ফরিদুল আলম
ভয়াল ২৯ এপ্রিল। ১৯৯১ সালের এই রাতে উপকূলে আঘাত হেনেছিল মহা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। স্বজন হারানোর স্মৃতি নিয়ে প্রতি বছরই এই রাত ফিরে আসে উপকূলবাসীর কাছে। বছর ঘুরে দিনটি ফিরে এলে এখনও স্বজনরা হারানোর বেদনায় কাতর হয়ে উঠে। কিন্তু আজও পুরোপুরি অরক্ষিত উপকূলীয় এলাকার লোকজন। এখনও ঝড় জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে তাদের চালিয়ে যেতে হয় অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ। ওই কাল রাতের পরে লাশের পর লাশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল চারদিক। বিস্তীর্ণ অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল।
মহা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাসের আঘাতে বিলিন হয়ে গিয়েছিল চট্টগ্রাম কক্সবাজারসহ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকার ২৫০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। পরদিন বিশ্ববাসী অবাক হয়ে গিয়েছিল এই ধ্বংসলীলা দেখে। কেঁপে উঠেছিল বিশ্ব বিবেক। সহায় সম্বল ও স্বজনহারা উপকূলের কিছু মানুষ পেয়েছিল নবজন্ম। আজ এত বছর পর কেমন আছেন তারা? এত বছর পর দুর্যোগ মোকাবিলার কি অবস্থা এখন উপকূলের?
দেশের অন্যতম সমুদ্র বন্দর, চট্টগ্রামের বন্দর নগরীর পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম জেলায় বাঁশখালী, আনোয়ারা, সীতাকুন্ড, মিরসরাই, সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালীসহ উপকূলীয় এলাকার লোকজন এখনও রয়েছে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের আতঙ্কে। সেই ভয়াল রাতে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের এসব এলাকায় ব্যাপক প্রাণহানি ঘটলেও এখনও পর্যন্ত নির্মিত হয়নি স্থায়ী বেড়িবাঁধ।
অতীতে লক্ষ্য করা গেছে, বাঁধ নির্মাণ ঘোর বর্ষাকালে জোয়ারের পানি ঠেকানোর নামে রিংবাঁধ, মেরামত, সংস্কার ইত্যাদি নানা নামে প্রতি বছরই নেয়া হয় বিভিন্ন প্রকল্প। কিন্তু এসব প্রকল্পে ঘটে সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থের নয়-ছয় এর ঘটনা। বর্ষা আসলে ভেঙে যায় বাঁধ। আবারও নতুন নতুন প্রকল্পের নামে নতুন বরাদ্দ। এভাবে বছরের পর বছর উপকূলীয় বাঁধের সংস্কারের নামে চলে আসছে সরকারি অর্থের অপচয়।
একটি টেকসই স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি থাকলেও আজও পূরণ হয়নি। তবে কিছু এলাকায় বেড়িবাঁধ নতুনভাবে সংস্কার হওয়াতে পানি উঠেনি। যেখানে এখনও বিধ্বস্থ বাঁধ রয়েছে সে এলাকার উপকূলের মানুষ ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত শুনলেই নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটতে হয় উপকূলের নিরীহ লোকজনদের।
ফরিদুল আলম
বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১
ভয়াল ২৯ এপ্রিল। ১৯৯১ সালের এই রাতে উপকূলে আঘাত হেনেছিল মহা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। স্বজন হারানোর স্মৃতি নিয়ে প্রতি বছরই এই রাত ফিরে আসে উপকূলবাসীর কাছে। বছর ঘুরে দিনটি ফিরে এলে এখনও স্বজনরা হারানোর বেদনায় কাতর হয়ে উঠে। কিন্তু আজও পুরোপুরি অরক্ষিত উপকূলীয় এলাকার লোকজন। এখনও ঝড় জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে তাদের চালিয়ে যেতে হয় অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ। ওই কাল রাতের পরে লাশের পর লাশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল চারদিক। বিস্তীর্ণ অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল।
মহা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাসের আঘাতে বিলিন হয়ে গিয়েছিল চট্টগ্রাম কক্সবাজারসহ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকার ২৫০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। পরদিন বিশ্ববাসী অবাক হয়ে গিয়েছিল এই ধ্বংসলীলা দেখে। কেঁপে উঠেছিল বিশ্ব বিবেক। সহায় সম্বল ও স্বজনহারা উপকূলের কিছু মানুষ পেয়েছিল নবজন্ম। আজ এত বছর পর কেমন আছেন তারা? এত বছর পর দুর্যোগ মোকাবিলার কি অবস্থা এখন উপকূলের?
দেশের অন্যতম সমুদ্র বন্দর, চট্টগ্রামের বন্দর নগরীর পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম জেলায় বাঁশখালী, আনোয়ারা, সীতাকুন্ড, মিরসরাই, সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালীসহ উপকূলীয় এলাকার লোকজন এখনও রয়েছে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের আতঙ্কে। সেই ভয়াল রাতে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের এসব এলাকায় ব্যাপক প্রাণহানি ঘটলেও এখনও পর্যন্ত নির্মিত হয়নি স্থায়ী বেড়িবাঁধ।
অতীতে লক্ষ্য করা গেছে, বাঁধ নির্মাণ ঘোর বর্ষাকালে জোয়ারের পানি ঠেকানোর নামে রিংবাঁধ, মেরামত, সংস্কার ইত্যাদি নানা নামে প্রতি বছরই নেয়া হয় বিভিন্ন প্রকল্প। কিন্তু এসব প্রকল্পে ঘটে সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থের নয়-ছয় এর ঘটনা। বর্ষা আসলে ভেঙে যায় বাঁধ। আবারও নতুন নতুন প্রকল্পের নামে নতুন বরাদ্দ। এভাবে বছরের পর বছর উপকূলীয় বাঁধের সংস্কারের নামে চলে আসছে সরকারি অর্থের অপচয়।
একটি টেকসই স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি থাকলেও আজও পূরণ হয়নি। তবে কিছু এলাকায় বেড়িবাঁধ নতুনভাবে সংস্কার হওয়াতে পানি উঠেনি। যেখানে এখনও বিধ্বস্থ বাঁধ রয়েছে সে এলাকার উপকূলের মানুষ ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত শুনলেই নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটতে হয় উপকূলের নিরীহ লোকজনদের।