মাহবুব আলম
আর কিছুদিন পরেই পালিত হবে মুসলিম উম্মাহর অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো পশু কোরবানি। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ দিনে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। কিন্তু যথাযথ ব্যবস্থাপনা ও সচেতনতার অভাবে পশুর রক্ত ও উচ্ছিষ্টাংশ থেকে পরিবেশের ওপর পড়তে পারে মারাত্মক
নেতিবাচক প্রভাব। দূষিত পরিবেশে জন্ম নিতে পারে নানা রোগজীবাণু, ছড়িয়ে পড়তে পারে সংক্রামক ব্যাধি।
তাই কোরবানির আনন্দ উদযাপন করতে গিয়ে যেন পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি না হয়, সে বিষয়ে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। কোরবানির পরপরই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতে হবে। বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে পশুর বর্জ্য যথাযথভাবে পরিষ্কার না করলে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তাই রক্ত, হাড়, নাড়িভুঁড়ি, মল ইত্যাদি যথাযথভাবে পরিষ্কার করা দরকার যেন তা পরিবেশকে অস্বাস্থ্যকর করে না তোলে। কোরবানির আগেই নির্দিষ্ট ও পরিষ্কার জায়গা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। বসতবাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পরিচ্ছন্ন জায়গায় কোরবানি দিলে যেমন মাংসে জীবাণু মেশার সম্ভাবনা কমে, তেমনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও সহজ হয়। নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দিলে শুধু পরিবেশ রক্ষাই হয় না, বরং জবাই পরবর্তী অবশিষ্টাংশগুলো থেকেও সম্পদ আহরণ সম্ভব হয়। পশুর নাড়িভুঁড়ি থেকে উৎকৃষ্ট মানের মাছ বা প্রাণিখাদ্য, হাড় থেকে পশুখাদ্য বা ঔষধ শিল্পে ব্যবহৃত উপকরণ তৈরি করা যায়।
মাংস কাটার সময় উচ্ছিষ্ট যেখানে সেখানে না ফেলে এক জায়গায় জড়ো করে রাখা এবং শেষে তা গর্তে পুঁতে ফেলা কিংবা নির্ধারিত ডাস্টবিনে ফেলা উচিত। পশুর ভুঁড়ি পরিষ্কারের পর সেগুলোকেও খোলা অবস্থায় না রেখে নিরাপদভাবে নিষ্পত্তি করতে হবে। যত্রতত্র পশুবর্জ্য ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে। ড্রেন বা খোলা জায়গায় বর্জ্য ফেললে শুধু দুর্গন্ধই নয়, ড্রেন বন্ধ হয়ে রাস্তায় পানি ও ময়লা উপচে পড়ে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদেরও উচিত এ বিষয়ে যথাযথ দায়িত্ব পালন করা। প্রয়োজনে অস্থায়ীভাবে এলাকায় নির্দিষ্ট কিছু জায়গা নির্ধারণ করে সেখানে পশু জবাই করা এবং জবাই পরবর্তী রক্ত, হাড়, চামড়া, গোবর, নাড়িভুঁড়ি ইত্যাদি আলাদাভাবে সংগ্রহ করে নির্ধারিত স্থানে পাঠানো যেতে পারে। বাড়ির পাশে খালি জায়গা বা মাঠে কোরবানির আগেই একটি গর্ত খুঁড়ে রাখা যেতে পারে যেখানে পশুবর্জ্য পুঁতে ফেলা সম্ভব হয়। শহরে বসবাসকারীরা যেন অপ্রয়োজনীয় স্থানে কোরবানি না দিয়ে নির্ধারিত ডাস্টবিন বা করপোরেশনের বর্জ্যপাত্র ব্যবহার করেন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেসব এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গাড়ি পৌঁছায় না, সেসব জায়গায় মুখবন্ধ ব্যাগে বর্জ্য ভরে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার ব্যবস্থা রাখতে হবে। কোরবানির কাজ শেষে রক্তমাখা জায়গাগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। জীবাণু ছড়ানো ঠেকাতে সেখানে স্যাভলন মিশ্রিত পানি ও ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে। শুকানোর পর জায়গাটি আবার ব্যবহার করা নিরাপদ হয়। চামড়া সংগ্রহের ক্ষেত্রেও যত দ্রুত সম্ভব তা স্থানীয় ব্যবসায়ী বা চামড়া সংগ্রহকারীদের কাছে হস্তান্তর করা উচিত। কেউ চাইলে মাদ্রাসা, এতিমখানা বা মসজিদে চামড়া দান করেও দিতে পারেন।
যারা জবাই, চামড়া ছাড়ানো বা মাংস কাটাকাটির কাজে জড়িত থাকবেন, তাদের মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস ও পায়ে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা রাবারের জুতা পরা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। চামড়া ছাড়ানো ও মাংস কাটাকাটির কাজ যারা করবেন তাদের কাজের শুরু ও শেষে ভালোভাবে হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার রক্ষা এবং পারস্পরিক নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা আবশ্যক। মাংস সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম মানা উচিত। রেফ্রিজারেটরে