alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

সেন্টার বেইজড বিশ্বমানের হাসপাতাল

শারফুদ্দিন আহমেদ

: শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা পান তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা শুরু করলো আন্তর্জাতিক মানের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। ৭৫০ বেডের সেন্টার বেইজড হাসপাতাল চালু হওয়ায় দেশের চিকিৎসা খাতে নতুন যুগের সূচনা হলো।

চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবনের সঙ্গে পরিচিত হতে এবং তা জনগণের স্বাস্থ্য সেবায় প্রয়োগ ঘটাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তোলা হয়েছে সেন্টার অফ এক্সিলেন্স হিসেবে। দেশে উন্নততর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণ, চিকিৎসকদের জন্য অত্যাধুনিক পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা, বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ, জিন থেরাপি, রোবটিক সার্জারি এবং জনগণের জন্য উচ্চমানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে হৃদরোগ, কিডনি রোগ, লিভার, গল ব্লাডার ও প্যানক্রিয়েটিক, অরগান ট্রান্সপ্লান্ট, ক্যান্সার, হৃদরোগ, কিডনিরোগ, নিউরোসার্জারিসহ বিভিন্ন জটিল রোগের বিশেষায়িত চিকিৎসার ব্যবস্থা বাংলাদেশে চিকিৎসাক্ষেত্রে একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

হাসপাতালটির কার্যক্রম চলবে ৬টি বিশেষায়িত সেন্টারের মাধ্যমে। বিশেষায়িত সব ধরনের সেবা নিয়ে বাংলাদেশে এটিই প্রথম সেন্টার ভিত্তিক হাসপাতাল। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অর্থায়নে হাসপাতালটির ২টি বেসমেন্টসহ ১৩তলা ভবনে থাকবে বিশ্বমানের সব ধরনের সেবা কার্যক্রম। হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে থাকবে ১৪টি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, ১০০ শয্যার আইসিইউ, জরুরি বিভাগে থাকবে ১শ’টি শয্যা, ভিভিআইপি কেবিন ৬টি, ভিআইপি কেবিন ২২টি এবং ডিলাক্স শয্যা থাকবে ২৫টি। সেন্টার ভিত্তিক প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থাপন করা হচ্ছে ৮টি করে শয্যা। গুণগতমান বজায় রাখতে দক্ষিণ কুরিয়া থেকে এনে ফার্নিচার ও সরঞ্জামগুলো স্থাপনও করা হয়েছে। হাসপাতালটিতে থাকছে নিউম্যাটিক টিউব যার মাধ্যমে রক্ত সংগ্রহের পর অটোমেটিক্যালি নির্দেশিত বিভাগে চলে যাবে; যা সম্পূর্ণ সংক্রিয়ভাবে হবে।

নবনির্মিত হাসপাতাল ভবনের প্রথম পর্যায়ে থাকবে- স্পেশালাইজড অটিজম সেন্টারসহ মেটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, ইমার্জেন্সি মেডিকেল কেয়ার সেন্টার, হেপাটোবিলিয়ারি ও গ্যাস্ট্রোঅ্যান্টারোলজি সেন্টার, কার্ডিও ও সেরিব্রো ভাস্কুলার সেন্টার এবং কিডনি সেন্টার। দ্বিতীয় পর্যায়ে থাকবে- রেসপিরেটরি মেডিসিন সেন্টার, জেনারেল সার্জারি সেন্টার, অপথালমোলজি, ডেন্টিস্ট্রি, ডার্মাটোলজি সেন্টার এবং ফিজিক্যাল মেডিসিন বা রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার। চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তাদের জন্য রাখা হচ্ছে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা ও মৌলিক গবেষণার জন্য আলাদা সেন্টার। রোগীবান্ধব এই হাসপাতালে থাকবে সানকেন গার্ডেন, রুফটপ গার্ডেন ও বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব সুযোগ-সুবিধা। থাকবে উন্নতমানের আধুনিক ব্যবস্থাপনার বহির্বিভাগ ও ইনফো ডেস্ক ও ডিজিটাল ইনফরমেশন সেন্টার।

এ স্পেশালাইজড হাসপাতালে সেবা নিতে এসে গ্রাহককে অন্য কোন জায়গায় যেতে হবে না। কারণ হাসপাতালের ভিতরেই থাকবে একটি কনভেনিয়েন্স শপ, ব্যাংকিং সুবিধা, ফার্মেসি, ৩৫০ সিট বিশিষ্ট উন্নত কিচেন যার আওতায় ৩টি ক্যাফেটেরিয়া থাকবে, ৯০ সিট বিশিষ্ট ডক্টরস ক্যাফেটেরিয়া, উন্নত লন্ড্রি হাউসসহ কার পার্কিংয়ের বিশাল সুবিধা। এখানে ১টি ভিভিআইপি এলিভেটরসহ ১৬টি এলিভেটর ও ১টি এসক্যালেটর, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাপনা, হিটিং, ভেনটিলেশন ও এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

বঙ্গবন্ধু স্পেশালাইজড হাসপাতালের কার্যপরিধি-কার্যক্রম বিবেচনা করে তথ্য ও প্রযুক্তি ভিত্তিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই হাসপাতালে থাকবে এক মেগা হসপিটাল ইনফরমেশন সিস্টেম (এইচআইএস), যার আওতায় অন্তর্ভুক্ত কাটিং এজ ইনফরমেশন সিস্টেম যেমন- PACS-Picture Archiving and Communication system, OCS-Order Communication system, Advanced EMR-Electronic Medical Record, App based interactive platform integrated appointment management (App Based)-সহ নানাবিধ আইটি সিস্টেম। এই অটোমেটেড হসপিটাল ইনফরমেশন সিস্টেমের আওতায় রোগীদের ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ইভিডেন্স বেইজড মেডিসিন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের মানুষ যাতে দেশেই সবধরণের উন্নত চিকিৎসাসেবা পান। রোগীদের যাতে চিকিৎসাসেবা নিতে বিদেশ যেতে না হয়। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু হওয়ায় সেই লক্ষ্য অনেকটাই পূরণ হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এতে রোগীদের বিদেশে যাওয়ার ভোগান্তি যেমন কমবে একইভাবে দেশের মানুষ ও দেশ উভয়ই অর্থনৈতিক দিক থেকে লাভবান হবে।

[লেখক : উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়]

পিএইচডি: উচ্চ শিক্ষার মানদণ্ড না প্রতীকী মরীচিকা?

আলুর প্রাচুর্যে কৃষকের সংকট

তাহলে কী ‘কোটা’ই জয়যুক্ত হবে!

ব্যাংকিং খাতে বিষফোঁড়া: বাংলাদেশের অর্থনীতির ধমনী বিষাক্ত হয়ে উঠছে

ছবি

ঢাকার নদী ও খালের দখল-দূষণ: পুনরুদ্ধার কোন পথে

জমি কী মূলে রেকর্ড হয়েছে, দলিল মূলে না উত্তরাধিকার মূলে?

কার্বন-নিরপেক্ষ শিশুর অনুপ্রেরণায় দেশ

এবার আমরা সভ্য হলাম!

সোনার প্রাসাদের দেয়ালে ঘামের দাগ

নিরাপদ সড়ক চাই কিন্তু কার্যকর উদ্যোগ কোথায়?

অবহেলিত শিক্ষার দুর্দশা বাড়ছে

টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত নিরাপদ সড়ক

বাংলার সংস্কৃতি কি মূলধারা হারিয়ে ফেলবে?

ছবি

সমদৃষ্টি, বহুত্ববাদী সমাজ এবং সহিষ্ণুতা

খাদ্য অপচয় : ক্ষুধার্ত পৃথিবীর এক নিঃশব্দ ট্র্যাজেডি

টেকসই বাংলাদেশ গঠনে পরিবেশ সংস্কার কেন অপরিহার্য

সে এক রূপকথারই দেশ

উপকূলের খাদ্যসংকট নিয়ে ভাবছেন কি নীতিনির্ধারকেরা?

