গাজী তারেক আজিজ
বাংলাদেশে অপরাধের হার উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গুম, খুন, লুটপাট, ছিনতাই, ডাকাতি, অগ্নিসংযোগ এবং মব লিঞ্চিংয়ের মতো ঘটনার পাশাপাশি ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ সমাজকে বিব্রত ও ভীত করছে। এই ঘটনাগুলোর বীভৎসতা যে কারও মনে প্রশ্ন জাগায়Ñআমরা কোন সমাজে বাস করছি? এই দেশ কি আমাদের কাক্সিক্ষত দেশ? যখন বিশ্ব প্রযুক্তি ও জ্ঞানে শীর্ষে, আমরা কেন যেন পিছিয়ে পড়ছি, যেন প্রাগৈতিহাসিক অন্ধকার যুগে আটকে আছি।
ধর্ষণের ঘটনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে হৃদয়বিদারক হলো পরিচিত বা আত্মীয়দের দ্বারা সংঘটিত অপরাধ। এমনকি পিতার দ্বারা সন্তানের প্রতি ধর্ষণের মতো ঘটনা মানবতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এই মানসিক বিকৃতি কোথা থেকে আসছে? আমাদের শিশু ও নারীরা কোথায় নিরাপদ? আমরা কবে তাদের জন্য একটি নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তুলতে পারব?
মাগুরার হৃদয়বিদারক ঘটনা : সম্প্রতি মাগুরায় একটি ৮ বছরের শিশুকন্যা তার ভগ্নিপতি ও বোনের শ্বশুর কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল। একই দিনে চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয়ে তার অবস্থা অস্থির ছিল। সরকার জানিয়েছিল, শিশুটি চোখের পাতা নাড়ছে। কিন্তু ১৩ মার্চ ২০২৫, বাংলাদেশ আর্মির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়, শিশুটি তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর জ্ঞান না ফিরে চিরতরে চলে গেছে। এই ঘটনা দেশবাসীকে শোকাহত ও স্তম্ভিত করেছে।
এই শিশু কি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারত? তার অতীতের ভয়াবহ স্মৃতি কি তাকে তাড়া করত না? আমরা কি তাকে বাঁচাতে পারিনি? এই প্রশ্নগুলো আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়।
সমাজের প্রতিক্রিয়া ও দাবি : ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ পাওয়ায় জনমনে শঙ্কা ও ক্ষোভ বাড়ছে। মানুষ দাবি করছে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদ- বা প্রকাশ্য শাস্তি। প্রতিবাদ, মিছিল চলছে, কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ কতটা নেওয়া হচ্ছে?
কিছু ইউটিউবার ও ফেসবুকভিত্তিক সাংবাদিক বলছেন, ধর্ষণ আগেও হতো, কিন্তু তা চাপা দেওয়া হতো। এই বক্তব্য অপরাধকে হালকা করার প্রচেষ্টা নয় কি? অতীতের দায় বর্তমান সরকার থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা কি সমাধান? সিটিজেন জার্নালিজমের যুগে ঘটনা দ্রুত প্রকাশ পেলেও, কিছু মিডিয়া ভিউ বাড়ানোর জন্য পুরোনো ঘটনা নিয়ে হইচই করে, যা বিভ্রান্তি ছড়ায়।
আইনি কাঠামো ও সীমাবদ্ধতা : বাংলাদেশে ধর্ষণের বিচার দ-বিধির ৩৭৫ ধারা ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অধীনে হয়। এই ধারায় ধর্ষণের সংজ্ঞা দেওয়া আছেÑ
নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক।
ভয় দেখিয়ে বা সম্মতি ছাড়া সম্পর্ক।
১৬ বছরের কম বয়সী নারীর ক্ষেত্রে সম্মতি অবান্তর।
কিন্তু এই আইনে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছেÑ
পুরুষ ধর্ষণের সংজ্ঞা অপর্যাপ্ত : দ-বিধির ৩৭৭ ধারায় পুরুষ বা শিশু ছেলের প্রতি বলাৎকারকে অপ্রাকৃতিক যৌনতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা ধর্ষণের সমতুল্য শাস্তি প্রদান করে না।
নারী কর্তৃক পুরুষ ধর্ষণ : কোনো নারী যদি পুরুষ বা শিশু ছেলের সঙ্গে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক করে, তা ধ ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয় না।
অপ্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি অপরাধ : প্রাপ্তবয়স্ক নারী কর্তৃক শিশুদের যৌন নির্যাতনও পর্যাপ্তভাবে আইনে স্পষ্ট নয়।
সম্প্রতি, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল দ-বিধির ৩৭৫ ধারায় ‘পুরুষ ধর্ষণ’ অন্তর্ভুক্ত করতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন। এই রিটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পরিবর্তন এবং শিশুদের প্রতি বলাৎকারকে ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করার দাবি করা হয়েছে।
বাস্তব ঘটনা
নারায়ণগঞ্জে যুবক ধর্ষণ : ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এক প্রতিবেশী ২০ বছরের যুবককে ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগীর মা বন্দর থানায় মামলা করেন।
গাজীপুরে পুনর্বাসন কেন্দ্রে নির্যাতন : ভাওয়াল মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রের মালিক ফিরোজা নাজনীন বাঁধন কিশোর ও যুবকদের যৌন নির্যাতন করেন। ‘এইড ফর মেন ফাউন্ডেশন’র প্রতিবাদে তার শাস্তি ও আইন সংস্কারের দাবি ওঠে।
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫-এর প্রথম ছয় মাসে ১১ জন ছেলেশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে, যা বাস্তবে আরও বেশি হতে পারে।
সমাজের নীরবতা ও প্রতিকার : ছেলেশিশু বা পুরুষদের প্রতি যৌন নির্যাতন নিয়ে সামাজিক নীরবতা ও লজ্জার কারণে অনেক ঘটনা প্রকাশ পায় না। গ্রামের সালিস বা সামাজিক চাপে পরিবার নালিশ করতে পারে না। এই নীরবতা ভাঙতে হবে।
প্রস্তাবনা :
আইন সংস্কার : দ-বিধির ৩৭৫ ও ৩৭৭ ধারায় লিঙ্গ-নিরপেক্ষ সংজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত করা।
সচেতনতা বৃদ্ধি : সামাজিক ও পারিবারিক সচেতনতা বাড়াতে ক্যাম্পেইন।
দ্রুত বিচার : ধর্ষণ মামলায় দ্রুত ও নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করা।
দালাল প্রতিরোধ : আদালতে দালালদের দৌরাত্ম্য রোধে কঠোর ব্যবস্থা।
মিডিয়ার দায়িত্ব : মিডিয়া ট্রায়াল এড়িয়ে সঠিক তথ্য প্রচার।
ধর্ষণের মতো অপরাধ কেবল শাস্তি দিয়ে নির্মূল করা যায় না। সামাজিক সচেতনতা, শিক্ষা, এবং অপরাধীদের সামাজিকভাবে চিহ্নিত করার মাধ্যমে এর প্রতিরোধ সম্ভব। তবে, দ্রুত ও ন্যায্য বিচার নিশ্চিত করতে হবে, যাতে নিরপরাধরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও ন্যায়বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা না থাকলে, মানুষ নিজেই বিচারের দায়িত্ব নিতে পারে, যা বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি করবে।
আমরা শিশু ও প্রান্তিকদের জন্য নিরাপদ পৃথিবী চাই। মাগুরার শিশুটির মৃত্যু আমাদের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। আমরা তার জন্য জান্নাত কামনা করি এবং অপরাধীদের আইনি শাস্তি দাবি করি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই অপরাধের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ অবস্থান গড়ে তুলতে হবে।
[ লেখক : অ্যাডভোকেট, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ফেনী ]
গাজী তারেক আজিজ