মাংস ছোট ছোট মুখবন্ধ প্যাকেটে রাখা ভালো। রান্নার আগে ও পরে কাঁচা মাংস ধরার পর অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। মাংস যেন ভালোভাবে সেদ্ধ হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। মাংস কাটার ছুরি, বোর্ড ও পাত্র ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে। যারা বাড়িতে বা লনে কোরবানি করবেন, তাদের নিজ দায়িত্বে বর্জ্য পরিষ্কার করতে হবে। এককভাবে না করে মহল্লাভিত্তিক নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি করলে সম্মিলিতভাবে বর্জ্য অপসারণ সহজ হয়। একই ভবনের একাধিক পরিবার মিলে সোসাইটিভিত্তিক ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিতে পারে, যেমন আগেভাগেই লোক ঠিক করে কোরবানির পরপরই বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিত করা। জবাইকৃত পশুর গোবর ও উচ্ছিষ্ট খোলা জায়গায় না ফেলে ব্যাগে ভরে নির্ধারিত ডাস্টবিন বা কনটেইনারে ফেলতে হবে, যাতে কর্তৃপক্ষ সহজে সেগুলো সরিয়ে নিতে পারে। কোরবানির পর রক্ত জীবাণুনাশক পানি দিয়ে ধুয়ে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দেয়া প্রয়োজন, যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায় ও জমে থাকা পানিতে মশার বিস্তার না ঘটে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, কোরবানির পর সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হতে হবে। প্রত্যেকে নিজের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করলে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ সুস্থ, পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ রাখা সম্ভব। কেবল পশু জবাই করলেই ত্যাগ পূর্ণ হয় নাÑকোরবানির মূল শিক্ষা হলো নিজেকে পরিশীলিত করা, অপরের কল্যাণে এগিয়ে যাওয়া এবং পরিবেশ ও সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া। তাই আসুন, আমরা কোরবানির আনন্দ উদযাপন করি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে।
[লেখক : সিনিয়র প্রফেসর, মেডিসিন বিভাগ, ভেটেরিনারি অনুষদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ]
মাহবুব আলম
বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫
আর কিছুদিন পরেই পালিত হবে মুসলিম উম্মাহর অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো পশু কোরবানি। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ দিনে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। কিন্তু যথাযথ ব্যবস্থাপনা ও সচেতনতার অভাবে পশুর রক্ত ও উচ্ছিষ্টাংশ থেকে পরিবেশের ওপর পড়তে পারে মারাত্মক
নেতিবাচক প্রভাব। দূষিত পরিবেশে জন্ম নিতে পারে নানা রোগজীবাণু, ছড়িয়ে পড়তে পারে সংক্রামক ব্যাধি।
তাই কোরবানির আনন্দ উদযাপন করতে গিয়ে যেন পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি না হয়, সে বিষয়ে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। কোরবানির পরপরই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতে হবে। বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে পশুর বর্জ্য যথাযথভাবে পরিষ্কার না করলে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তাই রক্ত, হাড়, নাড়িভুঁড়ি, মল ইত্যাদি যথাযথভাবে পরিষ্কার করা দরকার যেন তা পরিবেশকে অস্বাস্থ্যকর করে না তোলে। কোরবানির আগেই নির্দিষ্ট ও পরিষ্কার জায়গা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। বসতবাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পরিচ্ছন্ন জায়গায় কোরবানি দিলে যেমন মাংসে জীবাণু মেশার সম্ভাবনা কমে, তেমনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও সহজ হয়। নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দিলে শুধু পরিবেশ রক্ষাই হয় না, বরং জবাই পরবর্তী অবশিষ্টাংশগুলো থেকেও সম্পদ আহরণ সম্ভব হয়। পশুর নাড়িভুঁড়ি থেকে উৎকৃষ্ট মানের মাছ বা প্রাণিখাদ্য, হাড় থেকে পশুখাদ্য বা ঔষধ শিল্পে ব্যবহৃত উপকরণ তৈরি করা যায়।