মানসিক স্বাস্থ্য: মানবাধিকারের নতুন চ্যালেঞ্জ

ঢাকার যানজট ও বিকেন্দ্রীকরণ

নির্বাচনী মাঠে জামায়াতী হেকমত

শিক্ষা ব্যবস্থায় গভীর বৈষম্য ও জাতির অগ্রযাত্রাধ

উপমহাদেশে সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন, বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জ

এইচএসসি ফল: সংখ্যার খেল না কি শিক্ষার বাস্তব চিত্র?

বিনা ভোট, নিশি ভোট, ডামি ভোটের পরে এবার নাকি গণভোট!

কমরেড ইলা মিত্রের শততম জন্মজয়ন্তী

কত মৃত্যু হলে জাগবে বিবেক?

বৈষম্যের বিবিধ মুখ

মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় জরুরি আইনি সহায়তা

গাজা : এখন শান্তি রক্ষা করবে কে?

দোসর, বাই ডিফল্ট!

জমি কেনা দাগে দাগে কিন্তু ভোগদখল একদাগে

রাষ্ট্র কি শুধু শিক্ষকদের বেলায় এসে দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে?

শতরঞ্জ কি খিলাড়ী

শিক্ষক থাকে রাজপথে, আর পুলিশ ছাড়ে থানা

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা : স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবিষ্যৎ কী?

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

সেন্টার বেইজড বিশ্বমানের হাসপাতাল

শারফুদ্দিন আহমেদ

শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা পান তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা শুরু করলো আন্তর্জাতিক মানের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। ৭৫০ বেডের সেন্টার বেইজড হাসপাতাল চালু হওয়ায় দেশের চিকিৎসা খাতে নতুন যুগের সূচনা হলো।

চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবনের সঙ্গে পরিচিত হতে এবং তা জনগণের স্বাস্থ্য সেবায় প্রয়োগ ঘটাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তোলা হয়েছে সেন্টার অফ এক্সিলেন্স হিসেবে। দেশে উন্নততর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণ, চিকিৎসকদের জন্য অত্যাধুনিক পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা, বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ, জিন থেরাপি, রোবটিক সার্জারি এবং জনগণের জন্য উচ্চমানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে হৃদরোগ, কিডনি রোগ, লিভার, গল ব্লাডার ও প্যানক্রিয়েটিক, অরগান ট্রান্সপ্লান্ট, ক্যান্সার, হৃদরোগ, কিডনিরোগ, নিউরোসার্জারিসহ বিভিন্ন জটিল রোগের বিশেষায়িত চিকিৎসার ব্যবস্থা বাংলাদেশে চিকিৎসাক্ষেত্রে একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

হাসপাতালটির কার্যক্রম চলবে ৬টি বিশেষায়িত সেন্টারের মাধ্যমে। বিশেষায়িত সব ধরনের সেবা নিয়ে বাংলাদেশে এটিই প্রথম সেন্টার ভিত্তিক হাসপাতাল। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অর্থায়নে হাসপাতালটির ২টি বেসমেন্টসহ ১৩তলা ভবনে থাকবে বিশ্বমানের সব ধরনের সেবা কার্যক্রম। হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে থাকবে ১৪টি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, ১০০ শয্যার আইসিইউ, জরুরি বিভাগে থাকবে ১শ’টি শয্যা, ভিভিআইপি কেবিন ৬টি, ভিআইপি কেবিন ২২টি এবং ডিলাক্স শয্যা থাকবে ২৫টি। সেন্টার ভিত্তিক প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থাপন করা হচ্ছে ৮টি করে শয্যা। গুণগতমান বজায় রাখতে দক্ষিণ কুরিয়া থেকে এনে ফার্নিচার ও সরঞ্জামগুলো স্থাপনও করা হয়েছে। হাসপাতালটিতে থাকছে নিউম্যাটিক টিউব যার মাধ্যমে রক্ত সংগ্রহের পর অটোমেটিক্যালি নির্দেশিত বিভাগে চলে যাবে; যা সম্পূর্ণ সংক্রিয়ভাবে হবে।

