alt

পাঠকের চিঠি

ডিজিটাল ট্রাইবালিজম বন্ধ করা জরুরি

: বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

বর্তমানে এক যুগান্তকারী প্রযুক্তিগত বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী। এ বিপ্লবের চালিকা শক্তি হচ্ছে ইন্টারনেট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। মুহূর্তের মধ্যে আমরা পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারছি। প্রযুক্তির প্রসারে আমাদের যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে, সময় ও অর্থ বেঁচেছে।

এই আধুনিক প্রযুক্তির প্রসার যেমন আমাদের অনেক সুযোগ-সুবিধা এনে দিয়েছে, তেমনি কিছু গুরুতর সমস্যাও তৈরি করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ডিজিটাল ট্রাইবালিজম, যা আমাদের সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট করছে। ডিজিটাল ট্রাইবালিজম হলো সেই প্রবণতা, যেখানে মানুষ অনলাইনে নিজেদের মতামত, রাজনৈতিক আদর্শ কিংবা সামাজিক বিশ্বাসের ভিত্তিতে ছোট ছোট গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে যায়। দুঃখজনক বিষয় হলো, এখানে প্রত্যেক গোষ্ঠী অন্যদের চেয়ে নিজেদের আদর্শকে সঠিক এবং শ্রেষ্ঠ বলে বিশ্বাস করে। ফলে একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা ও সহনশীলতার সৃষ্টির পরিবর্তে বিদ্বেষ ও ঘৃণার জন্ম হয়।

তথ্য প্রযুক্তির প্রসারের সাথে সাথে ডিজিটাল ট্রাইবালিজমের প্রসার ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহারকারীরা পছন্দ করে বা মতামত মিলে যায় এমন কনটেন্ট বেশি দেখায়। ফলে, মানুষের মধ্যে এক ধরনের ভার্বাদশ তৈরি হয়,

তরুণদের মধ্যে ডিজিটাল ট্রাইবালিজমের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা জরুরি, যাতে দল মত নির্বিশেষে সকলের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। সর্বোপরি, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি সুশৃঙ্খল, বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ উপহার দিতে সবার প্রতি সহনশীলতা, অন্যের মতামতকে সম্মান, এবং গঠনমূলক আলোচনা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল ট্রাইবালিজম বন্ধ করা জরুরি।

মো. সাইফুল মিয়া

শিক্ষার্থী, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

সম্ভাবনাময় সবুজ প্রযুক্তি

পদ্মার তীরে তাদের জীবন

ভোগান্তির নাম আশুগঞ্জ-আখাউড়া সড়ক

প্রসঙ্গ : পরিবহন ভাড়া

বেকারত্বের প্রতিকার কী

দুর্নীতির মূলোৎপাটন করুন

অতীতে যা ফেলে আসবেন, ভবিষ্যৎ তা ফিরিয়ে দেবে

ছবি

জাতীয় পরিচয়পত্র চাই

ছবি

শিক্ষা সামগ্রীর দাম কমানো হোক

ছবি

বাল্যবিয়ে : সামাজিক অভিশাপ

ছবি

মূল্যস্ফীতির বলির পাঁঠা, নিম্নআয়ের মানুষ

মানুষ ফুল হয়ে ফুটবে!

বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ান

উত্তর-মধ্যাঞ্চলে বন্যায় ত্রাণ সহয়তা প্রসঙ্গে

সিলেটকে বন্যামুক্ত রাখতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করুন

ছবি

পলিথিন : পরিবেশের জন্য অশনি সংকেত

তাপপ্রবাহ : পরিবেশের বিরূপ প্রতিক্রিয়া

ছবি

সবজির অস্বাভাবিক দাম

পেকুয়ায় চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

ছবি

শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্য

উত্তরাঞ্চলে বন্যা

রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী কেন?

ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট

ছবি

শব্দদূষণ রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে

নতুন ব্রিজ চাই

স্পিডব্রেকার ও ট্রাফিক পুলিশ চাই

ছবি

ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির ভবিষ্যৎ

অননুমোদিত মিনারেল ওয়াটার

নারী উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়ান

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা

দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি

প্রক্রিয়াজাত খাবারে শিশুর বিপদ

ছবি

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেষ্ট হোন

ছবি

কৃষি এগিয়ে নিতে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে

ছবি

ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক সমস্যার সমাধান চাই

ছবি

মধ্যপ্রাচ্য সংকট

tab

পাঠকের চিঠি

ডিজিটাল ট্রাইবালিজম বন্ধ করা জরুরি

বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

বর্তমানে এক যুগান্তকারী প্রযুক্তিগত বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী। এ বিপ্লবের চালিকা শক্তি হচ্ছে ইন্টারনেট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। মুহূর্তের মধ্যে আমরা পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারছি। প্রযুক্তির প্রসারে আমাদের যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে, সময় ও অর্থ বেঁচেছে।

এই আধুনিক প্রযুক্তির প্রসার যেমন আমাদের অনেক সুযোগ-সুবিধা এনে দিয়েছে, তেমনি কিছু গুরুতর সমস্যাও তৈরি করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ডিজিটাল ট্রাইবালিজম, যা আমাদের সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট করছে। ডিজিটাল ট্রাইবালিজম হলো সেই প্রবণতা, যেখানে মানুষ অনলাইনে নিজেদের মতামত, রাজনৈতিক আদর্শ কিংবা সামাজিক বিশ্বাসের ভিত্তিতে ছোট ছোট গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে যায়। দুঃখজনক বিষয় হলো, এখানে প্রত্যেক গোষ্ঠী অন্যদের চেয়ে নিজেদের আদর্শকে সঠিক এবং শ্রেষ্ঠ বলে বিশ্বাস করে। ফলে একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা ও সহনশীলতার সৃষ্টির পরিবর্তে বিদ্বেষ ও ঘৃণার জন্ম হয়।

তথ্য প্রযুক্তির প্রসারের সাথে সাথে ডিজিটাল ট্রাইবালিজমের প্রসার ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহারকারীরা পছন্দ করে বা মতামত মিলে যায় এমন কনটেন্ট বেশি দেখায়। ফলে, মানুষের মধ্যে এক ধরনের ভার্বাদশ তৈরি হয়,

তরুণদের মধ্যে ডিজিটাল ট্রাইবালিজমের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা জরুরি, যাতে দল মত নির্বিশেষে সকলের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। সর্বোপরি, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি সুশৃঙ্খল, বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ উপহার দিতে সবার প্রতি সহনশীলতা, অন্যের মতামতকে সম্মান, এবং গঠনমূলক আলোচনা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল ট্রাইবালিজম বন্ধ করা জরুরি।

মো. সাইফুল মিয়া

শিক্ষার্থী, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

back to top