চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হলের প্রভোস্ট নেই দীর্ঘদিন ধরে। এর পূর্বে আলাওল হলের প্রভোস্ট ছিলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর ফরিদুল আলম। ২০২২ সালের ১০ মার্চ থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
স্বদিচ্ছায় প্রভোস্টের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন এবং চবি প্রসাশন কে পদত্যাগপত্র পাঠান। তিনি দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় ২৪ আগস্ট ২০২৩ হলে বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি, খাবার, ওয়াইফাই ও আবাসনসহ নানা সমস্যার অভিযোগ এনে হলে তালা লাগিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি করেন।
বর্তমানে প্রভোস্টবিহীন এই হলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পাঁচটি ব্লকে অবস্থানরত প্রায় দুই হাজার আবাসিক শিক্ষার্থী এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের। ভর্তি ফরম, বৃত্তি সংক্রান্ত ফরম, পরীক্ষার ফরম ও দাপ্তরিক কাগজ পত্রে প্রভোস্টের স্বাক্ষর প্রয়োজন হয় কিন্তু প্রভোস্ট না থাকায় দুই থেকে তিন দিন একটি স্বাক্ষর জন্য অপেক্ষা করতে হয় শিক্ষার্থীদের, দীর্ঘশ্বাস নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গত ১৯ মে ২০২৪ তারিখে হলের প্রভোস্ট না থাকায় যাবতীয় সমস্যা নিয়ে আলাওল হলের অফিস ঘেরাও করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এতে প্রায় ৩ ঘন্টা অফিসের কাজকর্ম বন্ধ ছিল। প্রভোস্ট না থাকায় হলের কর্মচারীরাও ঠিকমতো কিছু করতে পারছেন না।
১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই হল ৬৪ বছর বয়েসে পড়লেও এর কিছু একাডেমিক সমস্যা রয়েছে। নেই আবাসিক শিক্ষক, পর্যাপ্ত স্থানের অভাব, লাইব্রেরীতে নেই পর্যাপ্ত বই, জার্নাল এবং অন্যান্য শিক্ষাগত উপাদান, ইন্টারনেট সংযোগ অনিয়মিত এবং ধীর যা শিক্ষার্থীদের অনলাইন গবেষণা ও কোর্সওয়ার্ক সম্পন্ন করতে বাধা প্রদান করছে, ব্যস্ত রাস্তায় কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় গাড়ির শব্দের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও ঘুমে ব্যাঘাত ঘটছে, এছাড়াও হলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকায় চুরি ও অন্যান্য অপরাধের সম্মুখীন হচ্ছে হলের শিক্ষার্থীরা। এ সবাই সমস্যা সমাধান করতে, হলে নতুন প্রভোস্ট দ্রুত নিয়োগ দেয়া দরকার বলে মনে করেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।
মো. সবুজ
বুধবার, ২৯ মে ২০২৪
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হলের প্রভোস্ট নেই দীর্ঘদিন ধরে। এর পূর্বে আলাওল হলের প্রভোস্ট ছিলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর ফরিদুল আলম। ২০২২ সালের ১০ মার্চ থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
স্বদিচ্ছায় প্রভোস্টের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন এবং চবি প্রসাশন কে পদত্যাগপত্র পাঠান। তিনি দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় ২৪ আগস্ট ২০২৩ হলে বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি, খাবার, ওয়াইফাই ও আবাসনসহ নানা সমস্যার অভিযোগ এনে হলে তালা লাগিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি করেন।
বর্তমানে প্রভোস্টবিহীন এই হলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পাঁচটি ব্লকে অবস্থানরত প্রায় দুই হাজার আবাসিক শিক্ষার্থী এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের। ভর্তি ফরম, বৃত্তি সংক্রান্ত ফরম, পরীক্ষার ফরম ও দাপ্তরিক কাগজ পত্রে প্রভোস্টের স্বাক্ষর প্রয়োজন হয় কিন্তু প্রভোস্ট না থাকায় দুই থেকে তিন দিন একটি স্বাক্ষর জন্য অপেক্ষা করতে হয় শিক্ষার্থীদের, দীর্ঘশ্বাস নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গত ১৯ মে ২০২৪ তারিখে হলের প্রভোস্ট না থাকায় যাবতীয় সমস্যা নিয়ে আলাওল হলের অফিস ঘেরাও করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এতে প্রায় ৩ ঘন্টা অফিসের কাজকর্ম বন্ধ ছিল। প্রভোস্ট না থাকায় হলের কর্মচারীরাও ঠিকমতো কিছু করতে পারছেন না।
১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই হল ৬৪ বছর বয়েসে পড়লেও এর কিছু একাডেমিক সমস্যা রয়েছে। নেই আবাসিক শিক্ষক, পর্যাপ্ত স্থানের অভাব, লাইব্রেরীতে নেই পর্যাপ্ত বই, জার্নাল এবং অন্যান্য শিক্ষাগত উপাদান, ইন্টারনেট সংযোগ অনিয়মিত এবং ধীর যা শিক্ষার্থীদের অনলাইন গবেষণা ও কোর্সওয়ার্ক সম্পন্ন করতে বাধা প্রদান করছে, ব্যস্ত রাস্তায় কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় গাড়ির শব্দের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও ঘুমে ব্যাঘাত ঘটছে, এছাড়াও হলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকায় চুরি ও অন্যান্য অপরাধের সম্মুখীন হচ্ছে হলের শিক্ষার্থীরা। এ সবাই সমস্যা সমাধান করতে, হলে নতুন প্রভোস্ট দ্রুত নিয়োগ দেয়া দরকার বলে মনে করেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।
মো. সবুজ