কৃষিপ্রধান দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বাংলার উর্বর মাটির, মানুষ ও শ্রমের বিনিময়ে গড়ে উঠেছে কৃষিনির্ভর দেশ। এদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল ধান, পাট, গম ও মাছ। এছাড়াও শাকসবজি ও ফলমূলেরও সমাহার রয়েছে এদেশে। বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর ও কৃষিপ্রধান দেশ হওয়ায় বেশিরভাগ মানুষের আয় খুবই কম। বাংলাদেশের কৃষকের বড় একটি অংশ দিন আনে দিন খায়। তাদের আয়ের থেকে ব্যয় বেশি। বর্তমান বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম আকাশচুম্বী। কোনভাবেই যেন স্থিতিশীলতা আসছে না, অস্থিরতা লেগেই থাকছে।
বিশেষ করে, সবজির বাজারে দ্রব্যমূলের দামের অস্থিরতা; যা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষকে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। বেশিরভাগ সবজির দামই ১০০ টাকা ছাড়িয়ে। তাদের জন্য সবজির বাজার যেনো দর কষাকষির যুদ্ধক্ষেত্র। গরিব ও নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের হাহাকার। এ যেনো সবজির বাজারে দুর্ভিক্ষ।
দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয়ের দিনমজুরদের অবস্থা আরো বেশি শোচনীয়। চাল ডাল সবজি কিনতে গিয়ে তারা প্রতিনিয়তই হিমশিম খাচ্ছে। কেউ তো আবার আক্ষেপ করে বলছে, হায়রে কি দিন এলো। এভাবে তো আর পারা যাচ্ছে না। তারা যেন অসহায় বোধ করছে। কোনভাবেই যেন বাজারের ব্যাগ চাল, ডাল, ডিম, সবজি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী দ্বারা পূর্ণই হচ্ছে না। প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম। ক্রেতাদের যেমন শত শত অভিযোগ ঠিক বিক্রেতাদেরও একই অভিযোগ। বিক্রেতারা বলছে আমাদের কিনতে হয় বেশি দামে। ঢাকাসহ বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গায় গ্রামে-গঞ্জে ও হাটে-বাজারে এক অস্থিরতা বিরাজ করছে। কখনো কখনো আলু, কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের দাম তো ধরাছোঁয়ার বাইরে। আবার কখনো ডিমের দাম।
হঠাৎ অস্বাভাবিকভাবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণ কী? সিন্ডিকেট? তাহলে এর নিরসন কোথায়?
মিরজুল ইসলাম
জামালপুর।
বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
কৃষিপ্রধান দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বাংলার উর্বর মাটির, মানুষ ও শ্রমের বিনিময়ে গড়ে উঠেছে কৃষিনির্ভর দেশ। এদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল ধান, পাট, গম ও মাছ। এছাড়াও শাকসবজি ও ফলমূলেরও সমাহার রয়েছে এদেশে। বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর ও কৃষিপ্রধান দেশ হওয়ায় বেশিরভাগ মানুষের আয় খুবই কম। বাংলাদেশের কৃষকের বড় একটি অংশ দিন আনে দিন খায়। তাদের আয়ের থেকে ব্যয় বেশি। বর্তমান বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম আকাশচুম্বী। কোনভাবেই যেন স্থিতিশীলতা আসছে না, অস্থিরতা লেগেই থাকছে।
বিশেষ করে, সবজির বাজারে দ্রব্যমূলের দামের অস্থিরতা; যা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষকে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। বেশিরভাগ সবজির দামই ১০০ টাকা ছাড়িয়ে। তাদের জন্য সবজির বাজার যেনো দর কষাকষির যুদ্ধক্ষেত্র। গরিব ও নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের হাহাকার। এ যেনো সবজির বাজারে দুর্ভিক্ষ।
দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয়ের দিনমজুরদের অবস্থা আরো বেশি শোচনীয়। চাল ডাল সবজি কিনতে গিয়ে তারা প্রতিনিয়তই হিমশিম খাচ্ছে। কেউ তো আবার আক্ষেপ করে বলছে, হায়রে কি দিন এলো। এভাবে তো আর পারা যাচ্ছে না। তারা যেন অসহায় বোধ করছে। কোনভাবেই যেন বাজারের ব্যাগ চাল, ডাল, ডিম, সবজি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী দ্বারা পূর্ণই হচ্ছে না। প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম। ক্রেতাদের যেমন শত শত অভিযোগ ঠিক বিক্রেতাদেরও একই অভিযোগ। বিক্রেতারা বলছে আমাদের কিনতে হয় বেশি দামে। ঢাকাসহ বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গায় গ্রামে-গঞ্জে ও হাটে-বাজারে এক অস্থিরতা বিরাজ করছে। কখনো কখনো আলু, কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের দাম তো ধরাছোঁয়ার বাইরে। আবার কখনো ডিমের দাম।
হঠাৎ অস্বাভাবিকভাবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণ কী? সিন্ডিকেট? তাহলে এর নিরসন কোথায়?
মিরজুল ইসলাম
জামালপুর।