রোববার, ১১ মে ২০২৫
বাংলাদেশে অপরাধের হার উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গুম, খুন, লুটপাট, ছিনতাই, ডাকাতি, অগ্নিসংযোগ এবং মব লিঞ্চিংয়ের মতো ঘটনার পাশাপাশি ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ সমাজকে বিব্রত ও ভীত করছে। এই ঘটনাগুলোর বীভৎসতা যে কারও মনে প্রশ্ন জাগায়Ñআমরা কোন সমাজে বাস করছি? এই দেশ কি আমাদের কাক্সিক্ষত দেশ? যখন বিশ্ব প্রযুক্তি ও জ্ঞানে শীর্ষে, আমরা কেন যেন পিছিয়ে পড়ছি, যেন প্রাগৈতিহাসিক অন্ধকার যুগে আটকে আছি।
ধর্ষণের ঘটনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে হৃদয়বিদারক হলো পরিচিত বা আত্মীয়দের দ্বারা সংঘটিত অপরাধ। এমনকি পিতার দ্বারা সন্তানের প্রতি ধর্ষণের মতো ঘটনা মানবতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এই মানসিক বিকৃতি কোথা থেকে আসছে? আমাদের শিশু ও নারীরা কোথায় নিরাপদ? আমরা কবে তাদের জন্য একটি নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তুলতে পারব?
মাগুরার হৃদয়বিদারক ঘটনা : সম্প্রতি মাগুরায় একটি ৮ বছরের শিশুকন্যা তার ভগ্নিপতি ও বোনের শ্বশুর কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল। একই দিনে চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয়ে তার অবস্থা অস্থির ছিল। সরকার জানিয়েছিল, শিশুটি চোখের পাতা নাড়ছে। কিন্তু ১৩ মার্চ ২০২৫, বাংলাদেশ আর্মির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়, শিশুটি তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর জ্ঞান না ফিরে চিরতরে চলে গেছে। এই ঘটনা দেশবাসীকে শোকাহত ও স্তম্ভিত করেছে।
এই শিশু কি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারত? তার অতীতের ভয়াবহ স্মৃতি কি তাকে তাড়া করত না? আমরা কি তাকে বাঁচাতে পারিনি? এই প্রশ্নগুলো আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়।
সমাজের প্রতিক্রিয়া ও দাবি : ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ পাওয়ায় জনমনে শঙ্কা ও ক্ষোভ বাড়ছে। মানুষ দাবি করছে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদ- বা প্রকাশ্য শাস্তি। প্রতিবাদ, মিছিল চলছে, কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ কতটা নেওয়া হচ্ছে?
কিছু ইউটিউবার ও ফেসবুকভিত্তিক সাংবাদিক বলছেন, ধর্ষণ আগেও হতো, কিন্তু তা চাপা দেওয়া হতো। এই বক্তব্য অপরাধকে হালকা করার প্রচেষ্টা নয় কি? অতীতের দায় বর্তমান সরকার থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা কি সমাধান? সিটিজেন জার্নালিজমের যুগে ঘটনা দ্রুত প্রকাশ পেলেও, কিছু মিডিয়া ভিউ বাড়ানোর জন্য পুরোনো ঘটনা নিয়ে হইচই করে, যা বিভ্রান্তি ছড়ায়।
আইনি কাঠামো ও সীমাবদ্ধতা : বাংলাদেশে ধর্ষণের বিচার দ-বিধির ৩৭৫ ধারা ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অধীনে হয়। এই ধারায় ধর্ষণের সংজ্ঞা দেওয়া আছেÑ
নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক।
ভয় দেখিয়ে বা সম্মতি ছাড়া সম্পর্ক।
১৬ বছরের কম বয়সী নারীর ক্ষেত্রে সম্মতি অবান্তর।
কিন্তু এই আইনে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছেÑ
পুরুষ ধর্ষণের সংজ্ঞা অপর্যাপ্ত : দ-বিধির ৩৭৭ ধারায় পুরুষ বা শিশু ছেলের প্রতি বলাৎকারকে অপ্রাকৃতিক যৌনতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা ধর্ষণের সমতুল্য শাস্তি প্রদান করে না।