মাংস কাটার সময় উচ্ছিষ্ট যেখানে সেখানে না ফেলে এক জায়গায় জড়ো করে রাখা এবং শেষে তা গর্তে পুঁতে ফেলা কিংবা নির্ধারিত ডাস্টবিনে ফেলা উচিত। পশুর ভুঁড়ি পরিষ্কারের পর সেগুলোকেও খোলা অবস্থায় না রেখে নিরাপদভাবে নিষ্পত্তি করতে হবে। যত্রতত্র পশুবর্জ্য ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে। ড্রেন বা খোলা জায়গায় বর্জ্য ফেললে শুধু দুর্গন্ধই নয়, ড্রেন বন্ধ হয়ে রাস্তায় পানি ও ময়লা উপচে পড়ে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদেরও উচিত এ বিষয়ে যথাযথ দায়িত্ব পালন করা। প্রয়োজনে অস্থায়ীভাবে এলাকায় নির্দিষ্ট কিছু জায়গা নির্ধারণ করে সেখানে পশু জবাই করা এবং জবাই পরবর্তী রক্ত, হাড়, চামড়া, গোবর, নাড়িভুঁড়ি ইত্যাদি আলাদাভাবে সংগ্রহ করে নির্ধারিত স্থানে পাঠানো যেতে পারে। বাড়ির পাশে খালি জায়গা বা মাঠে কোরবানির আগেই একটি গর্ত খুঁড়ে রাখা যেতে পারে যেখানে পশুবর্জ্য পুঁতে ফেলা সম্ভব হয়। শহরে বসবাসকারীরা যেন অপ্রয়োজনীয় স্থানে কোরবানি না দিয়ে নির্ধারিত ডাস্টবিন বা করপোরেশনের বর্জ্যপাত্র ব্যবহার করেন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেসব এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গাড়ি পৌঁছায় না, সেসব জায়গায় মুখবন্ধ ব্যাগে বর্জ্য ভরে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার ব্যবস্থা রাখতে হবে। কোরবানির কাজ শেষে রক্তমাখা জায়গাগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। জীবাণু ছড়ানো ঠেকাতে সেখানে স্যাভলন মিশ্রিত পানি ও ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে। শুকানোর পর জায়গাটি আবার ব্যবহার করা নিরাপদ হয়। চামড়া সংগ্রহের ক্ষেত্রেও যত দ্রুত সম্ভব তা স্থানীয় ব্যবসায়ী বা চামড়া সংগ্রহকারীদের কাছে হস্তান্তর করা উচিত। কেউ চাইলে মাদ্রাসা, এতিমখানা বা মসজিদে চামড়া দান করেও দিতে পারেন।
যারা জবাই, চামড়া ছাড়ানো বা মাংস কাটাকাটির কাজে জড়িত থাকবেন, তাদের মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস ও পায়ে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা রাবারের জুতা পরা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। চামড়া ছাড়ানো ও মাংস কাটাকাটির কাজ যারা করবেন তাদের কাজের শুরু ও শেষে ভালোভাবে হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার রক্ষা এবং পারস্পরিক নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা আবশ্যক। মাংস সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম মানা উচিত। রেফ্রিজারেটরে মাংস ছোট ছোট মুখবন্ধ প্যাকেটে রাখা ভালো। রান্নার আগে ও পরে কাঁচা মাংস ধরার পর অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। মাংস যেন ভালোভাবে সেদ্ধ হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। মাংস কাটার ছুরি, বোর্ড ও পাত্র ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে। যারা বাড়িতে বা লনে কোরবানি করবেন, তাদের নিজ দায়িত্বে বর্জ্য পরিষ্কার করতে হবে। এককভাবে না করে মহল্লাভিত্তিক নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি করলে সম্মিলিতভাবে বর্জ্য অপসারণ সহজ হয়। একই ভবনের একাধিক পরিবার মিলে সোসাইটিভিত্তিক ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিতে পারে, যেমন আগেভাগেই লোক ঠিক করে কোরবানির পরপরই বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিত করা। জবাইকৃত পশুর গোবর ও উচ্ছিষ্ট খোলা জায়গায় না ফেলে ব্যাগে ভরে নির্ধারিত ডাস্টবিন বা কনটেইনারে ফেলতে হবে, যাতে কর্তৃপক্ষ সহজে সেগুলো সরিয়ে নিতে পারে। কোরবানির পর রক্ত জীবাণুনাশক পানি দিয়ে ধুয়ে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দেয়া প্রয়োজন, যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায় ও জমে থাকা পানিতে মশার বিস্তার না ঘটে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, কোরবানির পর সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হতে হবে। প্রত্যেকে নিজের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করলে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ সুস্থ, পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ রাখা সম্ভব। কেবল পশু জবাই করলেই ত্যাগ পূর্ণ হয় নাÑকোরবানির মূল শিক্ষা হলো নিজেকে পরিশীলিত করা, অপরের কল্যাণে এগিয়ে যাওয়া এবং পরিবেশ ও সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া। তাই আসুন, আমরা কোরবানির আনন্দ উদযাপন করি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে।
[লেখক : সিনিয়র প্রফেসর, মেডিসিন বিভাগ, ভেটেরিনারি অনুষদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ]