অপরিকল্পিত নগরায়ণ, বনভূমি উজাড়, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট এবং কলকারখানা তৈরিতে অধিক জমি ব্যবহার করে বনভূমি ধ্বংসের ফলে বাস্তুসংস্থানের পরিবর্তন হচ্ছে। রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে মাটি এবং পানি দূষিত হচ্ছে। জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং কলকারখানায় পণ্য তৈরি হয়। মানুষ যাতায়াতের জন্য যানবাহনে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে। কলকারখানা এবং যানবাহন থেকে নির্গত ক্ষতিকর গ্যাস বায়ুু দূষিত করছে। ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পরিবেশ তার স্বাভাবিক ভারসাম্য হারাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞগণের মতে সুস্থ, সুন্দর ও বাসযোগ্য ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার জন্য যেকোনো দেশের আয়তনের শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। তবে সরকারি হিসেবে বর্তমানে দেশে মোট বন বিভাগ নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ প্রায় ২৩ লাখ হেক্টর; যা দেশের আয়তনের শতকরা ১৫ দশমিক ৫৮ ভাগ।
তাপ কমাতে সবুজ আচ্ছাদন বাড়াতে হবে। গাছ লাগানোর পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। শুধু চারা রোপণ নয়, এগুলোর লালনও করতে হবে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের দখল হয়ে যাওয়া জলাভূমি উদ্ধার করতে হবে। অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার সারা দেশে আগামী ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন জাতীয় সব ধরনের ব্যাগ নিষিদ্ধ এবং কোনো ক্রেতাকে এ ব্যাগ দেয়া যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্রেতাদের জন্য পলিথিনের বিকল্প হিসেবে প্রতিটি সুপারশপ বা শপের সামনে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ রাখতে বলা হয়েছে। এটি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত, এর বাস্তবায়ন করতে হবে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি উন্নয়নমূলক সংস্থার মাধ্যমে বৃক্ষরোপণের উপকারিতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সর্বোপরি সরকারকে পবিবেশ রক্ষায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা বাস্তবায়নে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তাহলেই সুজলা-সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এই বাংলাদেশে প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব।
জয়নুল হক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
অপরিকল্পিত নগরায়ণ, বনভূমি উজাড়, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট এবং কলকারখানা তৈরিতে অধিক জমি ব্যবহার করে বনভূমি ধ্বংসের ফলে বাস্তুসংস্থানের পরিবর্তন হচ্ছে। রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে মাটি এবং পানি দূষিত হচ্ছে। জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং কলকারখানায় পণ্য তৈরি হয়। মানুষ যাতায়াতের জন্য যানবাহনে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে। কলকারখানা এবং যানবাহন থেকে নির্গত ক্ষতিকর গ্যাস বায়ুু দূষিত করছে। ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পরিবেশ তার স্বাভাবিক ভারসাম্য হারাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞগণের মতে সুস্থ, সুন্দর ও বাসযোগ্য ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার জন্য যেকোনো দেশের আয়তনের শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। তবে সরকারি হিসেবে বর্তমানে দেশে মোট বন বিভাগ নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ প্রায় ২৩ লাখ হেক্টর; যা দেশের আয়তনের শতকরা ১৫ দশমিক ৫৮ ভাগ।
তাপ কমাতে সবুজ আচ্ছাদন বাড়াতে হবে। গাছ লাগানোর পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। শুধু চারা রোপণ নয়, এগুলোর লালনও করতে হবে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের দখল হয়ে যাওয়া জলাভূমি উদ্ধার করতে হবে। অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার সারা দেশে আগামী ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন জাতীয় সব ধরনের ব্যাগ নিষিদ্ধ এবং কোনো ক্রেতাকে এ ব্যাগ দেয়া যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্রেতাদের জন্য পলিথিনের বিকল্প হিসেবে প্রতিটি সুপারশপ বা শপের সামনে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ রাখতে বলা হয়েছে। এটি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত, এর বাস্তবায়ন করতে হবে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি উন্নয়নমূলক সংস্থার মাধ্যমে বৃক্ষরোপণের উপকারিতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সর্বোপরি সরকারকে পবিবেশ রক্ষায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা বাস্তবায়নে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তাহলেই সুজলা-সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এই বাংলাদেশে প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব।
জয়নুল হক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।