alt

পাঠকের চিঠি

তাপপ্রবাহ : পরিবেশের বিরূপ প্রতিক্রিয়া

: বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

অপরিকল্পিত নগরায়ণ, বনভূমি উজাড়, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট এবং কলকারখানা তৈরিতে অধিক জমি ব্যবহার করে বনভূমি ধ্বংসের ফলে বাস্তুসংস্থানের পরিবর্তন হচ্ছে। রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে মাটি এবং পানি দূষিত হচ্ছে। জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং কলকারখানায় পণ্য তৈরি হয়। মানুষ যাতায়াতের জন্য যানবাহনে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে। কলকারখানা এবং যানবাহন থেকে নির্গত ক্ষতিকর গ্যাস বায়ুু দূষিত করছে। ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পরিবেশ তার স্বাভাবিক ভারসাম্য হারাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞগণের মতে সুস্থ, সুন্দর ও বাসযোগ্য ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার জন্য যেকোনো দেশের আয়তনের শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। তবে সরকারি হিসেবে বর্তমানে দেশে মোট বন বিভাগ নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ প্রায় ২৩ লাখ হেক্টর; যা দেশের আয়তনের শতকরা ১৫ দশমিক ৫৮ ভাগ।

তাপ কমাতে সবুজ আচ্ছাদন বাড়াতে হবে। গাছ লাগানোর পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। শুধু চারা রোপণ নয়, এগুলোর লালনও করতে হবে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের দখল হয়ে যাওয়া জলাভূমি উদ্ধার করতে হবে। অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার সারা দেশে আগামী ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন জাতীয় সব ধরনের ব্যাগ নিষিদ্ধ এবং কোনো ক্রেতাকে এ ব্যাগ দেয়া যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্রেতাদের জন্য পলিথিনের বিকল্প হিসেবে প্রতিটি সুপারশপ বা শপের সামনে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ রাখতে বলা হয়েছে। এটি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত, এর বাস্তবায়ন করতে হবে।

সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি উন্নয়নমূলক সংস্থার মাধ্যমে বৃক্ষরোপণের উপকারিতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সর্বোপরি সরকারকে পবিবেশ রক্ষায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা বাস্তবায়নে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তাহলেই সুজলা-সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এই বাংলাদেশে প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব।

জয়নুল হক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

মহাসড়কে কেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা

মাধ্যমিক থেকেই চাই কর্মমুখী শিক্ষা

গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তা জরুরি

যানজট নিরসনে পদক্ষেপ চাই

ছবি

নিপাহ ভাইরাস : আতঙ্ক নয়, প্রয়োজন সচেতনতা

ছবি

ব্যাটারিচালিত রিকশা

সারের সংকট ও কৃষকের দুর্ভোগ

সংস্কার আর সময়ের সমীকরণে নির্বাচন

বাণিজ্য মুক্ত হোক সান্ধ্যকোর্স

ছবি

ডে-কেয়ার সেন্টার

ডিজিটাল দাসত্ব : মোবাইল আসক্তির প্রভাব

লোকালয়ে ইটভাটা

ছবি

নিপাহ ভাইরাস : খেজুরের কাঁচা রস পরিহার করুন

ছবি

পাটের বস্তা ব্যবহার অনেকটাই উপক্ষিত

রায়পুরে সড়কের সংস্কার চাই

অতিরিক্ত ভাড়া বন্ধ হোক

গ্যাস সংকট

ছবি

বাংলার ক্রিকেটের সফলতার গল্প লিখেছেন যুবারা

স্বেচ্ছাসেবা : একটি জীবন বোধ

শীতকালীন বায়ুদূষণ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা

অবসরের বয়সসীমা বাড়ান

রাস্তা অবরোধ নামক অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে

ছবি

খেলনায় বিষাক্ত ধাতু

জিপিএ-৫ মুখ্য নয়, প্রয়োজন প্রকৃত শিক্ষা

রাষ্ট্রসংস্কারের পূর্বে আত্মসংস্কার প্রয়োজন

আইনশৃৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বেহালদশা

পরিকল্পিতভাবে উপযুক্ত স্থানে গাছ রোপণ করা উচিত

ইজিবাইক ছিনতাই

ছবি

টিসিবির পণ্য : নিম্নআয়ের মানুষের ভোগান্তি

ছবি

উন্নয়নের জন্য কারিগরি শিক্ষা অপরিহার্য

ছবি

ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধ করুন

সড়ক দুর্ঘটনা

বায়ুদূষণে দমবন্ধ ঢাকা

হলগুলোর খাবারের মান বাড়ান

নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ হবে কবে

tab

পাঠকের চিঠি

তাপপ্রবাহ : পরিবেশের বিরূপ প্রতিক্রিয়া

বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

অপরিকল্পিত নগরায়ণ, বনভূমি উজাড়, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট এবং কলকারখানা তৈরিতে অধিক জমি ব্যবহার করে বনভূমি ধ্বংসের ফলে বাস্তুসংস্থানের পরিবর্তন হচ্ছে। রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে মাটি এবং পানি দূষিত হচ্ছে। জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং কলকারখানায় পণ্য তৈরি হয়। মানুষ যাতায়াতের জন্য যানবাহনে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে। কলকারখানা এবং যানবাহন থেকে নির্গত ক্ষতিকর গ্যাস বায়ুু দূষিত করছে। ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পরিবেশ তার স্বাভাবিক ভারসাম্য হারাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞগণের মতে সুস্থ, সুন্দর ও বাসযোগ্য ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার জন্য যেকোনো দেশের আয়তনের শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। তবে সরকারি হিসেবে বর্তমানে দেশে মোট বন বিভাগ নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ প্রায় ২৩ লাখ হেক্টর; যা দেশের আয়তনের শতকরা ১৫ দশমিক ৫৮ ভাগ।

তাপ কমাতে সবুজ আচ্ছাদন বাড়াতে হবে। গাছ লাগানোর পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। শুধু চারা রোপণ নয়, এগুলোর লালনও করতে হবে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের দখল হয়ে যাওয়া জলাভূমি উদ্ধার করতে হবে। অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার সারা দেশে আগামী ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন জাতীয় সব ধরনের ব্যাগ নিষিদ্ধ এবং কোনো ক্রেতাকে এ ব্যাগ দেয়া যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্রেতাদের জন্য পলিথিনের বিকল্প হিসেবে প্রতিটি সুপারশপ বা শপের সামনে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ রাখতে বলা হয়েছে। এটি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত, এর বাস্তবায়ন করতে হবে।

সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি উন্নয়নমূলক সংস্থার মাধ্যমে বৃক্ষরোপণের উপকারিতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সর্বোপরি সরকারকে পবিবেশ রক্ষায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা বাস্তবায়নে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তাহলেই সুজলা-সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এই বাংলাদেশে প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব।

জয়নুল হক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

back to top