ফকর উদ্দিন মানিক
লন্ডনের আকাশে সেদিন ছিল হালকা মেঘের ছায়া। ট্রাফালগার স্কোয়ারের ভিড় যেন ইতিহাসের কোলাহল বয়ে নিয়ে চলেছে। মানুষের পদচারণা, কবুতরের ডানা ঝাপটানি, ক্যামেরার ক্লিকÑসব মিলিয়ে শহর যেন এক জীবন্ত চিত্রকলা। সেই ভিড়ের ভেতর হঠাৎ ডাক পেলাম এক ভিন্ন দিগন্তের, যার নাম ন্যাশনাল গ্যালারি। দরজা দিয়ে প্রবেশ করতেই বাইরে কোলাহল মিলিয়ে গেল। বিশাল পাথরের মেঝে, গম্বুজাকৃতি ছাদ আর দেয়ালজুড়ে ঝুলন্ত ছবিগুলো যেন এক নীরব মহাসমুদ্রের তরঙ্গ। মনে হলো, আমি সময়ের ভেতর দিয়ে এক যাত্রা শুরু করেছি। ১৮২৪ সালে মাত্র ৩৮টি ছবির সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হওয়া গ্যালারিটি আজ দাঁড়িয়েছে দুই হাজারেরও বেশি শিল্পকর্মের ভা-ার হিসেবে। এখানে ইউরোপীয় সভ্যতার সাত শতকের শিল্প ইতিহাস সংরক্ষিতÑমধ্যযুগ থেকে রেনেসাঁ, রেনেসাঁ থেকে ইমপ্রেশনিজম। প্রতিটি কক্ষ যেন একেকটি জানালা, যার ওপারে খোলা অন্য যুগের আকাশ।
প্রথমেই চোখে পড়ল লিওনার্দো দা ভিঞ্চির কাজ। ছবিতে মানুষের মুখাবয়ব শুধু আঁকা নয়, জীবন্ত মনে হলো। রেখার ভেতর ধরা পড়েছে মানুষের আত্মা, দর্শন এবং অন্তর্লোক। মনে হলো, ছবির চরিত্রটি এখনই আমার সাথে কথা বলবে। তুলির ভেতর দিয়ে মানবিক অনুভূতির গভীরতা ফুটে উঠেছেÑএক ধরণের নিঃশব্দ আভিজাত্য যা রাজনীতির সভাকক্ষে বিরল।
এরপর ভ্যান গখের বিখ্যাত সূর্যমুখী কক্ষের আলো পুরো ভেতর ভরিয়ে দিল। হলুদ রঙের দীপ্তি প্রথমে উল্লাস জাগালেও গভীরে তাকাতেই ধরা পড়ল নিঃসঙ্গতা, বিষাদ, আর্তি। আলো-অন্ধকারের মিলনে যেন জীবন নিজেকে প্রকাশ করেছে। ভ্যান গখ যেন ফিসফিস করে বলছেনÑজীবনের আলো যেমন আছে, তেমনি ছায়ার দীর্ঘ পথও অবহেলা করা যায় না। রাজনীতির সভা হলে আলো থাকলেও, সেখানে অন্তরঙ্গ অনুভূতির খোঁজ মেলে না।
মনের ছবির সামনে দাঁড়াতেই মনে হলো আমি প্রকৃতির ভেতরে চলে এসেছি। নদীর জলে সূর্যের ঝলকানি, বাতাসে দুলতে থাকা ফুলÑসবকিছু এত বাস্তব যে ছবির ভেতরে ঢুকে পড়তে ইচ্ছে হলো। ইমপ্রেশনিজম কেবল একটি শিল্পধারা নয়, বরং আলো এবং প্রকৃতির সঙ্গে অন্তরঙ্গ সংলাপ। মনে সেই সংলাপ তুলির মাধ্যমে শোনালেন।
রেমব্রান্টের ছবিগুলো ভিন্ন জগতের। আলো-ছায়ার খেলায় তিনি মানুষের অন্তর্লোক ফুটিয়ে তুলেছেন। অর্ধেক আলো, অর্ধেক ছায়াÑতার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে ভয়, বিশ্বাস, আশা এবং হতাশা। রেমব্রান্ট শুধু মানুষ আঁকেননি, এঁকেছেন মানুষের ভেতরের নীরব আর্তি। রাজনীতির আলো-ছায়ার সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, সেখানে কখনও ছায়া নেই, কেবল ঝলমলে অভিনয়।