রেজাউল করিম খোকন
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য বাজেট ঘোষণার দিনক্ষণ চূড়ান্ত। আগামী ২ জুন সোমবার, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে নতুন বাজেট উপস্থাপন করবেন। রাজনৈতিক সরকারের অনুপস্থিতিতে এটি হবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট। প্রচলিত রীতি ভেঙে বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে সোমবার বাজেট উপস্থাপনের এই ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত যেমন নতুন বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি, তেমনি নতুন প্রত্যাশার জন্মও দিচ্ছে।
প্রস্তাবিত বাজেটের সম্ভাব্য আকার হতে পারে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেট (৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা) থেকে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা কম। এতেই ইঙ্গিত মিলছে, অন্তর্বর্তী সরকার একটি বাস্তবমুখী ও পরিমিত বাজেট উপস্থাপনের পথে হাঁটছে। বাজেট ঘোষণার পরদিন রেওয়াজ অনুযায়ী অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এবারের বাজেট সাজাচ্ছে। এছাড়া গুরুত্ব পাচ্ছে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরিবেশ তৈরি, জ্বালানি সাশ্রয়, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, তথ্যপ্রযুক্তি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের অগ্রাধিকার এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সম্প্রসারণ।
প্রশ্ন উঠছেÑএত কিছু কিভাবে সম্ভব? রাজস্ব আয়ের সম্ভাবনা আশাব্যঞ্জক না হলেও সরকার উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করছে। আগামী অর্থবছরের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৫ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হতে পারে, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার (৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা) চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
তবে বাস্তবতা হলো, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে এনবিআর রাজস্ব সংগ্রহ করেছে ২ লাখ ২১ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ২১ শতাংশ ঘাটতি। এমন প্রেক্ষাপটে নতুন বাজেটকেও উচ্চাভিলাষী বললে ভুল হবে না। ঘাটতি অর্থায়নের জন্য ব্যাংক খাত থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনলেও, সামগ্রিক চাপ অর্থনীতির অন্যান্য খাতে প্রতিফলিত হবে।
এদিকে এনবিআর ভেঙে দুটি নতুন বিভাগÑ ‘রাজস্ব নীতি’ এবং ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’Ñসৃষ্টি করা হয়েছে। উদ্দেশ্য কর ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও দক্ষতা আনা। তবে বিসিএস কর ও কাস্টমস ক্যাডারের আপত্তি এবং প্রশাসন ক্যাডারের প্রাধান্য নিয়ে যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে, তা এই সংস্কারের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এটা স্পষ্ট, কাঠামোগত সংস্কার তখনই সফল হবে, যখন তা স্বচ্ছতার পাশাপাশি অংশগ্রহণমূলক হবে।
সাবেক সরকারের বাজেটগুলো সম্পর্কে জনগণের মনে একধরনের হতাশা জমেছে। অতিকথন আর ফলপ্রসূ বাস্তবায়নের ব্যবধানই ছিল সরকারের নীতিগত দৈন্যের প্রকাশ। বর্তমান সরকার তার বিপরীতে অবস্থান নেবেÑএটাই জনগণের প্রত্যাশা।
অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলো অস্বীকার করা যাবে না। মূল্যস্ফীতি ক্রমবর্ধমান, জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার চাপের মুখে। চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ৫.২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে, আগামী অর্থবছরের জন্য ধরা হচ্ছে ৫.৫ শতাংশ। অথচ বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ এবং এডিবির পূর্বাভাসে স্পষ্ট করা হয়েছেÑএই প্রবৃদ্ধিও অর্জন করা কঠিন হবে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রস্তাবিত হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকায়। বড় কোনো ঢাউস প্রকল্প না নিয়ে, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবেÑ এটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রতিফলন। বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো, ভাতাভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির যে পরিকল্পনা, তা বাস্তবায়িত হলে তা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য স্বস্তির বার্তা আনবে।