নারী কর্তৃক পুরুষ ধর্ষণ : কোনো নারী যদি পুরুষ বা শিশু ছেলের সঙ্গে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক করে, তা ধ ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয় না।
অপ্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি অপরাধ : প্রাপ্তবয়স্ক নারী কর্তৃক শিশুদের যৌন নির্যাতনও পর্যাপ্তভাবে আইনে স্পষ্ট নয়।
সম্প্রতি, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল দ-বিধির ৩৭৫ ধারায় ‘পুরুষ ধর্ষণ’ অন্তর্ভুক্ত করতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন। এই রিটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পরিবর্তন এবং শিশুদের প্রতি বলাৎকারকে ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করার দাবি করা হয়েছে।
বাস্তব ঘটনা
নারায়ণগঞ্জে যুবক ধর্ষণ : ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এক প্রতিবেশী ২০ বছরের যুবককে ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগীর মা বন্দর থানায় মামলা করেন।
গাজীপুরে পুনর্বাসন কেন্দ্রে নির্যাতন : ভাওয়াল মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রের মালিক ফিরোজা নাজনীন বাঁধন কিশোর ও যুবকদের যৌন নির্যাতন করেন। ‘এইড ফর মেন ফাউন্ডেশন’র প্রতিবাদে তার শাস্তি ও আইন সংস্কারের দাবি ওঠে।
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫-এর প্রথম ছয় মাসে ১১ জন ছেলেশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে, যা বাস্তবে আরও বেশি হতে পারে।
সমাজের নীরবতা ও প্রতিকার : ছেলেশিশু বা পুরুষদের প্রতি যৌন নির্যাতন নিয়ে সামাজিক নীরবতা ও লজ্জার কারণে অনেক ঘটনা প্রকাশ পায় না। গ্রামের সালিস বা সামাজিক চাপে পরিবার নালিশ করতে পারে না। এই নীরবতা ভাঙতে হবে।
প্রস্তাবনা :
আইন সংস্কার : দ-বিধির ৩৭৫ ও ৩৭৭ ধারায় লিঙ্গ-নিরপেক্ষ সংজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত করা।
সচেতনতা বৃদ্ধি : সামাজিক ও পারিবারিক সচেতনতা বাড়াতে ক্যাম্পেইন।
দ্রুত বিচার : ধর্ষণ মামলায় দ্রুত ও নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করা।
দালাল প্রতিরোধ : আদালতে দালালদের দৌরাত্ম্য রোধে কঠোর ব্যবস্থা।
মিডিয়ার দায়িত্ব : মিডিয়া ট্রায়াল এড়িয়ে সঠিক তথ্য প্রচার।
ধর্ষণের মতো অপরাধ কেবল শাস্তি দিয়ে নির্মূল করা যায় না। সামাজিক সচেতনতা, শিক্ষা, এবং অপরাধীদের সামাজিকভাবে চিহ্নিত করার মাধ্যমে এর প্রতিরোধ সম্ভব। তবে, দ্রুত ও ন্যায্য বিচার নিশ্চিত করতে হবে, যাতে নিরপরাধরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও ন্যায়বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা না থাকলে, মানুষ নিজেই বিচারের দায়িত্ব নিতে পারে, যা বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি করবে।
আমরা শিশু ও প্রান্তিকদের জন্য নিরাপদ পৃথিবী চাই। মাগুরার শিশুটির মৃত্যু আমাদের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। আমরা তার জন্য জান্নাত কামনা করি এবং অপরাধীদের আইনি শাস্তি দাবি করি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই অপরাধের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ অবস্থান গড়ে তুলতে হবে।
[ লেখক : অ্যাডভোকেট, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ফেনী ]