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলোÑএতকিছু দেখতে কোনো টিকিট লাগে না। ন্যাশনাল গ্যালারির প্রবেশ একেবারেই বিনামূল্যে। পর্যটক, শিক্ষার্থী কিংবা স্থানীয় নাগরিকÑসবাই অবাধে প্রবেশ করতে পারে। কেবল বিশেষ প্রদর্শনীর জন্য অর্থ দিতে হয়। লন্ডনের মতো ব্যয়বহুল শহরে এটি নিঃসন্দেহে এক অনন্য উদাহরণ। ভাবছিলাম, যেখানে রাজনীতি প্রায়শই সাধারণ মানুষের জীবন থেকে দূরে সরে যায়, সেখানে শিল্পকলাই মানুষকে কাছে টেনে নেয়। এখানে কারো পদমর্যাদা নেই, নেই অর্থসামর্থ্যের বিভাজন। সবাই সমানভাবে দাঁড়িয়ে একই ছবির দিকে তাকিয়ে বিস্ময়ে ডুবে যায়।
গ্যালারির প্রতিটি কক্ষ যেন ইতিহাসের একেকটি দরজা। এক কক্ষে প্রবেশ করলে মনে হয় আমি মধ্যযুগে। বাইবেলীয় গল্প আর ধর্মীয় প্রতীক রঙতুলিতে জীবন্ত। আরেক কক্ষে ঢুকলেই চোখে পড়ে রেনেসাঁ যুগের জাগরণ, যেখানে মানুষকে নতুন আলোয় আবিষ্কার করা হয়েছে। এরপর ইমপ্রেশনিস্ট কক্ষে সূর্যের আলো আর প্রকৃতির রঙের খেলা ভরিয়ে দেয় চারপাশ। প্রতিটি কক্ষ একেকটি সময়ের দলিল, একেকটি আন্দোলনের চিহ্ন।
চারপাশে তাকিয়ে দেখলাম দর্শনার্থীরা শিল্পের ভেতরে ডুবে আছে। এক শিশু বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে ভ্যান গখের সূর্যমুখীর দিকে, এক বৃদ্ধ হুইলচেয়ারে বসে রেমব্রান্টের ছায়ার ভেতরে নিজের জীবন খুঁজছেন, তরুণ-তরুণীরা মনের সামনে আলো-অন্ধকার নিয়ে তর্ক করছে। শিল্প এখানে অভিজাতদের সম্পদ নয়, বরং মানুষের নিঃশ্বাসের মতো স্বাভাবিক।
এখানে এসে মনে হলো, শিল্পের দরজা যেমন সবার জন্য খোলা, রাজনীতির দরজা তেমন খোলা নয়। ন্যাশনাল গ্যালারির সূর্যমুখী সবার জন্য জ্বলে, কিন্তু সংসদের আলো কেবল নির্বাচিতদের জন্য। শিল্প আমাদের শেখায়Ñসংস্কৃতি টিকে থাকে উন্মুক্ততায়, আর রাজনীতি হারায় গোপন দরজার অন্ধকারে। রাজনীতির আলো-ছায়া এখানে তুলির ক্যানভাসের মতো নয়; সেখানে হাসি হাসি বসে আলো ফেলা হয়, কিন্তু গভীর অন্তর্লোক দেখা যায় না।
গ্যালারির ভেতর থেকে বের হয়ে মনে হলো আমি ভিন্ন এক মানুষ। ট্রাফালগার স্কোয়ারে ভিড় আগের মতোই আছে, আকাশে মেঘ আরও ঘন। কিন্তু আমার ভেতরে জমেছে নতুন আলোÑদা ভিঞ্চির নীরব দর্শন, ভ্যান গখের হলুদ উচ্ছ্বাস, মনেটের সূর্যের ঝলক আর রেমব্রান্টের গভীর ছায়া।
আজকের অভিজ্ঞতা আমাকে মনে করিয়ে দিল, ভ্রমণ কেবল দূর দেশে ঘোরাঘুরি নয়। ভ্রমণ মানে নিজের ভেতরের দিগন্তকে নতুন করে আবিষ্কার করা। ন্যাশনাল গ্যালারির দেয়ালে ঝোলানো প্রতিটি ছবি যেন বললÑতুমি যত দূরেই যাও না কেন, শেষমেশ ফিরে আসবে নিজের ভেতরেই। আর যদি রাজনীতি সেই সত্যিই শেখাত, তাহলে হয়তো আমরা সবাই মানুষের অন্তর্লোককে চোখে দেখতে পারতাম। শিল্প আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আসল আলো সেই যা আত্মার ভেতর থেকে জ্বলে, আর রাজনীতি প্রায়শই তার প্রতিবিম্ব গোপন রাখে।
[লেখক: সভাপতি, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ এলামনাই এসোসিয়েশন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়]
ফকর উদ্দিন মানিক
শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫
লন্ডনের আকাশে সেদিন ছিল হালকা মেঘের ছায়া। ট্রাফালগার স্কোয়ারের ভিড় যেন ইতিহাসের কোলাহল বয়ে নিয়ে চলেছে। মানুষের পদচারণা, কবুতরের ডানা ঝাপটানি, ক্যামেরার ক্লিকÑসব মিলিয়ে শহর যেন এক জীবন্ত চিত্রকলা। সেই ভিড়ের ভেতর হঠাৎ ডাক পেলাম এক ভিন্ন দিগন্তের, যার নাম ন্যাশনাল গ্যালারি। দরজা দিয়ে প্রবেশ করতেই বাইরে কোলাহল মিলিয়ে গেল। বিশাল পাথরের মেঝে, গম্বুজাকৃতি ছাদ আর দেয়ালজুড়ে ঝুলন্ত ছবিগুলো যেন এক নীরব মহাসমুদ্রের তরঙ্গ। মনে হলো, আমি সময়ের ভেতর দিয়ে এক যাত্রা শুরু করেছি। ১৮২৪ সালে মাত্র ৩৮টি ছবির সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হওয়া গ্যালারিটি আজ দাঁড়িয়েছে দুই হাজারেরও বেশি শিল্পকর্মের ভা-ার হিসেবে। এখানে ইউরোপীয় সভ্যতার সাত শতকের শিল্প ইতিহাস সংরক্ষিতÑমধ্যযুগ থেকে রেনেসাঁ, রেনেসাঁ থেকে ইমপ্রেশনিজম। প্রতিটি কক্ষ যেন একেকটি জানালা, যার ওপারে খোলা অন্য যুগের আকাশ।
প্রথমেই চোখে পড়ল লিওনার্দো দা ভিঞ্চির কাজ। ছবিতে মানুষের মুখাবয়ব শুধু আঁকা নয়, জীবন্ত মনে হলো। রেখার ভেতর ধরা পড়েছে মানুষের আত্মা, দর্শন এবং অন্তর্লোক। মনে হলো, ছবির চরিত্রটি এখনই আমার সাথে কথা বলবে। তুলির ভেতর দিয়ে মানবিক অনুভূতির গভীরতা ফুটে উঠেছেÑএক ধরণের নিঃশব্দ আভিজাত্য যা রাজনীতির সভাকক্ষে বিরল।
এরপর ভ্যান গখের বিখ্যাত সূর্যমুখী কক্ষের আলো পুরো ভেতর ভরিয়ে দিল। হলুদ রঙের দীপ্তি প্রথমে উল্লাস জাগালেও গভীরে তাকাতেই ধরা পড়ল নিঃসঙ্গতা, বিষাদ, আর্তি। আলো-অন্ধকারের মিলনে যেন জীবন নিজেকে প্রকাশ করেছে। ভ্যান গখ যেন ফিসফিস করে বলছেনÑজীবনের আলো যেমন আছে, তেমনি ছায়ার দীর্ঘ পথও অবহেলা করা যায় না। রাজনীতির সভা হলে আলো থাকলেও, সেখানে অন্তরঙ্গ অনুভূতির খোঁজ মেলে না।
মনের ছবির সামনে দাঁড়াতেই মনে হলো আমি প্রকৃতির ভেতরে চলে এসেছি। নদীর জলে সূর্যের ঝলকানি, বাতাসে দুলতে থাকা ফুলÑসবকিছু এত বাস্তব যে ছবির ভেতরে ঢুকে পড়তে ইচ্ছে হলো। ইমপ্রেশনিজম কেবল একটি শিল্পধারা নয়, বরং আলো এবং প্রকৃতির সঙ্গে অন্তরঙ্গ সংলাপ। মনে সেই সংলাপ তুলির মাধ্যমে শোনালেন।
রেমব্রান্টের ছবিগুলো ভিন্ন জগতের। আলো-ছায়ার খেলায় তিনি মানুষের অন্তর্লোক ফুটিয়ে তুলেছেন। অর্ধেক আলো, অর্ধেক ছায়াÑতার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে ভয়, বিশ্বাস, আশা এবং হতাশা। রেমব্রান্ট শুধু মানুষ আঁকেননি, এঁকেছেন মানুষের ভেতরের নীরব আর্তি। রাজনীতির আলো-ছায়ার সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, সেখানে কখনও ছায়া নেই, কেবল ঝলমলে অভিনয়।