নতুন বাজেটে সামগ্রিকভাবে যেসব বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা হলোÑ
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ঘাটতি বাজেটের পরিমাণ হ্রাস; করজাল সম্প্রসারণ এবং করহার না বাড়িয়ে রাজস্ব বৃদ্ধির চেষ্টা; বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহে ভারসাম্য বজায় রাখা; স্থানীয় শিল্পায়ন ও রপ্তানি বহুমুখীকরণ; সরকারি ব্যয়ে দক্ষতা ও মান নিয়ন্ত্রণ; সামাজিক সুরক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে অগ্রাধিকার; পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার হ্রাসের চিন্তাভাবনা।
সব মিলিয়ে এটি এমন একটি বাজেট, যা সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির সহায়ক হতে পারে এবং তা সরাসরি মূল্যস্ফীতি হ্রাসেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
তবে যে বিষয়টি নতুন সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জÑতা হলো বাজেট বাস্তবায়ন। ভালো পরিকল্পনা যতই হোক না কেন, তা যদি মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে না। বিশেষত মধ্যবিত্ত শ্রেণি এখন সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী। টিসিবির ট্রাকের পেছনে মুখ লুকিয়ে দাঁড়ানোই যেন তাদের নিয়তি হয়ে উঠেছে। তারা চায়Ñস্বাভাবিক জীবন, সম্মানজনক জীবনধারা। এই বাজেট সেই প্রত্যাশার কিছুটা হলেও জবাব দিতে পারবেÑ এমনটাই আশা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা, শ্বেতপত্র কমিটি ও টাস্কফোর্সের সুপারিশ যদি বাজেট প্রণয়নে প্রতিফলিত হয় এবং যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হয়, তবে তা হবে অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য এক মাইলফলক। আমরা এমন একটি বাজেট চাইÑ যেটা কেবল সংখ্যা ও ঘাটতির হিসাব নয়, বরং সাধারণ মানুষের স্বস্তির কথা বলে, দারিদ্র্য বিমোচনের রূপরেখা দেয় এবং বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের রূপরেখা টেনে দেয়।
[লেখক : অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার]
রেজাউল করিম খোকন
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য বাজেট ঘোষণার দিনক্ষণ চূড়ান্ত। আগামী ২ জুন সোমবার, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে নতুন বাজেট উপস্থাপন করবেন। রাজনৈতিক সরকারের অনুপস্থিতিতে এটি হবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট। প্রচলিত রীতি ভেঙে বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে সোমবার বাজেট উপস্থাপনের এই ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত যেমন নতুন বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি, তেমনি নতুন প্রত্যাশার জন্মও দিচ্ছে।
প্রস্তাবিত বাজেটের সম্ভাব্য আকার হতে পারে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেট (৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা) থেকে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা কম। এতেই ইঙ্গিত মিলছে, অন্তর্বর্তী সরকার একটি বাস্তবমুখী ও পরিমিত বাজেট উপস্থাপনের পথে হাঁটছে। বাজেট ঘোষণার পরদিন রেওয়াজ অনুযায়ী অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এবারের বাজেট সাজাচ্ছে। এছাড়া গুরুত্ব পাচ্ছে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরিবেশ তৈরি, জ্বালানি সাশ্রয়, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, তথ্যপ্রযুক্তি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের অগ্রাধিকার এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সম্প্রসারণ।
প্রশ্ন উঠছেÑএত কিছু কিভাবে সম্ভব? রাজস্ব আয়ের সম্ভাবনা আশাব্যঞ্জক না হলেও সরকার উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করছে। আগামী অর্থবছরের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৫ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হতে পারে, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার (৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা) চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
তবে বাস্তবতা হলো, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে এনবিআর রাজস্ব সংগ্রহ করেছে ২ লাখ ২১ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ২১ শতাংশ ঘাটতি। এমন প্রেক্ষাপটে নতুন বাজেটকেও উচ্চাভিলাষী বললে ভুল হবে না। ঘাটতি অর্থায়নের জন্য ব্যাংক খাত থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনলেও, সামগ্রিক চাপ অর্থনীতির অন্যান্য খাতে প্রতিফলিত হবে।
এদিকে এনবিআর ভেঙে দুটি নতুন বিভাগÑ ‘রাজস্ব নীতি’ এবং ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’Ñসৃষ্টি করা হয়েছে। উদ্দেশ্য কর ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও দক্ষতা আনা। তবে বিসিএস কর ও কাস্টমস ক্যাডারের আপত্তি এবং প্রশাসন ক্যাডারের প্রাধান্য নিয়ে যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে, তা এই সংস্কারের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এটা স্পষ্ট, কাঠামোগত সংস্কার তখনই সফল হবে, যখন তা স্বচ্ছতার পাশাপাশি অংশগ্রহণমূলক হবে।
সাবেক সরকারের বাজেটগুলো সম্পর্কে জনগণের মনে একধরনের হতাশা জমেছে। অতিকথন আর ফলপ্রসূ বাস্তবায়নের ব্যবধানই ছিল সরকারের নীতিগত দৈন্যের প্রকাশ। বর্তমান সরকার তার বিপরীতে অবস্থান নেবেÑএটাই জনগণের প্রত্যাশা।
অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলো অস্বীকার করা যাবে না। মূল্যস্ফীতি ক্রমবর্ধমান, জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার চাপের মুখে। চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ৫.২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে, আগামী অর্থবছরের জন্য ধরা হচ্ছে ৫.৫ শতাংশ। অথচ বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ এবং এডিবির পূর্বাভাসে স্পষ্ট করা হয়েছেÑএই প্রবৃদ্ধিও অর্জন করা কঠিন হবে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রস্তাবিত হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকায়। বড় কোনো ঢাউস প্রকল্প না নিয়ে, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবেÑ এটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রতিফলন। বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো, ভাতাভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির যে পরিকল্পনা, তা বাস্তবায়িত হলে তা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য স্বস্তির বার্তা আনবে।
নতুন বাজেটে সামগ্রিকভাবে যেসব বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা হলোÑ
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ঘাটতি বাজেটের পরিমাণ হ্রাস; করজাল সম্প্রসারণ এবং করহার না বাড়িয়ে রাজস্ব বৃদ্ধির চেষ্টা; বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহে ভারসাম্য বজায় রাখা; স্থানীয় শিল্পায়ন ও রপ্তানি বহুমুখীকরণ; সরকারি ব্যয়ে দক্ষতা ও মান নিয়ন্ত্রণ; সামাজিক সুরক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে অগ্রাধিকার; পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার হ্রাসের চিন্তাভাবনা।
সব মিলিয়ে এটি এমন একটি বাজেট, যা সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির সহায়ক হতে পারে এবং তা সরাসরি মূল্যস্ফীতি হ্রাসেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
তবে যে বিষয়টি নতুন সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জÑতা হলো বাজেট বাস্তবায়ন। ভালো পরিকল্পনা যতই হোক না কেন, তা যদি মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে না। বিশেষত মধ্যবিত্ত শ্রেণি এখন সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী। টিসিবির ট্রাকের পেছনে মুখ লুকিয়ে দাঁড়ানোই যেন তাদের নিয়তি হয়ে উঠেছে। তারা চায়Ñস্বাভাবিক জীবন, সম্মানজনক জীবনধারা। এই বাজেট সেই প্রত্যাশার কিছুটা হলেও জবাব দিতে পারবেÑ এমনটাই আশা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা, শ্বেতপত্র কমিটি ও টাস্কফোর্সের সুপারিশ যদি বাজেট প্রণয়নে প্রতিফলিত হয় এবং যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হয়, তবে তা হবে অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য এক মাইলফলক। আমরা এমন একটি বাজেট চাইÑ যেটা কেবল সংখ্যা ও ঘাটতির হিসাব নয়, বরং সাধারণ মানুষের স্বস্তির কথা বলে, দারিদ্র্য বিমোচনের রূপরেখা দেয় এবং বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের রূপরেখা টেনে দেয়।
[লেখক : অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার]