alt

পাঠকের চিঠি

যানজটে অপচয় হচ্ছে কর্মঘণ্টা

: বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

কর্মস্থলে অবস্থানরত মহামূল্যবান মুহূর্তকে কর্মঘণ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। বর্তমান বাংলাদেশের সেরা সমস্যাগুলোর মধ্যে কর্মঘণ্টা অন্যতম। আর কর্মঘণ্টা নষ্টের অন্যতম প্রধান কারণ হলো যানজট।

বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণায় দেখা গেছে অসহনীয় যানজটের কারণে প্রতিদিন ৩২ লক্ষ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। বাংলাদেশের রাজধানী মহানগর খ্যাত ঢাকায় ৭৩ টি মোড়ে আটকে যাচ্ছে যানবাহন। এতে করে প্রতিদিন আর্থিক ক্ষতির পরিমান দাঁড়ায় ৯৮ হাজার কোটি টাকা। আর জ্বালানি পুরছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার।

পরিবহন কর্তৃপক্ষের বিআরটিএর হিসাব মতে, ঢাকা শহরে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ১১ লক্ষ ৭৩ হাজার ১৬০ টি। তার মধ্যে মটর সাইকেলের সংখ্যা প্রায় অর্ধেক। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ৫২ হাজার ৬৭৪ টি। যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা প্রায় ৩৯ হাজার ৭৮২ টি। এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ঢাকা শহরে চলাচল কৃত ৫০ শতাংশ ব্যক্তিগত যানবাহন। আর এই ৫০ শতাংশ গাড়ী বহন করে মাত্র ১২ শতাংশ যাত্রী। কিন্তু বাকি ৫০ শতাংশ গাড়ী বহন করে ৮৮ শতাংশ যাত্রী।

যানজট বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো ব্যক্তিগত যানবাহন বৃদ্ধি। যার ফলে বিপুলসংখ্যক যানবাহনের চাপে মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। নগরীর জীবনমান, শিক্ষার উন্নতি ও চিকিৎসা ব্যবস্থায় সুবিধা প্রভৃতির কারণে প্রতিনিয়ত রাজধানীতে মানুষের আগমন বাড়ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিশেষ করে বন্যাকবলিত এলাকা, নদী-ভাঙন ও দুর্ভিক্ষ অঞ্চলের গরিব ও অসহায় মানুষের একমাত্র কর্মসংস্থানের জায়গা হিসেবে পছন্দ রাজধানী ঢাকা।

সংকীর্ণ ও অনুন্নত রাস্তাঘাট, জনসংখ্যা ও যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি, বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের একই সাথে চলাচল, ত্রুটিপূর্ণ ট্রাফিক ব্যবস্থা, চালকদের অদক্ষতা ও হীন মানসিকতার কারণেই মূলত যানজট বাড়ছে। যানজট সমস্যা নিরসনে দেশি ও বিদেশি সদস্যের সমন্বয়ে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন গঠন করার উদ্যোগ নিতে পারে সরকার। যেতে পারে। এই কমিশন যানজটের প্রকৃত কারণ নির্ণয়সহ সমাধানের পরামর্শ দিতে ও প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহের পরামর্শ দিবে এই কমিশিন। তাহলে যানজট কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ।

যানবহন চলাচলে ট্রাফিক নিয়ম অমান্য করার ফলে যাজটের ঘটনা নিয়মিতই রয়ে গেছে বছরের পর বছর। যানজট সমস্যার সমাধান করতে পারলেই রক্ষা পাবে জনগণ। সময়ের সঠিক ব্যবহার হবে৷ দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন করার জন্য যানজট স্ব-মূলে উৎপাটন করা প্রয়োজন। এর ফলে আর নষ্ট হবে না রাজধানীতে বসবাসরত মানুষের কর্মঘণ্টা। উপরন্তু তা দেশের সামাজিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধান সহায়ক হয়ে উঠবে।

হিরা তালুকদার

নারী উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়ান

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা

দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি

প্রক্রিয়াজাত খাবারে শিশুর বিপদ

ছবি

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেষ্ট হোন

ছবি

কৃষি এগিয়ে নিতে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে

ছবি

ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক সমস্যার সমাধান চাই

ছবি

মধ্যপ্রাচ্য সংকট

লক্ষ্মীপুরে রেলপথ চাই

ছবি

তৈলারদ্বীপ সেতুর টোল প্রসঙ্গে

সরকারি চাকরির বয়স প্রসঙ্গে

পরোক্ষ ধূমপান

ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় : জ্ঞানের সূতিকাগার নাকি হত্যাপুরী

বেকারত্বের বেড়াজালে শিক্ষিত তরুণ সমাজ

ছবি

শরতে কাশফুলের সৌন্দর্যে প্রকৃতির নতুন রূপ

ছবি

ব্যাংক লেনদেন ও অফিস সময় প্রসঙ্গে

ডেঙ্গুর আবাসস্থল ধ্বংস করা হোক

ছবি

কেমন আছে জাতীয় ফুল শাপলা

ছবি

ই-টিকিট বাধ্যতামূলক করুন

ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সুপরিকল্পিত টয়লেট চাই

ট্রাফিক পুলিশের সুখদুঃখ

ছবি

বন্যার পর ডেঙ্গুর আশঙ্কা

ছবি

বর্ষায় বাংলার অপরূপ প্রকৃতি

রীমার করুণ পরিণতি কী বার্তা দেয়

কোটা নাকি মেধা?

