জাঁ-নেসার ওসমান
“কী ভাই, কেশ ফ্যালায় ভাই কেশ ফ্যালায়, এনজিও থ্যেইক্কা লোন নিয়া দারিদ্র দূর করারা জইন্য চুল কাটনের সেলুন খুলবেননি?”
“আরে না, বর্তমানে তুই দেখিসনি, শ্মশ্রুম-িত পাবলিককে সোজা করার জন্য সমাজ কেমন উদগ্রীব হয়েছে।”
“বুঝছি, চিকুর আলা বাবারী ব্যাটারে আপনে মানুষ বানাইবেন কিন্তু তায়লে অজাতশ্মশ্রু মাকুন্দাগুলারে কী করবেন?”
“দ্যাখ, রোশ বা রোঁয়াহীন পাবলিক আমাদের টার্গেট নয়, আমরা হচ্ছি যারা জটাধারী, টিকিধারী, বোমাকীর্ণ তাদের কুন্তলে, উকুনের ন্যায় রক্তচোষা কীটের বসবাস যা সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করে দারিদ্রের রক্তচোষণে ড্রাকুলার চেয়েও অধিক প্রবলতার সাথে রক্ত চুষিতেছে, সেই সকল উকুন, লিকি বা লিক্ষা ধ্বংস কররা লক্ষ্যে আমাদের এই ইনকিলাব মানে সংগ্রাম, চলছে চলবে।”
“কন কী, আপনেরে এই মহান দায়িত্ব কোন হালায় দিছে!”
“তুই বুজছিস না কেন? বিশ্ব আজ ধর্ম ব্যবসায়ীতে ভরে উঠেছে. তাই এই সব ভ-দের সুপথে আনাই আমার লক্ষ্য, তুই শুনিসনি প্রায় শত বছর পূর্বে কাজী নজরুল ইসলাম তার গাহি সাম্যের গান কবিতায় বলেছেন,“ভুখারী ফুকারি কয়, ঐ মন্দির পূজারীর, হায় দেবতা, তোমার নয়...” বুঝেছিস আমরা আর পূজারীকে ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করতে দেব না। আজ মন্দির হবে দেবতার, গণদেবতার। সত্য ধর্ম আজ সমাজের পরতে পরতে, ঘরে ঘরে স্টিকার প্রতিস্থাপন করে ধর্মের সুনির্মল বায়ু প্রবাহিত করবো।”
“সাধু সাধু এইডাতো বিরাট ব্যাপার। সত্যকারের পূজারী আইন্না নকল মুনাফেক পূজারী তাড়াইবেন। তয় আমি কই কী, এই দায়িত্ব আপনেরে দিছে ক্যাডা, স্বপ্নে আপনের শ্রীকৃষ্ণ দেখা দিছেনি?”
“আরে মকর সন্তান বলরামের ভাই, শ্রীকৃষ্ণ নয়, দূর্গেশনন্দিনী মা দশভূজা আমাদের শক্তি যোগাবেন। তুই ভাবতে পারিস বর্তমানে কলকাতায় অসুরের জায়গায় এক মুসলিম সন্তানের অবয়ব বসিয়ে মা দূর্গার মূর্তি বানাচ্ছে। এই শেরেকী কি মানা যায়?”
“ না না, এইডা কী কন, অসুরের জায়গায় মুসলমানের মুর্তি। মা দূর্গা ত্রিশূল দিয়া মুসলমান বধ করতাছে! তো কোলকাতায় ইসলাম ধর্মালম্বীরা এর পরতিবাদ করে নাইক্কা? কন কি হুমুন্দির পুতেরা কি হিজড়ানি?”
“আরে ভাই সমাজের এসব অসঙ্গতি দূর করতেই আমাদের সংগ্রাম চলবেই চলবে।”
“কিন্তু ভাই আমি কোই কী, এই সব শরীরের অপ্রয়োজনীয় চুল ফ্যালানোর সংগ্রামের চাইতে, পূজারী মন্দির দখল করল নাকি দেবতায় মন্দির বুইজ্ঝা লইলো এইসব বাদ দিয়া, মরিচের কেজী চার’শ ট্যাকা, পাঠ্যপুস্তক থ্যেইক্কা নারীগো লেখা বাদ, লাইব্রেরি পুড়াইয়া প্রগতি স্থাপনা করা, হকারগো থ্যেইক্কা প্রতিদিনের চান্দাবাব্জী, পুলিশের জামিন বাণিজ্য এইগুলার বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালাইলে হয় না?”
“ধুর পাগল এসব করতে গেলে তো তুই রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা খাবি। রাষ্ট্র যে খাতে প্রবাহিত হচ্ছে তার প্রতিকূলে গেলেতো পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র, প্রশাসন, শিক্ষাব্যবস্থা সবাই তোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে তোকে গারদে পুরবে।”
“ কন কি, মাইনষ্যের মইধ্যে জ্ঞানের আলু ছড়াইতে গেলে, চান্দাবাজী বন্ধ করতে গেলে রাষ্ট্রযন্ত্র আমারে ডলা দিবো!”
“ তো তোকে বলছি কী, বাংলাদেশ স্বাধীন হলো পাকিস্তানি বর্বরতার স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে। কিন্তু তোরা যেই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলি অমনি তোরাও পাকিস্তানি বর্বর স্বৈরাচারের মতন শোষণের মাত্রা বাড়িয়ে দিলি। তো লাভ কি হলো যেই লাউ হেই কদু। এখন বাঙালি হয়ে বাঙালি নিধন। লজ্জাও নেই, শরমও নেই, বেহায়ার মতো কেবলই অর্থের লোভ।”
“তা আন্নেরা এইডার পরতিবাদ করবেন না?”
“ব্যাটা পাগল নাকি? গুম-খুন হওয়ার ইচ্ছা। তারপর পুলিশের ইউ. ডি. কেস, আনন্যাচারাল ডেথ। সেই জন্যে আমরাও সেফ সাইডে খেলছি। এই মন্দির কার পূজারীর না দেবতার। মন্দির কমিটির প্রধান কে হবে চোখের কাজল নাকি দেবতার দেবনাথ, এইসব নিয়েই লড়াই করছি, সাপও মরল না, লাঠিও ভাঙলো না। দুই দিকই বাঁচিয়ে চলছি;, পলিট্রিকস, বুঝিস না।”
“ ভাইরে আপনেতো হেভভি ডিপ্লোম্যাটিক চাল মারছেন। সুশীল সমাজ আপনেরে বাহবা দিবো আর রাষ্ট্রযন্ত্র আপনেরে পদ্মবিভূষণ আর্ন্তজাতিক সন্মাননা দিবো। এ্যাহ, দারুন গুরু দারুন।”
“ আরে নারে, সেই রামও নেই, সেই অযোধ্যাও নেই। রাম, রাবণ, লক্ষণ, মেঘনাদ, বিভীষণ সব লংকায় যেয়ে দিল্লীর দরবার আলোকিত করছে। ফলে এখন আর আগের মতো মুখ্যমন্ত্রি আমাকে আর দিল্লী থেকে পদ্মবিভূষণ ডিগ্রি দিতে পারবে না। এর চেয়ে বরং সুইজারল্যান্ডের নোবেল কমিটিতে আবেদন করে নোবেল আনা অনেক সহজ।”
“ তা দ্যেখেন আপনেরা শিক্ষিত, জ্ঞানী ব্যাক্তিবর্গ আপনেরা কেশ ফ্যালানোর যেই সংগ্রাম করবেন আমরা আছি আপনের লগে। কোইলে আরাওভি জটা, টিকি, জুলফি মুছ, শরীলের বিশেষ কেশ, মানে বোগলের অবাঞ্চিত লোম্বা আরকি, সব সব ফ্যালানোর সংগ্রামে আপনের লগে একাত্মতা ঘোষণা কোরুম।”
“ সাধূ সাধূ এই না হলে কমরেড লাক্ষাসিং। তুই আমাদের কেশ ফ্যালানো সংসদের দলীয় যুবকদের প্রতিনিধি রুপে আত্মপ্রকাশ কর, তোর প্রচারের হুরুর মতো সব খরচ আমাদের। প্রয়োজনে হামাসের, র’এর সব সদস্যপদও পাইয়ে দেয়া হবে। তুই কী বল?”
“কবুল কবুল কবুল। আমি কেশ ফ্যালানো সংসদের সদস্য হওয়ার জন্য শপথ গ্রহণ করলাম।”
“তা হোলে সর্বপ্রথমে তোর কেশ ফ্যাল?”
“ও মা এইডা কী কন। আমার ত্রিশ বছরের জমানো প্রিয় কেশের মূল উৎপাটন করুম। না না এইডা আমি
পারুম না।”
“না না, তাহলে তো তুই আমাদের কেশ ফ্যালানো সংগ্রামের কমরেড হতে পারবি না!”
“দরকার নাই ভাই আপনেদের কোঁকড়ানো কেশ উৎপাটন সংগ্রামের সদস্য হোইতে।”
“দ্যাখ, এমন সুযোগ বারবার আসে না। আর একবার ঠা-া মাথায় ভেবে দ্যাখ।”
“ঠা-া, গরম, নাতিউষ্ণ সবরকম মাথায় চিন্তা কোইরা কোইলাম আমি আপনেগো “কেশ ফ্যালায় ভাই, কেশ ফ্যালায়, সংগ্রামে নাই ব্যাস...পারলে চার’শ টাকা মরিচের বিরুদ্ধে লড়–ম নাইলে ঘরে হুয়া ঘুমামু।”
“সেই ভালো, তুই, তোর পুরো পরিবার, বন্ধুবান্ধব, পাড়াপ্রতিবেশী, পুরো দেশবাসী নিয়ে ঘুমিয়ে থাক। তবুও কেশ ফ্যালায় ভাই, কেশ ফ্যালায়, সংগ্রামে যোগ দিবি না! মর তাহলে। ”
[লেখক: চলচ্চিত্রকার]
জাঁ-নেসার ওসমান
শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫
“কী ভাই, কেশ ফ্যালায় ভাই কেশ ফ্যালায়, এনজিও থ্যেইক্কা লোন নিয়া দারিদ্র দূর করারা জইন্য চুল কাটনের সেলুন খুলবেননি?”
“আরে না, বর্তমানে তুই দেখিসনি, শ্মশ্রুম-িত পাবলিককে সোজা করার জন্য সমাজ কেমন উদগ্রীব হয়েছে।”
“বুঝছি, চিকুর আলা বাবারী ব্যাটারে আপনে মানুষ বানাইবেন কিন্তু তায়লে অজাতশ্মশ্রু মাকুন্দাগুলারে কী করবেন?”
“দ্যাখ, রোশ বা রোঁয়াহীন পাবলিক আমাদের টার্গেট নয়, আমরা হচ্ছি যারা জটাধারী, টিকিধারী, বোমাকীর্ণ তাদের কুন্তলে, উকুনের ন্যায় রক্তচোষা কীটের বসবাস যা সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করে দারিদ্রের রক্তচোষণে ড্রাকুলার চেয়েও অধিক প্রবলতার সাথে রক্ত চুষিতেছে, সেই সকল উকুন, লিকি বা লিক্ষা ধ্বংস কররা লক্ষ্যে আমাদের এই ইনকিলাব মানে সংগ্রাম, চলছে চলবে।”
“কন কী, আপনেরে এই মহান দায়িত্ব কোন হালায় দিছে!”
“তুই বুজছিস না কেন? বিশ্ব আজ ধর্ম ব্যবসায়ীতে ভরে উঠেছে. তাই এই সব ভ-দের সুপথে আনাই আমার লক্ষ্য, তুই শুনিসনি প্রায় শত বছর পূর্বে কাজী নজরুল ইসলাম তার গাহি সাম্যের গান কবিতায় বলেছেন,“ভুখারী ফুকারি কয়, ঐ মন্দির পূজারীর, হায় দেবতা, তোমার নয়...” বুঝেছিস আমরা আর পূজারীকে ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করতে দেব না। আজ মন্দির হবে দেবতার, গণদেবতার। সত্য ধর্ম আজ সমাজের পরতে পরতে, ঘরে ঘরে স্টিকার প্রতিস্থাপন করে ধর্মের সুনির্মল বায়ু প্রবাহিত করবো।”
“সাধু সাধু এইডাতো বিরাট ব্যাপার। সত্যকারের পূজারী আইন্না নকল মুনাফেক পূজারী তাড়াইবেন। তয় আমি কই কী, এই দায়িত্ব আপনেরে দিছে ক্যাডা, স্বপ্নে আপনের শ্রীকৃষ্ণ দেখা দিছেনি?”
“আরে মকর সন্তান বলরামের ভাই, শ্রীকৃষ্ণ নয়, দূর্গেশনন্দিনী মা দশভূজা আমাদের শক্তি যোগাবেন। তুই ভাবতে পারিস বর্তমানে কলকাতায় অসুরের জায়গায় এক মুসলিম সন্তানের অবয়ব বসিয়ে মা দূর্গার মূর্তি বানাচ্ছে। এই শেরেকী কি মানা যায়?”
“ না না, এইডা কী কন, অসুরের জায়গায় মুসলমানের মুর্তি। মা দূর্গা ত্রিশূল দিয়া মুসলমান বধ করতাছে! তো কোলকাতায় ইসলাম ধর্মালম্বীরা এর পরতিবাদ করে নাইক্কা? কন কি হুমুন্দির পুতেরা কি হিজড়ানি?”
“আরে ভাই সমাজের এসব অসঙ্গতি দূর করতেই আমাদের সংগ্রাম চলবেই চলবে।”
“কিন্তু ভাই আমি কোই কী, এই সব শরীরের অপ্রয়োজনীয় চুল ফ্যালানোর সংগ্রামের চাইতে, পূজারী মন্দির দখল করল নাকি দেবতায় মন্দির বুইজ্ঝা লইলো এইসব বাদ দিয়া, মরিচের কেজী চার’শ ট্যাকা, পাঠ্যপুস্তক থ্যেইক্কা নারীগো লেখা বাদ, লাইব্রেরি পুড়াইয়া প্রগতি স্থাপনা করা, হকারগো থ্যেইক্কা প্রতিদিনের চান্দাবাব্জী, পুলিশের জামিন বাণিজ্য এইগুলার বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালাইলে হয় না?”
“ধুর পাগল এসব করতে গেলে তো তুই রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা খাবি। রাষ্ট্র যে খাতে প্রবাহিত হচ্ছে তার প্রতিকূলে গেলেতো পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র, প্রশাসন, শিক্ষাব্যবস্থা সবাই তোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে তোকে গারদে পুরবে।”
“ কন কি, মাইনষ্যের মইধ্যে জ্ঞানের আলু ছড়াইতে গেলে, চান্দাবাজী বন্ধ করতে গেলে রাষ্ট্রযন্ত্র আমারে ডলা দিবো!”
“ তো তোকে বলছি কী, বাংলাদেশ স্বাধীন হলো পাকিস্তানি বর্বরতার স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে। কিন্তু তোরা যেই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলি অমনি তোরাও পাকিস্তানি বর্বর স্বৈরাচারের মতন শোষণের মাত্রা বাড়িয়ে দিলি। তো লাভ কি হলো যেই লাউ হেই কদু। এখন বাঙালি হয়ে বাঙালি নিধন। লজ্জাও নেই, শরমও নেই, বেহায়ার মতো কেবলই অর্থের লোভ।”
“তা আন্নেরা এইডার পরতিবাদ করবেন না?”
“ব্যাটা পাগল নাকি? গুম-খুন হওয়ার ইচ্ছা। তারপর পুলিশের ইউ. ডি. কেস, আনন্যাচারাল ডেথ। সেই জন্যে আমরাও সেফ সাইডে খেলছি। এই মন্দির কার পূজারীর না দেবতার। মন্দির কমিটির প্রধান কে হবে চোখের কাজল নাকি দেবতার দেবনাথ, এইসব নিয়েই লড়াই করছি, সাপও মরল না, লাঠিও ভাঙলো না। দুই দিকই বাঁচিয়ে চলছি;, পলিট্রিকস, বুঝিস না।”
“ ভাইরে আপনেতো হেভভি ডিপ্লোম্যাটিক চাল মারছেন। সুশীল সমাজ আপনেরে বাহবা দিবো আর রাষ্ট্রযন্ত্র আপনেরে পদ্মবিভূষণ আর্ন্তজাতিক সন্মাননা দিবো। এ্যাহ, দারুন গুরু দারুন।”
“ আরে নারে, সেই রামও নেই, সেই অযোধ্যাও নেই। রাম, রাবণ, লক্ষণ, মেঘনাদ, বিভীষণ সব লংকায় যেয়ে দিল্লীর দরবার আলোকিত করছে। ফলে এখন আর আগের মতো মুখ্যমন্ত্রি আমাকে আর দিল্লী থেকে পদ্মবিভূষণ ডিগ্রি দিতে পারবে না। এর চেয়ে বরং সুইজারল্যান্ডের নোবেল কমিটিতে আবেদন করে নোবেল আনা অনেক সহজ।”
“ তা দ্যেখেন আপনেরা শিক্ষিত, জ্ঞানী ব্যাক্তিবর্গ আপনেরা কেশ ফ্যালানোর যেই সংগ্রাম করবেন আমরা আছি আপনের লগে। কোইলে আরাওভি জটা, টিকি, জুলফি মুছ, শরীলের বিশেষ কেশ, মানে বোগলের অবাঞ্চিত লোম্বা আরকি, সব সব ফ্যালানোর সংগ্রামে আপনের লগে একাত্মতা ঘোষণা কোরুম।”
“ সাধূ সাধূ এই না হলে কমরেড লাক্ষাসিং। তুই আমাদের কেশ ফ্যালানো সংসদের দলীয় যুবকদের প্রতিনিধি রুপে আত্মপ্রকাশ কর, তোর প্রচারের হুরুর মতো সব খরচ আমাদের। প্রয়োজনে হামাসের, র’এর সব সদস্যপদও পাইয়ে দেয়া হবে। তুই কী বল?”
“কবুল কবুল কবুল। আমি কেশ ফ্যালানো সংসদের সদস্য হওয়ার জন্য শপথ গ্রহণ করলাম।”
“তা হোলে সর্বপ্রথমে তোর কেশ ফ্যাল?”
“ও মা এইডা কী কন। আমার ত্রিশ বছরের জমানো প্রিয় কেশের মূল উৎপাটন করুম। না না এইডা আমি
পারুম না।”
“না না, তাহলে তো তুই আমাদের কেশ ফ্যালানো সংগ্রামের কমরেড হতে পারবি না!”
“দরকার নাই ভাই আপনেদের কোঁকড়ানো কেশ উৎপাটন সংগ্রামের সদস্য হোইতে।”
“দ্যাখ, এমন সুযোগ বারবার আসে না। আর একবার ঠা-া মাথায় ভেবে দ্যাখ।”
“ঠা-া, গরম, নাতিউষ্ণ সবরকম মাথায় চিন্তা কোইরা কোইলাম আমি আপনেগো “কেশ ফ্যালায় ভাই, কেশ ফ্যালায়, সংগ্রামে নাই ব্যাস...পারলে চার’শ টাকা মরিচের বিরুদ্ধে লড়–ম নাইলে ঘরে হুয়া ঘুমামু।”
“সেই ভালো, তুই, তোর পুরো পরিবার, বন্ধুবান্ধব, পাড়াপ্রতিবেশী, পুরো দেশবাসী নিয়ে ঘুমিয়ে থাক। তবুও কেশ ফ্যালায় ভাই, কেশ ফ্যালায়, সংগ্রামে যোগ দিবি না! মর তাহলে। ”
[লেখক: চলচ্চিত্রকার]