নবনির্মিত হাসপাতাল ভবনের প্রথম পর্যায়ে থাকবে- স্পেশালাইজড অটিজম সেন্টারসহ মেটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, ইমার্জেন্সি মেডিকেল কেয়ার সেন্টার, হেপাটোবিলিয়ারি ও গ্যাস্ট্রোঅ্যান্টারোলজি সেন্টার, কার্ডিও ও সেরিব্রো ভাস্কুলার সেন্টার এবং কিডনি সেন্টার। দ্বিতীয় পর্যায়ে থাকবে- রেসপিরেটরি মেডিসিন সেন্টার, জেনারেল সার্জারি সেন্টার, অপথালমোলজি, ডেন্টিস্ট্রি, ডার্মাটোলজি সেন্টার এবং ফিজিক্যাল মেডিসিন বা রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার। চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তাদের জন্য রাখা হচ্ছে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা ও মৌলিক গবেষণার জন্য আলাদা সেন্টার। রোগীবান্ধব এই হাসপাতালে থাকবে সানকেন গার্ডেন, রুফটপ গার্ডেন ও বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব সুযোগ-সুবিধা। থাকবে উন্নতমানের আধুনিক ব্যবস্থাপনার বহির্বিভাগ ও ইনফো ডেস্ক ও ডিজিটাল ইনফরমেশন সেন্টার।

এ স্পেশালাইজড হাসপাতালে সেবা নিতে এসে গ্রাহককে অন্য কোন জায়গায় যেতে হবে না। কারণ হাসপাতালের ভিতরেই থাকবে একটি কনভেনিয়েন্স শপ, ব্যাংকিং সুবিধা, ফার্মেসি, ৩৫০ সিট বিশিষ্ট উন্নত কিচেন যার আওতায় ৩টি ক্যাফেটেরিয়া থাকবে, ৯০ সিট বিশিষ্ট ডক্টরস ক্যাফেটেরিয়া, উন্নত লন্ড্রি হাউসসহ কার পার্কিংয়ের বিশাল সুবিধা। এখানে ১টি ভিভিআইপি এলিভেটরসহ ১৬টি এলিভেটর ও ১টি এসক্যালেটর, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাপনা, হিটিং, ভেনটিলেশন ও এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

বঙ্গবন্ধু স্পেশালাইজড হাসপাতালের কার্যপরিধি-কার্যক্রম বিবেচনা করে তথ্য ও প্রযুক্তি ভিত্তিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই হাসপাতালে থাকবে এক মেগা হসপিটাল ইনফরমেশন সিস্টেম (এইচআইএস), যার আওতায় অন্তর্ভুক্ত কাটিং এজ ইনফরমেশন সিস্টেম যেমন- PACS-Picture Archiving and Communication system, OCS-Order Communication system, Advanced EMR-Electronic Medical Record, App based interactive platform integrated appointment management (App Based)-সহ নানাবিধ আইটি সিস্টেম। এই অটোমেটেড হসপিটাল ইনফরমেশন সিস্টেমের আওতায় রোগীদের ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ইভিডেন্স বেইজড মেডিসিন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের মানুষ যাতে দেশেই সবধরণের উন্নত চিকিৎসাসেবা পান। রোগীদের যাতে চিকিৎসাসেবা নিতে বিদেশ যেতে না হয়। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু হওয়ায় সেই লক্ষ্য অনেকটাই পূরণ হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এতে রোগীদের বিদেশে যাওয়ার ভোগান্তি যেমন কমবে একইভাবে দেশের মানুষ ও দেশ উভয়ই অর্থনৈতিক দিক থেকে লাভবান হবে।

[লেখক : উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়]

back to top