alt

বাল্যবিয়ে : সামাজিক অভিশাপ

: বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

বাল্যবিবাহ একটি জটিল ও গুরুতর সমস্যা। ২০১৪ সালের ইউনিসেফের প্রতিবেদন অনুসারে নাইজার, চাদ, মালি, ভারত, বাংলাদেশ, গিনিও মধ্য আফ্রিকার কিছু দেশে বাল্যবিবাহের হার সবচাইতে বেশি, যা প্রায় ৬০% এর ওপর। বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচে বাল্যবিবাহের হার ৫১ দশমিক ৪০ শতাংশ আর ১৫ বছরের নিচে বাল্যবিবাহের হার ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশ।

বর্তমানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের হার অনেক বেশি। এমনকি উন্নয়নশীল বিশ্বে বাল্যবিবাহের কারণে গর্ভধারণ ও সন্তানধারণের জটিলতা অল্প বয়সে নারী মৃত্যুর অন্যতম কারণ। ১৫-১৯ বছর বয়সী গর্ভবতী নারীদের মাতৃমৃত্যুর সম্ভাব্য ২০ বছর বয়সী গর্ভবতী নারীদের তুলনায় দ্বিগুণ। আর ১৫ বছরের কম বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে মাতৃমৃত্যুর সম্ভাব্য ৫-৭ গুণ বেশি। যেসব নারী ১৫ বছরের পূর্বে সন্তান জন্মদান করে তাদের ফিস্টুলা বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৮৮%। যা বিভিন্ন সংক্রমনের অন্যতম প্রধান কারণ।

আমরা বিভিন্নভাবে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি। যেমন- সচেতনতা এবং শিক্ষার মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের কাছে বাল্যবিবাহের ক্ষতিকর দিক গুলো তুলে ধরতে হবে। বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে, আইন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করতে হবে, নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মশালা ও সেমিনারের আয়োজন করতে হবে। ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামের মতো বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সচেতনতামূলক পোস্টের ক্যাম্পেইন চালু করতে হবে। টেলিভিশন ও রেডিওর মাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম প্রচার করতে হবে। স্থানীয় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে প্রচার চালাতে হবে এবং বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করতে হবে। স্থানীয় গ্রাম, পাড়া-মহল্লায় নিয়মিত সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের আয়োজন করতে হবে। মহিলা ও যুব সংগঠনের মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। বাল্যবিবাহ রোধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করতে হবে।

সৈয়দা ফারিভা আখতার

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী।

ছবি

গার্মেন্টস শ্রমিকের মানবিক অধিকার নিশ্চিতকরণ জরুরি

নিউমার্কেটে সড়ক-ফুটপাত দখলমুক্ত করা জরুরি

সুন্দরবন রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন

আগুনের শিখায় ভস্মীভূত স্বপ্ন

কোথায় যাচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা?

ছবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজি-ট্যাক্সি চলাচল নিষিদ্ধের আহ্বান

ছবি

ভবদহে জলাবদ্ধতা নিরসনে জরুরি টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রয়োজন

গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক

পোস্তগোলা থানা গঠনের দাবি

বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যামেরিকান স্টাডিজ কোর্স চালুর প্রয়োজনীয়তা

ছবি

প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষক সংকট

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদ প্রসঙ্গে

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

পিঠা উৎসব : ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ও জনপ্রিয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ অর্থনীতি

পানির অপচয় রোধে সচেতনতা

নিরাপত্তায় মনোযোগ বাড়ানো জরুরি

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ : সমাধানের পথ কী?

ছাত্রত্বহীন আদুভাইদের রাজনীতি বন্ধ হোক

অগ্নিকা- থেকে মুক্তির উপায় কী?

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার

ছবি

টিসিবির ট্রাকে চাল নেই কেন?

মেট্রোরেলে মশা

ছবি

গণপরিবহনে নারী আসনের অপ্রতুলতা

ছবি

অভিযান যেন একতরফা না হয়

পরিবহন ভাড়া কমান

ইন্টারনেট প্রযুক্তির গুরুত্ব

ছবি

বই নির্বাচন, বন্ধু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ

অব্যবস্থাপনার দিকে মেট্রোরেল

সাহিত্যের সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক : বিশ্লেষণ

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সংস্কার চাই

খাল খনন করুন

ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার খাল ভরাটের কারণে বেহাল দশা

ছবি

রেলক্রসিং যেন মরণ ফাঁদ

tab

opinion » readersmail

বাল্যবিয়ে : সামাজিক অভিশাপ

বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

বাল্যবিবাহ একটি জটিল ও গুরুতর সমস্যা। ২০১৪ সালের ইউনিসেফের প্রতিবেদন অনুসারে নাইজার, চাদ, মালি, ভারত, বাংলাদেশ, গিনিও মধ্য আফ্রিকার কিছু দেশে বাল্যবিবাহের হার সবচাইতে বেশি, যা প্রায় ৬০% এর ওপর। বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচে বাল্যবিবাহের হার ৫১ দশমিক ৪০ শতাংশ আর ১৫ বছরের নিচে বাল্যবিবাহের হার ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশ।

বর্তমানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের হার অনেক বেশি। এমনকি উন্নয়নশীল বিশ্বে বাল্যবিবাহের কারণে গর্ভধারণ ও সন্তানধারণের জটিলতা অল্প বয়সে নারী মৃত্যুর অন্যতম কারণ। ১৫-১৯ বছর বয়সী গর্ভবতী নারীদের মাতৃমৃত্যুর সম্ভাব্য ২০ বছর বয়সী গর্ভবতী নারীদের তুলনায় দ্বিগুণ। আর ১৫ বছরের কম বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে মাতৃমৃত্যুর সম্ভাব্য ৫-৭ গুণ বেশি। যেসব নারী ১৫ বছরের পূর্বে সন্তান জন্মদান করে তাদের ফিস্টুলা বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৮৮%। যা বিভিন্ন সংক্রমনের অন্যতম প্রধান কারণ।

আমরা বিভিন্নভাবে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি। যেমন- সচেতনতা এবং শিক্ষার মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের কাছে বাল্যবিবাহের ক্ষতিকর দিক গুলো তুলে ধরতে হবে। বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে, আইন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করতে হবে, নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মশালা ও সেমিনারের আয়োজন করতে হবে। ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামের মতো বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সচেতনতামূলক পোস্টের ক্যাম্পেইন চালু করতে হবে। টেলিভিশন ও রেডিওর মাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম প্রচার করতে হবে। স্থানীয় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে প্রচার চালাতে হবে এবং বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করতে হবে। স্থানীয় গ্রাম, পাড়া-মহল্লায় নিয়মিত সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের আয়োজন করতে হবে। মহিলা ও যুব সংগঠনের মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। বাল্যবিবাহ রোধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করতে হবে।

সৈয়দা ফারিভা আখতার

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী।

back to top