alt

পাঠকের চিঠি

শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্য

: বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি শিক্ষার্থীদের শারীরিক, আবেগীয় এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শুধুমাত্র একাডেমিক ফলাফলের দিকে মনোনিবেশ না করে শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতার দায়িত্বও নিতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কিভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হলো শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করা এবং এ বিষয়ে একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা। বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে এখনো অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাকে অনেক সময় দুর্বলতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, যার কারণে শিক্ষার্থীরা এ সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলতে সংকোচ বোধ করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ, হতাশা, বা মানসিক চাপ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করার জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা। নিয়মিত সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক জ্ঞান বাড়ানো সম্ভব।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একটি সমর্থনমূলক এবং সহযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করা অপরিহার্য। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় কঠোর প্রতিযোগিতার কারণে শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত মানসিক চাপ অনুভব করে। তারা প্রায়ই নিজেদের অন্যদের সঙ্গে তুলনা করে এবং একাডেমিক সাফল্যের জন্য অতিরিক্ত চাপ গ্রহণ করে। এতে করে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব এবং হতাশা দেখা দেয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যদি সহযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা যায়, যেখানে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক চাপ থেকে কিছুটা মুক্তি দেওয়া হয় এবং তাদের আবেগীয় বিকাশে জোর দেওয়া হয়, তাহলে তারা মানসিকভাবে আরও সুস্থ ও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। ভুল বা ব্যর্থতাকে শাস্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গিতে না দেখে শিক্ষার্থীদের শেখার অংশ হিসেবে গ্রহণ করতে উৎসাহিত করা উচিত।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত মানসিক স্বাস্থ্যকে শিক্ষার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করা। মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের সঠিক বিকাশ নিশ্চিত করা সম্ভব। তাদের মানসিক ও আবেগীয় সুস্থতা নিশ্চিত করা হলে, তারা শুধু শ্রেণিকক্ষেই নয়, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফল হতে পারবে। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব কেবল একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতাই নয়, এটি একটি সামাজিক প্রয়োজন যা একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধশালী সমাজ গঠনে সহায়ক হবে।

হৃদয় পান্ডে

শিক্ষার্থী মনোবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ।

মহাসড়কে কেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা

মাধ্যমিক থেকেই চাই কর্মমুখী শিক্ষা

গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তা জরুরি

যানজট নিরসনে পদক্ষেপ চাই

ছবি

নিপাহ ভাইরাস : আতঙ্ক নয়, প্রয়োজন সচেতনতা

ছবি

ব্যাটারিচালিত রিকশা

সারের সংকট ও কৃষকের দুর্ভোগ

সংস্কার আর সময়ের সমীকরণে নির্বাচন

বাণিজ্য মুক্ত হোক সান্ধ্যকোর্স

ছবি

ডে-কেয়ার সেন্টার

ডিজিটাল দাসত্ব : মোবাইল আসক্তির প্রভাব

লোকালয়ে ইটভাটা

ছবি

নিপাহ ভাইরাস : খেজুরের কাঁচা রস পরিহার করুন

ছবি

পাটের বস্তা ব্যবহার অনেকটাই উপক্ষিত

রায়পুরে সড়কের সংস্কার চাই

অতিরিক্ত ভাড়া বন্ধ হোক

গ্যাস সংকট

ছবি

বাংলার ক্রিকেটের সফলতার গল্প লিখেছেন যুবারা

স্বেচ্ছাসেবা : একটি জীবন বোধ

শীতকালীন বায়ুদূষণ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা

অবসরের বয়সসীমা বাড়ান

রাস্তা অবরোধ নামক অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে

ছবি

খেলনায় বিষাক্ত ধাতু

জিপিএ-৫ মুখ্য নয়, প্রয়োজন প্রকৃত শিক্ষা

রাষ্ট্রসংস্কারের পূর্বে আত্মসংস্কার প্রয়োজন

আইনশৃৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বেহালদশা

পরিকল্পিতভাবে উপযুক্ত স্থানে গাছ রোপণ করা উচিত

ইজিবাইক ছিনতাই

ছবি

টিসিবির পণ্য : নিম্নআয়ের মানুষের ভোগান্তি

ছবি

উন্নয়নের জন্য কারিগরি শিক্ষা অপরিহার্য

ছবি

ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধ করুন

সড়ক দুর্ঘটনা

বায়ুদূষণে দমবন্ধ ঢাকা

হলগুলোর খাবারের মান বাড়ান

নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ হবে কবে

tab

পাঠকের চিঠি

শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্য

বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি শিক্ষার্থীদের শারীরিক, আবেগীয় এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শুধুমাত্র একাডেমিক ফলাফলের দিকে মনোনিবেশ না করে শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতার দায়িত্বও নিতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কিভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হলো শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করা এবং এ বিষয়ে একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা। বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে এখনো অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাকে অনেক সময় দুর্বলতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, যার কারণে শিক্ষার্থীরা এ সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলতে সংকোচ বোধ করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ, হতাশা, বা মানসিক চাপ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করার জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা। নিয়মিত সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক জ্ঞান বাড়ানো সম্ভব।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একটি সমর্থনমূলক এবং সহযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করা অপরিহার্য। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় কঠোর প্রতিযোগিতার কারণে শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত মানসিক চাপ অনুভব করে। তারা প্রায়ই নিজেদের অন্যদের সঙ্গে তুলনা করে এবং একাডেমিক সাফল্যের জন্য অতিরিক্ত চাপ গ্রহণ করে। এতে করে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব এবং হতাশা দেখা দেয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যদি সহযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা যায়, যেখানে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক চাপ থেকে কিছুটা মুক্তি দেওয়া হয় এবং তাদের আবেগীয় বিকাশে জোর দেওয়া হয়, তাহলে তারা মানসিকভাবে আরও সুস্থ ও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। ভুল বা ব্যর্থতাকে শাস্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গিতে না দেখে শিক্ষার্থীদের শেখার অংশ হিসেবে গ্রহণ করতে উৎসাহিত করা উচিত।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত মানসিক স্বাস্থ্যকে শিক্ষার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করা। মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের সঠিক বিকাশ নিশ্চিত করা সম্ভব। তাদের মানসিক ও আবেগীয় সুস্থতা নিশ্চিত করা হলে, তারা শুধু শ্রেণিকক্ষেই নয়, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফল হতে পারবে। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব কেবল একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতাই নয়, এটি একটি সামাজিক প্রয়োজন যা একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধশালী সমাজ গঠনে সহায়ক হবে।

হৃদয় পান্ডে

শিক্ষার্থী মনোবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ।

back to top