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলোÑএতকিছু দেখতে কোনো টিকিট লাগে না। ন্যাশনাল গ্যালারির প্রবেশ একেবারেই বিনামূল্যে। পর্যটক, শিক্ষার্থী কিংবা স্থানীয় নাগরিকÑসবাই অবাধে প্রবেশ করতে পারে। কেবল বিশেষ প্রদর্শনীর জন্য অর্থ দিতে হয়। লন্ডনের মতো ব্যয়বহুল শহরে এটি নিঃসন্দেহে এক অনন্য উদাহরণ। ভাবছিলাম, যেখানে রাজনীতি প্রায়শই সাধারণ মানুষের জীবন থেকে দূরে সরে যায়, সেখানে শিল্পকলাই মানুষকে কাছে টেনে নেয়। এখানে কারো পদমর্যাদা নেই, নেই অর্থসামর্থ্যের বিভাজন। সবাই সমানভাবে দাঁড়িয়ে একই ছবির দিকে তাকিয়ে বিস্ময়ে ডুবে যায়।
গ্যালারির প্রতিটি কক্ষ যেন ইতিহাসের একেকটি দরজা। এক কক্ষে প্রবেশ করলে মনে হয় আমি মধ্যযুগে। বাইবেলীয় গল্প আর ধর্মীয় প্রতীক রঙতুলিতে জীবন্ত। আরেক কক্ষে ঢুকলেই চোখে পড়ে রেনেসাঁ যুগের জাগরণ, যেখানে মানুষকে নতুন আলোয় আবিষ্কার করা হয়েছে। এরপর ইমপ্রেশনিস্ট কক্ষে সূর্যের আলো আর প্রকৃতির রঙের খেলা ভরিয়ে দেয় চারপাশ। প্রতিটি কক্ষ একেকটি সময়ের দলিল, একেকটি আন্দোলনের চিহ্ন।
চারপাশে তাকিয়ে দেখলাম দর্শনার্থীরা শিল্পের ভেতরে ডুবে আছে। এক শিশু বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে ভ্যান গখের সূর্যমুখীর দিকে, এক বৃদ্ধ হুইলচেয়ারে বসে রেমব্রান্টের ছায়ার ভেতরে নিজের জীবন খুঁজছেন, তরুণ-তরুণীরা মনের সামনে আলো-অন্ধকার নিয়ে তর্ক করছে। শিল্প এখানে অভিজাতদের সম্পদ নয়, বরং মানুষের নিঃশ্বাসের মতো স্বাভাবিক।
এখানে এসে মনে হলো, শিল্পের দরজা যেমন সবার জন্য খোলা, রাজনীতির দরজা তেমন খোলা নয়। ন্যাশনাল গ্যালারির সূর্যমুখী সবার জন্য জ্বলে, কিন্তু সংসদের আলো কেবল নির্বাচিতদের জন্য। শিল্প আমাদের শেখায়Ñসংস্কৃতি টিকে থাকে উন্মুক্ততায়, আর রাজনীতি হারায় গোপন দরজার অন্ধকারে। রাজনীতির আলো-ছায়া এখানে তুলির ক্যানভাসের মতো নয়; সেখানে হাসি হাসি বসে আলো ফেলা হয়, কিন্তু গভীর অন্তর্লোক দেখা যায় না।
গ্যালারির ভেতর থেকে বের হয়ে মনে হলো আমি ভিন্ন এক মানুষ। ট্রাফালগার স্কোয়ারে ভিড় আগের মতোই আছে, আকাশে মেঘ আরও ঘন। কিন্তু আমার ভেতরে জমেছে নতুন আলোÑদা ভিঞ্চির নীরব দর্শন, ভ্যান গখের হলুদ উচ্ছ্বাস, মনেটের সূর্যের ঝলক আর রেমব্রান্টের গভীর ছায়া।
আজকের অভিজ্ঞতা আমাকে মনে করিয়ে দিল, ভ্রমণ কেবল দূর দেশে ঘোরাঘুরি নয়। ভ্রমণ মানে নিজের ভেতরের দিগন্তকে নতুন করে আবিষ্কার করা। ন্যাশনাল গ্যালারির দেয়ালে ঝোলানো প্রতিটি ছবি যেন বললÑতুমি যত দূরেই যাও না কেন, শেষমেশ ফিরে আসবে নিজের ভেতরেই। আর যদি রাজনীতি সেই সত্যিই শেখাত, তাহলে হয়তো আমরা সবাই মানুষের অন্তর্লোককে চোখে দেখতে পারতাম। শিল্প আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আসল আলো সেই যা আত্মার ভেতর থেকে জ্বলে, আর রাজনীতি প্রায়শই তার প্রতিবিম্ব গোপন রাখে।
[লেখক: সভাপতি, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ এলামনাই এসোসিয়েশন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়]