করে দূষণ, দখলবাজি, অবৈধ নির্মাণ পলি জমে নদীর গভীরতা কমে যাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অসচেতনতা এই নদীগুলোকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে।
দখল ও ভরাট : বাংলাদেশের প্রায় সব নদীই অবৈধ দখল ও ভরাটের শিকার। শহরাঞ্চলে শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও আবাসন প্রকল্পের নামে নদীর তীর ভরাট করে দখল চলছে। এর ফলে নদীগুলোর প্রস্থ কমে যাচ্ছে, যা নৌ-চলাচল এবং পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করছে।
বুরিগঙ্গাকে বলা হয় হয় মৃতপ্রায় নদী। এর দুই পাড় দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন মার্কেট কারখানা ইত্যাদি। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নদীগুলোর মধ্যে একটি হলো পদ্মা নদী; কিন্তু দিনে দিনে এই নদীরও পাড় দখল করা হয়েছে। সরকারি নিয়মনীতি না মেনে পদ্মা নদীর পাড় ঘেঁষা ঈশ্বরদীর ইটভাটা অঞ্চলখ্যাত লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে ৫২টি ইটভাটা। যমুনাতেও ঘটানো হচ্ছে একই ঘটনা।
নওগাঁর রানীনগর উপজেলায় ছোট যমুনা নদীর দুই পাড় অবৈধভাবে দখল করে গড়ে উঠছে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা, মার্কেট ও দোকানঘর। যমুনা নদীও দখলে নেয়া শুরু করেছিল বিভিন্ন ক্ষমতাশীল ব্যক্তিরা। তিস্তা নদীকে বলা হয় একটি নির্যাতিত নদী। ২০২৩ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী কুড়িগ্রামের উলিপুরে খনন করা বুড়ি তিস্তা নদী দখলের মহাৎসব চলেছে। তিস্তা ব্রিজ থেকে প্রায় এক হাজার মিটার এলাকাজুড়ে নদী দখল করে প্রকাশ্যে বিল্ডিং নির্মাণসহ দুই পাড়ের মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একটি চক্র যে যেভাবে পারছে বুড়ি তিস্তাকে আবারও দখল দূষণে মেতে উঠেছে। এছাড়াও অনেক ছোট ছোট নদী ও খাল পুরোপুরি দখলই করে ফেলেছে কিছু দুষ্টচক্র।
দূষণ : শিল্প-কারখানার বর্জ্য, ময়লা পানি, প¬াস্টিক, পলিথিন, বোতল ইত্যাদি নদীতে ফেলা হচ্ছে প্রতিদিন। বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, কর্ণফুলীর মতো প্রধান নদীগুলো এখন দূষণের কারণে প্রায় মৃতপ্রায়। দূষণের মাত্রা এত বেশি যে, অনেক নদীর পানি আর ব্যবহারের উপযোগী নয়।
রিভার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি) বাংলাদেশে ৫৬টি নদীর দূষণের মাত্রা পরীক্ষা করতে গিয়ে তারা দেখতে পায় সবটি অতিমাত্রায় দূষিত। এর মধ্যে গাজীপুরের লবণদহ, নরসিংদীর হাঁড়িধোয়া ও হবিগঞ্জের সুতাং এই তিনটি নদীর অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। এই নদীগুলোয় সহনীয় মাত্রার চেয়ে তুলনামূলক বেশি দূষণের অস্তিত্ব পেয়েছেন গবেষকরা।
সেখানে দূষণের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে যত্রতত্র প্লাস্টিকের ব্যবহারকে। অপর দুই বড় কারণ হলোÑ নদী তীরবর্তী শিল্প কারখানাগুলোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকা, সেই সঙ্গে পৌরসভাগুলোর ময়লা ফেলার জন্য নদীকে বেছে নেয়া।
পলি জমে নদীর গভীরতা কমে যাওয়া : প্রতিবছর বর্ষায় পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে দেশের নদীগুলোতে বিপুল পরিমাণ পলি জমা হয়। এ পলি অপসারণের ব্যবস্থা না থাকায় নদীর গভীরতা ক্রমেই কমে আসছে। দীর্ঘদিন নদী খনন না করার ফলে পলি জমতে জমতে এক সময় সেটি নালায় রূপান্তর হয় এবং ধীরে ধীরে সেটিও বিলুপ্ত হয়ে যায়।
জলবায়ু পরিবর্তন : জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নদীর পানির প্রবাহে ঋতুভিত্তিক অস্বাভাবিকতা দেখা দিচ্ছে। বর্ষায় অতিরিক্ত প্রবাহ এবং শুষ্ক মৌসুমে পানিশূন্যতা দেশের নদীগুলোকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। অতিরিক্ত উষ্ণতার ফলে হিমালয়ের বরফ গলে নদীর মাধ্যমে সেই পানি সমুদ্রে পতিত হয়ে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি করলেও ক্ষতি করছে বাংলার নদ-নদীর।
প্রাণবৈচিত্র্যের ওপর প্রভাব : নদীর পানির গুণগতমান কমে যাওয়ার কারণে মাছসহ জলজ প্রাণীরা বিলুপ্ত হচ্ছে। আমাদের পূর্বপুরুষরা আমাদের বিভিন্ন প্রকার দেশীয় মাছের বাহারি রূপ আলোচনা। তারা যত বড় বড় দেশীয় মাছ দেখতে পেয়েছেন এখন নদনদীর দূষিত পানির কারণে আর দেখতে পাওয়া স্বপ্নের মতো। শুধু মাছই নয় জলজ অন্যান্য জলজ সম্পদ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
কৃষি ও পানি সরবরাহে প্রভাব : নদীর পানির সংকট কৃষিকাজ ও মানুষের দৈনন্দিন পানির চাহিদা পূরণে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে ফসল চাষের জন্য পানি পাওয়া যায় না। এমনকি গভীর নলকূপের ব্যবস্থা করেও পানি পাওয়া যায় না। খরা মৌসুমে মরুর মতো হয়ে যায় কৃষিজমি। হাজার হাজার টন ফসল প্রাপ্ত থেকে বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। যদি এই ফসলটি সঠিক পানির সরবরাহ করে আনা যেত তবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার রাস্তায় বহু ধাপ এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো।
সংকট মোকাবেলা : নদীর সংকট মোকাবেলায় সবাইকে সচেতন হতে হবে। কোনো কুচক্রী মহল যাতে নদী কোনো ভাবেই দখল করতে না পারে সেদিকে স্থানীয় সরকারসহ সব সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে।
অন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্র যাতে নদীর যত্রতত্র বাঁধ নির্মাণ করতে না পারে এজন্য সরকারকে সচেতন হতে হবে। যেসব বাঁধ রয়েছে এসব বাঁধের সঠিক সমতার ভিত্তিতে ব্যবহার যাতে তারা করে সেজন্য চাপ সৃষ্টি করতে হবে সরকারকে।
বাংলাদেশের যেসব নদীতে পলি জমে, প্রতি বছর সেসব নদী খননের ব্যবস্থা করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক বিষয়; কিন্তু এর গতি যখন খুব বেশি হয়ে যায় তখন এটি অস্বাভাবিক। জলবায়ু পরিবর্তনের গতি কমানোর জন্য মানুষকে অত্যন্ত সচেতন হতে হবে। পরিবেশ দূষণ একেবারে কমিয়ে আনতে হবে।
[লেখক : শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়]