পাচার চক্র নিয়ন্ত্রণ জরুরি

ছবি

জলাবদ্ধতা নিরসনে করণীয়

বিশ্বব্যাপী পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি

লাখ টাকার ছাগল!

মাদককে না বলুন

ছবি

বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ মূল্য কমান

কনভেনশন হলের প্রতারণা

ছবি

অনলাইন জুয়া বন্ধে এগিয়ে আসুন

প্রতিষ্ঠান পানিতে ভাসছে

ছবি

গৌরবের প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

নতুন শিক্ষা কারিকুলামে ইংরেজি শিক্ষা

tab

পাঠকের চিঠি

যানজটে অপচয় হচ্ছে কর্মঘণ্টা

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

কর্মস্থলে অবস্থানরত মহামূল্যবান মুহূর্তকে কর্মঘণ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। বর্তমান বাংলাদেশের সেরা সমস্যাগুলোর মধ্যে কর্মঘণ্টা অন্যতম। আর কর্মঘণ্টা নষ্টের অন্যতম প্রধান কারণ হলো যানজট।

বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণায় দেখা গেছে অসহনীয় যানজটের কারণে প্রতিদিন ৩২ লক্ষ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। বাংলাদেশের রাজধানী মহানগর খ্যাত ঢাকায় ৭৩ টি মোড়ে আটকে যাচ্ছে যানবাহন। এতে করে প্রতিদিন আর্থিক ক্ষতির পরিমান দাঁড়ায় ৯৮ হাজার কোটি টাকা। আর জ্বালানি পুরছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার।

পরিবহন কর্তৃপক্ষের বিআরটিএর হিসাব মতে, ঢাকা শহরে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ১১ লক্ষ ৭৩ হাজার ১৬০ টি। তার মধ্যে মটর সাইকেলের সংখ্যা প্রায় অর্ধেক। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ৫২ হাজার ৬৭৪ টি। যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা প্রায় ৩৯ হাজার ৭৮২ টি। এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ঢাকা শহরে চলাচল কৃত ৫০ শতাংশ ব্যক্তিগত যানবাহন। আর এই ৫০ শতাংশ গাড়ী বহন করে মাত্র ১২ শতাংশ যাত্রী। কিন্তু বাকি ৫০ শতাংশ গাড়ী বহন করে ৮৮ শতাংশ যাত্রী।

যানজট বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো ব্যক্তিগত যানবাহন বৃদ্ধি। যার ফলে বিপুলসংখ্যক যানবাহনের চাপে মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। নগরীর জীবনমান, শিক্ষার উন্নতি ও চিকিৎসা ব্যবস্থায় সুবিধা প্রভৃতির কারণে প্রতিনিয়ত রাজধানীতে মানুষের আগমন বাড়ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিশেষ করে বন্যাকবলিত এলাকা, নদী-ভাঙন ও দুর্ভিক্ষ অঞ্চলের গরিব ও অসহায় মানুষের একমাত্র কর্মসংস্থানের জায়গা হিসেবে পছন্দ রাজধানী ঢাকা।

সংকীর্ণ ও অনুন্নত রাস্তাঘাট, জনসংখ্যা ও যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি, বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের একই সাথে চলাচল, ত্রুটিপূর্ণ ট্রাফিক ব্যবস্থা, চালকদের অদক্ষতা ও হীন মানসিকতার কারণেই মূলত যানজট বাড়ছে। যানজট সমস্যা নিরসনে দেশি ও বিদেশি সদস্যের সমন্বয়ে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন গঠন করার উদ্যোগ নিতে পারে সরকার। যেতে পারে। এই কমিশন যানজটের প্রকৃত কারণ নির্ণয়সহ সমাধানের পরামর্শ দিতে ও প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহের পরামর্শ দিবে এই কমিশিন। তাহলে যানজট কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ।

যানবহন চলাচলে ট্রাফিক নিয়ম অমান্য করার ফলে যাজটের ঘটনা নিয়মিতই রয়ে গেছে বছরের পর বছর। যানজট সমস্যার সমাধান করতে পারলেই রক্ষা পাবে জনগণ। সময়ের সঠিক ব্যবহার হবে৷ দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন করার জন্য যানজট স্ব-মূলে উৎপাটন করা প্রয়োজন। এর ফলে আর নষ্ট হবে না রাজধানীতে বসবাসরত মানুষের কর্মঘণ্টা। উপরন্তু তা দেশের সামাজিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধান সহায়ক হয়ে উঠবে।

হিরা তালুকদার

back to top